স্কট বর্থউইক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্কট বর্থউইক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামস্কট জর্জ বর্থউইক
জন্ম (1990-04-19) ১৯ এপ্রিল ১৯৯০ (বয়স ৩৩)
সান্ডারল্যান্ড, টাইন ও ওয়্যার, ইংল্যান্ড
উচ্চতা৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কডি বর্থউইক (কাকা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৬৬০)
৩ জানুয়ারি ২০১৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২২০)
২৫ আগস্ট ২০১১ বনাম আয়ারল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৩ অক্টোবর ২০১১ বনাম ভারত
ওডিআই শার্ট নং৩৭
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৮–২০১৬ডারহাম (জার্সি নং ১৬)
২০১৫–২০১৭ওয়েলিংটন
২০২০–বর্তমানডারহাম (জার্সি নং ৬)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৬৯ ৯৯
রানের সংখ্যা ১৮ ৯,২৮৮ ১,৩৫০
ব্যাটিং গড় ২.৫০ ৯.০০ ৩৫.৭২ ২২.১৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ১৯/৫০ ০/৭
সর্বোচ্চ রান ১৫ ২১৬ ৮৭
বল করেছে ৭৮ ৫৪ ১২,২৪১ ২,৭৫০
উইকেট ২০৮ ৬৯
বোলিং গড় ২০.৫০ ৩৮.৯৪ ৪০.১৮
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - - -
সেরা বোলিং ৩/৩৩ ৬/৭০ ৫/৩৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ০/– ২২১/– ৩২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

স্কট জর্জ বর্থউইক (ইংরেজি: Scott Borthwick; জন্ম: ১৯ এপ্রিল, ১৯৯০) টাইন ও ওয়্যারের সান্ডারল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন স্কট বর্থউইক

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে বর্থউইকের কাকা ডেভিড বর্থউইক নর্দাম্বারল্যান্ডের পক্ষে লিস্ট এ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে নর্থ ইস্ট প্রিমিয়ার লীগে ফিলাডেলফিয়ার পক্ষে খেলেছিলেন স্কট বর্থউইক। ২০০৬ সালে ডারহামের দ্বিতীয় একাদশের খেলাগুলোয়ও বেশ ভূমিকা রাখেন। ২০০৭ ও ২০০৮ সালের নর্থ ইস্ট প্রিমিয়ার লীগে ডারহাম একাডেমির পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, ২০০৯ সালে ডারহামের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে টাইনমাউথ ক্রিকেট ক্লাবে খেলে দলকে অবনমনের হাতে থেকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ডারহামের সদস্যরূপে টুয়েন্টি২০ খেলায় অভিষেক ঘটে স্কট বর্থউইকের। ব্যাটিং করার সুযোগ লাভ না করতে পারলেও নির্ধারিত চার ওভারে ৩/২৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি।

২০০৯ সালের শেষদিকে প্রো৪০ প্রতিযোগিতার একটি খেলায় এসেক্সের জেমস ফস্টার তার বলে উপর্যুপরী পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তবে, এমসিসি’র বিপক্ষে গোলাপী বলের খেলায় আট উইকেট নিয়ে নিজেকে ২০১০ সালের উপযোগী করেন। ২০১১ সালেও দূর্দান্ত ছন্দে অবস্থান করেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০৯ সাল থেকে স্কট বর্থউইকের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। ঐ বছর এনবিসি ডেনিস কম্পটন পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৩ সালে ডারহামের পক্ষে চ্যাম্পিয়নশীপে গড়ের দিক দিয়ে পঞ্চদশ স্থান অধিকার করেন। মাত্র ২৮ উইকেট পেলেও সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তাকে তিন নম্বরে ব্যাটিং করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। মন্টি পানেসরকে পাশ কাটিয়ে তাকে এ সুযোগ দেয়া হয়। অধিনায়ক অ্যালাস্টেয়ার কুক তাকে মাঝে-মধ্যে বোলিংয়ে আমন্ত্রণ জানালেও তিনি খেলায় চার উইকেট পান। ক্রিস রজার্সকে ১১৯ রানে বিদেয় করেন। মাত্র ১৩ ওভারে ৪/৮২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।

