হিপনিক জার্ক
ঘুমের মধ্যে আচমকা ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’বলা হয়।[১]
হিপনিক জার্ক | |
---|---|
প্রতিশব্দ | হিপন্যাগোজিক জার্ক, স্লিপ স্টার্ট, স্লিপ টুইচ, মায়োক্লোনিক জার্ক, নাইট স্টার্ট |
উচ্চারণ |
|
বিশেষত্ব | স্লিপ মেডিসিন |
কারণ | অবসাদ, নাকডাকা |
হিপনিক জার্ক দ্রুত হৃৎস্পন্দন, দ্রুত শ্বাস, ঘাম এবং কখনও কখনও "শক" বা শূন্যে পড়ে যাওয়ার মতো এক অদ্ভুত সংবেদনশীল অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।[২] এটি কোনো স্বচ্ছ স্বপ্নের অভিজ্ঞতা বা হ্যালুসিনেশনও হতে পারে।[৩] অনিয়মিত শিডিউলে ঘুমায় এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হিপনিক জার্ক অধিকহারে ঘটতে দেখা যায়।[৪] তদুপরি, বিশেষত যখন এটি ঘন ঘন এবং তীব্র হয়, তখন হিপনিক জার্ককে ঘুম-অনিদ্রার কারণ হিসাবে দেখা হয়।[৩]
একে হিপন্যাগোজিক জার্ক, স্লিপ স্টার্ট, স্লিপ টুইচ, মায়োক্লোনিক জার্ক, নাইট স্টার্ট নামেও ডাকা হয়।[৫] প্রায় ৭০% মানুষ তাদের জীবনে কমপক্ষে একবার এই অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং তাদের অন্তত ১০% প্রতিদিন এটি উপলব্ধি করে।[৬][৭] তাদের সমস্যাটি ইতিবাচক বা আনুকুল্যে এবং কোনও স্নায়বিক সমস্যার কারণে এটি হয় না।[৭]
কারণ
[সম্পাদনা]জেগে থাকা অবস্থা থেকে সবে ঘুমোতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। এই সময় মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরং বলা যায়, সে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই মস্তিষ্ক ঠাহর করতে পারে না। ফলে তার ধাক্কা এসে লাগে শরীরে। এ থেকেই তৈরি হয় ‘হিপনিক জার্কস’।
শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাস্ল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু, মস্তিষ্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান ঠাহর করতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শারীরে ঝাঁকুনি হয়।
প্রতিকার
[সম্পাদনা]নিকোটিন বা ক্যাফিন জাতীয় উদ্দীপক গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া, ঘুমানোর আগে শারীরিক পরিশ্রম এড়ানো এবং পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে হিপনিক জার্ক হ্রাস করা যায়। [৮][৯] কিছু ওষুধ হিপনিক জার্ক হ্রাস করতে বা দূর করতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শোবার সময় অল্পপরিমাণ ক্লোনাজেপাম গ্রহণ।[৬] এছাড়াও, কিছু লোক এই হিপনিক জার্কে একটি স্থিরতা তৈরি করতে পারে যার ফলে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে আরো উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়। এই বর্ধিত উদ্বেগ এবং ক্লান্তি হিপনিক জার্কের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।[১০] যদিও, কিছু মানুষ একে শারীরিক অসুবিধা ভেবে ভয় পান। তবে, চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ, অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনাপ্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Brain Basics: Understanding Sleep" (পিডিএফ)। National Institute of Neurological Disorders and Stroke। ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৩।
Many also experience sudden muscle contractions called hypnic myoclonia, often preceded by a sensation of starting to fall. These sudden movements are similar to the “jump” we make when startled.
- ↑ Lauren F Friedman (২০১৪-০৫-২১)। "Why You Sometimes Feel Like You're Falling And Jerk Awake When Trying To Fall Asleep"। Business Insider। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১৭।
- ↑ ক খ Oswald, Ian (১৯৫৯)। "Sudden Bodily Jerks on Falling Asleep"। Brain। 82 (1): 92–103। আইএসএসএন 0006-8950। ডিওআই:10.1093/brain/82.1.92।
- ↑ "Basics of Sleep Behavior: NREM and REM Sleep"। Sleep Stllabus। ২০১১-০৭-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৩।
These muscular contractions, called sleep related myoclonias are not pathological events, although they tend to occur more frequently with stress or unusual or irregular sleep schedules.
- ↑ Sander, Howard; Geisse, Hildegarde; Quinto, Christine; Sachdeo, Rajesh; Chokroverty, Sudhansu (১৯৯৮)। "Sensory sleep starts"। Journal of Neurology, Neurosurgery & Psychiatry। 64 (5)। ডিওআই:10.1136/jnnp.64.5.690। পিএমসি 2170079 ।
- ↑ ক খ Chokroverty, Sudhansu; Bhat, Sushanth; Gupta, Divya (২০১৩)। "Intensified Hypnic Jerks: A Polysomnographic and Polymyographic Analysis"। Journal of Clinical Neurophysiology। 30 (4): 403-410। ডিওআই:10.1097/WNP.0b013e31829dde98।
- ↑ ক খ Vetrugno, Roberto; Montagna, Pasquale (২০১১)। "Sleep-to-wake transition movement disorders"। Sleep medicine। 12। ডিওআই:10.1016/j.sleep.2011.10.005।
- ↑ Sathe, Harshal; Karia, Sagar; Desousa, Avinash; Shah, Nilesh (২০১৫)। "Hypnic jerks possibly induced by escitalopram"। Journal of Neurosciences in Rural Practice। 6 (3): 423-424। ডিওআই:10.4103/0976-3147.158797। পিএমসি 4481805 ।
- ↑ Shebak, Shady; Bader, Geoffrey (২০১৫)। "Midazolam and Low Magnesium Associated With Myoclonic Jerks: A Case Report"। The Primary Care Companion for CNS Disorders। 17 (2)। ডিওআই:10.4088/PCC.14l01724। পিএমসি 4560178 ।
- ↑ Green, Ethan (এপ্রিল ১৬, ২০১৩)। "Hypnic Jerks: How To Avoid Waking With A Jolt"। No Sleepless Nights। ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৯।