২০১৩ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর ২০১৩
 
  ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড
তারিখ ৪ মে, ২০১৩ – ২৭ জুন, ২০১৩
অধিনায়ক অ্যালাস্টেয়ার কুক (টেস্ট এবং ওডিআই)
ইয়ন মর্গ্যান
ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম
টেস্ট সিরিজ
ফলাফল ২ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ২–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান জো রুট (২৪৩) রস টেলর (১৪২)
সর্বাধিক উইকেট স্টুয়ার্ট ব্রড (১২) টিম সাউদি (১২)
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় জো রুট (ইংল্যান্ড) ও টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড)
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ
ফলাফল ৩ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ২–১ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান জোনাথন ট্রট (১৮৩) মার্টিন গাপটিল (৩৩০)
সর্বাধিক উইকেট জেমস অ্যান্ডারসন (৫) মিচেল ম্যাকক্লেনাগান (৮)
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড)
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ
ফলাফল ২ ম্যাচের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১–০ ব্যবধানে জয়ী হয়
সর্বাধিক রান লুক রাইট (৫২) ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম (৬৮)
সর্বাধিক উইকেট লুক রাইট (২) মিচেল ম্যাকক্লেনাগান (২)

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল ৪ থেকে ২৭ জুন, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ইংল্যান্ড সফর করে। সেখানে তারা দু’টি টেস্ট, তিনটি একদিনের আন্তর্জাতিক এবং দু’টি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও, দলটি ওডিআই এবং টি২০আই সিরিজের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।[১] উভয় দল সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি-মার্চ, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোকাবেলা করেছিল।

২০০৩ মৌসুমের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে ব্যস্ত থাকায় বেশকিছুসংখ্যক খেলোয়াড় নিউজিল্যান্ড দলের সাথে সফরকালীন সময়ে যোগ দেয়নি।[২] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাথে খেলোয়াড়দের সংস্থার চুক্তি মোতাবেক পাঁচ সপ্তাহব্যাপী আইপিএল প্রতিযোগিতায় আর্থিকভাবে লাভবান হবার উদ্দেশ্যেই এমনটি হয়েছে। কেননা তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে অংশগ্রহণের চেয়ে আইপিএলেই বেশি লাভবান হন।[৩]

৪র্থ ইংরেজ বোলার হিসেবে ১ম টেস্টে পিটার ফুলটনকে আউট করে জেমস অ্যান্ডারসন তিনশত উইকেট লাভ করেন।[৪]

সদস্যদের বিবরণ[সম্পাদনা]

টেস্ট ওডিআই টি২০
 ইংল্যান্ড[৫]  নিউজিল্যান্ড[৬]  ইংল্যান্ড[৭]  নিউজিল্যান্ড[৮]  ইংল্যান্ড  নিউজিল্যান্ড

প্রস্তুতিমূলক খেলা[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট: ডার্বিশায়্যার ব নিউজিল্যান্ড একাদশ[সম্পাদনা]

৪-৬ মে, ২০১৩
স্কোরকার্ড
২৮৯/৫ ডিঃ (৭৬ ওভার)
বিজে ওয়াটলিং ৭৭* (১৩৩)
মার্ক ফুটিট ৪/৬৫ (১৮ ওভার)
১৫৪ (৫২ ওভার)
ওয়েস ডারস্টোন ৪৬ (৬৫)
ডগ ব্রেসওয়েল ৪/২৮ (১৫ ওভার)
১৯৯/৫ ডিঃ (৪৮ ওভার)
বিজে ওয়াটলিং ৬১* (১০০)
মার্ক ফুটিট ২/১৯ (১০ ওভার)
২২৭ (৬৭.৪ ওভার)
ড্যান রেডফার্ন ৫৮ (৭০)
নিল ওয়াগনার ৫/৪৫ (১৮ ওভার)
নিউজিল্যান্ডার্স ১০৭ রানে বিজয়ী
কাউন্টি গ্রাউন্ড, ডার্বি
আম্পায়ার: নিল বেইনটন (ইংল্যান্ড) ও নাইজেল কাউলি (ইংল্যান্ড)
  • ডার্বিশায়ার টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট: ইংল্যান্ড লায়ন্স ব নিউজিল্যান্ড একাদশ[সম্পাদনা]

