বিষয়বস্তুতে চলুন

সোলার ইমপালস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সোলার ইমপালস
Solar Impulse
১৩ মে ২০১১-এ ব্রাসেলস বিমানবন্দর-এ অবতরণের সময় সোলার ইমপালস ১
সংক্ষেপেSI
নীতিবাক্য"পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রচার"
গঠিত২০০৩; ২২ বছর আগে (2003)
প্রতিষ্ঠাতাবার্ট্রান্ড পিক্কার্ড এবং অঁদ্রে বোর্সবার্গ
প্রতিষ্ঠাস্থানসুইজারল্যান্ড
ধরনপরীক্ষামূলক বিমান গবেষণা প্রকল্প
উদ্দেশ্যসম্পূর্ণ সৌরশক্তি দ্বারা চালিত বিমান তৈরি করা এবং টেকসই প্রযুক্তির প্রচার।
সদরদপ্তরসুইজারল্যান্ড
যে অঞ্চলে
বিশ্বব্যাপী
পণ্যসোলার ইমপালস ১ এবং সোলার ইমপালস ২
পরিষেবাসৌরশক্তি-চালিত বিমান উন্নয়ন ও পরীক্ষা
প্রধান অঙ্গ
সোলার ইম্পালস প্রোজেক্ট
বাজেট (২০১৬)
$১৭০ মিলিয়ন
ওয়েবসাইটwww.solarimpulse.com

সোলার ইমপালস(Solar Impulse) একটি সুইস দীর্ঘ-পরিসরের পরীক্ষামূলক সৌর শক্তি চালিত বিমান প্রকল্প। এই প্রকল্পের দুটি সচল বিমানের নামও সোলার ইম্পালস।[] সুইস প্রকৌশলী এবং ব্যবসায়ী অঁদ্রে বোর্সবার্গ এবং সুইস মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও বেলুনিস্ট বার্ট্রান্ড পিক্কার্ড ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়িত এই প্রকল্পটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পিক্কার্ড ব্রেইটলিং অরবিটার ৩-এর কো-পাইলট ছিলেন, যা ছিল প্রথম বেলুন যেটি পৃথিবীকে একটানা পরিক্রমা করেছিল। [] সোলার ইম্পালসের মূল লক্ষ্য ছিল সৌরশক্তিতে চালিত একটি বিমান তৈরি করে পৃথিবী পরিক্রমণ করা এবং বিশ্বজুড়ে পরিষ্কার ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো। []

বিমানটি সৌরশক্তিতে চালিত একটি একক-আসনের মোনোপ্লেন । এটি নিজের শক্তিতেই উড়তে সক্ষম। এর প্রোটোটাইপ, যাকে সাধারণত সোলার ইমপালস ১ বলা হয়, ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।[] এটি প্রথম পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করে ডিসেম্বর ২০০৯ সালে। এরপর জুলাই ২০১০ সালে, এটি পুরো দিন-রাত উড়েছিল। এই উড়ানটি মোট ২৬ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল।[] পিক্কার্ড এবং বোর্সবার্গ ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ড থেকে স্পেন এবং তারপর মরক্কো পর্যন্ত সৌরশক্তিতে চালিত বিমানে সফলভাবে উড়েছিলেন।,[] ২০১৩ সালে তারা যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক ধাপে ফ্লাইট পরিচালনা করেন।[][]

২০১৪ সালে দ্বিতীয় বিমান, সোলার ইমপালস ২ সম্পন্ন হয়। এটি প্রথম বিমানের চেয়ে আরও বেশি সৌর সেল এবং শক্তিশালী মোটর নিয়ে তৈরি, আরও বেশ কিছু উন্নতি করা হয়।৯ মার্চ ২০১৫ সালে, পিক্কার্ড এবং বোর্সবার্গ সোলার ইমপালস ২ নিয়ে পৃথিবী পরিক্রমণ শুরু করেন। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবু ধাবি থেকে যাত্রা শুরু করেন।[] বিমানটি আগস্ট ২০১৫ সালে আবু ধাবিতে ফিরে আসার কথা ছিল[১০] জুন ২০১৫ পর্যন্ত, বিমানটি এশিয়া পার করেছিল,[১১] জুলাই ২০১৫ সালে, এটি যাত্রার সবচেয়ে দীর্ঘতম পর্ব সম্পন্ন করে[১২][১৩][১৪], জাপান থেকে হাওয়াই পর্যন্ত উড়ে যায়। তবে এই দীর্ঘ উড়ানের সময় বিমানের ব্যাটারিতে তাপজনিত ক্ষতি হয়, যার কারণে ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে।

ব্যাটারি শীতলীকরণ ব্যবস্থা স্থাপনের পর, সোলার ইমপালস ২ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে আবার পৃথিবী পরিক্রমণ শুরু করে। এটি ক্যালিফোর্নিয়ায় উড়ে যায়। [১৫][১৬] এরপর বিমানটি যুক্তরাষ্ট্র পার করে এবং ২০১৬ সালের জুন মাসে নিউ ইয়র্ক শহরে পৌঁছায়।সেই মাসেই, বিমানটি আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের সেভিল শহরে অবতরণ করে।[১৭][১৮] এমিশরে একটি বিরতির পর, ২৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে এটি আবু ধাবিতে ফিরে আসে। এভাবে ১৬ মাস (৫০৬ দিন) পর সোলার ইমপালস ২ প্রথমবারের মতো সৌরশক্তিতে চালিত একটি পাইলটেড বিমান হিসেবে পৃথিবী পরিক্রমণ সম্পন্ন করে। এই যাত্রায় বিমানটি প্রায় ৪২,০০০ কিলোমিটার (২৬,০০০ মাইল) পথ অতিক্রম করে।[১৯][২০]

২০১৯ সালে, সোলার ইমপালস ২-কে স্কাইডওয়েলার এয়ারো নামের একটি ইউএস-স্প্যানিশ কোম্পানি কিনে নেয়। এই কোম্পানি বিমানটির কাঠামো ব্যবহার করে এমন স্বয়ংক্রিয় ড্রোন তৈরি করছে, যা অনির্দিষ্টকাল ধরে আকাশে থাকতে পারবে। [২১] তারা প্রথমে গবেষণা, উন্নয়ন এবং ফ্লাইট পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে। এরপর, সোলার ইমপালস ২-কে সুইজারল্যান্ডের সুইস পরিবহন যাদুঘর-এ স্থায়ী প্রদর্শনীর জন্য পাঠানো হবে।

প্রকল্পের উন্নয়ন এবং অর্থায়ন

[সম্পাদনা]

বার্ট্রান্ড পিক্কার্ড ২০০৩ সালের নভেম্বরে সোলার ইমপালসপ্রকল্পটি শুরু করেন। তিনি একল পলিটেকনিক ফেডারেল দে লোসানে (EPFL)-এর সাথে অংশীদারিত্বে একটি সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন পরিচালনা করেন।[২২] প্রকল্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অঁদ্রে বোর্সবার্গ, যিনি একজন যান্ত্রিক প্রকৌশলী, প্রতিটি বিমানের নির্মাণ কাজ পরিচালনা করেন এবং উড়ান মিশনের প্রস্তুতির দায়িত্বে ছিলেন।[২৩] ২০০৯ সালের মধ্যে, তারা ছয়টি দেশ থেকে ৫০ জন প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞের একটি দল গঠন করেন। এছাড়াও, প্রায় ১০০ জন বাইরের উপদেষ্টা এবং ৮০ জন প্রযুক্তিগত অংশীদার তাদের সহায়তা করেন।[২৪][২৫]

প্রকল্পটি বিভিন্ন ব্যক্তিগত কোম্পানি এবং ব্যক্তিরা অর্থায়ন করেন। এছাড়াও, সুইস সরকার প্রায় CHF ৬ মিলিয়ন (US$৬.৪ মিলিয়ন) তহবিল প্রদান করে।[২৬] প্রকল্পের ব্যক্তিগত অর্থায়নকারীদের মধ্যে রয়েছে ওমেগা এসএ, সোলভায়, শিন্ডলার, এবিবি[২৭] এবং পিটার ডায়ামানডিস।[২৮] প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে এপিএফএল, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং ড্যাসল্ট। বিমানের ফটোভোলটাইক সেল সরবরাহ করে সানপাওয়ার[২৯][৩০]

পিক্কার্ড উল্লেখ করেন যে, ২০০৩ সালে প্রকল্প শুরু হওয়া থেকে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত মোট খরচ ছিল €১৫০ মিলিয়ন।[৩১] ২০১৫ সালের শেষে, বিশ্বব্যাপী উড়ান চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরও €২০ মিলিয়ন সংগ্রহ করা হয়।[৩২]

