হারকিউলিস মথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হারকিউলিস মথ
পুরুষ মথ
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Saturniidae
গণ: Coscinocera
প্রজাতি: C. hercules
দ্বিপদী নাম
Coscinocera hercules
মিসকিন, ১৮৭৬

হারকিউলিস মথ (Coscinocera hercules) হল স্যাটারনিডি পরিবারের এক প্রজাতির প্রজাপতি ( মথ ) যা পাপুয়া নিউগিনি এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় অধিবাসী। মাদী হারকিউলিস মথের পাখার বিস্তার প্রায় ২৭ সেন্টিমিটার যা পৃথিবীতে প্রাপ্ত যেকোন মথের পাখার বিস্তারের চাইতে অধিক বিস্তৃত।[১] এছাড়া এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এর পাখার তলের আয়তন (৩০০ বর্গ সেন্টিমিটার) জীবিত যেকোন পতঙ্গের মধ্যে সর্বাধিক।[২][৩]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

পূর্ণাঙ্গ মথ কোন আহার করে না এবং স্বল্পজীবি। ধূসর-নীল রঙের শূককীট সাধারণত দৈর্ঘে্য ১২ সেন্টিমিটার এবং ওজনে ২৯ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এসব শুককীট বৃষ্টি অরণ্যের কয়েক প্রজাতির উদ্ভিদের পাতা খেয়ে জীবনধারণ করে, তথাপি ব্লিডিং হার্ট নামের এক ধরনের গাছের পাতা এদের সবচাইতে পছন্দের।[১]

এই মথে সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটে থাকে। পূর্ণাঙ্গ পুরুষ মথ সঙ্গমের উদ্দেশ্যে পূর্ণাঙ্গ মাদী মথকে পাবার জন্য উড্ডয়ন শুরু করে। মাদী মথ এক ধরনের ফেরোমোন নিঃসরণ করে যা পুরুষ মথকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে পর্যন্ত আকৃষ্ট করতে পারে। [৪]

মাদী মথ এককভাবে অথবা ছোট্ট পুঞ্জে সাধারণত প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টি ডিম পাড়ে। এ সংখ্যা কখনো কখনো ৩০০ পর্যন্ত হতে পারে। ডিমগুলো পোষক উদ্ভিদের পাতার গায়ে আঠারো মতো লেগে থাকে। আকারে এসব ডিম দেয়াশলাইয়ের কাঠির অগ্রভাগের মতো এবং দেখতে কমলা রঙের হয়। ডিম ফুটতে প্রায় ১৪ দিন অতিবাহিত হয়। ফুটে বের হওয়া নবীন শূককীটেরা পোষক গাছের পাতা খেতে শুরু করে। যতক্ষণ পর্যন্ত না পরিণত আকার নিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা খাবার-দাবার চালিয়ে যায়। এরই মাঝে একের পর এক চলতে থাকে মোচন, অর্থাৎ বহিঃত্বকের ঝরে পড়া। শূককীটের একেবারে নবীন দশাটি সাদা এবং মোমের মতো হয় এবং গায়ে কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইনস্টারের শূককীটগুলোর দেহের শেষদিকের কয়েকটি খণ্ডে বাদামী তাপ্পি রয়েছে।[৫] এছাড়াও এদের গায়ের বড় কাঁটাগুলোতে রয়েছে ছোটছোট কাঁটা। শূককীট দশার পরিণত পর্যায়ে এসে এরা রেশম উৎপাদন করে এবং তা দিয়ে বড় আকারের গুটি বুনে যা গাছের সাথে লেগে থাকে। শূককীটেরা তখন সেই গুটির ভেতর ঢুকে যায় এবং সেখানেই শূককীট থেকে মূককীটে পরিণত হয় যা পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ মথ হয়ে বেরিয়ে আসে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. হারকিউলিস মথ - কুইন্সল্যান্ড জাদুঘর
  2. Robert G. Foottit & Peter H. Adler. 2009. Insect Biodiversity: Science and Society. Blackwell Publishing Ltd. আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০৫-১৫১৪২-৯
  3. Rainier Flindt. 2006. Amazing Numbers in Biology. Springer-Verlag, Berlin. আইএসবিএন ৩-৫৪০-৩০১৪৬-১
  4. "two" (পিডিএফ) 
  5. Coscinocera hercules "Coscinocera hercules (মিসকিন, ১৮৭৬)" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

স্ত্রী