হংস ভগবান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হংস ভগবান
নিম্বার্ক সম্প্রদায়
দেবনাগরীश्री हंस भगवान
অন্তর্ভুক্তিবিষ্ণুর অপর রূপ
অস্ত্রশঙ্খ, সুদর্শন চক্র, গদা ও পদ্ম

হিন্দু ধর্মমতে, নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের প্রথম গুরু হচ্ছেন শ্রীহংস ভগবান, যিনি স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর চব্বিশটি অবতারের মধ্যে একজন। সৃষ্টির প্রারম্ভে সত্যযুগে ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং নিজে চতুর্ভুজ রূপ ধারণ করে শঙ্খ, চক্র, গদা, ও পদ্ম যুক্ত হয়ে হংসাবতার[১] নামে ব্রহ্মার মানসপুত্র সনকাদি ঋষিদের নিকট অবতীর্ণ হয়েছিলেন

শ্রীমদ্ভাগবতে কথিত আছে যে ব্রহ্মা নিজের মানসপুত্র, সনক, সনন্দ, সনৎকুমার ও সনাতন, এই চারিজনকে সৃষ্টি করে প্রজা বিস্তার করার উপদেশ দিলেন। কিন্তু তাঁরা সংসার প্রপঞ্চে লিপ্ত হতে অনিচ্ছুক ছিলেন সেই জন্য তাঁরা পিতা ব্রহ্মার নিকট এই সংসার প্রপঞ্চ থেকে মুক্ত হওয়ার উপদেশ যাচনা করলেন। পিতা ব্রহ্মা তখন সৃষ্টি কার্যে ব্যস্ত হওয়াতে প্রবল রজোগুণের দ্বারা অভিভূত ছিলেন সেই জন্য তিনি সনকাদি ঋষিগণকে ব্রহ্মবিদ্যা সম্বন্ধে উপদেশ প্রদান করতে অসমর্থ হলেন। তখন তিনি এই কার্যের জন্য ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করে তাঁকে আহ্বান করেছিলেন। শ্রীভগবান তখন হংসাবতার রূপে অবতীর্ণ হয়ে সনকাদি ঋষিগণকে ব্রহ্মবিদ্যা সম্বন্ধে উপদেশ করে মুক্তির মার্গে প্রেরিত করেছিলেন।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভাগবতে উদ্ধব বাণী[সম্পাদনা]

তস্যাহং হংসরূপেণ সকাশমগমং তদা। (শ্রীমদ্ভাগবৎ, ১১।১৩।১৯)

অর্থাৎ – তখন আমি হংসরূপ ধারণ করে তাঁর নিকট উপস্থিত হয়েছিলাম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পুনরায় বললেন –

জানীত মাগতং যজ্ঞং যুষ্মদ্ধর্মরিবক্ষয়া। (শ্রীমদ্ভাগবৎ, ১১।১৩।৩৮)

অর্থাৎ – তোমাদের ধর্ম উপদেশ করার জন্য হংসরূপে আগত আমাকে বিষ্ণু বলে অবগত হও(সনকাদি ঋষিকে হংস ভগবান বলছেন)।

তিনি যে সত্য যুগে ভগবদাবতার ছিলেন তার উল্লেখ শ্রীমদ্ভাগবতে অন্যত্র পাওয়া যায়।

কৃতে শুক্লশ্চতুর্বাহুর্জটিলো বল্কলাম্বরঃ।

কৃষ্ণাজিনোপবীতাক্ষান্ বিভ্রদ্দন্ড কমন্ডলু।।

হংসঃ সুপর্ণো বৈকুন্ঠো ধর্মো যোগেশ্বরোঽমলঃ।

ঈশ্বরঃ পুরুষোঽব্যক্তঃ পরমাত্মেতি গীয়তে।। (শ্রীমদ্ভাগবৎ, ১১।৫।২১,২৩)

অর্থাৎ – সত্যযুগে শ্রীভগবান শুক্লবর্ণ, চতুর্বাহু, জটাযুক্ত, বল্কল বস্ত্র পরিধারী, কৃষ্ণসার মৃগচর্ম, উপবীত, অক্ষমালা ও দন্ড, এবং কমন্ডলুধারী হন। উক্ত সত্য যুগে শ্রীভগবান হংস, সুপর্ণ, বৈকুন্ঠ, ঈশ্বর, পুরুষ, অব্যক্ত, ও পরমাত্মা ইত্যাদি নামে কীর্তিত হন।