টাইমলাইন

[সম্পাদনা]
  • ২০০২:[৩৩] একল পলিটেকনিক ফেডারেল দে লোসানে সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন
  • ২০০৪–২০০৫: ধারণার উন্নয়ন
  • ২০০৬: দীর্ঘ-যাত্রা উড়ানগুলোর সিমুলেশন
  • ২০০৬–০৯: প্রথম প্রোটোটাইপ (এইচবিএস-আইএ; সোলার ইমপালস ১) এর নির্মাণ
  • ২০০৯: সোলার ইমপালস ১-এর প্রথম উড়ান
  • ২০০৯–১১: পাইলটেড পরীক্ষামূলক উড়ান[৩৪]
  • ২০১১–১২: ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকা জুড়ে আরও পরীক্ষামূলক উড়ান
  • ২০১১–১৩: দ্বিতীয় প্রোটোটাইপ (এইচবিএস-আইবি; সোলার ইমপালস ২) নির্মাণ
  • ২০১৩: সোলার ইমপালস ১ দ্বারা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রথম মহাদেশীয় উড়ান[][][]
  • ২০১৪: সোলার ইমপালস ২ এর প্রথম উড়ান
  • ২০১৫–২০১৬: সোলার ইমপালস ২ দ্বারা পৃথিবী পরিক্রমণ, ১৬-১/২ মাসে সতেরোটি পর্যায়ে সম্পন্ন[২০]

সোলার ইমপালস ১ (এইচবিএসআই-এ)

[সম্পাদনা]
সোলার ইমপালস ১ – ফিউজেলেজ এবং মোটর
সোলার ইমপালস ১ – উইং স্ট্রাকচার

প্রথম সোলার ইমপালসবিমান, যা HB-SIA নামে নিবন্ধিত, মূলত একটি প্রদর্শনী বিমান হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছিল। এই বিমানে একটি নন-প্রেসারাইজড ককপিট এবং একটি একক উইং রয়েছে, যার উইংস্প্যান এয়ারবাস A340 বিমানের মতোই বড়।

উইংয়ের নিচে চারটি নাসেল রয়েছে। প্রতিটি নাসেলে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি, একটি ৭.৫ কিলোওয়াট (১০ অশ্বশক্তি) বৈদ্যুতিক মোটর এবং একটি টুইন-ব্লেডেড প্রপেলার রয়েছে। উইংটিকে যতটা সম্ভব হালকা রাখার জন্য একটি কাস্টমাইজড কার্বন ফাইবার হানি কম্ব স্যান্ডউইচ স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়েছে।[৩৫]

১উইংয়ের উপরের পৃষ্ঠ এবং অনুভূমিক স্থিরকরণে মোট ১১,৬২৮টি ফটোভোলটাইক সেল রয়েছে। এগুলো দিনের বেলা বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন করে, যা বৈদ্যুতিক মোটর চালানোর জন্য এবং ব্যাটারি চার্জ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ব্যাটারিগুলো রাতের বেলায় বিমান চালানোর শক্তি সরবরাহ করে, যা তত্ত্বগতভাবে একক সিটের এই বিমানটিকে অনির্দিষ্টকাল ধরে আকাশে থাকতে সক্ষম করে।[৩৬][৩৭]

বিমানটির প্রধান ডিজাইন সীমাবদ্ধতা হলো এর লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির ক্ষমতা। একটি আদর্শ ২৪ ঘণ্টার চক্রে, মোটরগুলো গড়ে প্রায় ৬ কিলোওয়াট (৮ অশ্বশক্তি) শক্তি সরবরাহ করতে পারে। এটি প্রায় ১৯০৩ সালে রাইট ভ্রাতাদের প্রথম সফল শক্তি চালিত বিমান 'ফ্লায়ার'-এ ব্যবহৃত শক্তির সমান।[৩৫] ব্যাটারিতে সঞ্চিত শক্তির পাশাপাশি, বিমানটি দিনের বেলা উড়ে উঠে অর্জিত পটেনশিয়াল শক্তি ব্যবহার করে রাতের বেলা উড়ান চালায়।[৩৮]

বিশেষ উল্লেখ

[সম্পাদনা]

Solar Impulse Project[৩৫] and Diaz[৩৯] থেকে তথ্য

সাধারণ বৈশিষ্ট্য

  • ক্রু: 1
  • দৈর্ঘ্য: ২১.৮৫ মি (৭১ ফু ৮ ইঞ্চি)
  • ডানার মোট বিস্তার: ৬৩.৪ মি (২০৮ ফু ০ ইঞ্চি)
  • Height: ৬.৪০ মি (২১ ফু ০ ইঞ্চি)
  • উইং এলাকা: ২০০ মি (২,২০০ ফু) ১১,৬২৮টি ফটোভোলটাইক সেল দ্বারা আচ্ছাদিত, যার পিক রেট ৪৫ kW
  • Aspect ratio: 19.7
  • নীট ওজন: ১,৬০০ কিগ্রাম (৩,৫২৭ পা)
  • Max takeoff weight: ২,০০০ কিগ্রাম (৪,৪০৯ পা)
  • জ্বালানী ধারণক্ষমতা: ২১ kilowatt-hour (৭৬ মেগাজুল) লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি
    টেক-অফ স্পিড: ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (২২ মাইল প্রতি ঘণ্টা)
  • Powerplant: 4 × ৭.৫ কিলোওয়াট (১০ অশ্বশক্তি) বৈদ্যুতিক মোটর
  • Propellers: 2-bladed, ৩.৫ মি (১১ ফু ৬ ইঞ্চি) diameter

Performance

  • Cruising speed: ৭০ কিমি/ঘ (৪৩ মা/ঘ; ৩৮ নট)
  • Endurance: প্রায় ৩৬ ঘণ্টা
  • Service ceiling: ৮,৫০০ মি (২৭,৮৮৭ ফু) সর্বোচ্চ উচ্চতা ১২,০০০ মিটার (৩৯,০০০ ফুট) পর্যন্ত

অপারেশনাল ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রথম উড়ান এবং অন্যান্য প্রথম ফ্লাইট

[সম্পাদনা]
সোলার ইম্পালস-১ তার প্রথম "ফ্লি হপ" টেস্ট ফ্লাইটের সময় ডুবেনডর্ফ এ ৩ ডিসেম্বর ২০০৯

২০০৯ সালের ২৬ জুন, সোলার ইমপালস ১ প্রথমবারের মতো ডুবেনডর্ফ এয়ার বেস, সুইজারল্যান্ডে জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা হয়। ট্যাক্সি পরীক্ষার পর, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর একটি ছোট হপ টেস্ট ফ্লাইট করা হয়।[৪০] এই উড়ানের পাইলট ছিলেন মার্কাস শারডেল।[৪১] প্রকল্প দলের কো-লিডার বর্শবের্গ উড়ান সম্পর্কে বলেন:

"এটি ছিল অবিশ্বাস্য একটি দিন। বিমানটি প্রায় ৩৫০ মিটার (১,১৫০ ফুট) দূরত্ব এবং প্রায় ১ মিটার (৩ ফুট ৩ ইঞ্চি) উচ্চতায় উড়েছিল... লক্ষ্য ছিল উচ্চতা অর্জন না করে একই রানওয়েতে অবতরণ করা এবং এর নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা পরীক্ষা করা, এবং প্রথমবারের মতো এর উড়ান বৈশিষ্ট্য অনুভব করা... বিমানটি ঠিক যেমন প্রকৌশলীরা আশা করেছিলেন, ঠিক তেমনই আচরণ করেছে। এটি প্রকৌশল পর্বের শেষ এবং উড়ান পরীক্ষার পর্বের শুরু।"[৪১]

২০১০ সালের ৭ এপ্রিল, বিমানটি ৮৭ মিনিটের একটি টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন করে, যার পাইলট ছিলেন মার্কাস শারডেল। এই উড়ানটি ১,২০০ মি (৩,৯৩৭ ফু) উচ্চতায় পৌঁছেছিল।[৪২][৪৩] ২০১০ সালের ২৮ মে, বিমানটি সম্পূর্ণ সৌরশক্তি দ্বারা চালিত প্রথম উড়ান সম্পন্ন করে। উড়ানের সময় এটি ব্যাটারি চার্জ করতেও সক্ষম হয়।[৪৪]

প্রথম রাতভর উড়ান

[সম্পাদনা]

