স্যামি জোন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যামি জোন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৮৬১-০৮-০১)১ আগস্ট ১৮৬১
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১৪ জুলাই ১৯৫১(1951-07-14) (বয়স ৮৯)
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩০)
১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১০ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৮ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১২ ১৫২
রানের সংখ্যা ৪২৮ ৫১৮৯
ব্যাটিং গড় ২১.৩৯ ২১.০৯
১০০/৫০ ০/১ ৫/২৪
সর্বোচ্চ রান ৮৭ ১৫১
বল করেছে ২৬২ ৩৮৬০
উইকেট ৫৫
বোলিং গড় ১৮.৬৬ ৩৩.৫২
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৪৭ ৫/৫৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১২/০ ৮১/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ মার্চ ২০১৭

স্যামুয়েল পার্সি স্যামি জোন্স (ইংরেজি: Sammy Jones; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৮৬১ - মৃত্যু: ১৪ জুলাই, ১৯৫১) সিডনিতে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮২ থেকে ১৮৮৮ সালে পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে বারো টেস্টে অংশ নিয়েছেন স্যাম জোন্স নামে পরিচিত স্যামি জোন্স। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস,[১] কুইন্সল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৮৮২, ১৮৮৬, ১৮৮৮ ও ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ১৮৯৬-৯৭ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ড দলের পক্ষে নিউজিল্যান্ড সফর করেছেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৮৮৬ সালের সফরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৪.৯৫ গড়ে ১৪৯৭ রান তুলেন। দুইটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ওভালে জেন্টলম্যানের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা ১৫১ রান করেন। তার ব্যাটিংয়ের দক্ষতার কারণে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩০ বছরের অধিক সময় পার করান।

কিছু নিখুঁত টেস্ট রান সংগ্রহ করলেও বেশ কয়েকবার টেস্ট ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোয় মাঠের কার্যকলাপে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৮৮২ সালের টেস্ট খেলায় ডব্লিউজি গ্রেসের সাথে ঘটনার সূত্রপাত ঘটান। বল ডেড হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি রান-আউটের শিকার হন।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ টেস্ট রান ৮৭ তুলেন। কিন্তু তার এ সংগ্রহ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে রূপকথা তুল্য হলেও দূর্ভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে।[২]

অবসর[সম্পাদনা]

১৯০৪ সালে নিউজিল্যান্ড নিবাস গড়েন।[৩] প্রথমে গ্রাফটন ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবকে কোচিং করান ও পরে অকল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করেন।[৪] ডিসেম্বর, ১৯০৮ সালে ৪৭ বছর বয়সে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন অকল্যান্ডের পক্ষে।

১৪ জুলাই, ১৯৫১ তারিখে অকল্যান্ডে তার দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "List of Players who have played for New South Wales". www.cricketarchive.com. Retrieved 27 March, 2017
  2. Ashes 2010: The Special Significance of the Number 87 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে — World Cricket Watch
  3. Wisden 1952, p. 958.
  4. "Cricket"The New Zealand Herald। XLIII (13277)। ৮ সেপ্টেম্বর ১৯০৬। পৃষ্ঠা 8। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৬ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]