হেমা ভারালি
হেমা ভারালি | |
|---|---|
২০০৬ সালে হেমা ভারালি এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন | |
| জন্ম | ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ |
| মৃত্যু | ২৯ এপ্রিল ২০২০ (বয়স ১০১) |
| সমাধি | মুম্বাই |
| পেশা | সমাজকর্মী স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদী সর্বোদয় নেতা |
| কর্মজীবন | ১৯৫০ – ২০২০ |
| পুরস্কার | পদ্মশ্রী জাতীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কার ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার |
হেমা ভারালি (১৯শে ফেব্রুয়ারী ১৯১৯ - ২৯শে এপ্রিল ২০২০) ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী, সমাজকর্মী, সর্বোদয় নেত্রী এবং গান্ধীবাদী, যিনি নারীর ক্ষমতায়নে এবং সমাজের সামাজিক ও আর্থিকভাবে প্রতিবন্ধী অংশের উন্নয়নে তাঁর অবদানের জন্য পরিচিত।[১] ১৯৫০ সালে আসাম রাজ্যের উত্তর লখিমপুরে ভূমিকম্পের পর ত্রাণ কার্যক্রমে এবং ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ছিলেন বলে জানা যায়।[২] ভারতীয় সমাজে তাঁর অবদানের জন্য ২০০৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রদান করে।[৩] এক বছর পর, তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ফাউণ্ডেশন ফর কমিউনাল হারমনি থেকে জাতীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কার পান।[৪]
জীবনী
[সম্পাদনা]হেমা ভারালির জন্ম ১৯১৯ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের চুটিয়া জাতিগোষ্ঠীর একটি পরিবারে। তিনি ছোটবেলা থেকেই সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন।[৫] ১৯৫০ সালে উত্তর লখিমপুর অঞ্চলে যখন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হয়, তখন তিনি ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেন।[২][৬] তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় হয়ে ওঠেন এবং ১৯৫১ সালে বিনোবা ভাবে কর্তৃক শুরু হওয়া ভূদান আন্দোলনে যোগ দেন এবং এর অন্যতম নেতা হন।[৭] বিনোবা ভাবের নেতৃত্বে যাঁরা তেজপুরের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন, তিনি সেই দলের একজন অংশ ছিলেন এবং অভিযানের সময় ভাবের মৈত্রেয়ী আশ্রমে অবস্থান করেছিলেন।[৮] তিনি ভূদান আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত পদযাত্রার সাথেও জড়িত ছিলেন।[৫] তিনি কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বোর্ড (সিএসডব্লিউবি) এর নির্বাহী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।[৯]
ভারত সরকার ২০০৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের সম্মাননা তালিকায় চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রীর জন্য হেমা ভারালির নাম অন্তর্ভুক্ত করে।[৩] ২০০৬ সালে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফাউণ্ডেশন কর্তৃক তাঁকে জাতীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[৪] তিন বছর পর, তিনি আসাম সরকারের কাছ থেকে জাতীয় সংহতির জন্য ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার পান।[১০] তিনি আজীবন অবিবাহিত থেকে গেছেন।[১১] তাঁর ৯০-এর কোঠায় বয়সে তিনি আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তবে তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন।[১২] তিনি আসামের গুয়াহাটিতে থাকতেন।[১৩] ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসেও তিনি জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন।[১৪]
তিনি ২০২০ সালের ২৯শে এপ্রিল ১০১ বছর বয়সে মারা যান।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "PM's Speech on Presentation of Fakhruddin Ali Ahmed Memorial Award 2008 & 2009"। Government of India। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- 1 2 "Hema Bharali to be felicitated at AICC session"। Assam Tribune। ১৮ ডিসেম্বর ২০১০। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৫।
- 1 2 "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫।
- 1 2 "Award for Hema Bharali"। The Hindu। ১ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৫।
- 1 2 Desk, Sentinel Digital (২৯ এপ্রিল ২০২০)। "Freedom fighter and Social activist Hema Bharali passes away at 102 in Guwahati"। The Sentinel - of this Land, for its People (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|শেষাংশ=প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Kalam to present Communal Harmony awards"। One India। ৩০ এপ্রিল ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Hema Bharali - Assam News"। Assam News। ৬ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Threads Woven Ideals, Principles and Administration। Allied Publishers। ২০১০। আইএসবিএন ৯৭৮৮১৮৪২৪৪৭০০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Our History"। Ask Guwahati। ২০১৫। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "PM Confers Fakruddin Ali Ahmed Award to MJ Akbar, Hema Bharali"। Radiance Weekly। ২০১৫। ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Other nonagenarian Gandhians"। Ashta Bharati। অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Financial aid to ailing Gandhian Hema Bharali"। Tarun Gogoi। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "MS. HEMA BHARALI" (পিডিএফ)। Government of India। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Tributes paid to philanthropist Dr HK Das"। The Assam Tribune। ৭ এপ্রিল ২০১৬। ৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৬।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- সর্বোদয়
- বিনোবা ভাবে