২০১০ সালের ৮ জুলাই, সোলার ইমপালস ১ বিশ্বে প্রথমবারের মতো ২৬ ঘণ্টার ম্যানড (মানুষ চালিত) সৌরশক্তি চালিত উড়ান সম্পন্ন করে।[৪৫][৪৬][৪৭] বিমানটি পাইলট করেছিলেন আন্দ্রে বর্শবের্গ। ৭ জুলাই, স্থানীয় সময় সকাল ৬:৫১-এ (সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান সামার টাইম, UTC+2) সুইজারল্যান্ডের পায়েরনে এয়ার বেস থেকে উড়ান শুরু হয়। পরদিন সকাল ৯:০০-এ এটি অবতরণ করে।[৪৮] উড়ানের সময়, বিমানটি সর্বোচ্চ ৮,৭০০ মিটার (২৮,৫০০ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছেছিল।[৪৯] এই উড়ানটি ছিল একটি ম্যানড সোলার-পাওয়ার্ড বিমান দ্বারা করা সবচেয়ে দীর্ঘ এবং সবচেয়ে উচ্চতর উড়ান। এই রেকর্ডগুলো Fédération Aéronautique Internationale (FAI) ২০১০ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।[৫০][৫১]

আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীণ উড়ান

[সম্পাদনা]
বেলজিয়াম এবং ফ্রান্স (২০১১)
[সম্পাদনা]
সোলার ইম্পালস-১, মে ২০১১ তে ব্রাসেলস বিমানবন্দর

২০১১ সালের ১৩ মে, স্থানীয় সময় রাত ৯:৩০-এ, বিমানটি ব্রাসেলস বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এটি সুইজারল্যান্ডের ঘাঁটি থেকে ১৩ ঘণ্টার উড়ান শেষ করে। এটি ছিল সোলার ইম্পালস-এর প্রথম আন্তর্জাতিক উড়ান। বিমানটি গড়ে ১,৮০০ মিটার (৬,০০০ ফুট) উচ্চতায় উড়ে ৬৩০ কিলোমিটার (৩৯১ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে। গড় গতি ছিল ৫০ কিমি/ঘণ্টা (৩১ মাইল/ঘণ্টা)। বিমানটির ধীর গতির কারণে এটি মধ্য উচ্চতায় চলছিল, যার ফলে দ্রুতগতির বিমানগুলোকে এর চারপাশে ঘুরে যেতে হয়েছিল।[৫২] বিমানটি পাইলট করেছিলেন অঁদ্রে বোর্সবার্গ। অবতরণের পর, প্রকল্পের অন্য সহ-প্রতিষ্ঠাতা বার্ট্রান্ড পিক্কার্ড একটি সাক্ষাৎকারে বলেন,

"আমাদের লক্ষ্য মানুষের মনে এক বিপ্লব সৃষ্টি করা... সৌরশক্তির সম্ভাবনা প্রচার করা – শুধু বিমানচালনায় নয়, সব ক্ষেত্রেই।"[৫৩][৫৪]

১২ জুন ২০১১ তারিখে, প্যারিস এয়ার শো-তে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক উড়ানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি ব্রাসেলসে ফিরে আসে।[৫৫] ১৪ জুন দ্বিতীয় প্রচেষ্টায়, বোর্সবার্গ সফলভাবে বিমানটি প্যারিসের লে বুর্জেট বিমানবন্দর-এ ১৬ ঘণ্টার উড়ান শেষে অবতরণ করেন।[৫৬]

প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় উড়ান (২০১২)
[সম্পাদনা]

২০১২ সালের ৫ জুন, সোলার ইমপালস সফলভাবে তার প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় উড়ান সম্পন্ন করে, এটি ছিল ১৯ ঘণ্টার একটি যাত্রা মাদ্রিদ, স্পেন থেকে রাবাত, মরক্কো পর্যন্ত।[] মাদ্রিদ পর্যন্ত প্রথম ধাপের উড়ানে পায়েরনে এয়ার বেস থেকে বিমানটি আরও কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে দেয়, যার মধ্যে ছিল পূর্ব ঘোষণা করা রুটের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সোলার-পাওয়ার্ড ফ্লাইট (১,০৯৯.৩ কিমি অথবা ৬৮৩ মা) এবং একটি কোর্সে (১,১১৬ কিমি অথবা ৬৯৩ মা)।[৫৭]

যুক্তরাষ্ট্র (২০১৩)
[সম্পাদনা]
সোলার ইমপালস ১ প্রদর্শনীতে জন এফ. কেনেডি বিমান বন্দর, নিউ ইয়র্কে, ১৪ জুলাই ২০১৩

২০১৩ সালের ৩ মে, সোলার ইমপালস যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে উড়ান শুরু করে। এটি ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউয়ের মফেট ফিল্ড থেকে উড়ে ফিনিক্সের গুডইয়ার এয়ারপোর্টে পৌঁছায়। পরবর্তী ধাপে এটি ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ বিমানবন্দর, ল্যাম্বার্ট–সেন্ট. লুইস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর,[৫৮] এবং সিনসিনাটি মিউনিসিপাল লুংকেন এয়ারপোর্টে পাইলট পরিবর্তন করে। শক্তিশালী বাতাস এড়ানোর জন্য কিছু পরিবর্তন করা হয়।[৫৯] শেষ ধাপে এটি ওয়াশিংটন ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।[৬০] ২০১৩ সালের ৬ জুলাই, দীর্ঘ বিরতির পর, সোলার ইমপালসতার যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে যাত্রা শেষ করে। এটি নিউ ইয়র্ক সিটির JFK আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় রাত ১১:০৯-এ অবতরণ করে।[][৬১] অবতরণের সময় এটি তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছায়, কারণ বাম উইংয়ের কভারিং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্ট্যাচু অফ লিবার্টির উপর পরিকল্পিত ফ্লাইবাই বাতিল করা হয়।[]

প্রতিটি উড়ান ধাপ ১৪ থেকে ২২ ঘণ্টা সময় নিয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে, বিমানটি ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থে ১,৫৪১ কিলোমিটার (৯৫৮ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে এবং সৌর বিমানচালনায় বেশ কিছু নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করে।[৬২] JFK-এ অবতরণের পর, সোলার ইমপালস ১ জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। ২০১৩ সালের আগস্টে, এটি ভেঙে ফেলা হয় এবং একটি Cargolux B-747-400F বিমানের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের ডুবেনডর্ফ এয়ার বেসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এটি একটি হ্যাঙ্গারে সংরক্ষণ করা হয়।

বিশদ রুট

সূত্র:[৬৩]

ধাপ শুরু[৬৪] থামুন উত্স গন্তব্য দূরত্ব উড়ান সময় গড় গতি পাইলট
 ৩ মে ১৪:১২  ৪ মে ০৮:৩০ মফেট ফিল্ড, ক্যালিফোর্নিয়া (KNUQ) ফিনিক্স, অ্যারিজোনা (KGYR) ৯৮৪ কিমি ১৮ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ৫৩ কিমি/ঘণ্টা বের্ট্রান্ড পিক্কার্ড
২২ মে ১২:৪৭ ২৩ মে ০৭:০৮ ফিনিক্স, অ্যারিজোনা (KGYR) ডালাস, টেক্সাস (KDFW) ১৫৪১ কিমি ১৮ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৮৪ কিমি/ঘণ্টা অঁদ্রে বোর্সবার্গ
 ৩ জুন ১০:০৬  ৪ জুন ০৭:২৮ ডালাস, টেক্সাস (KDFW) সেন্ট লুইস, মিসৌরি (KSTL) ১০৪০ কিমি ২১ ঘণ্টা ২২ মিনিট ৪৯ কিমি/ঘণ্টা বের্ট্রান্ড পিক্কার্ড
১৪ জুন ১১:০১ ১৫ জুন ০২:১৫ সেন্ট লুইস, মিসৌরি (KSTL) সিনসিনাটি, ওহাইও (KLUK) ১৫ ঘণ্টা ১৪ মিনিট অঁদ্রে বোর্সবার্গ
১৫ জুন ১৫:১০ ১৬ জুন ০৫:১৫ সিনসিনাটি, ওহাইও (KLUK) ওয়াশিংটন, ডিসি (KIAD) ১৪ ঘণ্টা ৫ মিনিট বের্ট্রান্ড পিক্কার্ড
 ৬ জুলাই ০৯:৫৬  ৭ জুলাই ০৫:১৫ ওয়াশিংটন, ডিসি (KIAD) নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক (KJFK) ১৯ ঘণ্টা ১৯ মিনিট অঁদ্রে বোর্সবার্গ

বিমানের প্রদর্শনী

[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের মার্চ মাসে, বিমানটিকে ট্রাকের মাধ্যমে প্যারিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এটি সিটি অফ সায়েন্সেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (Cité des Sciences et de l'Industrie)-এ স্থায়ী প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য স্থাপন করা হয়।[৬৫]

সোলার ইমপালস ২ (এইচবিএসআই-বি)

