হকি হেলমেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাউয়ার আইস হকির সিল্ড এবং কানের প্রহরী সহ হেলমেট

হকি হেলমেট আইস হকি, ইনলাইন হকি এবং ব্যান্ডির খেলোয়াড়রা পরে থাকেন যাতে পাক, স্টিক, স্কেট, বোর্ডস, অন্যান্য খেলোয়াড় বা বরফের থেকে মাথায় আঘাতের সময় মাথাটিকে সম্ভাব্য চোট থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। হকি হেলমেটের শেলটি সাধারণত ভিনাইল নাইট্রাইল নামক পদার্থ দিয়ে তৈরি যা সংস্পর্শ স্থল থেকে প্রযুক্ত বলকে (ফোর্স) বিক্ষিপ্ত করে দেয় এবং লাইনার অংশটি তৈরী হয় ভিনাইল নাইট্রাইল ফোম বা প্রসারিত পলিপ্রোপিলিন ফোম বা ফেনা দ্বারা অথবা অন্য কোনও উপাদান দ্বারা যার শক্তি শোষণ ক'রে কনকাশন সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। [১] হকি হেলমেট মাথার পিছন দিকের অংশটি বা অক্সিপিটাল স্ফীতি দ্বারা মাথাকে চেপে ভিতরে থেকে ঢুকিয়ে দেয়। হেলমেট নির্মাতাদের একটি চার্ট থাকে যাতে তাদের হেলমেটগুলির আকারের সাথে মাথার মাপের সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে একটি তালিকা দেওয়া থাকে। বেশিরভাগ আধুনিক হেলমেটেরই সরঞ্জাম-মুক্ত সামঞ্জস্য রয়েছে। তবে পুরানো মডেলগুলিতে সামনের অংশকে সামনে বা পিছনে সহজে ঠেলে দেওয়ার জন্য (স্লাইড) পাশের স্ক্রুগুলি আলগা করে হেলমেটের আকারটির সামঞ্জস্য বিধান করতে হয়।

মুখের সম্পূর্ণ সুরক্ষা[সম্পাদনা]

দুজন এনসিএএ খেলোয়াড় পূর্ণ খাঁচাযুক্ত হেলমেট পরা।

আইস হকিতে খাঁচা হ'ল মুখ এর আঘাতের সম্ভাবনা হ্রাস করতে হেলমেটের সামনের দিকে সংযুক্ত একটি ডিভাইস। এতে একটি ধাতব বা যৌগবস্তুর জাল রয়েছে যা পুরো মুখকে ঢেকে দেয়। যদিও কিছু অর্ধ-খাঁচার অস্তিত্বও রয়েছে দেখা যায় (পুরো বায়ু প্রবাহের সুযোগ দেওয়ার সাথে চোখ রক্ষা করতে)। বার বা খাঁচায় এমন যথেষ্ট ফাঁক থাকে যাতে ক্রিয়াকলাপ দেখার সুযোগও মেলে আবার পাক ও স্টিক আটকে দিয়ে মুখের চোট-আঘাত রোধেও সেটি যথেষ্ট সক্ষম হয়। হাইব্রিড প্রকরণের পূর্ণ-মুখের শিল্ডে পলিকার্বনেট নির্মিত শিল্ড থাকে উপরের অর্ধে এর নীচের অর্ধে থাকে পলিকার্বোনেট অথবা ধাতব খাঁচা।

উত্তর আমেরিকায় অনেক অপেশাদার লীগে পুরো মুখের সুরক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হাই স্কুল হকি, কলেজ হকি এবং অনূর্ধ্ব ১৮ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে মুখের পূর্ণ ঢাকা খাঁচা, পূর্ণ শিল্ড অথবা শিল্ড ও খাঁচা সমন্বয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এনএইচএল প্লেয়ার জর্জ পিয়ারসন্স ১৯৩৯ সালে চোখের চোটের কারণে খেলোয়াড় জীবন থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়ে ছিলেন।[২] তিনি পরে সিসিএম এর সাথে জড়িত হন এবং খেলোয়াড়দের পক্ষে নিরাপদ হেলমেট ও মুখের সুরক্ষা বিকাশ করতে সহায়তা করেছিলেন। ১৯৭৬ সালের প্রথম দিকে সিসিএম চোখের ও মুখের শিল্ড এবং নীচের দিকে মুখের প্রোটেক্টর সহ একটি হকি হেলমেট তৈরি করেছিল যা কানাডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন এবং কানাডিয়ান অ্যামেচার হকি অ্যাসোসিয়েশন উভয়ের দ্বারাই অনুমোদিত হয়েছিল।[৩]

মুখের সুরক্ষা গবেষণা[সম্পাদনা]

২০০২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন কনকাশনের বিরুদ্ধে অর্ধ-মুখের শিল্ড এবং পুরো-মুখের শিল্ড এর সুরক্ষা চিহ্নিত করে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। সেই নিবন্ধে দেখানো হয় যে অর্ধ-মুখের শিল্ডের তুলনায় পূর্ণ-মুখের শিল্ড ব্যবহারে কনকাশন-জনিত কারণে খেলার সময় নষ্ট হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক হ্রাস পেয়েছে। এর থেকে এই পরামর্শই পাওয়া যায় যে একটি পূর্ণ-মুখের শিল্ড ব্যবহারের ফলে কনসশন তীব্রতাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rousseau, P.; Post, A.; Hoshizaki, T. B. (২০০৯)। "The effects of impact management material in ice hockey helmets on head injury criteria"। Proceedings of the Institution of Mechanical Engineers, Part P: Journal of Sports Engineering and Technology223 (4): 159–65। আইএসএসএন 1754-3371ডিওআই:10.1243/17543371JSET36 
  2. "George Parsons"Legends of Hockey। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২১ 
  3. "George Henry Parsons Bio"CCM Vintage। ২০১৫-০১-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২১ 
  4. Benson, B W; Rose, M S; Meeuwisse, W H (২ নভেম্বর ২০০১)। "The impact of face shield use on concussions in ice hockey: a multivariate analysis"British Journal of Sports Medicine। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৭