গোপাল সহস্রনাম এবং বিষ্ণুসহ্স্রনাম স্তোত্রদ্বয়েও শ্রীভগবানের একটি নাম “হংস” বলে উল্লেখিত আছে। যথা –

অচ্যুতঃ কেশবো বিষ্ণুর্হরিঃ সত্যো জনার্দনঃ

হংসো নারায়ণো লীলো নীলো ভক্তি পরায়ণঃ। (গোপালসহস্রনাম, ৭৫)

মরীচির্দমনো হংসঃ সুপর্ণো ভুজগোত্তমঃ।

হিরণ্যনাভঃ সুতপাঃ পদ্মনাভঃ প্রজাপতি।। (বিষ্ণুসহস্রনাম, ২১)

হংস শব্দের অর্থ হচ্ছে – হংসো যথা ক্ষীরনীরবিবেচনে শক্তস্তথাঽসৌ সার্বজ্ঞ্যাদ্যনন্তগুণশক্ত্যাদিমত্ত্বেন জনজ্জ্ন্মাদিব্যাপারকর্ত্তৃত্বা-চ্চেতনাচেতনয়োর্বিবেচননৈপুণ্যবানিতি। (মন্ত্ররহস্যটীকা)

অন্য অর্থে "হংস ভগবান"[সম্পাদনা]

হংস যেমন দুধ ও জলের পার্থক্য বুঝতে সক্ষম, সেই রকম এই হংসও যিনি সর্বজ্ঞত্ব আদি অনন্ত গুণ বিশিষ্ট এবং জগতের সৃষ্টি আদির ব্যাপারের কর্তা হওয়াতে তিনি চেতন (আত্মা) ও অচেতনের (বিনশ্বর জগতের) প্রভেদ বুঝতে নিপুণ।সরল ভাষায় বলতে গেলে – হংস যেমন দুধ ও জলের মিশ্রণ থেকে জল পরিত্যাগ করে সার পদার্থ দুধকে গ্রহণ করে তদ্রূপ এই হংস বিষয় ও ইন্দ্রিয়রূপী জগতের সাথে জড়িত আত্মা থেকে বাহ্যিক অসার অচেতন জগৎকে পৃথক করে তার অন্তরনিহিত চেতন স্বরূপ সার আত্মাকে গ্রহণ পূর্বক আত্মজ্ঞানের উপদেশাদি প্রদান করতে সমর্থ।

হংস শব্দের অন্য একটি ব্যাখ্যায় বলা হয় – হন্তীতি হংস (হন্তি ইতি হংস)। “হন্তি”র অর্থ হনন করা বা নাশ করা গ্রহণ করলে হংস শব্দের অর্থ দাঁড়ায় – “সোহহম্” অর্থাৎ – “আমি সেই”, এই ভাবের উপাসকের সংসার বন্ধন বা ভীতি যিনি হনন করেন বা নাশ করেন তিনিই হংস।

ভগবান শ্রীবিষ্ণুর অবতার হংস ভগবান সত্যযুগে অবতীর্ণ হয়ে সনকাদি ঋষিগণকে মোক্ষপ্রদ ব্রহ্মবিদ্যা প্রদান করে আমাদের সম্প্রদায়ে সর্বপ্রথম ও সর্বাদি সদ্গুরুর স্থান অধিকার করেছিলেন।

হংস গীতা[সম্পাদনা]

হংস গীতা (সংস্কৃত) (উদ্ধব গীতা নামেও পরিচিত) কৃষ্ণ তার জাগতিক 'অবতরণ' (সংস্কৃত: অবতার) এবং 'বিনোদন' (সংস্কৃত: লীলা) শেষ করার আগে উদ্ধবের কাছে কৃষ্ণের চূড়ান্ত বক্তৃতা নিয়ে গঠিত। যদিও উদ্ধব গীতা প্রায়ই এককভাবে একটি একক কাজ হিসাবে প্রকাশিত হয়, ভাগবত পুরাণের একাদশ ক্যান্টো তে ও দেখা যায় যে ৪০ ধারা ৬ থেকে ২৯ ধারা শেষ পর্যন্ত শুরু হয়, যার মধ্যে ১০০০-এর ও বেশি শ্লোক (সংস্কৃত: শ্লোক) রয়েছে এবং পুরাণসাহিত্যের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বক্তৃতায় একটি অবধুতার কাহিনী রয়েছে এবং যদিও সামগ্রিকভাবে ভাগবত পুরাণের মধ্যে এই ব্যক্তিত্বের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, বৈষ্ণব ঐতিহ্য এবং বৃহত্তর সনাতন ধর্ম এই এজেন্সিকে দত্তাত্রেয় কে বর্ণনা করে।

