হেলালুদ্দীন আহমদ
হেলালুদ্দীন আহমদ | |
---|---|
সদস্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৭ মে ২০২৩ | |
নিয়োগদাতা | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি |
রাষ্ট্রপতি | মোঃ সাহাবুদ্দিন |
সিনিয়র সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ | |
কাজের মেয়াদ ৩০ মে ২০১৯ – ২২ মে ২০২২ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | এস এম গোলাম ফারুক |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী |
সচিব বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন | |
কাজের মেয়াদ ৩০ জুলাই ২০১৭ – ২৯ মে ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ আবদুল্লাহ |
উত্তরসূরী | মো. আলমগীর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ঈদগাঁও, কক্সবাজার, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) | ২৩ মে ১৯৬৩
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইসমত শিরিন বানু |
সন্তান | ২ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় |
জীবিকা | সিনিয়র সচিব |
হেলালুদ্দীন আহমদ একজন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]হেলালুদ্দীন আহমদ ১৯৬৩ সালের ২৩শে মে কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নে (বর্তমানে উপজেলা) জন্মগ্রহণ করেন।[২] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক ও ১৯৮৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওরিয়েন্টেশন ডিগ্রি লাভ করেন।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]হেলালুদ্দীন আহমদ ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ম ব্যাচে (৮৫ ব্যাচ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন।[২] কর্মজীবনের শুরুতে প্রথমে সহকারী কমিশনার হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিলেট জেলার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, লামা উপজেলার উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রাঙ্গামাটি জেলার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে রুমা উপজেলা, হাটহাজারী উপজেলা, পূর্বধলা উপজেলা এবং লামা উপজেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর একান্ত সচিব, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আহমদ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ফরিদপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে যথাক্রমে রাজশাহী বিভাগ ও পরে ২০১৬ সাল থেকে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
২০১৭ সালের ৩০ জুলাই বাংলাদেশ সরকার আহমদকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে এবং ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে সচিব মর্যাদায় পদোন্নতি প্রদান করে।[৩] ২০১৯ সালের ২৬ মে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।[৪] ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং আগের দপ্তরেই পদায়িত হোন।[৫] ২০২২ সালের ২২ মে তিনি সরকারী চাকুরি থেকে অবসরে যান।[৬]
হেলালুদ্দীন আহমদ ১১ মে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগদানের সময় হতে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য নিয়োগ লাভ করেন।[৭][৮] ১৭ মে ২০২৩ সালে তিনি সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।[৯]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]হেলালুদ্দীন আহমদ ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং তার এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]হেলালুদ্দীন আহমদ ২০১৬ সালের ৬ই মার্চ শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়াও ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একই বছরের জুলাইয়ে শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন পুরস্কার লাভ করেন।[২]
হেলালুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "নির্বাচন কমিশনের নতুন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ"। আরটিভি। ২০ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসে ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ http://www.ecs.gov.bd/page/honourable-secretary
- ↑ banglatribune.com (২০ জুলাই ২০১৭)। "নির্বাচন কমিশনের নতুন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ"। Bangla Tribune। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসে ২০১৮।
- ↑ "ইসির হেলালুদ্দীন এখন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৬ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৯।
- ↑ "জ্যেষ্ঠ সচিব হলেন ৩ কর্মকর্তা"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসংগ্রহের-তারিখ=২৭ জানুয়ারী ২০২০। ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "অবসরে গেলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব"। ঢাকাটাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৯।
- ↑ "পিএসসির সদস্য হলেন সাবেক তিন সচিব ও এক পুলিশ কর্মকর্তা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১১।
- ↑ হোসেন, মোছাব্বের (২০২৩-০৫-১৫)। "পিএসসিতে নতুন চার সদস্য, কাজের গতি কি বাড়বে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৭।
- ↑ "পিএসসিতে নতুন চার সদস্যের শপথগ্রহণ"। কালের কণ্ঠ। ২০২৩-০৫-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৭।
- ↑ "এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনে নতুন কমিটি | কালের কণ্ঠ"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৭।