১৯৩২ মঙ্গোলিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

১৯৩২ মঙ্গোলিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহ (মঙ্গোলীয়: 1932 оны зэвсэгт бослого, ১৯৩২ ওনি জেভসেগ্ট বসলোগো) হলো মঙ্গোলিয় গণপ্রজাতন্ত্রীতে মঙ্গোলিয় গণ বিপ্লবী পার্টি (এমপিআরপি) এবং সোভিয়েত বলশেভিকস ও কমিনিরের দ্বারা পরিচালিত "বাম ধারা"এর শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত বিদ্রোহ। এটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সংগঠিত হয় এবং ১৯৩২ সালের এপ্রিল হতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এর নেতৃত্বে প্রধান নেতা হিসাবে ছিলেন লামাগণ[১] বিদ্রোহের প্রধান অংশটি সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে সংগঠিত হলেও এতে এমনকি অনেক দলীয় সদস্য এবং স্থানীয় আমলাগণও[২] অংশ নেন। বিদ্রোহীরা ও তাদের সমর্থকরা পাঞ্চেন লামা এবং জাপানের সহায়তা পাওয়া যাবে সংক্রান্ত গুজব থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।[৩][৪] বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি লক্ষনীয় নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলো; কিন্তু সোভিয়েত সেনা সমর্থনে প্রেরিত মঙ্গোলিয়ান সেনারা এতে জড়িত বিদ্রোহীদের উৎখাত করতে আরও অধিক নৃশংসতার পরিচয় দেয়। এই ঘটনায় ১,৫০০'এরও বেশি মানুষ নিহত হয়।[৫] বিশেষ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য মতে, এই বিদ্রোহটি সাধারণ গ্রহণযোগ্য মানদণ্ডে গৃহযুদ্ধের সাথে তুলনীয়। বিদ্রোহীরা জাপান বা ৯ম পাঞ্চেন লামা দ্বারা অনুপ্রাণিত বা সমর্থিত হয়েছিলো বিদ্রোহের সাথে সংশ্লিষ্ট সংরক্ষিত দলিল-দস্তাবেজ দ্বারা এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।[৬][৭]

পটভূমি[সম্পাদনা]

১৯২৮ সালের শেষের দিকে মঙ্গোলিয় গণপ্রজাতন্ত্রীর সরকার এবং মঙ্গোলিয় গণ বিপ্লবী দল দ্রুত সমাজতন্ত্রে প্রবর্তনের লক্ষ্যে 'বাম নীতি' বাস্তবায়ন করা শুরু করে। ব্যক্তিগত বাণিজ্য ও বেসরকারী পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়, একই সময়ে মঙ্গোলিয়ার গবাদি পশুর নির্ভর অর্থনীতিকে সংগ্রহ করা হয়, ধনীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়, বৌদ্ধ বিহারগুলোর উপর অত্যধিক করাররোপ করে এগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, লামাদেরকে ধর্মহীন জীবনযাপনে স্থানান্তরিত হয় এবং অনেক বৌদ্ধ মঠ জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত পরিবহন ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো পুরাতন, বেসরকারী মালিকানাধীন কর্মক্ষেত্রগুলোয় প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়নি এবং নতুন প্রতিষ্ঠিত গোষ্ঠীগুলোর (মঙ্গোলীয়: খম্রালাল) অবহেলা ও অপব্যবহারের ফলে পশুদের ৭০ লক্ষ মাথা বা ১৯২৯ সালের এক-তৃতীয়াংশ স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সবই কেবল আন্তঃ মঙ্গোলিয়া ও জিনজিয়াংয়ের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগঠিত হয়েছিল তেমনটি নয়, পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়েও বিদ্রোহ ঘটেছিলো - উদাহরণস্বরূপ, উভিস আইগ্যাগের টোগেজউইয়ৎ মঠের আন্দোলন, যা ১৯৩০ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত চলেছিল।[৮][৯][১০]

বিবরণ[সম্পাদনা]

ফলাফল[সম্পাদনা]

বিদ্রোহটি চারটি প্রদেশে সংগঠিত হয়। এতে ৩ সহস্রা লোক জড়িত ছিলো বলে জানা যায় যাদের ৭০০ জন ১৯৩২ সালের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে নিহত হয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. C.R. Bawden, The Modern History of Mongolia, London 1968, p. 316
  2. D. Tserenbaljir, 1932 ony zevsegt boslogo, Ulaanbaatar 1990, p.21, 53
  3. D. Tserenbaljir, 1932 ony zevsegt boslogo, Ulaanbaatar 1990, p.53
  4. C.R. Bawden, The Modern History of Mongolia, London 1968, p. 317f
  5. D. Tserenbaljir, 1932 ony zevsegt boslogo, Ulaanbaatar 1990, p.94f
  6. Kuzmin, S.L. and Oyuunchimeg J. Vooruzhennoe Vosstanie v Mongolii v 1932 g. Moscow, MBA Publ., 2015
  7. Kuzmin, S.L. and Oyuunchimeg, J. Sotsializmyn Esreg 1932 Ony Mongol Dakh Boslogo. Ulaanbaatar: Munkhiin Useg, 2014
  8. C.R. Bawden, The Modern History of Mongolia, London 1968, pp. 301-318
  9. D. Tserenbaljir, 1932 ony zevsegt boslogo, Ulaanbaatar 1990, p. 19
  10. Kuzmin S.L. West-Mongolian uprising of 1930 in defense of religion. – Religiovedenie, 2015, no 1, p. 53-59