হুসাইনিয়া মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হুসাইনিয়া মসজিদ
Huseyniyyə məscidi
মানচিত্র
সাধারণ তথ্য
স্থাপত্য রীতিআরান স্কুল অফ আর্কিটেকচার
শহরগঞ্জা
দেশআজারবাইজান
স্থানাঙ্ক৪০°৪০′২২″ উত্তর ৪৬°২১′২৭″ পূর্ব / ৪০.৬৭২৮° উত্তর ৪৬.৩৫৭৫° পূর্ব / 40.6728; 46.3575
নির্মাণকাজের সমাপ্তি১৮২৫

হুসাইনিয়া মসজিদ বা তাত মসজিদ (আজারবাইজানীয়: - Hüseyniyyə məscidi və ya Tatlar məscidi) হলো ১৯ শতকের একটি ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্য নিদর্শন। এই মসজিদটি আজারবাইজানের গঞ্জা শহরে অবস্থিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

হোসাইনিয়া মসজিদটি ১৮২৫ সালে ইরানী রাজপুত্র বাহমান মির্জার কন্যা - সাবিহা খানমের ব্যয়ে নির্মিত একটি ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য নিদর্শন।[২] বিশ্বাসী, ইরান থেকে আসা বিশ্বাসী দর্শনার্থীরা এই মসজিদটিকে পরিদর্শন করেছিলেন বলে স্থানীয় জনগণ ইহাকে তাত মসজিদ নামে ডাকতে শুরু করে। তবে বিদ্যমান লিপিফলক অনুসারে মসজিদটিকে মূলত হুসাইনিয়া বলা হত। মসজিদের মিহরাবের উপরে ৩টি লিপিফলক সংরক্ষিত আছে। এদের একটিতে উল্লেখ আছে :[২]

"এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল সম্পত্তির উপর এবং সাবিয়া খানমের খরচে,

প্রিন্স বর্মন মির্জার মেয়ে।

এখানে বসবাসকারী অন্যান্য উদার মালিকরাও ভবন নির্মাণে বিনিয়োগ করেছেন।

অধ্যাপক সাদিগ শুকুরভ তার "গাঁজার ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ" বইতে লিখেছেন:[৩]

"মসজিদটির সাজসজ্জা এবং এর জানালার আকারের প্রতি গভীর দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে এই কথা স্পষ্ট অনুমান যে, স্মৃতিস্তম্ভটি মূলত মসজিদ হিসাবে তৈরি করা হয়নি,

বরং এটি যেন মাদ্রাসা হিসেবেই ছিল। কারণ পূর্বাঞ্চল-বিশ্বে এইরকম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভকে অলঙ্কার দিয়ে সাজানো নিষিদ্ধ ছিল"।

যদিও এই ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। যার প্রমাণ এক "লিপি-ফলকে" বিদ্যমান। পরবর্তীতে ভবনটিতে মেহরাব যুক্ত করা হয়।

১৯ শতকের শেষে এ.এস পুশকিনের ১০০ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে হুসাইনিয়া মসজিদটি [৪] একটি গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। যাইহোক, এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি এবং আবার এটি মসজিদ হিসেবে কাজ চালু হয়। ১৯২০ সালে মসজিদের গ্রন্থাগারের কার্যক্রম "নিজামি-পুশকিন" নামে পুনরুদ্ধার হয়। গণশিল্পী তুগরুল নরিমানবেকভ নিজামির জন্মবার্ষিকীর প্রাক্কালে ভবনের ভেতরের দেয়ালে দুই মহান কবির চিত্রকর্মের উদাহরণ তৈরি করেছেন। বর্তমানে, গ্রন্থাগারটি আজারবাইজানীয় কবি নিজামি গাঞ্জাভির নাম বহন করে। নিজামি গাঞ্জাভি নামে ১৯ নং গ্রন্থাগারে প্রায় ১০,০০০ বই রয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "525.az - print"525.az। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২ 
  2. "Gəncənin tarixi irsi olan Hüseyniyyə mədrəsəsi..."Day.Az (রুশ ভাষায়)। ২০১৪-০৭-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২ 
  3. "Azərbaycan Respublikası Mədəniyyət və Turizm Nazirliyi Gəncə şəhər Mədəniyyət və Turizm İdarəsi"muhaz.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২ 
  4. ""Hüsniyyə"dən "Puşkin"ədək - FOTO"Milli.Az (আজারবাইজানী ভাষায়)। ২০১৬-০৪-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-০২