বিষয়বস্তুতে চলুন

হুয়াংশান

স্থানাঙ্ক: ৩০°০৭′৩০″ উত্তর ১১৮°১০′০০″ পূর্ব / ৩০.১২৫০০° উত্তর ১১৮.১৬৬৬৭° পূর্ব / 30.12500; 118.16667
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হুয়াংশান
黄山
হুয়াংশানের প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্যানোরামিক ভিউ
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা১,৮৬৪ মিটার (৬,১১৫ ফুট) []
সুপ্রত্যক্ষতা১,৭৩৪ মিটার (৫,৬৮৯ ফুট) []
তালিকাভুক্তিআল্ট্রা, রিবু
স্থানাঙ্ক৩০°০৭′৩০″ উত্তর ১১৮°১০′০০″ পূর্ব / ৩০.১২৫০০° উত্তর ১১৮.১৬৬৬৭° পূর্ব / 30.12500; 118.16667[]
ভূগোল
হুয়াংশান 黄山 গণচীন-এ অবস্থিত
হুয়াংশান 黄山
হুয়াংশান
黄山
পূর্ব চীনে অবস্থান
অবস্থানহুয়াংশান শহর, আনহুই
প্রাতিষ্ঠানিক নামমাউন্ট হুয়াংশান
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক: (ii), (vii), (x)
সূত্র547bis
তালিকাভুক্তকরণ১৯৯০ (১৪তম সভা)
প্রসারণ২০১২
আয়তন১৬,০৬০ ha (৬২.০ মা)
নিরাপদ অঞ্চল৪৯,০০০ ha (১৯০ মা)
হুয়াংশান
সরল (উপরে) ও প্রচলিত (নিচে) চীনা অক্ষরে "হুয়াংশান"
সরলীকৃত চীনা 黄山
ঐতিহ্যবাহী চীনা 黄山
আক্ষরিক অর্থ"হলুদ পর্বত(সমূহ)"

হুয়াংশান (চীনা: 黄山),[] যার আক্ষরিক অর্থ হলুদ পর্বত(সমূহ), একটি পর্বতমালা যা চীনের আনহুই প্রদেশের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। প্রাচীনকালে এটি "ইশান" নামে পরিচিত ছিল। একটি কিংবদন্তি অনুসারে হুয়াংদি (হলুদ সম্রাট) এখানে রসায়ন সাধনা করেছিলেন বলে এর নাম পরিবর্তন করা হয়।[] পর্বতমালায় উদ্ভিদের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ১,১০০ মিটার (৩,৬০০ ফুট) উচ্চতার নিচে দেখা যায়, এবং গাছপালা বাড়তে পারে প্রায় ১,৮০০ মিটার (৫,৯০০ ফুট) পর্যন্ত।

এই অঞ্চলটি প্রাকৃতিক দৃশ্য, সূর্যাস্ত, অদ্ভুত আকারের গ্রানাইট শিলা, হুয়াংশান পাইন গাছ, উষ্ণ প্রস্রবণ, শীতকালীন তুষারপাত এবং মেঘের উপরে থেকে দেখা দৃশ্যের জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। হুয়াংশান প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী চীনা চিত্রকলারসাহিত্যের বিষয়বস্তু হয়ে থাকে, এবং আধুনিক ফটোগ্রাফিতেও একে বহুলভাবে দেখা যায়। এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং চীনের প্রধান পর্যটন গন্তব্যগুলির একটি।

ভৌগোলিক বর্ণনা

[সম্পাদনা]
হুয়াংশানের বরফে ঢাকা গাছ
নিচের দিকে খাড়া সিঁড়ি
কেব্‌ল কার থেকে দৃশ্য

হুয়াংশান পর্বতমালায় অনেক শিখর রয়েছে, যেগুলোর বেশ কিছু উচ্চতা ১,০০০ মিটারের (৩,২৫০ ফুট) বেশি।[] এই পর্বতমালার তিনটি সবচেয়ে উঁচু ও পরিচিত শিখর হলো — লিয়ানহুয়া ফেং বা কমল শিখর (১৮৬৪ মিটার), গুয়াংমিং ডিং বা উজ্জ্বল শিখর (১৮৬০ মিটার), এবং তিয়ানডু ফেং বা স্বর্গের রাজধানী শিখর (১৮২৯ মিটার)।[][] ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা হিসেবে হুয়াংশানের মূল অঞ্চল ১৫৪ বর্গকিলোমিটার এবং বাফার অঞ্চল ১৪২ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।[]

