হ্যাকাথন
হ্যাকাথন হলো একটি আয়োজন যেখানে মানুষজন দ্রুত ও সম্মিলিতভাবে প্রকৌশল কার্যক্রমে অংশ নেয়। এটি সাধারণত ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টার মতো স্বল্প সময়ের জন্য আয়োজিত হয়ে থাকে। এটি কখনও কখনও হ্যাকদিবস, হ্যাকফেস্ট, ডাটাথন বা কোডফেস্ট নামেও অভিহিত করা হয়। হ্যাকাথন শব্দটি হ্যাকিং এবং ম্যারাথন শব্দদ্বয়ের মিশ্রণে উদ্ভূত।
এই আয়োজন গুলি সাধারণত এজাইল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস ব্যবহার করে পরিচালিত হয়, যেমন স্প্রিন্ট-জাতীয় ডিজাইন পদ্ধতি। যেখানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার, গ্রাফিক ডিজাইনার, ইন্টারফেস ডিজাইনার, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, প্রজেক্ট ম্যানেজার, ডোমেইন এক্সপার্টসহ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের সাথে জড়িত সফটওয়্যার প্রকৌশলসহ অন্যরা একত্রে প্রকৌশল প্রকল্পে নিবিড়ভাবে কাজ করেন।
হ্যাকাথনের মূল উদ্দেশ্য হলো আয়োজনের শেষ নাগাদ কার্যকরী সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার তৈরি করা।[১] হ্যাকাথনের নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে, যেমন নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ভাষা, অপারেটিং সিস্টেম, কোনো অ্যাপ্লিকেশন, এপিআই অথবা প্রোগ্রামারদের একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের উপর ভিত্তি করে কাজ করা। তবে কিছু ক্ষেত্রে নতুন সিস্টেমের ডিজাইন বা তৈরি হওয়া সফটওয়্যারের ধরন নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ থাকে না।
হ্যাকাথন শুধু কার্যকরী সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার তৈরিতেই সাহায্য করে না, এটি অংশগ্রহণকারীদের সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তা, সৃজনশীলতা, দলবদ্ধ কাজ, যোগাযোগ এবং সময় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হয়। এছাড়া, হ্যাকাথনের মাধ্যমে নতুন কোম্পানির গোড়াপত্তন হতে পারে, বাস্তব জীবনের সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে কিংবা নির্দিষ্ট প্রযুক্তি বা কোনো কারণের উপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
হ্যাকাথনের মাধ্যমে মানুষজন একত্রে কাজ করার সুযোগ পায়, যা তাদের মধ্যে একটি সংহত বোধ তৈরি করে এবং একে অপরের কাছ থেকে শেখার সুযোগ প্রদান করে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের দক্ষতা এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারে এবং নতুন নতুন ধারণা ও প্রকল্পে কাজ করার উৎসাহ পান। সম্প্রদায় গড়ে ওঠে যেখানে সদস্যরা নিয়মিত যোগাযোগ ও সহযোগিতা করে এবং প্রযুক্তিগত অথবা সামাজিক উদ্দেশ্য সাধনে একসাথে কাজ করে।
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]"হ্যাকাথন" শব্দটি "হ্যাক" এবং "ম্যারাথন" শব্দদ্বয়ের মিশ্রণ, যেখানে "হ্যাক" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে অনুসন্ধানমূলক প্রোগ্রামিং এর অর্থে, কম্পিউটার নিরাপত্তা ভঙ্গের অর্থে নয়।
ওপেনবিএসডি কর্তৃক শব্দটির প্রথম ব্যবহার হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ৪ জুন ক্যালগারিতে অনুষ্ঠিত একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক উন্নয়ন অনুষ্ঠানে। সেখানে ক্রিপ্টোগ্রাফিক সফটওয়্যার রপ্তানির বিধি-নিষেধের কারণে আইনি সমস্যা এড়ানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দশজন ডেভেলপার একত্রিত হয়েছিলেন।[২] তারপর থেকে, প্রতি বছরে আরও তিন থেকে ছয়টি অনুষ্ঠান সারা বিশ্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডেভেলপমেন্টের অগ্রগতি সাধনের জন্য, সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
সান মাইক্রোসিস্টেমসের জন্য, "হ্যাকাথন" শব্দটির ব্যবহার হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ১৫ থেকে ১৯ জুন জাভাওয়ান সম্মেলনে। সেখানে জন গেজ অংশগ্রহণকারীদের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যাতে তারা নতুন পাম ৫ সংস্করণের জন্য ইনফ্রারেড পোর্ট ব্যবহার করে অন্য পাম ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং ইন্টারনেটে নিবন্ধন করতে একটি প্রোগ্রাম লিখেন।
২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত, হ্যাকাথনের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। কোম্পানি এবং উদ্যোক্তা পুঁজিপতিরা একে নতুন সফটওয়্যার প্রযুক্তি দ্রুত উন্নয়নের উপায় এবং নতুন উদ্ভাবন ও অর্থায়নের ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে দেখতে শুরু করে।
বেশ কিছু প্রধান কোম্পানি এই হ্যাকাথন থেকে জন্ম নিয়েছে। যেমন গ্রুপমি, যা টেকক্রাঞ্চ ডিসরাপ্ট ২০১০ সম্মেলনে একটি হ্যাকাথন প্রকল্প হিসেবে শুরু হয়েছিল; ২০১১ সালে এটি স্কাইপ দ্বারা ৮৫ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করা হয়। ফোনগ্যাপ সফটওয়্যারটির উৎপত্তি হয়েছিল ২০০৮ সালে আইফোনডেভক্যাম্প (পরে আইওএসডেভক্যাম্প নামে পরিচিত) অনুষ্ঠানে একটি প্রকল্প হিসেবে;[৩] ফোনগ্যাপের ডেভেলপকারী কোম্পানি নিটোবি নিজেকে ফোনগ্যাপের উপর ভিত্তি করে পুনর্গঠন করে। ২০১১ সালে নিটোবি অ্যাডোবি ইনকর্পোরেটেড দ্বারা অপ্রকাশিত পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা হয়।[৪]
