হালেবিড়ু

স্থানাঙ্ক: ১৩°১২′৫৭″ উত্তর ৭৫°৫৯′২৯″ পূর্ব / ১৩.২১৫৭° উত্তর ৭৫.৯৯১৪° পূর্ব / 13.2157; 75.9914
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হৈলেবিডু
ಹಳೆಬೀಡು
শহর
হোয়সলেশ্বর মন্দির, হৈলেবিডু
হোয়সলেশ্বর মন্দির, হৈলেবিডু
হৈলেবিডু কর্ণাটক-এ অবস্থিত
হৈলেবিডু
হৈলেবিডু
স্থানাঙ্ক: ১৩°১২′৫৭″ উত্তর ৭৫°৫৯′২৯″ পূর্ব / ১৩.২১৫৭° উত্তর ৭৫.৯৯১৪° পূর্ব / 13.2157; 75.9914
দেশভারত
রাজ্যকর্ণাটক
জেলাহাসান জেলা
উচ্চতা৮৮০ মিটার (২,৮৯০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট৮,৯৬২
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
টেলিফোন কোড০৮১৭২

হৈলেবিডু (আক্ষরিক অর্থে, 'পুরনো শহর') ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাসান জেলায় অবস্থিত। এই শহরের প্রাচীন নাম দোরসমুদ্র বা দ্বারসমুদ্র। এই শহরটি খ্রিস্টীয় ১২শ শতাব্দীতে হোয়সল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এই শহরে হোয়সল স্থাপত্যের কয়েকটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন অবস্থিত। এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হোয়সলেশ্বর ও কেদারেশ্বর মন্দির। মালিক কাফুর এই শহর দুই বার লুণ্ঠন করেছিলেন বলে এই শহরের নাম হয় ‘হৈলেবিডু’।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

খ্রিস্টীয় ১২শ-১৩শ শতাব্দীতে হৈলেবিডু ছিল হোয়সল সাম্রাজ্যের রাজধানী। কেতমল ১১২১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ এই শহরে হোয়সলেশ্বর মন্দির নির্মাণ করেন। রাজা বিষ্ণুবর্ধন এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত।[১] বিষ্ণুবর্ধনের পুত্র ও উত্তরসূরি প্রথম নরসিংহের (১১৪২-১১৭৩ খ্রিস্টাব্দ) প্রধান স্থপতি কেদারোজ এই মন্দিরটির নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ করেন। এই মন্দিরে হোয়সলেশ্বর ও শান্তলেশ্বরের মূর্তি রয়েছে। এই দুই মূর্তি রাজা বিষ্ণুবর্ধন হোয়সল ও রানি শান্তলা দেবীর নামে নামাঙ্কিত।[২]

খ্রিস্টীয় ১৪শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মালিক কাফুরের সেনাবাহিনী এই শহর লুণ্ঠন করে। এরপর এই শহর হতশ্রী হয়ে পড়ে এবং অবহেলিত হতে শুরু করে।[২]

মন্দির চত্বর[সম্পাদনা]

হৈলেবিডুর মন্দির চত্বরে দুটি হিন্দু মন্দির ও দুটি জৈন মন্দির রয়েছে। হিন্দু মন্দির দুটি হল হোয়সলেশ্বর মন্দিরকেদারেশ্বর মন্দির[৩] এই মন্দিরগুলির সামনে রয়েছে একটি বড়ো হ্রদ। হোয়সলেশ্বর মন্দিরের দুই পাশে দুটি একশিলা নন্দী মূর্তি রয়েছে। এই মন্দিরগুলি সোপস্টোন (ক্লোরিটিক সিস্ট) নামে এক ধরনের নরম পাথরে নির্মিত। মন্দির চত্বরের মধ্যে একটি পুরাতাত্ত্বিক জাদুঘরও রয়েছে।

হোয়সলেশ্বর মন্দির ১১২১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। এটি ভাস্কর্য সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। মন্দিরের দেওয়ালে হিন্দু পুরাণ, পশুপাখি ও 'শিলাবালিকা' বা নর্তকীর অসংখ্য খোদাইচিত্র দেখা যায়। মন্দিরের কোনও ভাস্কর্যই একরকম দেখতে নয়। মন্দিরটির বাইরে রক্ষী হিসেবে একটি নন্দী মূর্তি স্থাপিত রয়েছে। ৮৬ বছরের চেষ্টাতেই এই মন্দিরটির নির্মাণকার্য শেষ করা যায়নি। এই মন্দিরের নিকটবর্তী জৈন মন্দিরটিও সুন্দর ভাস্কর্যের জন্য বিখ্যাত।

১১৩৩ খ্রিস্টাব্দে বিষ্ণুবর্ধনের রাজত্বকালে পার্শ্বনাথ মন্দিরটি নির্মিত হয়। মন্দিরের স্থপতি ছিলেন বোপ্পদেব এবং নির্মাতা ছিলেন বিষ্ণুবর্ধনের মন্ত্রী গঙ্গারাজার পুত্র বোপান্না। এই মন্দিরের ভিতর কালো গ্র্যানাইট পাথরে নির্মিত ১৮ ফুট উঁচু পার্শ্বনাথের একটি মূর্তি রয়েছে।

শান্তিনাথ মন্দির নির্মিত হয়েছে দ্বিতীয় বীর বল্লালের রাজত্বকালে ১১৯২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। এখানে শান্তিনাথের একটি ১৮ ফুট উঁচু বিগ্রহ রয়েছে।

হৈলেবিডুর মন্দিরগুলি এখন প্রস্তাবিত ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান

ছবি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Temples at Belur and Halebidu"। helabidu originally means Hela empire where Ravan the hela empire ruined over Bharath with his mighty power.Helabidu really means owns to king of Hela.। ২০০৫-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-১৭ 
  2. "Halebidu - Temples of Karnataka"। TempleNet.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-১৭ 
  3. Gopal, Madan (১৯৯০)। K.S. Gautam, সম্পাদক। India through the ages। Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India। পৃষ্ঠা 178 
  • Karnataka State Gazetteer 1983.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Historical Places in Karnataka টেমপ্লেট:Archaeological sites in India