পাণ্ডুলিপি এবং পাঠ্য[সম্পাদনা]

উদ্ধব গীতা ও হামসা গীতা নামগুলি জনপ্রিয়ভাবে বিনিময়যোগ্য কিন্তু হামসা গীতা এছাড়াও বিশেষভাবে উদ্ধব গীতা এবং ভাগবত পুরাণের একটি উপসেট নির্দেশ করে।[২]

নামকরণ, তত্ত্ব এবং ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

হামসা গীতা (সংস্কৃত) (এছাড়াও উদ্ধব গীতা নামেও উল্লেখ করা হয়) যেখানে হামসা পরমহংসের জন্য একটি রূপক এবং একই সাথে প্রকৃতিতে স্পষ্ট দয়ার একটি প্রাকৃতিক শিক্ষক। হামসা (সংস্কৃত ভাষায় এবং প্রায়ই লিখিত হানসা) একটি রাজহাঁস বা হাঁস, প্রায়ই নীরব রাজহাঁস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু সত্যিই বার-হেড হাঁস। এটি ভারতীয় সংস্কৃতিতে একটি প্রতীক এবং একটি সাজানো উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 'গীত' (সংস্কৃতভাষায় আক্ষরিক অর্থে "গান" শব্দটি; দেবনাগরী।

ইংরেজি বক্তৃতা[সম্পাদনা]

তিগুনাইট (২০০২: পৃ ৩৯-৪৫) উদ্ধব গীতায় দত্তাত্রেয় ২৪ জন শিক্ষকের আখ্যানকে ইংরেজিতে[৩] রূপান্তরিত করেন। যদিও পণ্ডিতদের ঐকমত্য ভাগবত পুরাণকে অনেক মুখের মৌখিক ঐতিহ্যের একটি যৌগিক কাজ বলে মনে করে, বৈষ্ণব[৪] ঐতিহ্য ও ভাগবত পুরাণ নিজেই বিশ্বাস করে যে এটি ব্যাসদেব দ্বারা লিখিত। এতে বলা হয়েছে, হামসা গীতার বর্ণনাকারী ব্যাস দেবের পুত্র ঋষি শুকা[৫]। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ যৌগিক হলেও, এটা "... সমন্বয় বা কম্প্যাক্টের অভাব দেখায় না যা অনেক লেখকের দ্বারা পরিচালিত কাজকে চিহ্নিত করতে হবে..." "ফোরওয়ার্ড টু ব্রাউন অ্যান্ড সরস্বতী" (২০: পৃ ৮) এবং তারপর উপাধ্যায় আরও বলেন যে হামসা গীতা ও ভাগবত পুরাণের কবি যাই হোক না কেন তিনি একজন কবি যিনি একটি জটিল কারিগরে প্যাটার্ন এবং রূপক ব্যবহার করেন। হাইগ (২০০৭: পৃ ১২৭) উদ্ধব গীতার উপর তার কাজের উদ্বোধনী অনুচ্ছেদে পরিবেশ শিক্ষার একটি মডেল হিসেবে তার আমদানিকে ফ্রেমবন্দি করেছেন:

শ্রী দত্তাত্রেয়, যিনি ভগবান কৃষ্ণ উদ্ধব গীতায় উদ্ধৃতি দিয়েছেন, পরিবেশ শিক্ষার জন্য গুরু হিসেবে উদ্ভূত হয়েছেন। শ্রী দত্তাত্রেয় জগৎ পর্যবেক্ষণ করিয়া জ্ঞান লাভ করিলেন, যাতাঁহাকে চব্বিশ জন প্রশিক্ষক প্রদান করিয়াছিলেন। এগুলি তাঁকে আধ্যাত্মিক আসক্তির অপদার্থতা, চিন্তা ও সহনশীলতার উপকারিতা এবং সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক আত্মউপলব্ধির একটি পথ শিখিয়েছে। শ্রী দত্তাত্রেয়, ভগবান বিষ্ণুর অবতার, বেশ কয়েকটি পুরাণে বৈশিষ্ট্য যুক্ত যেখানে তাঁর শিক্ষা শিক্ষার্থীদের প্রবণতা এবং কুসংস্কারের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ জড়িত। তার মূল বার্তা হচ্ছে "কখনও পৃষ্ঠের চেহারা দ্বারা বিচার করবেন না কিন্তু সবসময় একটি গভীর সত্য অন্বেষণ করুন": পৃথিবী পবিত্র, ঈশ্বরের একটি দিক, এবং একটি ধাঁধা যা আধ্যাত্মিক আত্মাকে তার প্রকৃত প্রকৃতিতে জাগিয়ে তোলার চ্যালেঞ্জ করে।