[সম্পাদনা]
২০১৪ সালের নভেম্বরে পায়েরনে এয়ার বেসে সোলার ইম্পালস-২

নির্মাণ ইতিহাস

[সম্পাদনা]

২০১১ সালে দ্বিতীয় বিমান, সোলার ইমপালস ২-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই বিমানটি সুইস নিবন্ধন HB-SIB ধারণ করে। প্রথমে ২০১৩ সালের মধ্যে বিমানটির নির্মাণ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল এবং ২০১৪ সালে ২৫ দিনের পৃথিবী ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত করার কথা ছিল। ২০১২ সালের জুলাইয়ে বিমানটির প্রধান স্পারে একটি গঠনগত ত্রুটি ধরা পড়ে। এর ফলে উড়ান পরীক্ষার সময়সূচীতে বিলম্ব হয় এবং মেরামতের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়।

সোলার ইমপালস ২-এর প্রথম উড়ান ২০১৪ সালের ২ জুন সুইজারল্যান্ডের পায়েরনে এয়ার বেসে অনুষ্ঠিত হয়।[৬৬]

ডিজাইন

[সম্পাদনা]

সোলার ইমপালস ২-এর ডানার প্রস্থ ৭১.৯ মিটার (২৩৬ ফুট), যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী এয়ারবাস A380-এর ডানার প্রস্থের চেয়ে কিছুটা কম। [৩৯] তবে, ৫০০ টন ওজনের এ৩৮০-এর তুলনায়, সোলার ইম্পালসের ওজন মাত্র ২.৩ টন (৫,১০০ পাউন্ড), যা একটি সাধারণ এসইউভি গাড়ির চেয়ে সামান্য বেশি।[৬৭][৬৮] বিমানটিতে একটি নন-প্রেসারাইজড ককপিট রয়েছে, যার আয়তন ৩.৮ ঘনমিটার (১৩০ ঘনফুট)।[৬৯] এতে উন্নত অ্যাভিওনিক্স সিস্টেম রয়েছে, যার মধ্যে একটি সীমিত কার্যকারিতার অটোপাইলট রয়েছে। এটি পাইলটকে ২০ মিনিট পর্যন্ত ঘুমানোর সুযোগ দেয়,[৭০] যা বহু-দিনব্যাপী মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় উড়ান সম্ভব করে তোলে।[২৪] অতিরিক্ত অক্সিজেন এবং বিভিন্ন পরিবেশগত সহায়ক ব্যবস্থা পাইলটকে ১২,০০০ মিটার (৩৯,০০০ ফুট) উচ্চতায় উড়তে সাহায্য করে।[৩৯]

স্পেসিফিকেশন

[সম্পাদনা]
সোলার ইমপালসএ পরিহিত ফ্লাইট স্যুট

Solar Impulse Project[২৫] থেকে তথ্য

সাধারণ বৈশিষ্ট্য

  • ক্রু: 1
  • দৈর্ঘ্য: ২২.৪ মি (৭৩ ফু ৬ ইঞ্চি)
  • ডানার মোট বিস্তার: ৭১.৯ মি (২৩৫ ফু ১১ ইঞ্চি)
  • Height: ৬.৩৭ মি (২০ ফু ১১ ইঞ্চি)
  • নীট ওজন: ২,৩০০ কিগ্রাম (৫,০৭১ পা)
  • টেক-অফ স্পিড: ৩৬ কিমি/ঘণ্টা (২২.৪ মাইল/ঘণ্টা)
  • ডানা এলাকা: ১৭,২৪৮ ফটোভোলটাইক solar cell দ্বারা ঢেকে থাকা মোট ২৬৯.৫ মি² (রেটেড ৬৬ কিলোওয়াট পীক)
  • Powerplant: 4 × বৈদ্যুতিক মোটর with 4 x ৪১ kilowatt-hour (১৫০ মেগাজুল) লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি (৬৩৩ কিগ্রাম অথবা ১,৩৯৬ পা), providing , ১৩.০ কিওয়াট (১৭.৪ অশ্বশক্তি) each, ৪ মি (১৩ ফু ১ ইঞ্চি) diameter

Performance

  • সর্বোচ্চ গতিসীমা: ১৪০ কিমি/ঘ (৮৭ মা/ঘ; ৭৬ নট)
  • Cruising speed: ৯০ কিমি/ঘ (৫৬ মা/ঘ; ৪৯ নট) ৬০ কিমি/ঘণ্টা (৩৭ মাইল/ঘণ্টা) রাতে শক্তি সংরক্ষণ করতে
  • Service ceiling: ৮,৫০০ মি (২৭,৮৮৭ ফু)

অপারেশনাল ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সোলার ইমপালস ২ প্রথমবারের মতো ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল জনসাধারণের সামনে প্রদর্শিত হয়।[২৫] এর প্রথম উড়ান অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২ জুন, পাইলট ছিলেন মার্কাস শারডেল।[৭১] বিমানটি গড়ে ৩০ নট (৫৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা) গতিতে উড়েছিল এবং ১,৭০০ মিটার (৫,৫০০ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছেছিল।[৭২] প্রথম রাতের উড়ানটি সম্পন্ন হয় ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর। ২৮ অক্টোবর ২০১৪-এ উড়ানের সময় বিমানটি তার সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছায়।

২০১৫–১৬ পৃথিবী পরিব্রাজন

[সম্পাদনা]
সোলার ইমপালস ২-এর পৃথিবী প্রদক্ষিণের রুট

বিমানের প্রধান স্পারের মেরামত কাজ ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সোলার ইমপালস ২-এর পৃথিবী প্রদক্ষিণে বিলম্ব ঘটিয়েছিল।[৭৩] বিমানটি ২০১৫ সালের জানুয়ারির শেষে আবুধাবির মাসদার সিটিতে ওয়ার্ল্ড ফিউচার এনার্জি সামিটের জন্য পৌঁছানো হয়েছিল[৭৪] এবং ৯ মার্চ ২০১৫-এ আল বাতিন এক্সিকিউটিভ এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রা শুরু করে।[][৭৫] এটি ২০১৫ সালের আগস্টে একই জায়গায় ফিরে আসার কথা ছিল।[১০][৭৬] প্রদক্ষিণের জন্য মোনাকোতে একটি মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল, যেটি স্যাটেলাইট লিঙ্কের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ফ্লাইট টেলিমেট্রি সংগ্রহ করত এবং বিমান ও সহায়তা দলের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগে থাকত।[৭৭] সোলার ইমপালস ২ যে রুট অনুসরণ করেছিল, তা পুরোপুরি উত্তর গোলার্ধে ছিল। এটি আবুধাবি থেকে শুরু করে পূর্ব দিকে ওমান এবং ভারতের দিকে এগিয়ে যায়।[৭৬][৭৮]

রুটে মোট বারোটি স্টপ পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যেখানে পাইলট বোর্সবার্গ এবং পিক্কার্ড পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব নিতেন। প্রতিটি স্টপে, ক্রু পরবর্তী পথের জন্য ভালো আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করত।[৭৯] বেশিরভাগ সময় আকাশে থাকার সময়, সোলার ইমপালস ২ গ্রাউন্ড স্পিডে ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৩১ থেকে ৬২ মাইল প্রতি ঘণ্টা) গতিতে চলত। সাধারণত রাতে শক্তি বাঁচাতে এই পরিসরের ধীর গতিতে চলত। প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগর পার করার অংশগুলো প্রদক্ষিণের সবচেয়ে লম্বা ধাপ ছিল, যা পাঁচ দিন ও রাত পর্যন্ত সময় নিত।[১০][৮০] বহু দিনের ফ্লাইটে, পাইলটরা ২০ মিনিট করে ঘুমাতেন এবং যোগব্যায়াম বা অন্যান্য ব্যায়াম করতেন রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে এবং সতর্ক থাকতে।[৬৯]

সোলার ইমপালস ২ হাওয়াইয়ের হ্যাঙ্গারে, ২০১৬

২০১৫ সালের মে মাসের শেষের দিকে, সোলার ইমপালস ২ এশিয়া অতিক্রম করেছিল।[৮১] প্রশান্ত মহাসাগরের উপর ভালো আবহাওয়ার জন্য এটি জাপানে একটি অপরিকল্পিত স্টপ করে, ফলে যাত্রার ধাপের সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে ১৩ হয়।[১১][৮২] বিমানটি ২৮ জুন ২০১৫-এ (জাপানের স্থানীয় সময় ২৯ জুন) জাপান থেকে হাওয়াইয়ের উদ্দেশে উড়তে শুরু করে।[৮৩] বোর্সবার্গ ককপিটে থাকা অবস্থায়, এটি ৩ জুলাই হাওয়াই পৌঁছে যায় এবং বিশ্বের দীর্ঘতম সোলার-চালিত ফ্লাইটের নতুন রেকর্ড গড়ে। এটি সময় (১১৭ ঘণ্টা, ৫২ মিনিট) এবং দূরত্ব (৭,২১২ কিমি; ৪,৪৮১ মাইল) দুদিক থেকেই রেকর্ড করে। এই ফ্লাইটের সময়কাল যে কোনো বিমানের একক ফ্লাইটের দীর্ঘতম রেকর্ডও ছিল।[৮৪][৮৫]

