হুরিয়া মাশহর
হুরিয়া মাশহর ইয়েমেনের একজন মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মী। তিনি ২০১২ সালে শুরু হওয়া ইয়েমেনী বিপ্লবের পরে ইয়েমেনে মানবাধিকার মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। নিরাপত্তার কারণে তিনি ২০১৪ সালে এডেনে চলে আসেন।
জীবনী[সম্পাদনা]
২০০২ সালে, মাশহর ইয়েমেনে মহিলা জাতীয় কমিটির ডেপুটি চেয়ারপারসন ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি আরব বসন্ত নামে পরিচিত বিপ্লবে অংশ নিতে ২০১১ সালে পদত্যাগ করেছিলেন।[১] তিনি প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতে সক্রিয় ছিলেন।[২] ২০১২ সালে, প্রেসিডেন্ট আবেদ রাব্বুহ মনসুর হাদি তাকে ইয়েমেনের প্রথম মানবাধিকার মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। মানবাধিকার মন্ত্রী হিসেবে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে অভিযুক্ত হন।[১] তিনি ইয়েমেনে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতেও কাজ করেছেন।[১] [৩] জানা যায় রমন নামে ৮ বছরের এক মেয়ের সাথে ৪০ বছরের এক পুরুষের বিয়ে হয়। সহবাসে রমনের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ ঘটনা তাকে বাল্যবিবাহ বন্ধের প্রতি উৎসাহ দেয়।[৪] মহিলাদের আন্তর্জাতিক জোট সভাপতি জোয়ানা মঙ্গানারা তার বাল্যবিবাহ বিরোধী কাজের প্রসংশা করে বলেন, “আমি আপনার প্রচারের প্রতিটি সাফল্য কামনা করি। আমরা এটি সম্পর্কে আরও শোনার জন্য উন্মুখ।” তিনি নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং বাল্যবিবাহের একটি পরিসংখ্যান করার জন্য ইয়েমেনে জাতীয় জরিফ করেছিলেন।[৫] মাশহর ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের চালানো ড্রোন ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন যে "একজন নিরীহ ব্যক্তির মৃত্যু হওয়া মানে একটি বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়া।"[৬] তিনি ওয়াশিংটন পোস্টে এই হামলার বিরুদ্ধে লিখেছেন এবং সহিংসতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভুতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।[৭] ২০১৪ সালে, মাশহর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ছিল, তাই তিনি মানবাধিকার মন্ত্রীর পদ ছেড়ে এডেনে চলে যান।[৮] কেননা ২০১৫ সালে ইজেদাইন আল-আসবাহীকে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।[৮] ২০১৬ সালে তিনি জার্মানিতে চলে যান।[৯] তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি জার্মানিতে ভালোই আছি। আমি জার্মানীদের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু আমার মানবাধিকার কাজ (বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অধিকার) বন্ধ হবে না। যত তাড়াতাড়ি আমার দেশের পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হয়ে উঠবে, আমি ফিরে আসব এবং অন্য সবার সাথে জাতির পুনর্গঠনে অংশ নেব।”[১০]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ Palet, Laura Secorun (৫ নভেম্বর ২০১৪)। "In Yemen, A Job You Definitely Don't Want"। The World Post।
- ↑ Al Batati, Saeed (১৬ জুলাই ২০১৪)। "Q&A: Yemen's Human Rights Minister"। Al Jazeera। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Jamjoom, Mohammed; Almasmari, Hakim (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Yemen minister on child marriage: Enough is enough - CNN"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১২।
- ↑ "The Interview - Hooria Mashhour, Yemeni Human Rights Minister"। France 24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৯-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৮।
- ↑ "Congratulations to Human Rights Minister of Yemen, Hooria Mashhour – International Alliance of Women" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৮।
- ↑ Habboush, Mahmoud (২২ জানুয়ারি ২০১৩)। "Yemen Minister Urges Ground Ops, Not Drones, Against Militants"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Mashhour, Hooria (১৪ জানুয়ারি ২০১৪)। "Hooria Mashhour: The United States' Bloody Messes in Yemen"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ "Yemen - in-year update July 2015"। GOV.UK। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-১২।
- ↑ "Interview with Hooria Mashhour: On the rebels′ blacklist - Qantara.de"। Qantara.de - Dialogue with the Islamic World (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৯।
- ↑ "Interview with Hooria Mashhour: On the rebels′ blacklist - Qantara.de"। Qantara.de - Dialogue with the Islamic World (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৮।