এই পর্বতমালা মেসোজয়িক যুগে গঠিত হয়, প্রায় ১০ কোটি বছর আগে, যখন একটি প্রাচীন সাগর ভূপৃষ্ঠের উত্থানের কারণে শুকিয়ে যায়।[] পরে, চতুর্থ যুগে, হিমবাহের প্রভাবে এই ভূপ্রকৃতি তৈরি হয়।[]

এলাকার উদ্ভিদবিন্যাস উচ্চতার সাথে পরিবর্তিত হয়। ১১০০ মিটারের নিচে নমাঞ্চল বন বিস্তৃত। ১১০০ মিটার থেকে শুরু করে ১৮০০ মিটার পর্যন্ত অঞ্চল জুড়ে পর্ণমোচী বন রয়েছে। ১৮০০ মিটারের ওপরে আছে আল্পাইন তৃণভূমি। এই অঞ্চলের উদ্ভিদজগত বৈচিত্র্যময় — চীনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্রায়োফাইট পরিবারের ও অর্ধেকের বেশি ফার্ন পরিবারের প্রতিনিধিত্ব এখানে পাওয়া যায়। হুয়াংশান পাইন (Pinus hwangshanensis) এই পর্বতের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে এবং এর দৃঢ়তা ও প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত। এই গাছগুলো পাথরের ভেতর থেকে উঠে এসে বেড়ে ওঠে।[] এখানকার অনেক পাইন গাছ শত বছরের বেশি পুরনো এবং তাদের নিজস্ব নামও আছে, যেমন — ইং কু পাইন বা অতিথি-বরণকারী পাইন যা ১৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো বলে মনে করা হয়।[] এসব গাছের আকৃতি ও আকার নানা রকম, এবং সবচেয়ে বাঁকানো গাছগুলোকেই সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মনে করা হয়।[]

হুয়াংশানের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া চা পাতার চাষের জন্য উপযুক্ত।[] তাই এই পর্বত চীনের শীর্ষ সবুজ চা উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। হুয়াংশান মাওফেং (মাও ফেং চা বা "লোমশ শিখর চা") নামে পরিচিত একটি বিখ্যাত স্থানীয় চা জাত এখানে উৎপন্ন হয়।[১০] এই নাম এসেছে চা পাতার লোমশ ডগার নাম থেকে, যা হুয়াংশান এলাকায় পাওয়া যায়।[১১]

পর্বতের শীর্ষ থেকে প্রায়ই মেঘের ওপর দিয়ে দৃশ্য দেখা যায়, যাকে মেঘের সমুদ্র (চীনা: 云海; ফিনিন: yúnhǎi) বা "হুয়াংশান সি" বলা হয়।[][] এই মেঘের দৃশ্য অনেকসময় সাগরের মতো মনে হয়, এবং এখানকার অনেক দর্শনীয় স্থান উত্তর সাগর বা দক্ষিণ সাগর নামেও পরিচিত।[] এক লেখক এই মেঘময় দৃশ্যের বিষয়ে বলেছিলেন:

বেশিরভাগ পর্বতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে ওপরের দিকে তাকাতে হয়। কিন্তু হুয়াংশান উপভোগ করতে হলে নিচের দিকে তাকাতে হয়।[]

এছাড়াও হুয়াংশানে রয়েছে অসাধারণ আলোক প্রভাব, বিশেষ করে বিখ্যাত সূর্যোদয়। সূর্যোদয় দেখা এখানে ভ্রমণের একটি "অবিচ্ছেদ্য অংশ" বলে গণ্য করা হয়।[১২] আরেকটি প্রাকৃতিক দৃশ্য হল বুদ্ধের আলো (চীনা: 佛光; ফিনিন: fóguāng)।[১৩] এটি গড়ে প্রতি মাসে মাত্র কয়েকবারই দেখা যায়।[১৪]

হুয়াংশানে অনেক গরম প্রস্রবণও রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই পার্পল ক্লাউড পিক (বেগুনি মেঘ শিখর) এর পাদদেশে অবস্থিত। এই পানির তাপমাত্রা সারা বছর ধরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৭.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকে[১৫] এবং এতে কার্বনেটের পরিমাণ বেশি। এই গরম পানিকে ত্বক, সন্ধি ও স্নায়বিক সমস্যার প্রতিকার হিসেবে উপকারী বলে মনে করা হয়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
হুয়াংশান, লিয়ানহুয়া ফেং
হুয়াংশান, তিয়ানডু ফেং