সেই ধাপে বিমানের ব্যাটারিগুলো অতিরিক্ত গরমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কারণ সেগুলো অত্যধিক ইনসুলেশনে মোড়া ছিল। নতুন যন্ত্রাংশ অর্ডার করতে হয়েছিল, আর মরসুমের শেষে উত্তর গোলার্ধে দিনগুলো ছোট হয়ে আসায় বিমানটি হাওয়াইয়ে আটকে যায়। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশন বিমানটিকে ওআহুর কালাইলোয়া এয়ারপোর্টে একটি হ্যাঙ্গারে রাখে।[৮৬][৮৭] নতুন ব্যাটারি তৈরি করে বিমানে লাগানো হয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট শুরু হয়[৮৮] , যাতে উত্তর গোলার্ধে দিনগুলো লম্বা হলে প্রদক্ষিণ আবার শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।[৩২][৮৯]

২০১৬ সালের এপ্রিলে ভালো আবহাওয়ার একটি সুযোগ এলে, সোলার ইমপালস ২ তার যাত্রা আবার শুরু করে [১৫] বং ২৩ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়ার মফেট ফিল্ডে অবতরণ করে।[১৬] সেই ফ্লাইটের সময়, পিক্কার্ড জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সামনে লাইভ ভিডিওলিঙ্কের মাধ্যমে বান কি-মুন এবং ডরিস লয়থার্ডের সঙ্গে কথা বলেন। ককপিট থেকে তিনি সেদিনের ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে মন্তব্য করেন এবং পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি দিয়ে চাকরি সৃষ্টি ও গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন।[৯০] যুক্তরাষ্ট্রে বিমানটি ফিনিক্স (অ্যারিজোনা),[৯১][৯২] তুলসা (ওকলাহোমা)[৯৩], ডেটন (ওহাইও)[৯৪], লিহাই ভ্যালি (পেনসিলভানিয়া)[৯৫] এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে অতিরিক্ত স্টপ করে, যেখানে এটি ১১ জুন ২০১৬-এ পৌঁছে। তারপর পিক্কার্ড বিমানটি আটলান্টিক মহাসাগর পার করে ২৩ জুন স্পেনের সেভিলে নিয়ে যান।[১৮][৯৬] এরপর এটি ১৩ জুলাই মিশরের কায়রোতে থামে[১৯] এবং ২৬ জুলাই আবুধাবিতে পৌঁছে, মোট ১৭টি ধাপে ও ১৬.৫ মাসে পৃথিবী প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করে। এটি ছিল স্থির-পাখা বিমানে পাইলট-চালিত প্রথম পৃথিবী প্রদক্ষিণ, যা শুধু সৌরশক্তি ব্যবহার করেছিল।[২০]

বিস্তারিত রুট

[সম্পাদনা]
লেগ শুরু [৯৭] উৎস গন্তব্য উড়ান সময় দূরত্ব গড় গতি সর্বোচ্চ উচ্চতা পাইলট
৯ মার্চ ২০১৫ ০৩:১২ সংযুক্ত আরব আমিরাত আবু ধাবি, UAE (OMAD) ওমান মুস্কাট, ওমান (OOMS) ১৩ ঘণ্টা ১ মিনিট ৪১৭ নটিক্যাল মাইল (৭৭২ কিমি) ৩২.০ নট (৫৯.২ কিমি/ঘ) ২০,৯৪২ ফু (৬,৩৮৩ মি) এ. বোর্সবার্গ[৯৮]
১০ মার্চ ০২:৩৫ ওমান মুস্কাট, ওমান (OOMS) ভারত আহমেদাবাদ, ভারত (VAAH) ১৫ ঘণ্টা ২০ মিনিট ৮৬০ নটিক্যাল মাইল (১,৫৯৩ কিমি)[৯৯] ৫৬.১ নট (১০৩.৯ কিমি/ঘ) ২৯,১১৪ ফু (৮,৮৭৪ মি) B. পিক্কার্ড[১০০]
১৮ মার্চ ০১:৪৮ ভারত আহমেদাবাদ, ভারত (VAAH) ভারত ভারানসী, ভারত (VEBN) ১৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৬৩০ নটিক্যাল মাইল (১,১৭০ কিমি) ৪৭.৭ নট (৮৮.৩ কিমি/ঘ) ১৭,০০১ ফু (৫,১৮২ মি) এ. বোর্সবার্গ[১০১]
১৮ মার্চ ২৩:৫২ ভারত ভারানসী, ভারত (VEBN) মিয়ানমার ম্যান্ডালয়, মায়ানমার (VYMD) ১৩ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৮২৯ নটিক্যাল মাইল (১,৫৩৬ কিমি) ৬১.৫ নট (১১৩.৯ কিমি/ঘ) ২৭,০০০ ফু (৮,২৩০ মি) পিক্কার্ড[১০২]
২৯ মার্চ ২১:০৬ মিয়ানমার ম্যান্ডালয়, মায়ানমার (VYMD) চীন চঙকিং, চীন (ZUCK) ২০ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ৮৮৩ নটিক্যাল মাইল (১,৬৩৬ কিমি) ৪৩.১ নট (৭৯.৯ কিমি/ঘ) ২৮,৩২৭ ফু (৮,৬৩৪ মি) পিক্কার্ড[১০৩]
২০ এপ্রিল ২২:০৬ চীন চঙকিং, চীন (ZUCK) চীন নানজিং, চীন (ZSNJ) ১৭ ঘণ্টা ২২ মিনিট ৭৪৭ নটিক্যাল মাইল (১,৩৮৪ কিমি) ৪৩.০ নট (৭৯.৭ কিমি/ঘ) ১৪,০১০ ফু (৪,২৭০ মি) পিক্কার্ড[১০৪]
৩০ মে ১৮:৩৯ চীন নানজিং, চীন (ZSNJ) জাপান নাগোয়া, জাপান (RJNA) ৪৪ ঘণ্টা ৯ মিনিট ১,৫৮৯ নটিক্যাল মাইল (২,৯৪২ কিমি) ৩৬.০ নট (৬৬.৬ কিমি/ঘ) ২৮,৩২৭ ফু (৮,৬৩৪ মি) এ. বোর্সবার্গ[১১]
২৮ জুন ১৮:০৩ জাপান নাগোয়া, জাপান (RJNA) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কালাওলা, হাওয়াই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PHJR) ১১৭ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৪,৮১৯ নটিক্যাল মাইল (৮,৯২৪ কিমি) ৪০.৯ নট (৭৫.৭ কিমি/ঘ) ২৮,৩২৭ ফু (৮,৬৩৪ মি) এ. বোর্সবার্গ[১০৫]
২১ এপ্রিল ২০১৬ ১৬:১৫ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কালাওলা, হাওয়াই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (PHJR) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KNUQ) ৬২ ঘণ্টা ২৯ মিনিট ২,২০৬ নটিক্যাল মাইল (৪,০৮৬ কিমি) ৩৫.৩ নট (৬৫.৪ কিমি/ঘ) ২৮,৩২৭ ফু (৮,৬৩৪ মি) পিক্কার্ড[১৫][১০৬]
১০ ২ মে ১২:০৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাউন্টেন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KNUQ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিনিক্স, অ্যারিজোনা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KGYR) ১৫ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৬০১ নটিক্যাল মাইল (১,১১৩ কিমি) ৩৭.৯ নট (৭০.২ কিমি/ঘ) ২২,০০১ ফু (৬,৭০৬ মি) এ. বোর্সবার্গ[১০৭]
১১ ১২ মে ১১:০৫ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিনিক্স, অ্যারিজোনা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KGYR) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টুলসা, ওকলাহোমা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KTUL) ১৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট ৮৫০ নটিক্যাল মাইল (১,৫৭০ কিমি) ৪৬.৭ নট (৮৬.৪ কিমি/ঘ) ২২,০০১ ফু (৬,৭০৬ মি) পিক্কার্ড[১০৮]
১২ ২১ মে ০৯:২২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টুলসা, ওকলাহোমা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KTUL) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডেটন, ওহিও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KDAY) ১৬ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ৬৪৭ নটিক্যাল মাইল (১,১৯৯ কিমি) ৩৯.১ নট (৭২.৪ কিমি/ঘ) ২১,০০১ ফু (৬,৪০১ মি) এ. বোর্সবার্গ[১০৯]
১৩ ২৫ মে ০৮:০২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডেটন, ওহিও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KDAY) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র Lehigh Valley, PA, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KABE) ১৬ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ৫৬৪ নটিক্যাল মাইল (১,০৪৪ কিমি) ৩৩.৬ নট (৬২.২ কিমি/ঘ) ১৫,০০০ ফু (৪,৫৭২ মি) পিক্কার্ড[১১০]
১৪ ১১ জুন ০৩:১৮ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র Lehigh Valley, PA, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KABE) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিউ ইয়র্ক, NY, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KJFK) ৪ ঘণ্টা ৪১ মিনিট ১৪৩ নটিক্যাল মাইল (২৬৫ কিমি) ৩০.৬ নট (৫৬.৬ কিমি/ঘ) ৩,০০২ ফু (৯১৫ মি) এ. বোর্সবার্গ[১১১]
১৫ ২০ জুন ০৬:৩০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিউ ইয়র্ক, NY, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (KJFK) স্পেন সেভিল, স্পেন (LEZL) ৭১ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৩,৬৫৩ নটিক্যাল মাইল (৬,৭৬৫ কিমি) ৫০.৯ নট (৯৪.৩ কিমি/ঘ) ২৭,৯৯৯ ফু (৮,৫৩৪ মি) পিক্কার্ড[১১২]
১৬ ১১ জুলাই ০৪:২০ স্পেন সেভিল, স্পেন (LEZL) মিশর কায়রো, মিশর (HECA) ৪৮ ঘণ্টা ৫০ মিনিট ২,০২২ নটিক্যাল মাইল (৩,৭৪৫ কিমি) ৪১.৪ নট (৭৬.৭ কিমি/ঘ) ২৭,৯৯৯ ফু (৮,৫৩৪ মি) এ. বোর্সবার্গ[১১৩]
১৭ ২৩ জুলাই ২০১৬ ২৩:২৮ মিশর কায়রো, মিশর (HECA) সংযুক্ত আরব আমিরাত আবু ধাবি, UAE (OMAD) ৪৮ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট ১,৪৫৫ নটিক্যাল মাইল (২,৬৯৪ কিমি) ২৯.৯ নট (৫৫.৪ কিমি/ঘ) ২৭,৯৯৯ ফু (৮,৫৩৪ মি) পিক্কার্ড[১১৪]
মোট ৫৫৮ ঘণ্টা ৭ মিনিট
(২৩.২৫ দিন)
২২,৯১৫ নটিক্যাল মাইল (৪২,৪৩৮ কিমি) ৪১.০ নট (৭৬.০ কিমি/ঘ) ২৯,১১৪ ফু (৮,৮৭৪ মি)