গঠন
[সম্পাদনা]হ্যাকাথন সাধারণত একটি উপস্থাপনা বা হোস্টিং সংস্থার একটি ওয়েব পেজের মাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয়, যেখানে হ্যাকাথনের উদ্দেশ্য, শর্তাবলী এবং বিশদ বিবরণ উল্লেখ করা হয়। ডেভেলপাররা হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেন এবং সংস্থা তাদের পটভূমি ও দক্ষতা যাচাই করার পর তারা যোগ্য হন।
যখন হ্যাকাথন আয়োজন শুরু হয়, অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা বা দলগুলো তাদের প্রোগ্রামিং কাজ শুরু করে। হ্যাকাথনের প্রশাসক সাধারণত আয়োজনের সময় তাদের সমস্যা দেখা দিলে প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং সাহায্য করতে সক্ষম হন।
হ্যাকাথন কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে পারে। ২৪ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে চলা হ্যাকাথনে, বিশেষ করে প্রতিযোগিতামূলক হ্যাকাথনগুলিতে, খাবার প্রায়শই অনানুষ্ঠানিক হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা প্রায়শই পিৎজা এবং এনার্জি ড্রিংকের মতো খাবার খেয়ে থাকেন। কখনও কখনও ঘুমানোও অনানুষ্ঠানিক হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানস্থলেই স্লিপিং ব্যাগ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
হ্যাকাথনের শেষে সাধারণত প্রতিটি দল তাদের ফলাফল ডেমোনস্ট্রেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করে। চমৎকার আইডিয়া এবং চলমান কাজগুলি ধরে রাখতে মানুষ প্রায়ই ডেমোনস্ট্রেশনের ভিডিও পোস্ট করে, ফলাফলের স্ক্রিনশট এবং বিস্তারিত সহ ব্লগ করে। সেই সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে লিঙ্ক এবং অগ্রগতি শেয়ার করে এবং ওপেন সোর্স কোডের জন্য একটি জায়গার প্রস্তাব করে। এই প্রক্রিয়া সাধারণত মানুষকে আইডিয়া শেয়ার করতে, শিখতে এবং সম্ভাব্যভাবে তৈরি কাজ থেকে আরও উন্নয়ন করতে সহায়তা করে।
প্রায়ই একটি প্রতিযোগিতার উপাদানও থাকে, যেখানে বিচারকদের একটি প্যানেল বিজয়ী দলগুলিকে নির্বাচন করে এবং পুরস্কার প্রদান করে। অনেক হ্যাকাথনে, বিচারকরা আয়োজক এবং স্পনসরদের দ্বারা গঠিত হয়। উন্নয়ন কমিউনিটি দ্বারা আয়োজিত বারক্যাম্প-স্টাইল হ্যাকাথনে, যেমন আইওএসডেভক্যাম্প, বিচারকরা সাধারণত ক্ষেত্রের সহকর্মী এবং সমসাময়িকদের দ্বারা গঠিত হয়। এই ধরনের পুরস্কারগুলি কখনও কখনও একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, টেকক্রাঞ্চ ডিসরাপ্ট কনফারেন্সে একটি সামাজিক গেমিং হ্যাকাথন বিজয়ীদের জন্য ২৫০,০০০ ডলার তহবিল প্রদান করেছিল। এছাড়াও, সেলসফোর্স.কম দ্বারা পরিচালিত একটি বিতর্কিত[৫] ২০১৩ হ্যাকাথনে বিজয়ীদের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হয়েছিল, যা সর্বকালের বৃহত্তম পুরস্কার হিসাবে ধরা হয়েছিল।[৬]
হ্যাকাথনের প্রকারভেদ
[সম্পাদনা]অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে হ্যাকাথন
[সম্পাদনা]কিছু হ্যাকাথন নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যেমন মোবাইল অ্যাপ, ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ভিডিও গেম ডেভেলপমেন্ট।
আয়ারল্যান্ডের ফিনিক্স পার্কে অনুষ্ঠিত ওভার দ্য এয়ারের মতো মোবাইল অ্যাপ হ্যাকাথনগুলি প্রায়ই প্রচুর কর্পোরেট স্পন্সরশিপ এবং আগ্রহ সৃষ্টি করে।[৭][৮]
সঙ্গীত-ভিত্তিক সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণের জন্য আয়োজিত হ্যাকাথন, মিউজিক হ্যাক ডে একটি জনপ্রিয় আয়োজন । ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ৩০ বারেরও বেশি এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৯] একইভাবে, সঙ্গীতজ্ঞ, হ্যাকার, গবেষক এবং শিল্পজগতের মানুষকে একত্রিত করে সঙ্গীতের নতুন ধারণা বিনিময়ের একটি তিন দিনব্যাপী আন্তঃশাখা উৎসব, মিউজিক টেক ফেস্ট একটি হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত করে।[১০] অনুরূপভাবে, বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু তৈরির জন্য আয়োজিত হ্যাকাথন, সায়েন্স হ্যাক ডে ২০১০ সাল থেকে বিশ্বের ১৫টিরও বেশি দেশে ৪৫ বারেরও বেশি অনুষ্ঠিত হয়েছে।[১১]
বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস অপারেটিং সিস্টেম, যেমন- অ্যান্ড্রয়েড,[১২] আইওএস[১৩] এবং মীগোর উপর চলমান অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।[১৪] ভিডিও-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন এবং কম্পিউটার গেম ডেভেলপমেন্টের জন্যও হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।[১৫] যেসব হ্যাকাথনে ভিডিও গেম ডেভেলপ হয়, সেগুলিকে কখনও কখনও গেম জ্যাম বলা হয়।
লন্ডন[১৬] এবং সান ফ্রান্সিসকো[১৭] উভয় শহরেই প্রধানত সামাজিক টেলিভিশন ও দ্বিতীয় স্ক্রিন প্রযুক্তির উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে "টিভি হ্যাকফেস্ট" আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিভি হ্যাকফেস্টে সাধারণত কন্টেন্ট প্রযোজক এবং ব্র্যান্ডগুলি চ্যালেঞ্জ ব্রিফ জমা দেয়, যা সম্প্রচার শিল্পের মেটাডেটা বা ভিডিও সামগ্রীর আকারে থাকে। একইসাথে স্পন্সররা এপিআই, এসডিকে এবং পূর্ববর্তী উন্মুক্ত-উৎসের সফটওয়্যার কোড সরবরাহ করে।[১৮]