হুয়াংশান পর্বত প্রায় ১০ কোটি বছর আগে গঠিত হয় এবং চতুর্থ যুগীয় হিমবাহর (Quaternary Glaciation) সময় এর অনন্য শিলা গঠনগুলো সৃষ্টি হয়।[]

চিন রাজবংশের সময়ে হুয়াংশানকে ইশান (ই পর্বত) নামে ডাকা হতো। ৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দে এক সম্রাটের আদেশে এই পর্বতের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় হুয়াংশান (হুয়াং পর্বত)।[১৬] সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয়, এই নামকরণ প্রাচীন চীনের কিংবদন্তিতুল্য সম্রাট হুয়াং ডি-র সম্মানে করা হয়েছিল, যিনি হান চীনাদের পৌরাণিক পূর্বপুরুষ।[১৭] একটি কিংবদন্তি অনুসারে, হুয়াংশান পর্বত থেকেই হুয়াং ডি স্বর্গে আরোহণ করেছিলেন।[] আরেকটি কিংবদন্তি বলছে, তিনি এই পর্বতে নৈতিক চরিত্র গঠনের সাধনা করেন এবং অমরত্বের ট্যাবলেট প্রস্তুত করেন, ফলে তাঁর নামেই পর্বতের নামকরণ হয়।[] এই “হুয়াংশান” নামটির প্রাথমিক ব্যবহার চীনা কবি লি পাই-এর সঙ্গে যুক্ত বলে ধরা হয়।[১৭]

প্রাচীনকালে হুয়াংশান ছিল দুর্গম এবং অজানা। তবে ৭৪৭ খ্রিষ্টাব্দে নাম পরিবর্তনের পর থেকেই এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে; তখন থেকে মানুষ প্রায়শই এখানে আসতে শুরু করে এবং পরবর্তীকালে এখানে বহু মন্দির নির্মিত হয়।[১৬]

হুয়াংশান এর খ্যাতির একটি দিক হলো পর্বতের পাশে খোদাই করা পাথরের সিঁড়ি[] এই সিঁড়ির সংখ্যা ৬০,০০০-এরও বেশি হতে পারে।[১২][১৮][১৯] ঠিক কবে এই সিঁড়িগুলোর নির্মাণ শুরু হয় তা জানা যায় না, তবে ধারণা করা হয়, এই পথগুলো ১৫০০ বছরেরও পুরনো।[১৮]

সময়ের সাথে সাথে হুয়াংশানে বহু দর্শনীয় স্থান ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের নামকরণ হয়েছে;[] এসব নামের পেছনে নানা কাহিনি বা কিংবদন্তি রয়েছে। যেমন, একটি কিংবদন্তিতে বলা হয়েছে — এক ব্যক্তি হুয়াংশানের সৌন্দর্যের কাহিনি বিশ্বাস করতেন না, তাই নিজেই দেখে আসতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়ে পৌঁছেই তিনি মুগ্ধ হন এবং বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। তাঁর দর্শন দেওয়া একটি শিখরের নাম দেওয়া হয় শিশিন (始信), যার অর্থ আনুমানিকভাবে "বিশ্বাসের শুরু"।[]

১৯৮২ সালে, রাষ্ট্র পরিষদ হুয়াংশানকে "প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান" হিসেবে ঘোষণা করে।[১৬] ১৯৯০ সালে, এর প্রাকৃতিক দৃশ্য ও বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থল হিসেবে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[২০] এরপর এটি জাতীয় জিওপার্ক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে এবং পরবর্তীতে এশিয়া-প্যাসিফিক জিওপার্ক নেটওয়ার্ক এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে, ২০০৪ সালে ইউনেস্কো গ্লোবাল জিওপার্ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০০২ সালে, হুয়াংশানকে সুইস আল্পসের জুংফ্রাউ পর্বতের "ভগ্নি পর্বত" (sister mountain) হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[]

