১৯৩৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

১৯৩৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ইংল্যান্ড গমন করে। এ সফরে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়। ইংল্যান্ড ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। বাদ-বাকী দুই টেস্ট ড্রয়ে পরিণত হয়। সর্বমোট ২৫টি প্রথম-শ্রেণীর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে, সফরকারীরা আটটি জয় ও ছয়টিতে পরাজয়বরণ করে। অন্যগুলো ড্র হয়। কিন্তু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমশঃ ঘোলাটে হতে থাকলে চূড়ান্ত টেস্ট শুরু হবার কয়েকদিন পর পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। শেষ ছয়টি খেলা ২৬ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।

জানুয়ারি, ১৯৪৮ সালের পূর্ব-পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল আর কোন টেস্ট ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ড দল চার-টেস্ট খেলার উদ্দেশ্যে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পদার্পণ করে। অন্যদিকে আগস্ট, ১৯৩৯ সালের পর ইংল্যান্ড দল আর কোন টেস্টে অংশ নেয়নি। ১৯৪৬ সালে তারা ভারত গমন করে।

১৯৪০ সালের উইজডেন সংস্করণে বার্বাডোসের লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ঘোষণা করে। ইংরেজ ক্রিকেটার বিল এডরিচ, ওয়াল্টার কিটন, ব্রায়ান সেলার্সডগ রাইটকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দলীয় সদস্য[সম্পাদনা]

জন কিডনি দলের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯০৯ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে বার্বাডোসের পক্ষে তিনি ১১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। এছাড়াও, ১৯৩৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নিয়ে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন।

দলের ১৬জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ম্যানি মার্টিনডেল, আইভান ব্যারো ও জর্জ হ্যাডলি ১৯৩৩ সালের পূর্বেকার ইংল্যান্ড সফরে যুক্ত ছিলেন। ১৯২৩ ও ১৯২৮ সালে ইংল্যান্ড সফরকারী লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন ও রল্ফ গ্রান্ট পরবর্তীতে দলে যোগ দিয়ে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে, কনস্ট্যান্টাইন ১৯২৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ডেরেক সিলি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ১৯২৯-৩০ মৌসুমে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে প্রথমদিকে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। রল্ফ গ্রান্ট ও লেসলি হিল্টন ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে তাদের টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন করেছিলেন।

দলের অপর নয়জন খেলোয়াড়ের আটজন এ সফরে অভিষেক ঘটান। তারা হলেন - জন ক্যামেরন, বার্টি ক্লার্ক, জেরি গোমেজ, টাইরেল জনসন, স্টলমেয়ার ভ্রাতৃদ্বয়, কেন উইকস ও ফফি উইলিয়ামস। কেবলমাত্র এ সফরে পিটার বেইলি ক্যাপধারী হতে পারেননি ও আর টেস্ট খেলায় অংশ নেননি। এরজন্যে যুদ্ধই প্রধান কারণ ছিল।

টেস্ট খেলা[সম্পাদনা]

তিনটি টেস্টের প্রত্যেকটিই তিনদিনব্যাপী ছিল।

প্রথম টেস্ট, লর্ডস, ২৪ - ২৭ জুন[সম্পাদনা]

২৪ - ২৭ জুন, ১৯৩৯
স্কোরকার্ড
২৭৭ (৮১.৪ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ১০৬
ডব্লিউএইচ কপসন ৫/৮৫ (২৪ ওভার)
৪০৪/৫ডি. (৯৫ ওভার)
এল হাটন ১৯৬
জেএইচ ক্যামেরন ৩/৬৬ (২৬ ওভার)
২২৫ (৬৯.৪ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ১০৭
ডব্লিউএইচ কপসন ৪/৬৭ (১৬.৪ ওভার)
১০০/২ (১৭.৭ ওভার)
ই পেন্টার ৩২*
এলজি হিল্টন ১/৩৬ (৭ ওভার)
ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে বিজয়ী
লর্ডস, লন্ডন
আম্পায়ার: ইজে স্মিথএফআই ওয়ালডেন

দ্বিতীয় টেস্ট, ওল্ড ট্রাফোর্ড, ২২ - ২৫ জুলাই[সম্পাদনা]

২২ - ২৫ জুলাই, ১৯৩৯
স্কোরকার্ড
১৬৪/৭ডি. (৫৫.২ ওভার)
জে হার্ডস্টাফ ৭৬
সিবি ক্লার্ক ৩/৫৯ (১৩ ওভার)
১৩৩ (৩৫.৪ ওভার)
জিএ হ্যাডলি ৫১
ডব্লিউই বোস ৬/৩৩ (১৭.৪ ওভার)
১২৮/৬ডি. (৩৮ ওভার)
ডিসিএস কম্পটন ৩৪*
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৪/৪২ (১১ ওভার)
৪৩/৪ (১৫.৬ ওভার)
জেইডি সিলি ১৩*
ডব্লিউএইচ কপসন ১/২ (৩ ওভার)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জয়লাভ করে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
  • ২৩ জুলাই বিশ্রামবার ছিল।
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জিই গোমেজইএভি উইলিয়ামসের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।

তৃতীয় টেস্ট, ওভাল, ১৯ - ২২ আগস্ট[সম্পাদনা]

১৯-২২ আগস্ট, ১৯৩৯
স্কোরকার্ড
৩৫২ (৭৩.৩ ওভার)
জে হার্ডস্টাফ ৯৪
এলএন কনস্ট্যান্টাইন ৫/৭৫ (১৭.৩ ওভার)
৪৯৮ (১০১.৫ ওভার)
কেএইচ উইকস ১৩৭
আরটিডি পার্কস ৫/১৫৬ (৩০.৫ ওভার)
৩৬৬/৩ডি. (৭৬ ওভার)
এল হাটন ১৬৫*
টিএফ জনসন ১/৭৬ (১৪ ওভার)
খেলা ড্র
দি ওভাল, লন্ডন
আম্পায়ার: এফ চেস্টারডব্লিউ রিভস

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

বার্ষিক পর্যালোচনা[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Bill Frindall, The Wisden Book of Test Cricket 1877–1978, Wisden, 1979
  • Michael Manley, A History Of West Indies Cricket, Andre Deutsch, 1988