বিষয়বস্তুতে চলুন

১৮ রমজান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

১৮ রমজান হল ইসলামি চান্দ্র বর্ষপঞ্জির নবম মাস রমজানের ১৮তম দিন। এই দিনটি হিজরী বর্ষপঞ্জির ২৫৪তম দিন হিসেবে গণ্য হয় ( যদি শাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হয়) অথবা ২৫৫তম বা ২৫৬তম দিন হতে পারে যদি শাবানসহ অন্যান্য মাস ৩০ দিনে সম্পন্ন হয়। এই দিনটির পর বছর শেষ হতে আরও প্রায় ১০১ বা ১০২ দিন বাকি থাকে।

ঘটনাবলী

[সম্পাদনা]
  • ৪০ হিজরী - হাসান ইবনে আলী তার পিতা আলী বিন আবি তালিবের হত্যার পর খিলাফতের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।
  • ২৫১ হিজরী - ইরাকের নিনেভেতে আব্বাসীয় সেনাপতি হিশাম বিন আবি দুলফ এবং বিদ্রোহী আলাভিদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আব্বাসীয় সেনাপতি বিদ্রোহী আলাভি সেনাবাহিনীর চল্লিশজনকে হত্যা করেন। তারপর তিনি ছত্রভঙ্গ হয়ে কুফায় প্রবেশ করেন এবং কুফার লোকেরা আল-মুতাজের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। হিশাম বিন আবি দুলফ বাগদাদে ফিরে আসেন।
  • 295 হিজরি - আব্বাসীয় খলিফা আল-মুকতাফির রাজত্বকালে আফ্রিকার আগলাবি রাজবংশ শেষ শাসক আবু মুইজ ইবনে আগলবের একজন বার্তাবাহক বাগদাদে আগমন করেন। আগলাবি দূত খলিফাকে অনেক দামি উপহার দেন।
  • ৪৮৪ হিজরি - সেনাপতি ইউসুফ ইবনে তাশফিন আন্দালুসিয়ায় মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং সেখানকার তাইফা রাজাদের মধ্যে বিভেদ দূর করেন।
  • ৫৩৯ হিজরি - মাগরেবে মুরাবিতুন রাজবংশের অবসান ঘটে এবং মুওয়াহহিদিন রাজবংশের উত্থান হয়।
  • ৭২৩ হিজরি - তাতার মুসলিম তীর্থযাত্রীদের একটি দল দামেস্কে পৌঁছায়, যাদের মধ্যে ছিলেন রাজা আবাগা বিন হুলাকুর কন্যা, রাজা আরগুনের বোন এবং গাজান ও খারবান্দার খালা। শামের মামলুক কর্তৃপক্ষ তাদের সম্মান জানিয়ে দামেস্কের আল-আবলাক প্রাসাদে তাদের আবাসনের ব্যাবস্থা করে এবং হজ্জের সময় পর্যন্ত তাদের খরচ বহন করে।
  • ৮৩৩ হিজরি - সুলতান বার্সবে আলেপ্পোর সচিব ইবনে সাফাহকে মিশরের সচিব নিযুক্ত করার জন্য ও সুলতানকে দশ হাজার দিনার প্রদানের বিনিময়ে তার পুত্র জয়নুদ্দীন ওমরকে আলেপ্পোতে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য ডেকে পাঠান। এটি ছিল সচিব শরীফ শিহাবুদ্দীন ও তার ভাই ইমাদুদদ্দীনের মৃত্যুর পর। অনেকেই এই পদটি পেতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সুলতান ইবনে সাফাহকে বেছে নিয়েছিলেন।
  • ৮৪৩ হিজরি - সুলতান সাইফুদ্দিন জাকমাক কায়রোর গভর্নরকে একশ জন লোক নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে একটি ফরমান জারি করেন। এই দিনে কায়রোতেও ঘোষণা করা হয়েছিল যে, সুলতানের মামলুকদের কেউ রাতে বাইরে বেরোবে না। কারণ রাষ্ট্রদ্রোহ এবং বিরোধের উত্থানের গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল।
  • ১১৯৯ হিজরি - ভূমধ্যসাগরের কার্শ উপসাগরে আলজেরীয় জলদস্যুরা একটি মার্কিন জাহাজ আটক করে। মারিয়া নামের জাহাজটি বোস্টন হারবার থেকে যাত্রা করছিল।
  • ১২৪৯ হিজরি - সাড়ে পাঁচ বছর দখলের পর রুশ সাম্রাজ্যবাদী বাহিনী রোমানিয়া থেকে প্রত্যাহার করে। সেই সময় রোমানিয়া উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। কিন্তু ছয় বছর আগে উসমানীয়দের সাথে যুদ্ধের সময় রুশরা এটি দখল করে নেয়।
  • ১২৫৬ হিজরি - লন্ডন চুক্তির পর ইব্রাহিম পাশার নেতৃত্বাধীন মিশরীয় সেনাবাহিনীকে শাম থেকে বিতাড়িত করার পর উসমানীয় সেনাবাহিনী আলেপ্পো শহরে প্রবেশ করে। চুক্তিতে মিশরের গভর্নর মুহাম্মদ আলী পাশার শাম থেকে উচ্ছেদ ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে ফিরে আসার কথা বলা হয়েছিল।
  • ১৩৩০ হিজরি - মুস্তফা কামেলের নেতৃত্বাধীন জাতীয় দল কর্তৃক প্রকাশিত আল-লিওয়া সংবাদপত্রটি সরকার এবং ব্রিটিশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক নিবন্ধ প্রকাশের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়।
  • ১৩৩৯ হিজরি - সাদ জাগলুলের বক্তৃতার পর সৃষ্ট আলেকজান্দ্রিয়ায় রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের ফলে আদলি ইয়াকান মন্ত্রীত্ব পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
  • ১৩৫১ হিজরি - আল-রিসালা সাহিত্য ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এটি আধুনিক আরবি সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা। এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ আল-জায়াত এবং মিশর ও আরব বিশ্বের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এতে লেখালেখি করতেন।