উড্ডয়ন পরবর্তী বিক্রয়

[সম্পাদনা]

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, সোলার ইমপালস ২ বিমানটি স্কাইডুয়েলার অ্যারো নামে একটি স্প্যানিশ-আমেরিকান কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়। এই কোম্পানি এমন মনুষ্যবিহীন বিমান তৈরি করছে যা অবিরাম উড়তে পারে। এই বিমানগুলো "রাডার, ইলেকট্রনিক অপটিক্স, টেলিকমিউনিকেশন ডিভাইস, টেলিফোন শোনা এবং হস্তক্ষেপ ব্যবস্থা" বহন করতে সক্ষম হবে।[১১৫] এই বিক্রির অংশ হিসেবে, সোলার ইমপালস ২ সুইজারল্যান্ড থেকে স্পেনে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু স্কাইডুয়েলার তাদের গবেষণা ও উন্নয়ন ফ্লাইট শেষ করলে, বিমানটি সুইজারল্যান্ডের সুইস মিউজিয়াম অব ট্রান্সপোর্টে স্থায়ী প্রদর্শনের জন্য ফেরত আনা হবে।[১১৬][১১৭]

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, স্কাইডুয়েলার অ্যারো স্পেনে তাদের প্রথম স্বায়ত্তশাসিত ফ্লাইট পরিচালনা করে। এরপর ২০২৪ সালে বিমানটি দক্ষিণ মিসিসিপিতে স্থানান্তরিত হয়, যেখানে এটি বিশ্বের প্রথম মনুষ্যবিহীন স্বায়ত্তশাসিত সৌরশক্তি চালিত বিমান ফ্লাইট সম্পন্ন করে।[১১৮] কোম্পানিটি একটি বিমান বহর তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা মায়ামি (২৬° উত্তর) থেকে রিও ডি জেনেইরো (২৩° দক্ষিণ) পর্যন্ত ঋতু পরিবর্তন ছাড়াই চলতে পারবে।[১১৯] এই মনুষ্যবিহীন ও স্বায়ত্তশাসিত বিমানগুলি সামরিক মিশন এবং বাণিজ্যিক কাজ করতে সক্ষম হবে, যা মানুষ চালিত বিমান দিয়ে সম্ভব নয়। এগুলি স্যাটেলাইটের তুলনায় অনেক কম খরচে কাজ করবে।[১২০]

স্কাইডুয়েলার অ্যারো আগামী কয়েক বছরে একটি বিমান দিয়ে বিশ্বজুড়ে ননস্টপ ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করছে।[১২১]

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

স্মারক মুদ্রা: ২০১৫ সালে, সুইজারল্যান্ডের সরকারি টাকশাল সুইস মিন্ট সোলার ইমপালস ২-এর পৃথিবী প্রদক্ষিণ মিশনের সাফল্যকে স্মরণীয় করে রাখতে একটি বিশেষ স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করে। [১২২]

