হাঙ্গেরিতে পর্নোগ্রাফি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
"মিশেল ওয়াইল্ড" নামে পরিচিত কাটালিন ভাদ ২০০১ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে হাঙ্গেরির অন্যতম নেতৃস্থানীয় পর্নোগ্রাফিক অভিনেত্রী ছিলেন।
পর্নোগ্রাফি আইনের বৈশ্বিক মানচিত্র:
  সাধারণত বৈধ তবে কিছু চরম ব্যতিক্রম এবং শিশু পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ
  ব্যাপক বিধিনিষেধ অথবা দ্ব্যর্থহীন অবস্থার অধীনে কিছুক্ষেত্রে আংশিক বৈধ
  বেআইনি
  তথ্য পাওয়া যায়নি

হাঙ্গেরিতে পর্নোগ্রাফির ইতিহাস প্রধানত ১৯৮৯ সালে সমাজতন্ত্রের পতনের পর থেকে। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে হাঙ্গেরিতে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ অবৈধ ছিল, কিন্তু হাঙ্গেরীয় গণপ্রজাতন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের পতনের পরপরই এগুলোকে আইনের অধীনে আনা হয়। সরকারী অনুমোদিত নীতির কারণে শীঘ্রই দেশটি ইউরোপীয় পর্নোগ্রাফি শিল্পের অগ্রভাগে পৌঁছে যায়। বেশ কয়েকজন বিদেশী পর্নোগ্রাফি পরিচালক দেশটির উদারনৈতিক আইনের প্রতি আকৃষ্ট হন। ঘটনাক্রমে, দেশীয় প্রযোজকও সমৃদ্ধ হতে শুরু করে এবং বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এখাতে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের উল্লেখযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করেন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সমাজতান্ত্রিক যুগে, পর্নোগ্রাফি পাশ্চাত্য অবক্ষয়ের একটি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং এটি অবৈধ ছিল।[১] হাঙ্গেরীয় গণপ্রজাতন্ত্রের পতনের পরপরই আইনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি বৈধ করা হয়।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

হাঙ্গেরিতে উৎপাদিত পর্নোগ্রাফি বিভিন্নভাবে মার্কিন পর্নোগ্রাফি থেকে ব্যাপক আলাদা। অনেক ক্ষেত্রেই তরুণীরা রাজধানীতে ভাগ্য খোঁজার চেষ্টায় আসার পর একাজে যুক্ত হয়। অত্যন্ত সফল পর্নোশিল্পী মায়া ডায়মন্ড বলেছেন: "আমি একটি ছোট গ্রাম থেকে এসেছি। আমি দারিদ্র্য থেকে পালাতে চেয়েছিলাম এবং আমার ভাই ও আমার মাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।"[২] এই কারণে নারীরা তাদের মার্কিন সহকর্মীদের তুলনায় অনেক বেশি স্বাভাবিক, তাদের শরীরে বেশিরভাগ কৃত্রিম পরিবর্তন অনুপস্থিত যেমন অস্ত্রোপচার, উল্কি, ছিদ্র[৩]

প্রযোজক এবং অভিনয়শিল্পী[সম্পাদনা]

ক্রিস্টোফ ক্লার্ক হাঙ্গেরীয় পর্নোগ্রাফি শিল্প বিকাশের পথিকৃৎ ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

হাঙ্গেরীয় পর্নোগ্রাফি শিল্পের অগ্রদূত বিদেশী প্রযোজক যারা অনুকূল অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আকর্ষণীয় নারী শিল্পীদের ক্রমাগত সরবরাহের কারণে এই দেশের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। ফরাসি অভিনেতা এবং পরিচালক ক্রিস্টোফ ক্লার্ক দাবি করেন যে তিনি প্রথম, যখন তিনি ১৯৯১ সালের শুরুতে একাজের জন্য বুদাপেস্টে চলে আসেন।

প্রাথমিকভাবে, নারী শিল্পীরা তুলনামূলকভাবে বেনামী ছিল; তাদের শুধুমাত্র প্রথম নাম দ্বারা চিহ্নিত করা হতো এবং কয়েকটি চলচ্চিত্রের জন্যই ব্যবহার করা হতো। প্রযোজনা সংস্থাগুলি নামের স্বীকৃতি এড়াতে চেয়েছিল, যাতে মজুরি কম পর্যায়ে রাখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে, কিছু শিল্পী দর্শকদের মধ্যে একজন অনুসারী তারকা হিসাবে আবির্ভূত হতে শুরু করে। হাঙ্গেরিতে উৎপাদিত চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক বিতরণের কারণে, বেশীরভাগ শিল্পী আন্তর্জাতিকভাবে সাউন্ডিং স্ক্রিন নাম পছন্দ করেন, যেমন নিকি এন্ডারসন (সুইডিশ), মনিক কোভত (ফরাসি) বা মিশেল ওয়াইল্ড (ইংরেজি)।[৪] ওয়াইল্ড, যার আসল নাম কাটালিন ভাদ, তিনি মূলধারার স্টারডম অতিক্রম করতে সক্ষম হন এবং সোপ অপেরা জোবান রসবানে একজন টেলিভিশন অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন।[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bohlen, Celestine (১৯৯০-০৫-১২)। "Evolution in Europe; Sex Magazines and Massage Parlors Test Hungary's New Limits"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-২১ 
  2. Picón, Pedro (২০০৮-০৫-২৭)। "'Buda-sex' and the Hungarian porn industry"Café Babel। ২০০৯-১১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-২১ 
  3. Sigel (2005), pp. 185–6.
  4. Sigel (2005), p. 185.
  5. "Michelle Wild (I)"IMDb। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]