জীবন বিজ্ঞানেও গবেষণাকে সমর্থনকারী তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামোকে এগিয়ে নিতে হ্যাকাথন ব্যবহার করা হয়েছে। ওপেন বায়োইনফরম্যাটিক্স ফাউন্ডেশন ২০০২ এবং ২০০৩ সালে তার সদস্য প্রকল্পগুলির জন্য দুটি হ্যাকাথন পরিচালনা করেছে এবং ২০১০ সাল থেকে তার বার্ষিক সম্মেলনের পূর্বে দুই দিনের "কোডফেস্ট" অনুষ্ঠান করে আসছে।[১৯] ন্যাশনাল ইভোল্যুশনারি সিনথেসিস সেন্টার ২০০৬ সাল থেকে ইভোল্যুশনারি বায়োইনফরম্যাটিক্সের জন্য হ্যাকাথন যৌথভাবে আয়োজন এবং স্পনসর করে আসছে।[২০][২১] বায়োহ্যাকাথন[২২] একটি বার্ষিক আয়োজন যা ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল এবং ইন্টারঅপারেবল বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলস এবং ওয়েব পরিষেবাদি সক্ষম করার জন্য মানদণ্ড উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে। নিউরোসায়েন্টিস্টরাও নির্দিষ্ট তথ্য ব্যবস্থার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে (যেমন, নিউরোসিন্থ হ্যাকাথন[২৩] এবং অ্যালেন ব্রেইন অ্যাটলাস হ্যাকাথন[২৪]) এবং ব্যাপক বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য সংরক্ষিত সময় প্রদান করা (যেমন, ব্রেইনহ্যাক)[২৫][২৬] থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ ব্যবহার করে হ্যাকিং কার্যকলাপকে মৌলিকভাবে চিন্তা করা (যেমন, এইচবিএম হ্যাকাথন)[২৭] বিভিন্ন বিষয় সমাধানের জন্য ডেভেলপার এবং বিজ্ঞানীদের একত্রিত করতে হ্যাকাথন ব্যবহার করেছে।
সম্প্রতি 'ডাটাথন' বা ডাটা-কেন্দ্রিক হ্যাকাথনের উত্থান ঘটেছে।[২৮][২৯][৩০] এই আয়োজন গুলিতে ডাটা সায়েন্টিস্টরা সীমিত সময়ের মধ্যে বিশাল ডাটা সেট বিশ্লেষণ করে সমাধান ও ড্যাশবোর্ড তৈরি, পরীক্ষা এবং অনুসন্ধান করার জন্য তাদের সৃজনশীলতা, ডাটা বিশ্লেষণ দক্ষতা এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অন্যদের সাথে কাজ করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন ব্যবসা,[৩১] স্বাস্থ্যসেবা,[৩২][৩৩] সংবাদ মাধ্যম[৩৪] এবং সামাজিক বিষয়াবলী[৩৫] নিয়ে বড় ধরনের সরকারি ও বেসরকারি ডাটা সেট থেকে অন্তর্দৃষ্টি প্রদানের জন্য এই ডাটাথনগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ভাষা, এপিআই বা ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে হ্যাকাথন
[সম্পাদনা]বিশেষ কোনো ভাষা বা ফ্রেমওয়ার্ক, যেমন জাভাস্ক্রিপ্ট,[৩৬] নোড.জেএস,[৩৭] এইচটিএমএল ৫[৩৮] এবং রুবি অন রেইলস,[৩৯] ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য নিবেদিত হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কিছু হ্যাকাথন নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির বা ডাটা সোর্সের এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশন তৈরির উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে। যেমন, ২০০৬ সাল থেকে ইয়াহু! দ্বারা সর্বসাধারণের জন্য পরিচালিত ওপেন হ্যাক আয়োজন (মূলত "হ্যাক ডে" নামে পরিচিত ছিল, পরে "ওপেন হ্যাক ডে" নামকরণ করা হয়) ফ্লিকারের[৪০] মতো ইয়াহুর মালিকানাধীন ওয়েবসাইটের এপিআইয়ের পাশাপাশি ইয়াহু এপিআইয়ের ব্যবহারের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করেছে। ২০১২ সালে কোম্পানির ওপেন হ্যাক ইন্ডিয়া আয়োজনে ৭০০-এরও বেশি অংশগ্রহণকারী ছিল।[৪১] গুগল[৪২] এবং ভ্রমণ নির্দেশক কোম্পানি লোনলি প্ল্যানেটও[৪৩] তাদের এপিআইয়ের জন্য অনুরূপ আয়োজন পরিচালনা করেছে।
২০১১ সালে ফোরস্কয়ার নামক ওয়েবসাইটটি বিশ্বব্যাপী একটি বিশাল হ্যাকাথন আয়োজন করেছিল। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৩০টিরও বেশি শহরে ৫০০-এর বেশি কম্পিউটার প্রোগ্রামার অংশগ্রহণ করেছিল।[৪৪] তাদের কাজ ছিল ফোরস্কয়ারের নিজস্ব প্রোগ্রামিং সরঞ্জাম (এপিআই) ব্যবহার করে নতুন ধরনের মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা।[৪৫] ২০১৩ সালে তারা আবারও একই ধরনের একটি হ্যাকাথন আয়োজন করে, যেখানে প্রায় ২০০ জন প্রোগ্রামার অংশ নেয়।[৪৪]
আরেকটি উদাহরণ হলো আইইটিএফ (ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্স)। এই সংস্থাটি ইন্টারনেটের নিয়মকানুন তৈরি করে। তারা তাদের প্রতিটি বৈঠকের সময় হ্যাকাথন আয়োজন করে। এই হ্যাকাথনগুলোর লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের নতুন নিয়মকানুনগুলোকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রোগ্রাম তৈরি করা এবং ইন্টারনেটকে আরও ভালো মানদণ্ডে দাঁড় করানো।[৪৬]
কোনো অপ্রকৌশলী উদ্দেশ্যে
[সম্পাদনা]সরকারকে উন্নত করার জন্য, বিশেষ করে উন্মুক্ত সরকারের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৪৭] এরকমই একটি আয়োজন ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস আয়োজন করেছিল।[৪৮] ২০১২ সাল থেকে নাসা প্রতি বছর আন্তর্জাতিক স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ আয়োজন করে আসছে।
২০১৪ সালে ব্রিটিশ সরকার এবং হ্যাকারনেস্ট যৌথভাবে ডিমেনশিয়া হ্যাক আয়োজন করেছিল,[৪৯] যা ডিমেনশিয়া রোগীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবন উন্নত করার জন্য বিশ্বের প্রথম হ্যাকাথন ছিল।[৫০][৫১] এই ধারাটি ২০১৫ সালে অব্যাহত ছিল, কানাডিয়ান সরকার এবং ফেসবুককে প্রধান স্পন্সর হিসেবে যোগ করে।[৫২]
সবচেয়ে বড় ভিডিও গেম ডেভেলপমেন্ট হ্যাকাথন[৫৩] গ্লোবাল গেম জ্যাম প্রায়ই "ডাইভার্সিফায়ার্স"[৫৪] নামক ঐচ্ছিক প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করে, যার লক্ষ্য গেম অ্যাক্সেসিবিলিটি এবং অন্যান্য কারণকে উন্নীত করা।
