সৌদামিনীর সংসার
সৌদামিনীর সংসার | |
---|---|
ধরন | নাটক সামাজিক হাস্যরস |
উন্নয়নকারী | TollySerial buzz |
পরিচালক | শিবাংশু ভট্টাচার্য |
অভিনয়ে | সুস্মিলি আচার্য অধিরাজ গাঙ্গুলি |
উদ্বোধনী সঙ্গীত | সৌদামিনীর সংসার |
মূল দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | বাংলা |
মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
পর্বের সংখ্যা | (পর্বের তালিকা) |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | জয়দেব মন্ডল |
নির্মাণের স্থান | কলকাতা |
ব্যাপ্তিকাল | ২২ মিনিট |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | জি বাংলা |
ছবির ফরম্যাট | ৫৭৬আই এসডিটিভি ১০৮০আই এইচডিটিভি |
মূল মুক্তির তারিখ | ১৭ জুন ২০১৯ |
ক্রমধারা | |
পূর্ববর্তী | ভানুমতীর খেলা |
বহিঃসংযোগ | |
ওয়েবসাইট |
সৌদামিনীর সংসার ভারতীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক। ২০১৯ সালের ১৭ জুন থেকে জি বাংলায় এর প্রচার শুরু হয়। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশন পর্দায় প্রচারিত হয় ধারাবাহিকটির ৩৮৭তম অর্থাৎ অন্তিম পর্ব। গ্রামের মেয়ে সৌদামিনীর দুই জন্মের গল্পই ধারাবাহিকটির প্রধান উপজীব্য হলেও এর পাশাপাশি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে একটি পরিবারের গল্প, সম্পর্কের নানা দিক, সদ্য স্বাধীন ভারতবর্ষের সমাজব্যবস্থা এবং দুই কিশোর-কিশোরীর অপরিপক্ব প্রেম কীভাবে হয়ে ওঠে জন্ম-জন্মান্তরের বাঁধন সেই গল্পও। ধারাবাহিকের মূল চরিত্র "সৌদামিনী"/"মিনি" এবং "শংকর" এর ভূমিকায় অভিনয় করেছে দুই শিশুশিল্পী সুস্মিলি আচার্য এবং অধিরাজ গাঙ্গুলী। গল্পের নিখুঁত গাঁথুনি আর প্রত্যেক শিল্পীর অসাধারণ অভিনয়ের গুণে খুব কম সময়েই ধারাবাহিকটি দুই বাংলায়ই সমান জনপ্রিয়তা লাভে সক্ষম হয়।
কাহিনী
[সম্পাদনা]সন ১৯৫২। সদ্য স্বাধীন ভারতবর্ষের বেড়াচাঁপা গ্রাম। সে গ্রামেই বসবাস করে ঐতিহ্যবাহী মুখুজ্জ্যে পরিবার। পরিবারের আদিকর্তা করালী সাধন মুখুজ্জ্যের নাতি হরিসাধন মুখুজ্জ্যে বর্তমান কর্তা। তার তিন ছেলে-বৌমা যথাক্রমে উমাসাধন-হৈমবতী, কালীসাধন-আন্নাকালি এবং গৌড়সাধন-ময়নামতি। বাড়ির নাম "শান্তি নিবাস" হলেও আদতে সেখানে শান্তির দেখা নেই! সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এমনই চিৎকার-চেঁচামেচি, ঝগড়া চলে যে ছাদে কাক-চিলও বসতে পারে না! তাই পড়শীরা বাড়ির নাম দিয়েছে "কোন্দল বাড়ি"! কিন্তু কি নিয়ে এত কোন্দল? তার উত্তর জানতে একটু পেছনে ফিরে তাকাতে হবে! আদিকর্তা করালী ছিলেন