শিল্প ও বৈজ্ঞানিক অনুপ্রেরণা

[সম্পাদনা]
১৭০০ শতকের চিত্রশিল্পী শিতাও-এর হুয়াংশান চিত্রিত কালি চিত্রকলা

হুয়াংশানের খ্যাতির একটি বড় অংশ এর চীনা শিল্প ও সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে উদ্ভূত।[২১] লি পাই-এর মতো কবিদের অনুপ্রেরণা জোগানোর পাশাপাশি,[][১২] হুয়াংশানের প্রাকৃতিক দৃশ্য বহু কবিতা ও চিত্রকলার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে — বিশেষ করে চীনা কালি চিত্রকলায়[১৬] আধুনিক কালে এই দৃশ্য ফটোগ্রাফিতেও স্থান করে নিয়েছে।[] সামগ্রিকভাবে, তাং রাজবংশ থেকে শুরু করে চিং রাজবংশ-এর শেষ পর্যন্ত হুয়াংশানকে নিয়ে ২০,০০০-র বেশি কবিতা রচিত হয়েছে এবং এ নিয়ে একটি চিত্রকলার ধারাও গড়ে উঠেছে, যার নামকরণ হয়েছে এই পর্বতের নামে।[][]

এই পর্বতমালা আধুনিক সৃষ্টিতেও প্রভাব ফেলেছে। পরিচালক জেমস ক্যামেরন তাঁর ২০০৯ সালের চলচ্চিত্র অ্যাভাটার-এর কল্পিত জগত নির্মাণে হুয়াংশান থেকে প্রভাব গ্রহণ করেছেন বলে জানান। এছাড়া, ডিজনির লিলো ও স্টিচ সিরিজের একটি চীনা অ্যানিমেটেড স্পিন-অফ Stitch & Ai-এর পটভূমিও হুয়াংশান পর্বতমালা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের জন্য এই এলাকা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। ২০শ শতকের শুরুর দিকে, হুয়াংশানের ভূতত্ত্ব ও উদ্ভিদ নিয়ে চীনা ও বিদেশি বিজ্ঞানীরা বহু গবেষণা পরিচালনা করেন।[১৬] এখনো এই অঞ্চল গবেষণার বিষয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ২০শ শতকের শেষভাগে গবেষকদের একটি দল এখানকার তিব্বতি বানরদের ওপর মাঠ পর্যায়ের একটি গবেষণা পরিচালনা করে।[২২]

পর্যটন

[সম্পাদনা]
ইং কু পাইন, যার আক্ষরিক অর্থ "অতিথি-বরণকারী পাইন"

হুয়াংশানে কমপক্ষে ১৪০টি অঞ্চল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে,[২০] এবং এটি চীনের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য।[][১২] ১৯৮৭ সালে হুয়াংশান শহর এর আগের নাম তুনসি (屯溪) পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়, যাতে হুয়াংশান পর্যটনকে আরও উৎসাহিত করা যায়।[২৩] ২০০৭ সালে, এক বছরে ১৫ লক্ষেরও বেশি পর্যটক এই পর্বত দর্শন করেন।[২৪]

এই শহর শাংহাইয়ের সাথে রেল ও বিমানপথে সংযুক্ত,[] এবং হাংঝো (ঝেজিয়াং), উহু (আনহুই) সহ অন্যান্য শহর থেকেও পৌঁছানো যায়।[২৫] বাসযোগে হুয়াংশান শহর থেকে পর্বতের পাদদেশে পৌঁছানো যায়, যেখান থেকে পর্যটকেরা কেবল কারে বা পদব্রজে শীর্ষে উঠতে পারেন।[]

এখানে দর্শনার্থীদের জন্য ৫০ কিলোমিটারের বেশি পথচলা উপযোগী রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, যা দর্শনীয় স্থান ও বিভিন্ন পরিষেবার কর্মীদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়।[১৬] পর্বতের বিভিন্ন স্থানে হোটেল ও অতিথিশালা রয়েছে, যা রাতযাপনের সুবিধা দেয়।[][১৬] অনেক পর্যটক পর্বতে উঠে রাত কাটান সূর্যোদয় দেখার জন্য, এবং পরের দিন অন্য পথে নিচে নেমে যান।[১২] এই এলাকা চীন জাতীয় পর্যটন প্রশাসনের শ্রেষ্ঠ পর্যটন মূল্যায়ন AAAAA দর্শনীয় স্থান শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত।[২৬]

