হাজিপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাজিপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, দৌলতখান
ধরনএমপিও ভুক্ত
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯২৩; ১০১ বছর আগে (1923-01-01)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬- ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান)
অধ্যক্ষহাফেজ মোঃ মোহসেন
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তিবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষার্থীআনু. ১০০০
অবস্থান, ,
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন

হাজিপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী ইসলামি বিদ্যাপিঠ আলিয়া মাদ্রাসা[১][২] ১৯১২ সালে মাদ্রাসাটি স্থানীয়ভাবে বড় হুজুর নামে পরিচিত মাওলানা আবদুর রহিম (১৮৮২-১৯৭৮) প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটি বর্তমানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি মাদ্রাসা, এবং মাদ্রাসার দাখিল ও আলিম শ্রেণীর জন্য এটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন রয়েছে। মাদ্রাসাটি দক্ষিণ বাংলার প্রসিদ্ধ ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।[১] মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম হাফেজ মোঃ মোহসেন।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯১২ সালে স্থানীয়ভাবে মাত্র চারজন ছাত্র আবদুর রহিম মাদ্রাসার যাত্রা শুরু করেন। আব্দুর রহিম কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা শেষ এলাকায় এসে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান আনজুমান-ই-মুফিদুল ইসলামের কার্যক্রম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজ বাসভবনে এই মাদ্রাসাটি সম্পূর্ণ নিজের খরচেই চালনা করতে থাকেন। ১৯২৫ সালে মাত্র ১৩ বছরেই মাদ্রাসাটি একটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় উন্নীত হয়।

এরপর ২০০৬ সালে ফাজিল শ্রেণীকে সাধারণ ডিগ্রি সমমান প্রদানের জন্য এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধিভুক্ত হয়, এবং ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে মাদ্রাসাটি সেখানে স্থানান্তরিত হয়।

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

১৯৩০ সাল থেকে এই মাদ্রাসায় সমসাময়িক আদুনিক মহাবিদ্যালয়ের সিলেবাসের সঙ্গে মিল রেখে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এখানে কুরআন-হাদিসের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, দর্শন প্রভৃতি পড়ানো হতো। উক্ত অঞ্চলের নারী শিক্ষার প্রয়োজনে মাদ্রাসায় একটি বালিকা শাখাও খোলা চালু করা হয়। এই মাদ্রাসাটি অত্র অঞ্চলে জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছে, এবং অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এখান থেকে শিক্ষা লাভ করেছে।[১] এছাড়াও এই মাদ্রাসার উদ্যোগে প্রতিবছর জালসা আয়োজন হয়ে থাকে।[৩]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]