ভ্যানহ্যাক্স হলো একটি বার্ষিক হ্যাকাথন যা ভ্যানকুভার স্টার্টআপ সপ্তাহের অংশ।[৫৫] এই হ্যাকাথনের মূল উদ্দেশ্য থাকে, ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যানকুভার এলাকার স্থানীয় অলাভজনক সংস্থাগুলির সমস্যার সমাধান তৈরি করা। ভ্যানহ্যাক্স ২০১৬ সালে টিটিটি স্টুডিও দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।[৫৬][৫৭]
বিভিন্ন শহরের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য বিভিন্ন হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৫৮] শহরের স্থানীয় সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে হ্যাকাথন বৃদ্ধি পাচ্ছে, লন্ডনের কাউন্সিলগুলোর মধ্যে একটি (হ্যাকনি) দুই দিনের হ্যাকনি-থনের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সফল স্থানীয় সমাধান তৈরি করেছে।[৫৯] শিক্ষা উন্নত করার জন্যও বেশ কয়েকটি হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে এডুকেশন হ্যাক ডে[৬০] এবং ছোট পরিসরে, বিশেষ করে ফিল্ড ওয়ার্ক ভিত্তিক ভূগোল শিক্ষার চ্যালেঞ্জের দিকে নজর দিয়ে ফিল্ড স্টাডিজ কাউন্সিল[৬১] এফএসসিহ্যাকডে আয়োজন করেছে।[৬২] র্যান্ডম হ্যাকস অব কাইন্ডনেস আরেকটি জনপ্রিয় হ্যাকাথন, যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সংকট প্রতিক্রিয়ার জন্য নিবেদিত।[৬৩]
দ্যপোর্ট[৬৪] মানবতাবাদী, সামাজিক এবং জনস্বার্থের চ্যালেঞ্জ সমাধানের জন্য নিবেদিত একটি হ্যাকাথন। এটি সার্ন দ্বারা আয়োজিত হয় এবং আইসিআরসি এবং ইউএনডিপির মতো অন্যান্য সরকারি নয় এমন সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্ব করে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে ইউরোপীয় দেশগুলির উদ্যোক্তা এবং সরকারি প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি উদ্যোগের ফলে হ্যাক দ্য ক্রাইসিস নামে একটি সিরিজ অ্যান্টি-ক্রাইসিস হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়, যার প্রথমটি এস্তোনিয়ায়[৬৫] অনুষ্ঠিত হয়। এর পরেরগুলি পর্যায়ক্রমে পোল্যান্ড,[৬৬] লাতভিয়া এবং ইউক্রেনে আয়োজিত হয়। ২০২০ সাল থেকে মিচাল সেলা ফোরাম পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য হ্যাকাথন চালিয়ে আসছে।[৬৭]
শ্রদ্ধা নিবেদন বা স্মারক হিসেবে
[সম্পাদনা]২০১৩ সালে মৃত্যুবরণকারী কম্পিউটার প্রোগ্রামার এবং ইন্টারনেট কর্মী অ্যারন সোয়ার্টজের স্মরণে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি হ্যাকাথন পরিকল্পনা করা হয়েছে।[৬৮][৬৯][৭০][৭১]
নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য
[সম্পাদনা]কিছু হ্যাকাথন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রোগ্রামারদের জন্যই হয়, যেমন কিশোর-কিশোরী, কলেজ ছাত্রছাত্রী বা নারী সংক্রান্ত।[৭২]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলিতে কলেজগুলোতে হ্যাকাথন ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই হ্যাকাথনগুলি সাধারণত বার্ষিক বা ছয় মাস অন্তর অনুষ্ঠিত হয় এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এই হ্যাকাথনগুলি প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রোগ্রামিং-সম্পর্কিত স্পন্সররা পুরস্কার প্রদান করে। এদের বেশিরভাগই মেজর লীগ হ্যাকিং সংস্থার সমর্থন পায়, যা ২০১৩ সালে কলেজের হ্যাকাথন পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেননঅ্যাপস ছিল প্রথম শিক্ষার্থী-চালিত কলেজ হ্যাকাথন। ২০১৫ সালে এটি সর্ববৃহৎ কলেজ হ্যাকাথনে পরিণত হয়। এর দ্বাদশতম আয়োজনে ২০০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী দেখা যায় এবং ৬০,০০০ ডলারেরও বেশি পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৭৩][৭৪] এদিকে, ২০১৭ সালে মরিশাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ক্লাব এবং সাইবারস্টোর্ম.এমইউ "কোড ওয়ার্স" নামে একটি হ্যাকাথনের আয়োজন করে। এই হ্যাকাথনটি বিশেষভাবে আইইটিএফ আরএফসিকে লিংক্স ওয়েব ব্রাউজারে কার্যকর করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল।[৭৫]
মিসৌরি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্টিস লস উইলসন লাইব্রেরি প্রতি বছর শামহ্যাক্স আয়োজন করে। ২০১৮ সালে[৭৬] এই হ্যাকাথনটি যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজীবীদের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করেছিল। এই উদ্যোগে যুদ্ধজীবীদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল।[৭৭]
আভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও উদ্ভাবনের জন্য
[সম্পাদনা]কিছু কোম্পানি নতুন পণ্য উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য অভ্যন্তরীণ হ্যাকাথন আয়োজন করে। উদাহরণস্বরূপ, ফেসবুকের পছন্দ করুন বোতামটি একটি হ্যাকাথনের অংশ হিসাবে পরিকল্পিত হয়েছিল।[৭৮]
স্থানীয় প্রযুক্তি সম্প্রদায়গুলিকে সংযুক্ত করার জন্য
[সম্পাদনা]কিছু হ্যাকাথন (যেমন ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপ বাস) প্রতিযোগিতামূলক উপাদানটিকে রোড ট্রিপের সাথে একত্রিত করে, বাস রুট বরাবর একাধিক শহরে স্থানীয় প্রযুক্তি সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে। এটি এখন উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং অস্ট্রলেশিয়ায় ঘটছে।[৭৯]
কোড স্প্রিন্ট
[সম্পাদনা]কিছু হ্যাকাথন শুধুমাত্র একটি অ্যাপ্লিকেশন, যেমন একটি অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উপর কাজ করে। এই ধরনের আয়োজন গুলিকে প্রায়ই "কোড স্প্রিন্ট" বলা হয় এবং উন্মুক্ত-উৎসের সফটওয়্যার প্রকল্পের জন্য বিশেষ করে জনপ্রিয়, যেখানে এই ধরনের আয়োজন গুলি কখনও কখনও ডেভেলপারদের মুখোমুখি দেখা করার একমাত্র সুযোগ হয়ে থাকে।[৮০]
সাধারণত কোড স্প্রিন্ট এক থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং প্রায়শই এমন সম্মেলনের কাছাকাছি অনুষ্ঠিত হয় যেখানে অধিকাংশ দলের সদস্যরা অংশ নেয়। অন্যান্য হ্যাকাথনের থেকে ভিন্ন, এই আয়োজন গুলিতে খুব কমই প্রতিযোগিতামূলক উপাদান থাকে।
১৯৯৯ সাল থেকে অনুষ্ঠিত ওপেনবিএসডি অপারেটিং সিস্টেমের ওপর কাজ করার বার্ষিক হ্যাকাথন হলো এরকম একটি আয়োজন ; এটি থেকেই "হ্যাকাথন" শব্দটির উৎপত্তি হতে পারে।
সমালোচনা
[সম্পাদনা]বছরের পর বছর ধরে হ্যাকাথনগুলি তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, বহু পর্যবেক্ষক প্রযুক্তিগত সমাধান প্রদানের ক্ষেত্রে হ্যাকাথনের যথার্থতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। হ্যাকাথনের প্রতি সংরক্ষিত একটি প্রধান অংশ তাদের ডেভেলপ করা সমাধানগুলির টিকে থাকার ক্ষমতা এবং টেকসইতার অভাবের সাথে সম্পর্কিত, যা সাম্প্রতিক পরীক্ষামূলক গবেষণায় স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে।[৮১][৮২][৮৩] ১১,৮৮৯টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ইভেন্ট পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে হ্যাকাথন শেষ হওয়ার ছয় মাস পরে মাত্র সাত শতাংশ প্রকল্পের কোনো কার্যকলাপ ছিল।[৮৪] আরেকটি বিশ্বব্যাপী গবেষণায় দেখা গেছে যে হ্যাকাথনের সময় ডেভেলপ করা সমস্ত প্রকল্পের মাত্র পাঁচ শতাংশই পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলে।[৮৫] হ্যাকাথনগুলিকে প্রায়শই ক্ষণস্থায়ী সফটওয়্যার পণ্যের উৎপাদনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে, যা প্রায়শই ভেপোরওয়্যার নামে পরিচিত।[৮৬][৮৭] হ্যাকাথনগুলি সমস্যা সমাধানের জটিলতাকে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সমানভাবে সমালোচিত হয়েছে, এমন প্রযুক্তি ডেভেলপ করেছে যা সমস্যার অন্তর্নিহিত সামাজিক এবং রাজনৈতিক কারণগুলির সমাধান করে না।[৮৮][৮৯][৯০] কিছু বাণিজ্যিক উদ্যোগ দ্বারা হ্যাকাথন অংশগ্রহণকারীদের ডি ফ্যাক্টো অবৈতনিক শ্রমিক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা শোষণমূলক হিসাবে সমালোচিত হয়েছে।[৯১][৯২]
উচ্চ-পরিচিত হ্যাকাথনগুলো কখনও কখনও বিতর্কের ঝড়ে পড়েছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে টেকক্রাঞ্চ ডিসরাপ্ট হ্যাকাথনে। সেখানে একটি দল 'টিটস্টেয়ার' নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন উপস্থাপন করে, যা ব্যবহারকারীদেরকে মহিলাদের বক্ষের দিকে তাকিয়ে থাকা পুরুষদের ছবি পোস্ট এবং দেখতে দেয়।[৯৩] এই ঘটনার পরেই টেকক্রাঞ্চ ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।[৯৪]
এর মাত্র কয়েক মাস পরেই, নভেম্বর ২০১৩ সালে সেলসফোর্স.কম আয়োজিত একটি হ্যাকাথন আরও বিতর্কের সৃষ্টি করে। এই হ্যাকাথনে এক মিলিয়ন ডলারের, এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ সবচেয়ে বেশি অর্থের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছিল বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কিন্তু পরে জানা যায় যে বিজয়ী দল, 'আপশট' নামের একটি দু'জনের নতুন উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান, আসলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের ডেমো দেওয়া প্রযুক্তিটি ডেভেলপ করছিল এবং দলের একজন সাবেক সেলসফোর্স কর্মী ছিলেন।[৯৫]
মেজর লীগ হ্যাকিং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হ্যাক দ্য নর্থ হ্যাকাথন থেকে দুইজন হ্যাকারকে বহিষ্কার করে। তাদের করা কিছু মজার কথা বোমা হুমকি হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল, যার ফলে অনেক হ্যাকারই সংগঠনটিকে সমালোচনা করে।[৯৬] এই বিতর্কের ফলে ভিক্টর ভুসিভিচ হ্যাক দ্য নর্থ আয়োজক দল থেকে পদত্যাগ করেন।[৯৭]
উল্লেখযোগ্য আয়োজন
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Hackathon definition"। ডিকশোনারি.কম।
- ↑ "OpenBSD Hackathons" (ইংরেজি ভাষায়)। OpenBSD। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৪-১০।
- ↑ Johnson, Dave (২০০৮-০৯-১৮)। "PhoneGap: It's Like AIR for the IPhone" (ইংরেজি ভাষায়)। PhoneGap Blog। ২০১৩-০৩-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Rao, Leena (২০১১-১০-০৩)। "Adobe Acquires Developer Of HTML5 Mobile App Framework PhoneGap Nitobi" (ইংরেজি ভাষায়)। TechCrunch। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-২০।
- ↑ Biddle, Sam (নভেম্বর ২২, ২০১৩)। "The "Biggest Hackathon Prize In History" Was Won By Cheaters"। Valleywag। নভেম্বর ২৪, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৪, ২০১৩।
- ↑ Williams, Alex (নভেম্বর ২১, ২০১৩)। "Two Harvard University Alum Win Disputed Salesforce $1M Hackathon Prize At Dreamforce [Updated]"। TechCrunch (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-২০।
- ↑ "Hackers Get Hired At Bletchley Park" (ইংরেজি ভাষায়)। HuffPost Tech UK। ২০১১-০৯-১৯। ২০১১-০৯-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Mobile App Hackathon - TechVenture 2011" (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ডিসেম্বর ২০১১। ২১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Music Hack Day homepage"। Musichackday.org। ২০২০-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ Rich, L. J. (২০১৪-০৪-২০)। "Music Hackathon at Music Tech Fest in Boston"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। BBC.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-০৫।
- ↑ "Science Hack Day homepage"। Sciencehackday.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১২-০৯।
- ↑ "Android Hackathon" (ইংরেজি ভাষায়)। Android Hackathon। ২০১০-০৩-১৩। ২০১৩-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "iOSDevCamp 2011 Hackathon"। Iosdevcamp.org। ২০১০-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "N9 Hackathon" (জার্মান ভাষায়)। Metalab.at। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "Nordeus 2011 Game Development Hackathon"। Seehub.me। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "TV Hackfest homepage"। Hackfest.tv। ২০১২-০৮-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "Article on TV Hackfest San Francisco"। Techzone360.com। ২০১২-১২-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "PDF of Feature article on TV Hackfest in AIB The Channel" (পিডিএফ)। ২০১৪-০২-২৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "OBF Hackathons"। Open-bio.org। ২০১৩-০৩-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "NESCent-sponsored Hackathons"। Informatics.nescent.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ T Hill (২০০৭-১২-১৪)। "Hilmar Lapp, Sendu Bala, James P. Balhoff, Amy Bouck, Naohisa Goto, Mark Holder, Richard Holland, et al. 2007. "The 2006 NESCent Phyloinformatics Hackathon: A Field Report." Evolutionary Bioinformatics Online 3: 287–296"। La-press.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "biohackathon.org"। biohackathon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "hackathon.neurosynth.org"। hackathon.neurosynth.org। ২০১৩-১২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "2012 Allen Brain Atlas Hackathon - Hackathon - Allen Brain Atlas User Community"। Community.brain-map.org। ২০১২-০৯-০৪। ২০১৩-১২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "Brainhack.org"। Brainhack.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ Craddock, R. Cameron; Margulies, Daniel S. (২০১৬-০৩-৩১)। "Brainhack: a collaborative workshop for the open neuroscience community": 16। আইএসএসএন 2047-217X। ডিওআই:10.1186/s13742-016-0121-x । পিএমআইডি 27042293। পিএমসি 4818387 ।
- ↑ "HBM Hackathon - Organization for Human Brain Mapping"। Humanbrainmapping.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "Datathon 2020 the International Sata Science Hackathon"। Data Science Society। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Datathon 2020"। Data Republic। ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "WiDS Datathon 2021"। Women in Data Science। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "KPMG Datathon Challenge"। KPMG Malaysia। ২ জানুয়ারি ২০২০। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Datathon - PMC - NCBI"। PubMed: US National Library of Medicine। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Aboab, Jerome; Celi, Leo; Charlton, Peter; Feng, Mengling (৬ এপ্রিল ২০১৬)। "A "datathon" model to support cross-disciplinary collaboration"। Science Translational Medicine। 8 (333): 8। ডিওআই:10.1126/scitranslmed.aad9072। পিএমআইডি 27053770। পিএমসি 5679209 ।
- ↑ "Hack the News Datathon"। Data Science Society।
- ↑ "Datathon for Social Good"। Our Community। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ DownCityJS, the Providence JavaScript Hackathon ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০৩-২৫ তারিখে
- ↑ Knockout, Node। "Node Knockout"। www.nodeknockout.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮।
- ↑ HTML5 App Hackathon ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-০৩-২৫ তারিখে, May 5–6, 2012, Berlin, Germany
- ↑ "Pune Rails Hackathon: July 29-30, 2006"। Punehackathon.pbworks.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ Open! Hack! Day!, Flickr blog, September 3, 2008