বিশেষ ডাকটিকেট: ২০১৬ সালে, সুইস পোস্ট সোলার ইমপালস ২-এর সাফল্য উদযাপন করার জন্য একটি বিশেষ ডাকটিকেট প্রকাশ করে।[১২৩]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Cardwell, Diane (১ মে ২০১৩)। "Cross-Country Solar Plane Expedition Set for Takeoff"The New York Times। ২০ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৩ 
  2. "A Speck in the Sky"The New York Times। ২১ মার্চ ১৯৯৯। ১১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩ 
  3. Div, Stav. "Solar Impulse 2: The groundbreaking aircraft demonstrating the possibilities of clean energy" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে, The Independent, 2 June 2016
  4. "HB-SIA Mission"solarimpulse.com। Solar Impulse Project। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  5. "Swiss solar plane makes history with night flight". Swisster.ch. 8 July 2010. Retrieved 13 July 2010.
  6. "Solar plane completes maiden intercontinental trip"Reuters। ৫ জুন ২০১২। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১২ 
  7. "Across America"। Solar Impulse। ২০১৩। ২৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৩ 
  8. "Solar Impulse ends cross-country US flight slightly early in NY due to torn left wing"Engadget.com। ৬ জুলাই ২০১৩। ২ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৩ 
  9. Batrawy, Aya (৯ মার্চ ২০১৫)। "Solar-powered plane takes off for flight around the world"news.yahoo.comAssociated Press। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৫ 
  10. Al Wasmi, Naser (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Pilots to take off from Abu Dhabi for historic solar-powered flight"The National। ২৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  11. "Leg 7: Nanjing to Nagoya" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জুন ২০১৫ তারিখে, Solar Impulse. Retrieved 29 July 2015; "Solar Impulse touches down on unscheduled Japan stop" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে, The Sun Daily (Malaysia), 2 June 2015
  12. Archangel, Amber."Solar Impulse Sets World Record: 117 Hours & 52 Minutes – Longest Solo Flight Ever"cleantechnica.com। ৬ জুলাই ২০১৫। 
  13. The Fédération Aéronautique Internationale (FAI) website states that the "Free distance along course" was 7,039.9 km. FAI Record ID #17595 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে, Fédération Aéronautique Internationale. Retrieved 29 July 2015
  14. The FAI does not record this record as official, since the FAI does not have an "any aircraft" category. See "FAI records page", Fédération Aéronautique Internationale, 29 July 2015
  15. Amos, Jonathan (২১ এপ্রিল ২০১৬)। "Solar Impulse sets off for California after long lay-off"। BBC। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  16. Berger, Noah. "Solar-powered plane completes journey across Pacific Ocean" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ মে ২০১৬ তারিখে, The Charlotte Observer, 24 April 2016
  17. Rice, Doyle. "Solar Impulse 2 lands in New York City, final U.S. destination", USA Today, 11 June 2016
  18. Amos, Jonathan. "Solar Impulse completes Atlantic crossing with landing in Seville" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে, BBC, 23 June 2016
  19. Amos, Jonathan. "Solar Impulse: Zero-fuel plane lands in Cairo" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে, BBC, 13 July 2016
  20. "Solar Impulse completes historic round-the-world trip" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ জুন ২০১৮ তারিখে, BBC, 26 July 2016
  21. Coleman, Nik (২০২৪-০৯-০২)। "Towards Perpetual Flight"Vimeo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-০৪ 
  22. "What happened between 2001 and 2003?"Solar Impulse। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৩। ২০ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  23. "Can solar power fuel future flight"। CNN। ২৯ নভেম্বর ২০১১। ২ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১১ 
  24. "Major steps"। Solar Impulse। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  25. "Building a Solar Airplane" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে. Solar Impulse. Retrieved 19 January 2015.
  26. "Government supports Solar Impulse with CHF6m"। SwissInfo.ch। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫ 
  27. Piccard, Bertrand (৪ এপ্রিল ২০১৪)। "Solar Impulse gets a lift!"। ১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৪ 
  28. Dijakovic, Viktoria (১০ অক্টোবর ২০১৩)। "Peter Diamandis our New Patron"। Solar Impulse। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৫ 
  29. "Solar Impulse – Around the world in a solar airplane"। SunPower। ৩ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ; and Dijakovic, Viktoria (১৭ জুলাই ২০১২)। "Construction HB-SIB Solar Cells"। Solar Impulse। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  30. "Partners, Financing Structure"। Solar Impulse। ৬ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  31. Herrmann, Joshi (২৭ জুলাই ২০১৫)। "Solar Impulse's troubled round-the-world flight: 'We need to raise €20m'"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৫ 
  32. Al Wasmi, Naser. "Exclusive: Solar Impulse headed back to Abu Dhabi the long way round" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে, The National, 8 January 2016
  33. Solar Impulse. 2020. Solar Impulse - Around The World To Promote Clean Technologies. [online] Available at: <https://aroundtheworld.solarimpulse.com/our-story/milestone-feasibility-study> [Accessed 10 March 2020].
  34. Lipsey, Sid (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Secrets of the Solar-Powered Plane That Might Make History"। Yahoo। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৫ 
  35. "Around the World in a Solar Airplane" (পিডিএফ)। Solar Impulse। ২০০৯। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩ 
  36. Engeler, Eliane (৮ জুলাই ২০১০)। "Solar plane lands after completing 24-hour flight"Associated Press। ২৭ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৫ 
  37. "Plane"। Solar Impulse। ২৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১১ 
  38. "Description of HB-SIA"। SolarImpulse.com। ২২ জুন ২০১০। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১০ 
  39. Diaz, Jesus (২৩ মে ২০০৭)। "Solar Impulse: Around the World in a 100% Sun-powered Airplane"। Gizmodo। ১৪ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  40. Palmer, Jason (৩ ডিসেম্বর ২০০৯)। "রেকর্ড সোলার প্লেনের প্রথম 'হপ'"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  41. Simonite, Tom (৩ ডিসেম্বর ২০০৯)। "সোলার-পাওয়ারড পাইলটেড প্লেন তার প্রথম 'ফ্লি হপ' করল"New Scientist। ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  42. "সুইস দল পৃথিবীজুড়ে সোলার ফ্লাইটের জন্য প্রথম টেস্ট ফ্লাইট করল"Los Angeles Times। ১ জুলাই ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১০ [অকার্যকর সংযোগ]
  43. "সোলার বিমান তার প্রথম ভ্রমণ সম্পন্ন করল"Wired। ৭ এপ্রিল ২০১০। ২২ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১০ 
  44. Grady, Mary (মে ২০১০)। "Solar Impulse Flies on Pure Sunlight"। ৪ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১০ 
  45. Maron, Dina Fine (৬ জুলাই ২০১০)। "সুইস দল সোলার নাইট ফ্লাইট চালু করবে"The New York TimesClimateWire। ১০ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০ 
  46. "Solar Impulse রেকর্ড-ব্রেকিং ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে"The Daily Telegraph। London। ৮ জুলাই ২০১০। ৯ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০ 
  47. Paur, Jason (৭ জুলাই ২০১০)। "Solar বিমান রাতভর উড়বে (আজ রাতে!)"Wired। ৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০ 
  48. van Loon, Jeremy (৮ জুলাই ২০১০)। "সোলার-পাওয়ার্ড প্লেন নিরাপদে অবতরণ করেছে রাতভর ফ্লাইট শেষে"Bloomberg BusinessWeek। ১৩ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০ 
  49. "সোলার-পাওয়ার্ড প্লেন ২৬ ঘণ্টার ফ্লাইট শেষে নিরাপদে অবতরণ করেছে"। BBC। ৮ জুলাই ২০১০। ৮ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০ 
  50. Cowell, Alan (৮ জুলাই ২০১০)। "সোলার-পাওয়ার্ড প্লেন ২৬ ঘণ্টা উড়ল"The New York Times। ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০ 
  51. "FAI সোলার ইম্পালসের বিশ্ব রেকর্ড অনুমোদন করেছে"। ২৭ জানুয়ারী ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১০ 
  52. "Solar Impulse: Premier vol international réussi pour l'avion solaire" (ফরাসি ভাষায়)। Planet Techno Science। ১৪ মে ২০১১। ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩ 
  53. Davidson, Osha Gray (১৩ মে ২০১১)। "Solar-Powered Airplane Makes Historic Flight"Forbes। ৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১১ 
  54. Niles, Russ (মে ২০১১)। "Solar Impulse Crosses Border"AvWeb। ১৯ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১১ 
  55. "A setback for Solar Impulse: the solar plane favours safety and heads back to Brussels"। জুন ২০১১। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১১ 
  56. Marisa, Krystian (জুন ২০১১)। "Solar Impulse Plane: A Rare Treat For Crowds in Paris"। ২০১২-০৭-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১১ 
  57. Solar Impulse’s HB-SIA obtains two new world records ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ মার্চ ২০১৩ তারিখে. SolarImpulse.com. ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২. See also: FAI Record ID #16558 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে and FAI Record ID #16560 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে.
  58. "Solar Impulse lands in St Louis in trans-America bid"। BBC। ৪ জুন ২০১৩। ৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৩ 
  59. "Two hops for trans-US solar plane"। BBC। ১৪ জুন ২০১৩। ১৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৩ 
  60. "Trans-US solar plane reaches Dulles"। BBC। ১৬ জুন ২০১৩। ১৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৩ 
