বিষয়বস্তুতে চলুন

হামদর্দ (ওয়াক্‌ফ) ল্যাবরেটরীজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ
ধরনঅলাভজনক প্রতিষ্ঠান
শিল্পস্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য
প্রতিষ্ঠাকাল১৯০৬; ১১৯ বছর আগে (1906); পুরাতন দিল্লি, ব্রিটিশ ভারত
প্রতিষ্ঠাতাহাফিজ আব্দুল মজিদ
আনসারুল্লাহ তাবানি
সদরদপ্তরনয়াদিল্লি, ভারত
প্রধান ব্যক্তি
হামিদ আহমেদ (সিইও)
পণ্যসমূহরুহ্ আফজা, ছাফি, রোগান বাদাম শিরিন, সুয়ালিন, জোশিনা, সিনকারা
মার্কাসমূহরুহ আফজা, হামদর্দ খালিস, হামদর্দ গ্লুকোজ-ডি, হামদর্দ ডায়াবেট
ওয়েবসাইটwww.hamdard.in (স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ)
www.hamdard.com (খাদ্য বিভাগ)

হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ভারতের একটি ইউনানি ফার্মাসিউটিক্যাল এবং খাদ্য কোম্পানি। এটি ১৯০৬ সালে দিল্লিতে হাকিম হাফিজ আবদুল মজিদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৪৮ সালে এটি ওয়াকফ (অলাভজনক ট্রাস্ট) হয়ে ওঠে এটি দাতব্য শিক্ষামূলক ট্রাস্ট হামদর্দ ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সাথে সংযুক্ত।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ ১৯০৬ সালে দিল্লিতে হাকিম হাফিজ আব্দুল মজীদ ও আনসারুল্লাহ তাবানির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা উভয়েই ইউনানি চিকিৎসাশাস্ত্রের অভিজ্ঞ ছিলেন। "হামদর্দ" (উর্দু: ہمدرد) একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ "দুঃখে সাথি" বা "দুঃখভোগের সঙ্গী"।

হাকিম হাফিজ আব্দুল মজীদ ১৮৮৩ সালে আধুনিক উত্তরপ্রদেশের পিলভিট শহরে শেখ রহিম বখশ-এর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ মুখস্থ করেন বলে জানা যায়। এছাড়াও, তিনি উর্দু ও ফারসি ভাষার উৎপত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে তিনি ইউনানি চিকিৎসাশাস্ত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন।[]

হাকিম হাফিজ আব্দুল মজীদ এক সময় হাকিম জামাল খানের সঙ্গে পরিচিত হন, যিনি ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে আগ্রহী ছিলেন এবং ঔষধি গাছ চিনতে পারার জন্য সুপরিচিত ছিলেন। স্ত্রীর পরামর্শে, ১৯০৬ সালে দিল্লির হাউজ ক্বাযিতে তিনি একটি ভেষজ দোকান স্থাপন করেন এবং সেখানেই ওষুধ তৈরি শুরু করেন। ১৯২০ সালের মধ্যে ছোট সেই দোকানটি একটি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হয়।

প্রতিষ্ঠাতার ১৯২২ সালে মৃত্যু হলে, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও দুই পুত্র ‘হামদর্দ ট্রাস্ট’ গঠন করেন, যার লক্ষ্য ছিল মুনাফার ৮৫ শতাংশ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা।[] তার ছেলে হাকিম আব্দুল হামিদ মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে তার ছোট ভাই হাকিম মুহাম্মদ সাঈদ এতে যোগ দেন এবং ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তানে গিয়ে করাচিতে হামদর্দ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৬৪ সালে ‘হামদর্দ ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়, যার মাধ্যমে কোম্পানির সমস্ত মুনাফা সমাজের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।[]

হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের দুটি উৎপাদন কারখানা রয়েছে—একটি গাজিয়াবাদ, উত্তরপ্রদেশে এবং অন্যটি মানেসর, হরিয়ানায়।[][]

কোম্পানির ৫০০ টিরও বেশি প্রাকৃতিক এবং ভেষজ-ভিত্তিক পণ্য রয়েছে। এর কিছু পরিচিত পণ্য হল শরবত রুহ আফজা , সাফি , পাচনৌল, রোগান বাদাম শিরিন, সুয়ালিন, জোশিনা এবং সিনকারা।

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Meet Hakim Hafiz Abdul Majeed, the man behind Rooh Afza: Know about his journey, family & net worth"The Financial Express। মে ১৩, ২০২৩। 
  2. Manmohan, Nutan (আগস্ট ২৬, ২০২৩)। "Hamdard's Rooh Afza—the medicine syrup that turned into luxury drink for India & Pakistan"The Print 
  3. New-look Hamdard gets down to business ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে in Indian Express, 20 January 2001
  4. "Heavy metal warning for Ayurvedic medicinal products"। CBC News। ৪ মার্চ ২০০৫। ১৭ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 
  5. "Metal content found in Ayurvedic drugs"IBN Live। ৫ জানুয়ারি ২০০৬। ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৩