- ↑ Purple in Bangalore – Inside Yahoo! Open Hack India 2012 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-১০-২১ তারিখে, Pushpalee Johnson, August 11, 2012, YDN Blog
- ↑ "Google Hackathon • Vivacity 2015"। Vivacity। ২০১৪-১২-২৫। ২০১৫-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-১০।
- ↑ "Melbourne Hack Day: List Of Presentations And Winners"। ২০১১-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ If you build it, they will come. Check out all the cool new things you can do with Foursquare! #hackathon ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০৪-২৯ তারিখে, Foursquare blog, January 8, 2013
- ↑ The hackathon heard round the world! ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০৩-০১ তারিখে, Foursquare blog, September 20, 2011
- ↑ "IETF Hackathon"। www.ietf.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৮।
- ↑ Open government hackathons matter ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২১-০৪-১৬ তারিখে, Mark Headd, govfresh, August 24, 2011
- ↑ In #HackWeTrust - The House of Representatives Opens Its Doors to Transparency Through Technology, Daniel Schuman, Sunlight Foundation blog, December 8, 2011
- ↑ Toronto dementia hackathon 12-14 September, Dr. John Preece, British Foreign & Commonwealth Office Blogs, August 8, 2014
- ↑ Toronto hackathon to target dementia challenges with innovative ideas, British High Commission Ottawa, GOV.UK, July 25, 2014
- ↑ HackerNest hooks up with British Consulate-General Toronto for new DementiaHack, Joseph Czikk, Betakit, August 12, 2014
- ↑ "DementiaHack - HackerNest"। ২০১৪-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৯-০৩।
- ↑ "About the Global Game Jam"। GlobalGameJam। ২০১৩-০৯-১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Global Game Jam Diversifiers"। GlobalGameJam। ২০১৪-০১-২১। ২০১৪-০১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Here's everything you can expect at Vancouver Startup Week"। Daily Hive। ২০১৯-০৭-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২।
- ↑ "Vancouver hackathon looks to create tech solutions for local charities"। Global News। ২০১৬-০৫-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২।
- ↑ "VanHacks hackathon aims to find tech solutions for local charities"। Daily Hive। ২০১৭-১২-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৩।
- ↑ All aboard the transit hackathon express ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০১-০৮ তারিখে, Roberto Rocha, The Gazette, December 16, 2011
- ↑ "Hackney Hackathon succeeds in new services"। ২০১৪-১১-২০। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Education Hack Day"। Education Hack Day। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ "Page Not Found - FSC"। www.field-studies-council.org। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "fschackday.org"। fschackday.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৯।
- ↑ NASA, Microsoft, Google Hosting Hackathon, Elizabeth Montalbano, InformationWeek, June 7, 2010
- ↑ "THE Port"। theport.ch। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১৩।
- ↑ "Estonia organized a public-private e-hackatlon to hack the crisis"। ২৩ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Anti-crisis hackers join forces to find COVID-19 solutions"। ১৮ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Strichman, Nancy (এপ্রিল ৭, ২০২২)। "'May her memory be a revolution'"। The Times of Israel। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ Rocheleau, Matt। "In Aaron Swartz' memory, hackathons to be held across globe, including at MIT, next month"। Boston Globe। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Doctorow, Cory (১৭ অক্টোবর ২০১৩)। "Aaron Swartz hackathon"। Boing Boing। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Sifry, Micah L.। "techPresident"। Personal Democracy Media। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Aaron Swartz Hackathon"। ২৯ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Female Geeks Flex Their Skills At Ladies-Only Hackathon, Jed Lipinski, Fast Company, September 14, 2011
- ↑ World's largest student hackathon descends on Wells Fargo Center, Philadelphia Business Journal
- ↑ Student computer whizzes compete at PennApps Hackathon, Philly.com
- ↑ "UoM CodeWars 2017 - Real life code implementations ! - Codarren"। Codarren (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-২৬। ২০১৭-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-২০।
