হোমারে সাওয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হোমারে সাওয়া
২০১১ সালের বিশ্বকাপ মহিলা ফুটবলে হোমারে সাওয়া জাপান দলের অধিনায়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম হোমারে সাওয়া
উচ্চতা ১.৬৪ মিটার (৫ ফুট ৫ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান মধ্য-মাঠ
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
আইন্যাক কোবে লিওনেসা
জার্সি নম্বর
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৯১-১৯৯৮ এনটিভি বেলেজা ১৩৬ (৭৯)
১৯৯৯ ডেনভার ডায়মন্ডস্‌
২০০১-২০০৩ আটলান্টা বীট (ডব্লিউইউএসএ) ৫৫ (১৩)
২০০৪-২০০৯ এনটিভি বেলেজা ৮৫ (৪৭)
২০০৯-২০১০ ওয়াশিংটন ফ্রীডম ৪১ (৬)
২০১০ এনটিভি বেলেজা
২০১১- আইন্যাক কোবে লিওনেসা ১৬ (৪)
জাতীয় দল
১৯৯৩- জাপান জাতীয় মহিলা ফুটবল দল ১৭৬ (৮০)
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২০ নভেম্বর, ২০১১ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

হোমারে সাওয়া (জন্মঃ ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮) জাপানের শীর্ষস্থানীয় ও অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রমিলা ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে প্রথম বিভাগ ন্যাডেশিকো ফুটবল লীগ যা এল.লীগ নামে পরিচিত, আইন্যাক কোবে লিওনেসা দলের খেলোয়াড়।

খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনা[সম্পাদনা]

পশ্চিম টোকিও'র ফুকুতে জন্মগ্রহণকারী হোমেরা সাওয়া দীর্ঘদিন যাবৎ জাপানের সবচেয়ে সেরা মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তিনি এল.লীগ নামে পরিচিত জাপানের শীর্ষস্থানীয় ঘরোয়া প্রতিযোগীতায় মাত্র ১২ বছর বয়সে অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে জাপানের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে খেলতে থাকেন।

১৯৯৬, ২০০৪ এবং ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তার পক্ষ থেকে ১৭৩টি ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করা একটি জাপানী রেকর্ড। ৮০টি আন্তর্জাতিক গোল করেন। ১৫ বছর বয়সে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ সালে জাপানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অভিষিক্ত হন। ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় চার গোল করে দলকে দারুণ জয় এনে দেন তিনি।

ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল[সম্পাদনা]

গত ৫টি ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন হোমারে সাওয়া। জার্মানীতে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে মেক্সিকো জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করা ছিল অন্যতম। ঐ প্রতিযোগিতায় সাওয়া অধিনায়ক হিসেবে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করেন। পাশাপাশি ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট এবং প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল জয় করেন।

ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় জাপান জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। পিছিয়ে পড়া অবস্থায় ১১৭তম মিনিটে সাওয়া'র গোলে জাপান ২-২ গোলে খেলায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে টাইব্রেকারে পেনাল্টি শ্যুটআউটের মাধ্যমে ৩-১ ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র দলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় দলটি।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি'র পক্ষ থেকে তাকে বছরের সেরা মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। ৯ জানুয়ারি, ২০১২ সালে হোমারে সাওয়া ফিফা বালোঁ দ’অর, ২০১১ খেতাবে ভূষিত হন। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফা কর্তৃক তাকে বছরের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত করে।[১]

  • জাতীয় দলের পক্ষে - ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (২০১১), এশিয়ান গেমসের ফুটবল ইভেন্টে স্বর্ণপদক (২০১০), ইস্ট এশিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে চ্যাম্পিয়ন (২০০৮, ২০১০)
  • ক্লাব পর্যায়ে - এল. লীগ চ্যাম্পিয়ন (১৯৯৩, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮, ২০১০, ২০১১), অল জাপান উইমেনস্‌ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে চ্যাম্পিয়ন (১৯৯৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯), এল. লীগ কাপ (২০০৭)।

ব্যক্তিগত অর্জন[সম্পাদনা]

  • ফিফা ব্যালন ডি'অর পদক বিজয় (২০১১); ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ, ২০১১-এর গোল্ডেন বল, গোল্ডেন শ্যু, অলস্টার টিম; ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ, ২০১১-এর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল; ইএএফএফ উইমেনস্‌ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ, ২০০৮-এর সেরা খেলোয়াড়; এএফসি কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড় (২০০৪, ২০০৮)
  • এল. লীগে সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় (২০০৬,এল. লীগে সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় (২০০৬, ২০০৮)
  • সেরা একাদশে স্থান (১৯৯৩, ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Japan's Homare Sawa is FIFA women's player of the year"BBC News। ৯ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]