  61. "Solar Powered Plane Finishes Journey, Lands in NYC"। Associated Press। ৭ জুলাই ২০১৩। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৩ 
  62. "Solar plane completes 2nd leg of trip in Texas"। Associated Press। ২৩ মে ২০১৩। ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৩ ; "Solar Plane Completes Longest Leg of Cross-Country Flight"। Yahoo News। ২৩ মে ২০১৩। ৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৩ ; "FAI Record ID #16815 – Straight distance, pre-declared waypoints"। FAI। ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩ ; "FAI Record ID #16817 – Free Distance"। FAI। ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩ ; and "FAI Record ID #16816 – Distance along a course, pre-declared waypoints"। FAI। ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩ 
  63. "Across America Event Summary"। Solar Impulse। ৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৫ 
  64. সকল শুরু সময় UTC হিসেবে দেওয়া হয়েছে, এবং সকল শুরু তারিখ ২০১৩ সালের।
  65. "Solar Impulse 1 s'expose"। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৯ 
  66. "First Flight for Solar Impulse 2"। Sport Aviation: 14। জুলাই ২০১৪। 
  67. "Solar-powered Swiss plane attempts flight around world"। Al Jazeera। ৯ মার্চ ২০১৫। ১৮ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৬ 
  68. "Solar Impulse 2 lands in Egypt in penultimate stop of its world tour"The Guardian। ১৩ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৬ 
  69. Reisinger, Don. "Solar-powered plane embarks on longest leg of round-the-world flight", CNET, 29 June 2015
  70. Paur, Jason (২০১২-০২-২৩)। "After 60 Hours in Cockpit, Pilot of Solar Impulse Feels 'Better Than Expected'"Wiredআইএসএসএন 1059-1028। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৭ 
  71. "Solar plane makes inaugural flight"। BBC। ২ জুন ২০১৪। ২ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৪ 
  72. "Solar Impulse Flies Aircraft For Round-the-World Attempt"। Aviation Week & Space Technology। ৯ জুন ২০১৪। পৃষ্ঠা 14। 
  73. টাইমলাইন: "স্পার ছাড়া, এরপর কী?" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে, সোলার ইমপালস, ১৯ জুলাই ২০১২। ২৮ জুন ২০১৩ তারিখে পুনরুদ্ধার
  74. "আমাদের অ্যাডভেঞ্চার"। সোলার ইমপালস। ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  75. শ্রেক, অ্যাডাম (২০ জানুয়ারি ২০১৫)। "সোলার প্লেন পাইওনিয়াররা পৃথিবী প্রদক্ষিণের ফ্লাইট পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে"। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫ 
  76. মুদাল্লাল, জয়নাব (১৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "এই সোলার-চালিত বিমানটি তার প্রথম পৃথিবী প্রদক্ষিণ ফ্লাইট শুরু করতে চলেছে"। কোয়ার্টজ। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ 
  77. "সোলার ইমপালস মোনাকোতে মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র চালু করেছে"। এবিবি কনভারসেশনস। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৫ 
  78. "সোলার ইমপালস ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছেছে প্রশান্ত মহাসাগর পার হওয়ার পর", বিবিসি, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
  79. মোলকো, ডেভিড। "সোলার-চালিত বিমান পৃথিবী প্রদক্ষিণের ফ্লাইটে চীনে আটকে গেছে", সিএনএন, ১৭ এপ্রিল ২০১৫
  80. কেরুজ, উইসাম (৭ মার্চ ২০১৫)। "সোলার প্লেন ঐতিহাসিক পৃথিবী প্রদক্ষিণ ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত"। এএফপি হয়ে ইয়াহু। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৫ 
  81. অ্যামোস, জনাথন। "সোলার ইমপালস বিমান প্রশান্ত মহাসাগর পার শুরু করেছে", বিবিসি নিউজ, ৩১ মে ২০১৫
  82. র‌্যান্ডাল, টম। "এই বিমান সূর্যের শক্তিতে চলে এবং কিছু রেকর্ড ভাঙতে চলেছে", ব্লুমবার্গ এল.পি., ১৫ জুন ২০১৫
  83. মোরেল, রেবেকা"সোলার ইমপালস প্রশান্ত মহাসাগর পার করার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা শুরু করেছে", বিবিসি নিউজ, ২৮ জুন ২০১৫
  84. আর্কএঞ্জেল, অ্যাম্বার।"সোলার ইমপালস বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছে: ১১৭ ঘণ্টা ও ৫২ মিনিট – সর্বকালের দীর্ঘতম একক ফ্লাইট"cleantechnica.com। ৬ জুলাই ২০১৫। 
  85. Fédération Aéronautique Internationale (FAI) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে "কোর্স বরাবর মুক্ত দূরত্ব" ছিল ৭,০৩৯.৯ কিমি। FAI রেকর্ড আইডি #17595 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে, Fédération Aéronautique Internationale। ২৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে পুনরুদ্ধার
  86. অ্যামোস, জনাথন। "সোলার ইমপালস ২০১৬ পর্যন্ত আটকে গেছে", বিবিসি, ১৫ জুলাই ২০১৫
  87. মোলকো, ডেভিস। "সোলার ইমপালস: বিমানের পাইলটরা ২০১৬ পর্যন্ত রেকর্ড-ভাঙা প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছে", সিএনএন, ১৫ জুলাই ২০১৫
  88. "সোলার ইমপালস বিমান হাওয়াইয়ে প্রথম রক্ষণাবেক্ষণ ফ্লাইট করে", Phys.org, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
  89. আল ওয়াসমি, নাসের। "মাসব্যাপী বিরতির পর, সোলার ইমপালস ২ আবার উড়তে প্রস্তুত", দ্য ন্যাশনাল, ১১ মার্চ ২০১৬
  90. মোরোসিনি, মার্কো। "একটি মহিমান্বিত সোলার ড্রাগনফ্লাই সান ফ্রান্সিসকোতে অবতরণ করেছে – এটি কি ভবিষ্যৎ?", দ্য হাফিংটন পোস্ট, ২৮ এপ্রিল ২০১৬; এবং "জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন ও বার্ট্রান্ড পিকার্ডের মধ্যে লাইভ কথোপকথন", সোলার ইমপালস, ইউটিউব, ২২ এপ্রিল ২০১৬
  91. অ্যামোস, জনাথন (২ মে ২০১৬)। "সোলার ইমপালস বিমান ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় পৌঁছেছে"বিবিসি নিউজ 
  92. চ্যাপেল, বিল (৩ মে ২০১৬)। "সোলার বিমান সিলিকন ভ্যালি থেকে ফ্লাইটের পর ফিনিক্সে অবতরণ করেছে"। এনপিআর। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৬ 
  93. রাইবার্ন, স্টেসি। "সোলার বিমান তুলসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে", তুলসা ওয়ার্ল্ড, ১২ মে ২০১৬
  94. "সোলার ইমপালস ২ ওহাইওতে অবতরণ করে বিশ্ব ভ্রমণের সর্বশেষ ধাপ সম্পন্ন করেছে", এনবিসি, ২১ মে ২০১৬
  95. "সোলার ইমপালস ২ পেনসিলভানিয়ায় অবতরণ করে বিশ্ব ভ্রমণের সর্বশেষ ধাপে", এনবিসি, ২৫ মে ২০১৬
  96. রাইস, ডয়েল। "সোলার ইমপালস ২ নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবতরণ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত গন্তব্য", ইউএসএ টুডে, ১১ জুন ২০১৬
  97. সব শুরু সময় UTC অনুযায়ী দেয়া হয়েছে। লেগ ১ থেকে ৮-এর জন্য শুরু তারিখগুলো ২০১৫; লেগ ৯ থেকে ১৭-এর জন্য ২০১৬।
  98. "Leg 1: Abu Dhabi to Muscat"। Solar Impulse। ১৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  99. Solar Impulse টিম ১,৫৯৩ কিমি দূরত্ব রেকর্ড করেছে। FAI ওয়েবসাইট অনুসারে "সোজা দূরত্ব – পূর্বঘোষিত পয়েন্ট" ছিল ১,৪৬৮ কিমি। FAI "Record ID #17429" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে, Fédération Aéronautique Internationale. Retrieved 1 August 2015
  100. "Leg 2: Muscat to Ahmedabad"। Solar Impulse। ১৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  101. "Leg 3: Ahmedabad to Varanasi"। Solar Impulse। ২০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  102. "Leg 4; Varanasi to Mandalay"। Solar Impulse। ৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  103. "Leg 5: Mandalay to Chongqing"। Solar Impulse। ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  104. "Leg 6: Chongqing to Nanjing"। Solar Impulse। ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  105. "Leg 8: Nagoya to Hawaii" আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে, Solar Impulse. Retrieved 29 July 2015
  106. "Leg 9: Hawaii to Mountain View"। Solar Impulse। ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৬ 
  107. "Leg 10: San Francisco to Phoenix"। Solar Impulse। ২৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৬ 
  108. "Leg 11: Phoenix to Tulsa"। Solar Impulse। ২৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  109. "Leg 12: Tulsa to Dayton"। Solar Impulse। ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  110. "Leg 13: Dayton to Lehigh Valley"। Solar Impulse। ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  111. "Leg 14: Lehigh Valley to New York"। Solar Impulse। ১৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  112. "Leg 15: New York to Seville"। Solar Impulse। ১৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  113. "Leg 16: Seville to Cairo"। Solar Impulse। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  114. "We Are in Abu Dhabi" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে, Solar Impulse, ২৬ জুলাই ২০১৬
  115. Renfer, Marc; Dieuaide, Yann (নভেম্বর ২৩, ২০২০)। "Solar Impulse to be reborn as a military-linked project"। এপ্রিল ৩, ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ 
  116. "Solar Impulse to start 'second life' in Spain"। সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯। এপ্রিল ৩, ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ 
  117. Lebleu, Tristan (সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯)। "A Second Life for the Solar Impulse (Si2) Airplane" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Solar Impulse। অক্টোবর ১২, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ 
  118. Molyneaux, Ian (৫ এপ্রিল ২০২৪)। "World's first unmanned large solar aircraft takes flight"Aerotime। ১০ জুন ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  119. Graham Warwick (ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩)। "Solar-Powered Skydweller Completes First Autonomous Flights"Aviation Week। এপ্রিল ২৩, ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫ 
  120. "Skydweller on mission to fly uncrewed solar aircraft autonomously nonstop around the world"। ২৫ জুলাই ২০২৪। ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  121. https://vimeo.com/1005476561/a2383cfe27  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  122. "Twenty Francs 2015 Solar Impulse" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে (পৃষ্ঠাটি ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে দেখা হয়েছে)।
  123. (ফরাসি ভাষায়) "La Poste rend hommage à « Solar Impulse 2 » avec un timbre commémoratif" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে, Swiss Post-এর প্রেস রিলিজ যা ২৭ জুলাই ২০১৬-এ প্রকাশিত হয়েছিল (পৃষ্ঠাটি ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬-এ দেখা হয়েছে)।

বাহ্যিক সংযোগ

[সম্পাদনা]