- ↑ Goetz, Nicole (১ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "ShamHacks: Missouri S&T hackathon"। ShamHacks। ৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Sheeley, Andrew (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "ShamHacks' first hackathon benefits veterans and students"। Phelps County Focus। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Stay focused and keep hacking"। www.facebook.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Local Talent Drives Startup Culture In Tampa Bay"। 83Degrees। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-১৫।
- ↑ A.Sigfridsson, G. Avram, A. Sheehan and D. K. Sullivan "Sprint-driven development: working, learning and the process of enculturation in the PyPy community" in the Proceedings of the Third International Conference on Open Source Systems, Limerick, Ireland, June 11–13, 2007, Springer, pp. 133-146
- ↑ "Towards a Feminist Hackathon: The "Make the Breast Pump Not Suck!" » The Journal of Peer Production" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৬।
- ↑ "Why Hackathons Suck (and don't have to)"। www.thoughtworks.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৬।
- ↑ Sankaran, Vijay (২০১৯-১১-১৫)। "This is why hackathons are essentially useless"। Fast Company (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৬।
- ↑ McIntosh, Lukas; Hardin, Caroline D. (২০২১-০৩-০৩), "Do Hackathon Projects Change the World? An Empirical Analysis of GitHub Repositories", Proceedings of the 52nd ACM Technical Symposium on Computer Science Education, New York, NY, USA: Association for Computing Machinery, পৃষ্ঠা 879–885, আইএসবিএন 978-1-4503-8062-1, ডিওআই:10.1145/3408877.3432435, সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৬
- ↑ Nolte, Alexander; Chounta, Irene-Angelica; Herbsleb, James D. (২০২০-১০-১৪)। "What Happens to All These Hackathon Projects? Identifying Factors to Promote Hackathon Project Continuation"। Proceedings of the ACM on Human-Computer Interaction। 4 (CSCW2): 145:1–145:26। এসটুসিআইডি 201933485। ডিওআই:10.1145/3415216।
- ↑ "'Vaporware Is the New Minimal Viable Product,' Declares Hype Up Weekend"। Observer (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৩-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৭।
- ↑ Broussard, Meredith (২০১৫-০৭-০৮)। "The Dirty Secret About Hackathons"। The Atlantic (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৭।
- ↑ Gregg, Melissa; DiSalvo, Carl (২০১৩-১১-২১)। "The Trouble With White Hats"। The New Inquiry (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৬।
- ↑ "On Hackathons and Solutionism"। david sasaki (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১২-১১। ২০১২-১২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-২৬।
- ↑ Taylor, Linnet (২০২১-০৩-০১)। "There is an App for That: Technological Solutionism as COVID-19 Policy in the Global North"। The New Common: How the COVID-19 Pandemic is Transforming Society। পৃষ্ঠা 209–215। আইএসবিএন 978-3-030-65354-5। ডিওআই:10.1007/978-3-030-65355-2_30। পিএমসি 7978704
|pmc=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। - ↑ Griffith, Erin (২০১৮-০৩-২০)। "Sociologists Examine Hackathons and See Exploitation"। Wired (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 1059-1028। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৬।
- ↑ Dariusz Jemielniak; Aleksandra Przegalinska (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। Collaborative Society। MIT Press। আইএসবিএন 978-0-262-35645-9।
- ↑ "Meet 'Titstare,' the Tech World's Latest 'Joke' from the Minds of Brogrammers"। The Wire। ২০১৩-০৯-০৯। ২০১৫-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-০৯।
- ↑ Tsotsis, Alexia (৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "An Apology From"। TechCrunch। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১১-০৯।
- ↑ Biddle, Sam (নভেম্বর ২২, ২০১৩)। "The "Biggest Hackathon Prize In History" Was Won By Cheaters"। Valleywag। নভেম্বর ২৪, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৪, ২০১৩।
- ↑ Mike Swift (২০১৫-০৯-১৯)। "When Jokes go too Far."। Major League Hacking। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-০৬।
- ↑ Victor Vucicevich (২০১৫-০৯-২৩)। "Leaving Hack the North"। Medium। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-০৬।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- "Media-Making Strategies to Support Community and Learning at Hackathons"। MIT Center for Civic Media। জুন ৩০, ২০১৪।
- "Demystifying the hackathon" from Mckinsey, October, 2015.