২০০৯ মাঙ্গলুরু পাব আক্রমণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হামলা/আক্রমণের ভিডিও

২৪ জানুয়ারি ২০০৯ সালে, শ্রী রাম সেনা নামের ব্যক্তি ভারতে মাঙ্গলুরুর একটি পাবে অবস্থিত একদল যুবতী নারী ও পুরুষকে আক্রমণ করে।[১][২][৩] শ্রী রাম সেনা ৪০ জনকে নিয়ে একটি দল তৈরি করে এবং পাব "অ্যামনেশিয়া - দ্য লাউঞ্জ" এ প্রবেশ করে যুবতী নারী ও পুরুষকে মারধর করে। রাম সেনা দাবি করে যে নারীরা পরম্পরাগত ভারতীয় মূল্যবোধ লঙ্ঘন করছে এই সকল পাবে প্রবেশ করে। রাম সেনার হামলার পর দুই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও ইউটিউবে সর্বাধিক দেখা ক্লিপে পরিণত হয়, যদিও টিভি দল কীভাবে 'অঘোষিত' হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল তা জানা যায়নি।[৪][৫]

অ্যামনেসিয়া পাবের কর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায় যে, শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার (৪:৩০ পিএম) দিকে হামলা হওয়ার এক ঘণ্টা আগে দুই ব্যক্তি হোটেলের সামনের ডেস্কে আসেন এবং দাবি করেন তারা হোটেলের প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করতে চায়। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানালেন যে তারা কোনো চাঁদাবাজির চেষ্টা করেনি।[৬] তবে পুলিশ সন্দেহ করেন যে কোনো লুকানো চাঁদাবাজির ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন যার মাধ্যমে পরবর্তীতে অর্থ আদায় করতে সক্ষম হবে।[৬]

প্রতিষ্ঠাতা প্রমোদ মুথালিক বলেন, "যে এই কাজ করেছে সে ভালো কাজ করেছে। মেয়েরা পাবগুলিতে যাচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সেনা সদস্যরা যা করেছে তা ঠিক ছিল। আপনি রাজ্যের বিজেপি সরকারকে বদনাম করার জন্য এই ছোট্ট ঘটনাটি তুলে ধরছেন।"[৫]

২০১৮ সালে, মুথালিক এবং অন্য ২৪ জনকে আদালত পাব হামলার অভিযোগ থেকে খালাস দেয়।[৭]

গ্রেফতার[সম্পাদনা]

Prasad Attavar speaks about the attack outside court on 31 January

কর্ণাটক পুলিশ শ্রী রাম সেনার আহ্বায়ক প্রসাদ আত্তাভরকে সংগঠনের আরেক সদস্য লোহিতের সাথে তুলে নিয়ে যায়।[৮] পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাঙ্গলুরুর আদ্যর নামের একটি এলাকায় এই ঘটনার পর থেকে তারা লুকিয়ে ছিল। পুলিশ এখনও দিনাকর নামে সংগঠনের আরেকজন মূল সদস্যকে খুঁজছে, যিনি এই হামলার জন্য দায় স্বীকার করেছিলেন।[৮] শ্রী রাম সেনার প্রধান প্রসাদ আত্তাভর দাবি করেছিলেন যে এই মেয়েরা তার বোনের মতো এবং তার বোনদের উপর কেউ হাত তুলবে সেটা গ্রহণ যোগ্য হবেনা ।[৯] পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে এই হামলায় মোট ৪০ জন জড়িত ছিল এবং এখন পর্যন্ত তারা এই হামলার মধ্যে ১৯ জনকে ঘটনা স্থল থেকে তুলে নিতে পেরেছে।[৮]

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রী রাম সেনার অধীনে কর্ণাটক অঞ্চলে ১,০০০-১,৫০০ ক্যাডার রয়েছে, যারা হুমকি দিয়ে জানায়, যদি ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে মুথালিককে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যব্যাপী ধর্মঘট করবে ।[১০] একজন পাব হামলার শিকার এনডিটিভিকে জানিয়েছে তিনি এই বেপারে হুমকি মুলক ফোন কল পেয়েছিলেন।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Mangalore pub attack: 17 held, Ram Sena unapologetic"। Indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  2. "Mangalore pub row: Sri Ram Sene men get bail"। ibnlive.com। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  3. "Mangalore pub attack"The Hindu। Chennai, India। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  4. "Young India Vents Anger Over Mangalore Incident on Internet"। ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ 
  5. "What is Sri Ram Sena?"। ৩১ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ 
  6. Rama Sene, Bajrang Dal vie for ‘credit,’ extortion under scan – 27 January 2009, The Indian Express
  7. "9 Years After Mangaluru Pub Attack, Sri Ram Sene Chief Pramod Muthalik, 24 Others Acquitted"। ২০১৮-০৩-১৩। 
  8. "Mangalore attack: Sri Ram Sena chief arrested"। Rediff.com। ২৭ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ 
  9. "Sri Ram Sena chief: These girls are like my sisters"। Rediff.com। ২৭ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ 
  10. "Ram Sene threatens bandh if Muthalik is not released"। Express India.com। ২৯ জানুয়ারি ২০০৯। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ 
  11. "Mangalore's Shame: Pub attack victim threatened"। morungexpress। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]