  • ১৩৬৫ হিজরি - ভারতের কলকাতা শহরে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা আরও কয়েকটি শহরে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ তিন দিন ধরে চলে, যার ফলে ৭,০০০ মানুষ নিহত হয়।
  • ১৩৯০ হিজরি - সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাফেজ আল-আসাদ সংশোধনমূলক আন্দোলন নামে পরিচিত একটি সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।
  • ১৪০০ হিজরি- নেসেট জেরুজালেমকে ইস্রায়েলের চিরস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করে একটি আইন জারি করে।
  • ১৪১১ হিজরি - ইরাকি সেনাবাহিনী বিদ্রোহী কুর্দি অঞ্চলগুলিতে আক্রমণ করে। ইরাকি সেনাবাহিনীর গণহত্যার ভয়ে কুর্দিরা ব্যাপক সংখ্যায় পাহাড় এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে ( ইরান, তুরস্ক ) পালিয়ে যায়, যেখানে আড়াই মিলিয়নেরও বেশি নাগরিক পালিয়ে যায় এবং ইরাকি সেনাবাহিনী আবার প্রধান শহরগুলি নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ১৪২৪ হিজরি - নাসিরিয়ায় একটি ইতালীয় পুলিশ ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলায় ২৩ জন নিহত হন।
  • ১৪২৬ হিজরি - আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রেট শহীদ সেন্ট জর্জ গির্জার কাছে জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মিশরীয় মুসলমান বিক্ষোভ করে। এটি গির্জার অভ্যন্তরে ইসলামকে অবমাননাকারী একটি নাট্য পরিবেশনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মুসলিম গির্জার কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় এবং কপটিক অর্থোডক্স জাতীয় কাউন্সিল প্রতিক্রিয়া জানায় যে, নাটকটিতে ইসলামের প্রতি আপত্তিকর কিছু নেই।
  • ১৪৩৪ হিজরি - কায়রোর রাবা আল-আদাউইয়া স্কয়ারের কাছে নাসর স্ট্রিটে ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ মুরসির সমর্থক বিক্ষোভকারীদের সাথে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে, ৩৮ জন নিহত এবং ৫,০০০ জন আহত হয়েছেন।
  • ১৪৪১ হিজরি- ওমান উপসাগরে ইরানি নৌবাহিনীর মহড়ার সময় ফ্রিগেট জামারান থেকে ইরানি জাহাজ কোনারক বন্ধুত্বপূর্ণ গুলিবর্ষণের শিকার হয় এবং এই ঘটনায় ১৯ জন ক্রু সদস্য নিহত হন।
  • ৫৬০ হিজরি – মুহিউদ্দিন ইবনে আরবি, মুসলিম দার্শনিক ও সূফি সাধক। []
  • ১২৭২ হিজরি – সুলায়মান আল-বাস্তানি, একজন লেবাননী সাহিত্যিক।
  • ১২৮৬ হিজরি – আব্দুল হাই নাদভি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরব গবেষক ও ইতিহাসবিদ।
  • ১৩০৯ হিজরি – মুহাম্মদ কাসবাজি, মিশরীয় সুরকার।
  • ১৩৬৫ হিজরি – আব্দুল ইমাম আবদুল্লাহ, কুয়েতি অভিনেতা।
  • ১৩৭২ হিজরি – কাফি ইরাকি, ইয়েমেনী গায়িকা।
  • ১৩৭৪ হিজরি – সামিরা বারুদি, লেবাননী অভিনেত্রী।
  • ১৪০৬ হিজরি – মুহাম্মদ রাকান, কুয়েতি ফুটবল খেলোয়াড়।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]
  • ২১ হিজরি – খালিদ বিন ওয়ালিদ, একজন সাহাবি, বিখ্যাত সেনাপতি ও শাম বিজয়ী। []
  • ১৭০ হিজরি – ইয়াজিদ ইবনে হাতিম মুহাল্লাবি, আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের সেনাপতি।
  • ১৩৩৬ হিজরি – আহমদ আল-হাইবা, একজন মারাকেশীয় ফকীহ ও মুক্তিযোদ্ধা।
  • ১৩৪৬ হিজরি – আব্বাস ইবনে মুহাম্মদ রিদওয়ান, হিজায অঞ্চলের একজন মুসলিম আলেম।
  • ১৩৫৭ হিজরি–মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক, আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা। []
  • ১৪০৯ হিজরি – আনোয়ার ইসমাইল, মিশরীয় অভিনেতা।
  • ১৪৩৩ হিজরি – মুহাম্মদ নূহ, মিশরীয় সঙ্গীতজ্ঞ।
  • ১৪৩৪ হিজরি – মুহাম্মদ ব্রাহিমি, তিউনিসিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও হারাকাতুশ-শাবাব দলের মহাসচিব।
  • ১৪৩৬ হিজরি – মুহাম্মদ বাকির আল-মাহরি, কুয়েতি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Chittick, William (২০১৮)। Zalta, Edward N., সম্পাদক। Ibn Arabi (Summer 2018 সংস্করণ)। Metaphysics Research Lab, Stanford University। 
  2. "The encyclopaedia of Islam. Volume I, A-B | WorldCat.org"search.worldcat.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৪ 
  3. "T.C. Kültür ve Turizm Bakanlığı"www.ktb.gov.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৪-১৪