পরমহংস (২০০৮: অপ্যাগিনাকরা) শ্রীমদ ভাগবতের তত্ত্বাবধানে গীতা সাহিত্যের একটি স্যুইডেনের আয়োজন করে এবং ধরে রাখে যে এগুলো সবই মনিজমের গান:

"শ্রীমদ ভাগবতে যে গীতা গুলি উদ্ধব-গীতা, রুদ্র-গীতা, ভিক্ষু-গীতা, শ্রুতি-গীতা, হামসা-গীতা মনিজমকে তাদের দর্শনের সারমর্ম হিসেবে প্রস্তাব করে।

উপাধ্যায়, ফোরওয়ার্ড টু ব্রাউন অ্যান্ড সরস্বতী (২০: পৃ ৮) মনে করেন যে সরস্বতী (ইনি অম্বিকানন্দ) যিনি নিজে একজন সন্ন্যাসী এবং খুব অল্প বয়স থেকে এই আশ্রম গ্রহণ করেছেন, তিনি এইভাবে লিখেছেন:

স্বামী অম্বিকানন্দের কাজ মেট্রিক রচনায় রূপান্তরিত করার সাফল্য সংস্কৃতের বহুমুখীতা এবং মূল লেখার সুস্পষ্টতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তার অনুবাদ পদ্ধতি দুটি বিবেচনা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তিনি ভাষার আনুষ্ঠানিক এবং গতিশীল উভয় দিক মাথায় রেখে ঘনিষ্ঠ সমতুল্য খুঁজতে চেয়েছেন; এবং তার ব্যাখ্যামূলক অনুবাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে অভিব্যক্তির সম্পূর্ণ স্বাভাবিকতা, পাঠককে তার নিজস্ব সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে আচরণের পদ্ধতির দিকে ইঙ্গিত করা।

ব্রাউন এবং সরস্বতী (২০: পৃ ১৪) মনে করেন যে ভেঙ্কটেসানন্দ (১৯২১ - ১৯৮২) এবং তাঁর গুরুজী শিবানন্দ (১৮৮৭ - ১৯৬৩) এই কাজের জন্য তার হৃদয় খুলে দিয়েছেন:

স্বামী শিবানন্দ ও স্বামী ভেঙ্কটেসানন্দ এই পবিত্র গ্রন্থের প্রতি আমার হৃদয় খুলে দিয়েছিলেন, এবং তাদের শিক্ষাই আমাকে এই অনুবাদ করতে সক্ষম করেছিল, যা সকল আধ্যাত্মিক সাধকদের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hamsa Gita - Wikipedia"en.m.wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮ 
  2. "Hamsa Gita - Wikipedia"en.m.wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮ 
  3. "Hamsa Gita - Wikipedia"en.m.wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮ 
  4. "Hamsa Gita - Wikipedia"en.m.wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮ 
  5. "Hamsa Gita - Wikipedia"en.m.wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮ 
  6. "Hamsa Gita - Wikipedia"en.m.wikipedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • হাই, মার্টিন (২০০৭) 'শ্রী দত্তাত্রেয়ের ২৪ গুরুরা: হিন্দু ঐতিহ্যে বিশ্ব থেকে শিক্ষা গ্রহণ'। পরিবেশগত শিক্ষার কানাডিয়ান জার্নাল; আয়তন ১২, সংখ্যা ১, ২০০৭: পৃষ্ঠা ১২৭–১৪২। সূত্র:[১] (অ্যাক্সেস: সোমবার ৮ ই মার্চ, ২০১০)
  • পরমহংস, কে। আর (২০০৮)। একাম স্যাট ৫. টোটালকল প্রকাশনা, অন্তর্ভুক্ত। আইএসবিএন ১-৫৯০৯৫-৮৭৩-এক্স, ৯৭৮১৫৯০৯৫৮৭৩৫ উৎস:[১] (অ্যাক্সেস: সোমবার ৮ মার্চ, ২০১০)
  1. Paramahamsa, K. R. (2008-08)। Ekam Sat (ইংরেজি ভাষায়)। TotalRecall Publications। আইএসবিএন 978-1-59095-873-5  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)