বারভূঁইয়াদের নায়েব। সেই সূত্রেই তিনি কিছু মোহর পান। তার মৃত্যুর পর তা পায় নাতি হরিসাধন। কিন্তু এরপর কে পাবে? তা নিয়েই মূলত তিন ছেলে-বৌমার কোন্দল! আর এই মোহরের সদ্গতি না করতে পারলে মৃত করালীরও মুক্তি নেই। তাই তিনি ঘুরে বেড়ান ব্রহ্মদত্যি হয়ে আর এমন কারোর খোঁজ করেন যে পারে এই মোহরের দায়িত্ব নিয়ে সংসারে শান্তি ফিরিয়ে তাকে মুক্তি দিতে! এমতাবস্থায়ই হরিসাধনের একমাত্র নাতনি লক্ষ্মীর বিয়ে ঠিক হয়। সে উপলক্ষ্যেই বাড়িতে আসে হরিসাধনের বাল্যবন্ধু রমারঞ্জন এবং তার আদরের অনাথ নাতনি সৌদামিনী। সৌদামিনীর বুদ্ধি আর সংসার সামলানোর গুণ বুঝতে পেরে করালী-হরি ঠিক করে সৌদামিনী অর্থাৎ সদুকেই বাড়ির বৌমা করতে হবে! শেষ পর্যন্ত গৌড়সাধন-ময়নামতির ছেলে শংকরের সাথেই বিয়ে হয় সৌদামিনীর। পুতুলের সংসার ছেড়ে নিজের সংসার গড়ে তোলার কাজে হাত দেয় সদু। কিন্তু তার জন্য তাকে করতে হয় অনেক সংগ্রাম। হয়ে উঠতে হয় তিন শাশুড়ির মনের মতো বৌমা। সংসারের অভাবের দিনে বুকে সাহস নিয়ে সে হয় "যাত্রালক্ষ্মী সৌদামিনী"। এর জন্য তাকে নিজের সংসারও ছাড়তে হয়। কিন্তু হরিসাধন তার ভুল বুঝে আবার সৌদামিনীকে ফিরিয়ে আনে সংসারে। স্বামী শংকর, ভাসুর ধনঞ্জয়, জা ফুলি, ননদ লক্ষ্মী আর দেওর গণেশের সহায়তায় এবং দাদু-ভূতদাদুর আশীর্বাদে সৌদামিনী "কোন্দল বাড়ি"-কে করে তোলে "সৌদামিনীর সংসার"। পেতে শুরু করে ভালোবাসার মানুষ শংকরের ভালোবাসাও। জন্মদিনের রাতে নিজের জন্মরহস্য জানতে পারে সৌদামিনী। খুঁজে পায় নিজের মাকেও। কিন্তু এত সুখ হয়তো সৌদামিনীর কপালে ছিলো না। মোহরের লোভে মেজমা আন্নাকালির হাতে জলে ডুবে নির্মম মৃত্যু হয় তার। মুখুজ্জ্যে পরিবার হারায় তাদের অবলম্বনকে। শংকরের সরল বিশ্বাসের সুযোগে সংসারের কর্ত্রী হয় আন্নাকালি। এভাবেই কেটে যায় ১৫ বছর।
(১৫ বছর পর)
কলকাতা শহরের নামকরা অভিনেত্রী "বেবি মিনি"। গ্রাম থেকে শহর সবাই তাকে এক নামে চেনে। সেই মিনির হঠাৎ আগমন হয় মুখুজ্জ্যে পরিবারে। পরিবারের সবাই তাকে দেখে অবাক। কেননা মিনি যে অবিকল সৌদামিনী! এই মিনিই হলো সৌদামিনীর জাতিস্মর। নিজের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই পুনর্জন্ম হয়েছে তার। মিনির জন্যই উদ্ধার হয় মোহর, সংসারে ফেরে শান্তি, করালী পায় তার বহু কাঙ্ক্ষিত মুক্তি আর সবাই জানতে পারে সৌদামিনীর মৃত্যুর আসল রহস্য। নিজের পূর্বজন্মের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে মিনি ফিরে যায় তার নিজের জগতে। শংকর-সৌদামিনীর ভালোবাসা রয়ে যায় অব্যক্তই। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে না পারলেও জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধন থেকে যায় শংকর এবং সৌদামিনীর মাঝে।
