হুসেনি ব্রাহ্মণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হুসেনি ব্রাহ্মণ[১] হল মোহ্যাল সম্প্রদায় যা হিন্দুইসলাম উভয়ের সাথে সংযুক্ত। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবে বেশ কিছু হুসেনি ব্রাহ্মণ বাস করেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশ ও পাঞ্জাবেও রয়েছেন তারা৷ ।[২][৩]

দত্তের সাত পুত্র[সম্পাদনা]

হুসেনি ব্রাহ্মণ সম্পর্কে বিভিন্ন কিংবদন্তীর মধ্যে এটিও বর্ণিত হয়েছে যে সন্তানহীন দত্ত ব্যক্তিগতভাবে হুসেন ইবনে আলীর সংগে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং সন্তান লাভের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তার ইচ্ছার প্রতিক্রিয়ায়, তাকে জানানো হয়েছিল যে তার ভাগ্যতে কোন সন্তান নেই। তাকে জানানো হলো তিনি পুত্রের পিতা হতে পারবেন না, তা জানার পরে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং কষ্টে কাঁদতে লাগলেন ও সন্তানের জন্যে আল্লাহর কাছে ইমাম হোসেনকে অনুরোধ করতে বললেন। এ সময়ে ইমাম হোসেন তাকে জানান যে তার পুত্র সন্তান হবে। ঘটনাচক্রে হঠাৎ করে কেউ হুসেনকে প্রশ্ন করে যে, তিনি আল্লাহর ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এ কথা শুনে ইমাম দত্তকে বললেন, তার একাধিক সন্তান হবে। ইমাম তাকে সাত সন্তান জন্মের সুসংবাদ দিয়ে ছিলেন।[৪][৫] হুসাইন ব্রাহ্মণরা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত লাহোরে বসবাস করতেন এবং এরপরে তারা অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়।[৬]

অন্যান্য[সম্পাদনা]

সুন্নি মুসলমানদের তীর্থস্থানের একটি হল রাজস্থানের আজমীর, যেখানে মঈনউদ্দীন চিশতি বসবাস করতেন এবং শেষকাল অতিবাহিত করেছিলেন, সেখানে আজও এমন একটি শ্রেণী রয়েছে যারা নিজেদেরকে হুসেনী ব্রাহ্মণ বলে ডাকে, যারা হিন্দু না এবং ধর্মীয় মুসলমান না। হুসাইন ব্রাহ্মণরা হিন্দুধর্ম ও ইসলামী ঐতিহ্যের মিশ্রণ অনুশীলন করে থাকে। হিন্দি/উর্দু ভাষাতে একটি জনপ্রিয় ভাষ্য হুসেনী ব্রাহ্মণকে বোঝায়: "ওয়াহ দত্ত সুলতান, হিন্দু কা ধার্ম, মুসালমান কা ঈমান, আধা হিন্দু আধা মুসালমান (ভালো দত্ত সুলতান, হিন্দুর ধর্ম এবং মুসমানের বিশ্বাস, অর্ধ হিন্দু এবং অর্ধ মুসলমান)।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জানেন একদল ব্রাহ্মণও মহরমে বের করে তাজিয়া"। kolkata24x7.com। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. NADEEM INAMDAR, RIZWAN KHAN। "Brahmins who went to war for the Imam"। Times group, India। The Times of India। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. Akram, Maria (৫ নভেম্বর ২০১৪)। "For Hussaini brahmans, it's Muharram as usual"। Times group, India। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. Zeba T Hashmi (মার্চ ১৭, ২০১৫)। "Ashura and pluralism"। Daily Times, Pakistan। নভেম্বর ১৭, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৫ 
  5. Abul Fazl (নভেম্বর ৫, ২০১৪)। "The Brahmins Who Fought For Imam Hussain At Karbala"। Kashmir Observer Online। ২০ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৫ 
  6. Sheik, Majid (২৬ নভেম্বর ২০১২)। "Karbala and how Lahore was involved"। Dawn। Dawn News Paper, Lahore। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  7. Mitra, Sisir Kumar (১৯৪৯)। The Vision of India। Bombay, India: Jaico Publishing House। পৃষ্ঠা 229–230 (First Print 1949)। 
  8. "Hussaini Brahmans: A historic bondage between Hindus and Shias"। News Bharati English। ৯ আগস্ট ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]