অল-রাউন্ডার হিসেবে তার উত্থান ঘটলেও পরবর্তীতে নিরাশ করেন তিনি। ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম বিভাগে সহস্রাধিক রান খরচ করে ফেলেন। ২০১৫ সালেও তিনি আরও রান দেন। কেবলমাত্র সমারসেটের জেমস হিলড্রেথ খরচের দিক দিয়ে তার চেয়ে এগিয়েছিলেন। ব্যাপক হারে রান দিয়ে মাত্র ২৮ উইকেট পান তিনি। ফলশ্রুতিতে, ইংল্যান্ড দলে তার চাহিদা কমে যায়।

২০১৬ সালে পুনরায় রান সংগ্রহ করতে থাকেন তিনি। এবারও তাকে তিন নম্বরে খেলানো হয়েছিল। তবে, জাতীয় দলের কোচ ট্রেভর বেলিসের কাছে তার খেলার মান মনঃপুত হয়নি। ক্লাবের আর্থিক সঙ্কটের কারণে দলীয় সঙ্গী মার্ক স্টোনম্যানের সাথে তিনিও ২০১৬ সাল শেষে সারে দলে যোগ দেন। শুরুরদিকে সারে দলের পক্ষে তেমন সাফল্য না পেলেও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী দলটিতে মাত্র আট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। পরের মৌসুমে আরও ভালো খেলা প্রদর্শন করা সত্ত্বেও লাল বলের ক্রিকেটে তার অংশগ্রহণ সীমিত পর্যায়ের ছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট, দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও একটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন স্কট বর্থউইক। ৩ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ২৫ আগস্ট, ২০১১ তারিখে ডাবলিনে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৩ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

মে, ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিংরত থেকে দুই ক্যাচ তালুবন্দী করেন। রিভারসাইড গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এ সাফল্য পান। আগস্ট, ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকের জন্যে মনোনীত হন।[১] সিরিজের একমাত্র ওডিআইয়ে তিনি ৯ বলে ১৫ রান তুলেন। তবে এক ওভার বোলিং করে ১৩ রান খরচ করেন।

আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেন। ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অভিষেক ঘটে তার।[২] ইংল্যান্ডের অবসরপ্রাপ্ত বোলার গ্রেম সোয়ান ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে স্কট বর্থউইককে ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ টেস্ট ক্রিকেটারের কথা বলেছিলেন।

"ব্যক্তিগতভাবে আমি স্কটি বর্থউইক সম্পর্কে অনেক পূর্ব থেকে চিনি। সে লেগ স্পিনার। সে কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারে ও বেশ ভালোভাবে ব্যাটিংয়েও সক্ষম।"[৩]

এরপর, অক্টোবর, ২০১১ সালে ভারত গমনার্থে তাকে ইংল্যান্ড দলের সদস্য করা হয়। বড়দিনের পূর্বে গ্রেম সোয়ানের কনুইয়ের সমস্যার কারণে তাকে ইংল্যান্ড দলে যুক্ত করা হয়েছিল ও আকস্মিকভাবে গ্রেম সোয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের ঘোষণা দেন। এর পরপরই জেমস ট্রেডওয়েলের সাথে তাকেও ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে গ্রেম সোয়ানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।[৪] সিডনিতে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন ও ৫-০ ব্যবধানের ২০১৩-১৪ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে পরাজিত হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Eoin Morgan named as England captain for Ireland ODI"। BBC Sport। ২০ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১১ 
  2. England v. West Indies T20I, Oval 2011
  3. "Ashes 2013–14: England must turn to Monty Panesar now – Boycott"। BBC Sport। ২২ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  4. "England call up Scott Borthwick & James Tredwell"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]