অভিনয় শিল্পী
[সম্পাদনা]- সৌদামিনী/সদু/মিনির চরিত্রে সুস্মিলি আচার্য
- শংকর মুখুজ্জ্যের চরিত্রে অধিরাজ গাঙ্গুলি
- হরিসাধন মুখুজ্জ্যের চরিত্রে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
- ধনঞ্জয় মুখুজ্জ্যের চরিত্রে সৌরভ দাস
- আন্নাকালী মুখুজ্জ্যের চরিত্রে প্রীতি বিশ্বাস
- উমাসাধন মুখুজ্জ্যের চরিত্রে সুমিত সমাদ্দার
- কালীসাধন মুখুজ্জ্যের চরিত্রে অরিন্দম বাগচী
- গৌড়সাধন মুখুজ্জ্যের চরিত্রে দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত
- ময়নামতি মুখুজ্জ্যের চরিত্রে সমতা দাস
- হৈমবতী মুখুজ্জ্যের চরিত্রে বনি মুখোপাধ্যায়
- নব এর চরিত্রে অর্ণব ভদ্র
- লক্ষ্মী রাণীর চরিত্রে ভাবনা ব্যানার্জি
- ফুলি মুখুজ্জ্যের চরিত্রে বিয়াস ধর / পুনম বসাক
- গণেশচন্দ্র মুখুজ্জ্যের চরিত্রে দেব ঋষি / দেদীপ্য গাঙ্গুলী
- মোয়া মা/সদুর আসল মায়ের চরিত্রে মৌসুমী কর চ্যাটার্জী
- রমারঞ্জন/সদুর পালক দাদুর চরিত্রে অশোক মুখার্জী
- লোকেশ মুখার্জী/মিনির বাবার চরিত্রে নীল চ্যাটার্জী
- তপতী মুখার্জী/মিনির মায়ের চরিত্রে মানসী সেনগুপ্ত
অর্জন
[সম্পাদনা]কলাকুশলী | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পুরস্কার | বিভাগ | কুশলী | প্রতিষ্ঠান | ফলাফল | নোট |
২০২০ | জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড | সেরা পরিচালক | রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস | বিজয়ী | ||
সেরা প্রযোজনা | জয়দেব মন্ডল | জ্যোতি প্রডাকশন | বিজয়ী | |||
অন্যান্য | ||||||
সাল | পুরস্কার | বিভাগ | চরিত্র | অভিনেতা | ফলাফল | নোট |
২০২০ | জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড [১] | সেরা মেয়ে | সৌদামিনী | সুস্মিলি আচার্য | বিজয়ী | যৌথভাবে |
সেরা কনিষ্ট নায়ক | শঙ্কর | অধিরাজ গাঙ্গুলি | বিজয়ী | |||
সেরা ছোট সদস্য | গণেশ চন্দ্র | দেব ঋষি | বিজয়ী | যৌথভাবে | ||
সেরা দেবর | গণেশ চন্দ্র | দেব ঋষি | বিজয়ী | |||
সেরা ভাসুর | ধনঞ্জয় | সৌরভ দাস | বিজয়ী | যৌথভাবে | ||
সেরা ননদ | লক্ষীরাণী | ভাবনা ব্যানার্জি | বিজয়ী | |||
সেরা প্রবীণ সদস্য | ভূত দাদু | বিজয়ী | যৌথভাবে |
চরিত্র পরিবর্তন
[সম্পাদনা]২৭২ পর্ব হতে "ফুলি" চরিত্রে বিয়াস ধরের পরিবর্তে পুনাম বসাক, "গণেশ" চরিত্রে দেবঋষি চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে দেদীপ্য গাঙ্গুলী।