৯-১২ মে, ২০১৩
স্কোরকার্ড
২৮৫ (৭৪.৫ ওভার)
হামিশ রাদারফোর্ড ১২৬ (১৫৫)
টবি রোল্যান্ড-জোন্স ৪/৫৪ (১২.৫ ওভার)
৪৪৪/৭ (১১৪ ওভার)
জো রুট ১৭৯ (২৭৬)
ট্রেন্ট বোল্ট ৩/৮৬ (২৫ ওভার)
ম্যাচ ড্র
গ্রেস রোড, লিসেস্টার
আম্পায়ার: জেরেমি লয়েডস (ইংল্যান্ড) ও পল পোলার্ড (ইংল্যান্ড)
  • ইংল্যান্ড লায়ন্স টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

টি২০:কেন্ট স্পিটফায়ার্স ব নিউজিল্যান্ড একাদশ[সম্পাদনা]

২২ জুন, ২০১৩
১০:৪৫
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড একাদশ 
১৮৫/৭ (২০ ওভার)
বনাম
  • কেন্ট টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ছুরি যদি নিউজিল্যান্ড দল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হতো, তাহলে খেলাটি বাতিল হয়ে যেতো।

টেস্ট সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম টেস্ট[সম্পাদনা]

১৬-২০ মে ২০১৩
স্কোরকার্ড
২৩২ (১১২.২ ওভার)
জনি বেয়ারস্টো ৪১ (১০৭)
টিম সাউদি ৪/৫৮ (২৮.২ ওভার)
২০৭ (৬৯ ওভার)
রস টেলর ৬৬ (৭২)
জেমস অ্যান্ডারসন ৫/৪৭ (২৪ ওভার)
২১৩ (৬৮.৩ ওভার)
জো রুট ৭১ (১২০)
টিম সাউদি ৬/৫০ (১৯ ওভার)
৬৮ (২২.৩ ওভার)
নিল ওয়াগনার ১৭ (২৪)
স্টুয়ার্ট ব্রড ৭/৪৪ (১১ ওভার)
ইংল্যান্ড ১৭০ রানে জয়ী
লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন
আম্পায়ার: আলীম দার (পাকিস্তান) ও স্টিভ ডেভিস (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচসেরা: স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)
  • ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বৃষ্টির জন্য ১ম দিনে ৮০ ওভার খেলা হয়।
  • আলোকস্বল্পতায় ২য় দিনে ৮৩ ওভার খেলা হয়।

২য় টেস্ট[সম্পাদনা]

২৪-২৮ মে, ২০১৩
স্কোরকার্ড
৩৫৪ (৯৯ ওভার)
জো রুট ১০৪ (১৬৭)
ট্রেন্ট বোল্ট ৫/৫৭ (২২ ওভার)
১৭৪ (৪৩.৪ ওভার)
পিটার ফুলটন ২৮ (৪৮)
গ্রেম সোয়ান ৪/৪২ (৯ ওভার)
২৮৭/৫ ডিক্লে:
অ্যালাস্টেয়ার কুক ১৩০ (১৯০)
কেন উইলিয়ামসন ৩/৬৮ (২৪ ওভার)
২২০ (৭৬.৩ ওভার)
রস টেলর ৭০ (১২১)
গ্রেম সোয়ান ৬/৯০ (৩২ ওভার)
ইংল্যান্ড ২৪৭ রানে জয়ী
হেডিংলি স্টেডিয়াম, লিডস
আম্পায়ার: স্টিভ ডেভিস (অস্ট্রেলিয়া) ও মারাইজ ইরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ম্যাচসেরা: গ্রেম সোয়ান (ইংল্যান্ড)
  • ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • বৃষ্টির জন্যে ১ম দিন খেলা হয়নি।
  • ৫ম দিনে বৃষ্টির জন্য খেলা দেরীতে শুরু হয়।

একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম একদিনের আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

৩১ মে, ২০১৩
১০:৪৫
স্কোরকার্ড
ইংল্যান্ড 
২২৭/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
 নিউজিল্যান্ড
২৩১/৫ (৪৬.৫ ওভার)
জোনাথন ট্রট ৩৭ (৫৩)
টিম সাউদি ৩/৩৭ (১০ ওভার)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

২য় একদিনের আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

২ জুন, ২০১৩
১০:৪৫
প্রতিবেদন
নিউজিল্যান্ড 
৩৫৯/৩ (৫০ ওভার)
বনাম
 ইংল্যান্ড
২৭৩ (৪৪.১ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৮৬ রানে জয়ী
রোজ বোল, সাউদাম্পটন
আম্পায়ার: রব বেইলি (ইংল্যান্ড) ও স্টিভ ডেভিস (অস্ট্রেলিয়া)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

৩য় একদিনের আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

৫ জুন, ২০১৩
১৪:০০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
ইংল্যান্ড 
২৮৭/৬ (৫০ ওভার)
বনাম
 নিউজিল্যান্ড
২৫৩/১০ (৪৬.৩ ওভার)
রস টেলর ৭১ (৮৪)
জেমস ট্রেডওয়েল ৩/৫১ (৯ ওভার)
ইংল্যান্ড ৩৪ রানে জয়ী
ট্রেন্ট ব্রিজ, নটিংহাম
আম্পায়ার: আলীম দার (পাকিস্তান) এবং টিম রবিনসন (ইংল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: জস বাটলার (ইংল্যান্ড)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ[সম্পাদনা]

১ম টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

২৫ জুন, ২০১৩
১৮:৩০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
নিউজিল্যান্ড 
২০১/৪ (২০ ওভার)
বনাম
 ইংল্যান্ড
১৯৬/৫ (২০ ওভার)
লুক রাইট ৫২ (৩৪)
রোনিল হিরা ১/৩৪ (৪ ওভার)
নিউজিল্যান্ড ৫ রানে বিজয়ী
দি ওভাল, লন্ডন
আম্পায়ার: রব বেইলি (ইংল্যান্ড) ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড)
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়: হামিশ রাদারফোর্ড (নিউজিল্যান্ড)
  • ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

২য় টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক[সম্পাদনা]

২৭ জুন, ২০১৩
১৮:৩০ (দিন/রাত)
স্কোরকার্ড
ইংল্যান্ড 
২/১ (০.২ ওভার)
বনাম
ফলাফল হয়নি
দি ওভাল, লন্ডন
আম্পায়ার: রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড) ও টিম রবিনসন (ইংল্যান্ড)
  • নিউজিল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ইংল্যান্ডের ইনিংসে ২ রান হবার পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "2013 home international schedule revealed"ECB। England and Wales Cricket Board। ৩১ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  2. "New Zealand's England series to clash with IPL"ESPNcricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  3. "New Zealand players could miss first Test in England"ESPNcricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  4. "James Anderson takes 300th Test wicket for England"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১৭ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৩ 
  5. "England Squad for First Test"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। ইএসপিএন ইএমইএ। ৫ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৩ 
  6. "New Zealand Test Squad"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। ইএসপিএন ইএমইএ। ৫ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৩ 
  7. "England One-Day Squad"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। ইএসপিএন ইএমইএ। ৩ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৩ 
  8. "New Zealand One-Day Squad"ইএসপিএন ক্রিকইনফো। ইএসপিএন ইএমইএ। ৫ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]