হামার বড় মসজিদ
| হামার বড় মসজিদ جَامِعُ حَمَاةَ الْكَبِيرُ | |
|---|---|
| ধর্ম | |
| অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
| অবস্থান | |
| অবস্থান | হামা, সিরিয়া |
| স্থানাঙ্ক | ৩৫°৮′৩″ উত্তর ৩৬°৪৪′৪৩″ পূর্ব / ৩৫.১৩৪১৭° উত্তর ৩৬.৭৪৫২৮° পূর্ব |
| স্থাপত্য | |
| ধরন | মসজিদ |
| স্থাপত্য শৈলী | উমাইয়া |
| সম্পূর্ণ হয় | ৮ম শতক |
| বিনির্দেশ | |
| গম্বুজসমূহ | ৫ |
| মিনার | ২ |
হামার বড় মসজিদ ( আরবি: جَامِع حَمَاة ٱلْكَبِير ), সিরিয়ার হামা শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ । এটি দুর্গ থেকে প্রায় ৪০০ মিটার (১,৩০০ ফুট) পশ্চিমে অবস্থিত। এটি ৮ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। তবে ১৯৮২ সালের হামা গণহত্যার সময় এটি মারাত্মকভাবে ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে পুনর্নির্মাণ করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই ভবনের স্থানটি মূলত ৩য় শতাব্দীর একটি রোমান মন্দির ছিল। [১] বাইজেন্টাইন যুগে, সম্ভবত ষষ্ঠ শতাব্দীতে এটিকে গির্জায় রূপান্তরিত করা হয়েছিল। [২] প্রাথমিক ইসলামী যুগে এটি একটি মসজিদে পরিণত হয়। তবে এটি কবে মসজিদে রূপান্তর হয়েছে সে তারিখ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। [৩] [৪] মসজিদটি ধ্বংস হওয়ার আগে পর্যন্ত এর অনেক অংশ রোমান ও খ্রিস্টীয় বাইজেন্টাইন যুগের স্থাপত্য উপাদান পুনরায় ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছিল। ১৪শ শতাব্দীর একজন মুসলিম ইতিহাসবিদ আবু আল-ফিদা’ দাবি করেছিলেন যে, ৬৩৬-৩৭ খ্রিস্টাব্দে, খলিফা উমরের সময়ে শহরটি জয়ের পরপরই গির্জাটি মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু আধুনিক পণ্ডিতরা এই তারিখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তদের মতে এত আগে গির্জাটি মসজিদে রূপান্তরিত হয়নি । কিছু গবেষক, যেমন বার্নার্ড ও'কেন, মনে করেন যে রূপান্তরটি উমাইয়াদ শাসনামলে (৭ম শতকের শেষ বা ৮ম শতকের শুরুতে) ঘটেছিল। অন্যদিকে মারিয়া গুইদেত্তি ধারণা করেন যে এটি ৮ম শতাব্দীর শেষের দিকে, আব্বাসীয় শাসনের শুরুর সময়ে হয়েছে। মসজিদের বিভিন্ন অংশের নির্মাণকাল নিয়েও গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। যেমন, জ্যঁ সোভাগে মনে করেন যে এর উঠানের রিওয়াক (খোলা খিলানযুক্ত বারান্দা) এবং নামাজঘরের পূর্ব ও পশ্চিম দেয়াল উমাইয়াদ আমলে নির্মিত হয়েছিল। তবে আরেক গবেষক কে. এ. সি. ক্রেসওয়েল এই মতের সঙ্গে একমত নন এবং এই তারিখ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। [৫]
বড় মসজিদে দুটি মিনার রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো বর্গাকৃতির টাওয়ার-মিনার, যা নামাজঘরের পাশে অবস্থিত। এর গায়ে খোদাই করা শিলালিপি অনুযায়ী, এটি ১১২৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। তবে কিছু গবেষক মনে করেন এর ভিত্তি উমাইয়াদ আমলের, আবার অন্যদের মতে এটি ১১৫৩ সালে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় মিনারটি অষ্টভুজাকার এবং ১৪২৭ সালে মামলুকরা এটি নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের প্রধান উত্তর দিকের উঠানের পাশে একটি ছোট বর্গাকৃতির উঠান রয়েছে। এখানে ১৩ শতকের দুই আইয়ুবী রাজার সমাধি রয়েছে। [৬]
১৯৮২ সালে হামার গৃহযুদ্ধের সময় সিরিয়ার সরকার এই মসজিদটি এবং ঐতিহাসিক পুরাতন শহরের বেশিরভাগ অংশ প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। পরবর্তীতে সিরিয়ার সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এটি পুনর্নির্মাণ করে ২০০১ সালের মধ্যে, পুনর্গঠন সম্পন্ন হয়। পুনর্নির্মাণে ঐতিহাসিক ভবনের নকশা অনুসরণ করা হয়। [১] কিন্তু মসজিদের সব স্থাপত্যিক উপাদান আগের মতো রাখা হয়নি। [৩]
- আজকের মসজিদ (পুনর্নির্মাণের পর)
- মসজিদের পূর্ব দিকের প্রবেশপথ
- মসজিদের আঙিনা, ডানদিকে গম্বুজযুক্ত কোষাগার ( বাইতুল-মাল ) সহ [২]
- মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত প্রথম মিনার
- মসজিদের উত্তর দিকে মামলুক মিনার
- প্রাঙ্গণ থেকে প্রার্থনা কক্ষে কেন্দ্রীয় প্রবেশপথ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- 1 2 Burns, Ross (২০০৯)। Monuments of Syria: A Guide (ইংরেজি ভাষায়)। Bloomsbury Academic। পৃ. ১৬৪। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৬০৬৪-২৪৪-৯। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে ":0" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - 1 2 O'Kane 2009, পৃ. 219।
- 1 2 O'Kane 2009।
- ↑ Guidetti 2016, পৃ. 25–30।
- ↑ O'Kane 2009, পৃ. 220–223।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়;Mannheimনামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি