বিষয়বস্তুতে চলুন

হালিশহর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হালিশহর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত প্রাচীন কওমি মহিলা মাদরাসা। ১৯৭৭ সালে স্থানীয় সমাজসেবক আলহাজ্ব মজিবুল হকের উদ্যোগে এবং মাওলানা আব্দুল মালেক হালিমের পরামর্শে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি নারী শিক্ষার প্রসার ও ইসলামি শিক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। মাদরাসাটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এবং আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইউনুস আলী, যিনি মাদরাসার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নারী শিক্ষার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে মাদরাসাটি শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। [] []

হালিশহর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা
Halishahar islamia mahila madrasah
আরবি: الجامعة الإسلامية للبنات حوالى شهر شيتاغونغ
প্রাক্তন নামসমূহ
তাহফিজুল কোরআন ইসলামী আরবী বালিকা উচ্চ মাদরাসা
ধরনকওমি মাদ্রাসা
স্থাপিত১৯৭৭; ৪৮ বছর আগে (1977)
মূল প্রতিষ্ঠান
দারুল উলুম দেওবন্দ
অধিভুক্তিবেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ , আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ
অধ্যক্ষমাওলানা মোঃ ইউনুস আলী
শিক্ষার্থী১৩৩৯ (২০২৫ ইং সেশন)
অবস্থান
হালিশহর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসার লগু

শিক্ষা পদ্ধতি

[সম্পাদনা]

হালিশহর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসায় ইসলামি শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত শিক্ষা দেয়া হয়।মাদ্রাসায় নিম্নোক্ত বিভাগ সমূহে পাঠদান করা হয়।

  • প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ
  • মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ
  • উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ
  • তাফসির বিভাগ
  • হাদীস বিভাগ
  • ফিকাহ বিভাগ
  • মান্তিক বিভাগ
  • তাজউইদ বিভাগ
  • আরবি ও বাংলা সাহিত্যের বিভাগ

শিক্ষা কাঠামো ও স্বীকৃতি

[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মাদরাসাটি কওমি শিক্ষার মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আধুনিক ও প্রামাণ্য ইসলামি শিক্ষা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে এটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এবং আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধিভুক্ত একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দাওরায়ে হাদীস (তাকমীল ফিল হাদীস)-সহ উচ্চতর কওমি ডিগ্রিতে শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়ে থাকে, যা সরকারের স্বীকৃতি অনুযায়ী স্নাতকোত্তর সমমান[] []

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য হলো:

ইসলামি নীতিনিষ্ঠ নারীকেন্দ্রিক শিক্ষার প্রসার ঘটানো

চরিত্রবান, আদর্শ, এবং দ্বীনদার নারী গড়ে তোলা

সমাজে নারীর ইতিবাচক ভূমিকা নিশ্চিত করা

নারীদের কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক জীবন গঠনে সহায়তা করা। []


একাডেমিক সাফল্য

[সম্পাদনা]

হালিশহর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা বরাবরই বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এবং আল হাইআতুল উলয়ার অধীনে অনুষ্ঠিত বোর্ড পরীক্ষাসমূহে উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করে আসছে। বিশেষ করে দাওরায়ে হাদীস এবং তাকমীল পর্যায়ে ছাত্রীরা প্রতি বছর মেধাতালিকায় স্থান অর্জন করে থাকে। ধারাবাহিক ফলাফলের এই সাফল্য প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক মান ও পাঠদানের দক্ষতা প্রতিফলিত করে। []

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]
  1. হালিশহরের মারকাযুর রাশাদ মাদরাসায় তরবিয়তি সম্মেলনে অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইউনুস আলী- OurIslam24, ২০ জানুয়ারি ২০২২
  2. Begum, Momotaj; Kabir, Humayun (জুন ২০১২)। "Reflections on the Deobandi Reformist Agenda in a Female Quomi Madrasah in Bangladesh"South Asia: Journal of South Asian Studies৩৫ (2): ৩৫৩–৩৮০। ডিওআই:10.1080/00856401.2012.659650
  3. "কওমী মাদ্রাসার সনদের মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রসঙ্গ"insaf24.com। ৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  4. সরকার কওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি দিতে আন্তরিকSuprobhat Bangladesh। ১৬ জানুয়ারি ২০১৭। ৫ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  5. "চট্টগ্রামের যেসব মাদরাসায় করোনার টিকা দেওয়া যাবে"রহমত নিউজ। জামিল আহমদ। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০২২
  6. "কওমি মাদরাসা সমুহের সম্মিলিত বোর্ড আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদিসের ৩য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশের খবরে মাদরাসার কৃতিত্ব"সিলেট রিপোর্ট। Ruhul Amin। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৯