পর্বতের চূড়ায় থাকা হোটেল, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য সুবিধাগুলোকে সচল ও সজ্জিত রাখতে মালপত্র বহন করেন কর্মীরা, যারা নিজের কাঁধ বা পিঠে ভারসাম্য রেখে লম্বা বাঁশের খুঁটির সাহায্যে পণ্য পরিবহন করেন।[২৭]

জলবায়ু

[সম্পাদনা]

হুয়াংশানে জলবায়ু নির্ভর করে কোন ইসোথার্ম ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর। এটি হয় একটি আর্দ্র মহাদেশীয় জলবায়ু (Köppen Dfb) অথবা একটি উপক্রান্তীয় পার্বত্য জলবায়ু (Cfb) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়। এর উচ্চতার কারণে এটি আনহুই প্রদেশের অন্য অংশগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত শীতল ও আর্দ্র।

প্যানোরামা

[সম্পাদনা]
হুয়াংশানের প্যানোরামিক দৃশ্য
ফেইলাই শিখর (飞来峰) থেকে দৃশ্য
মেঘসমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকা বানর শিলা (猴子观海) থেকে দৃশ্য
মেঘসমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকা বানর শিলা (猴子观海) থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য
হুয়াংশানের প্রাকৃতিক পরিবেশ

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
黄海树石, চিং রাজবংশের চিত্রশিল্পী জিয়ান জিয়াং

বিষয়শ্রেণী

[সম্পাদনা]
  1. "Lianhua Feng - Lotus Peak, HP Huang Shan" on Peaklist.org - Central and Eastern China, Taiwan and Korea. এই তথ্য শুধুমাত্র পর্বতমালার সর্বোচ্চ বিন্দুর জন্য প্রযোজ্য। উদ্ধৃত তারিখ: ২০১১-১০-৫।
  2. Bernstein, pp. 125–127.
  3. "Origins and new interpretations on the theory of Pleistocene glaciation in South-East China - the case of the Lushan and Huangshan ranges"। Annales de Géographie101: 472। 
  4. "Huangshan Mountain"[Huangshan Tour]। ৩ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৫ 
  5. Cao, pp. 114–127.
  6. "Mount Huangshan - UNESCO World Heritage Center"UNESCO। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৫ 
  7. Huangshan Mountains, p. 12.
  8. Guo, pp. 62–64.
  9. Heiss, p. 124
  10. Heiss, p. 52
  11. "Yellow Mountain Maofeng Tea"[Cultural China]। ২০০৯-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৮ 
  12. Butterfield, Fox (১৯৮১-০২-০৮)। "China's Majestic Huang Shan"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৮ 
  13. China News Service (২১ ডিসেম্বর ২০০৭)। ""Buddha's Light" in Huangshan Mountain"China.org.cn। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  14. Raitisoja, Geni (৪ অক্টোবর ২০০৬)। "Huangshan: "No. 1 Mountain Under Heaven""gbtimes.com। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  15. "Welcome to Huang Shan, Mount Huang"damo-qigong.net। ২০০৮-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-০৮ 
  16. "Mount Huangshan Scenic Beauty and Historic Interest Site"[Protected Areas and World Heritage]United Nations Environment Programme। অক্টোবর ১৯৯০। ২০০৮-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৮ 
  17. "Huang Shan"[ChinaTravel.net]। ২০০৮-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৮ 
  18. "The Mystic World of Shanshui: Huangshan"UNESCO। ২০০৮-০৮-১৬ তারিখে মূল (.wmv) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৮ 
  19. McGraw, David (২০০৩)। "Magic Precincts" (পিডিএফ)University of Hawaii। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০০৮  p. 52.
  20. "Mount Huangshan"China.org.cn। ১৯৯০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৮ 
  21. McGraw, p. 109
  22. Ogawa, p.9.
  23. "Mt.Huangshan Travel Guide" ChinaTour.Net Accessed 2015-1-21
  24. "China's Huangshan to restrict vehicles during Olympics"Xinhua। ৩ আগস্ট ২০০৮। ৬ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ 
  25. "Hefei, Anhui Province"। ২০ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮ 
  26. "AAAAA Scenic Areas"China National Tourism Administration। ১৬ নভেম্বর ২০০৮। ৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১১ 
  27. Heiss, p. 132
  28. 中国气象数据网 – WeatherBk Data (চীনা ভাষায়)। China Meteorological Administration। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  29. "Experience Template" 中国气象数据网 (চীনা ভাষায়)। China Meteorological Administration। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