সৌদি আরবের আইনব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিউইয়র্কের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে কোরআন

সৌদি আরবের আইন ব্যবস্থা হল শরিয়া ও ইসলামি আইন ভিত্তিক যা কুরআন ও মুহাম্মাদ(সঃ) এর সুন্নাহ থেকে উৎসরিত। শরিয়াহর উৎসে ইজমাও অন্তর্ভুক্ত, যা মুহাম্মাদ(সঃ) এর মৃত্যুর পর বিকশিত হয়েছে। সৌদি আরবের বিচারকদের দ্বারা এর ব্যাখ্যা ইসলামি আইনশাস্ত্রের অক্ষরিকত্ববাদী হাম্বলি পাঠশালার মধ্যযুগীয় রচনার দ্বারা প্রভাবিত। মুসলিম বিশ্বে এককভাবে, সৌদি আরব কর্তৃক শরিয়াহ আইন কোন বিধিবদ্ধ পদ্ধতি ছাড়াই গৃহীত হয়েছে। এটি এবং বিচারকার্যের জন্য মৌলিক আইনের অভাবের ফলে দেশের আইনগত পরিধি এবং বিষয়বস্তুতে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে সরকার ২০১০ সালে শরিয়াকে বিধিবদ্ধ করার অভিপ্রায় ঘোষণা করে এবং ২০১৮ সালে সৌদি সরকার আইনি নীতি ও মৌলিক বিধিমালার একটি উত্সপুস্তক প্রকাশ করে।[১] পাশাপাশি শরিয়াহ আইন রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে জারি করা বিভিন্ন প্রবিধান (আরবি: "আনজিমা" যদিও সৌদি সরকারি অনুবাদ দফতর হতে তা "আইন" হিসেবে অনুবাদ করা হয়) দ্বারাও নিয়ন্ত্রিত, যা আধুনিক সমস্যাবলি নিয়ে আলোচনা করে, যেমন মেধাসত্ত্ব ও কর্পোরেট আইন। তবুও, শরিয়াহ এখনো আইনের প্রাথমিক উৎস হিসেবে বহাল আছে, বিশেষত ফৌজদারি আইন, পারিবারিক, অর্থনৈতিক আইন ও চুক্তি আইন, এবং কুরআন ও সুম্মাহকে দেশের সংবিধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমি ও প্রাকৃতিক শক্তি আইনের ক্ষেত্রসমূহে, সৌদি রাষ্ট্রের বিস্তৃত মালিকানার অধিকর্তাগণ (বর্তমানে সৌদি রাজ পরিবার) একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

টীকা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Saudi justice minister inaugurates book on legal precedents"। Arabnews। ৫ জানুয়ারি ২০১৮। ৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৮