সৈয়দ হুমায়ুন আখতার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অধ্যাপক ড.
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার
উপাচার্য
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩০ জুন ২০২১
পূর্বসূরীএম এ মান্নান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর
পেশাভূতত্ত্ববিদ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক

সৈয়দ হুমায়ুন আখতার একজন বাংলাদেশী ভূতত্ত্ববিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বর্তমান উপাচার্য।[১]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

হুমায়ুন আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ থেকে বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়গপুর থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[২][৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আখতার পেট্রোবাংলার সহকারী জিওলজিস্ট ও জাতীয় জাদুঘরের গবেষণা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০২ সালে তিনি একই বিভাগের অধ্যাপক হন।

কর্মজীবনে তিনি ঢাবির সিনেট সদস্য, ড. মুহম্মদ শহীদুলাহ্ হলের প্রভোস্ট, ভূতত্ত্ব বিভাগের ডেলটা স্টাডি সেন্টারের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার ২০২১ সালের ৩০ জুন পরবর্তী চার বছরের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।[৪][৫]

ভূতাত্ত্বিক গবেষণা ও স্থাপনা[সম্পাদনা]

হুমায়ুন আখতার ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে দেশ ও বিদেশে সুপরিচিত। তিনি নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরিতে গবেষণায় দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি জার্মানি, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভারতে ভূতত্ত্ব গবেষণায় সংযুক্ত থেকেছেন।

অতিথি বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ২০০৩ সালে ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরির সাথে সংযুক্ত হন। তিনি বাংলা পিয়ার (এনএসএ পিয়ার প্রজেক্ট) গবেষণা দলে হিমালয়ান ও বার্মিজ ডিফরমেশন ফ্রন্টে গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন।

আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অবজারভেটরি ও ছয়টি স্থায়ী সিসমিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ৩০টি জিওডেটিক জিপিএস স্টেশন সিস্টেম এবং ২৭টি পোর্টেবল সিসমোগ্রাফের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি দেশে সিডিমেন্ট সেমপল রিপোজিটরি এবং ডাটা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন।[৬]

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

হুমায়ুন আখতার অর্ধশতাধিক গবেষণাপত্র জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জিও সায়েন্স জার্নালে প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তিনি ভূতত্ত্ব বিষয়ক বহু জাতীয়-আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ, পরিচালনা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।[৫]

সদস্যপদ[সম্পাদনা]

আখতার বাংলাদেশ জিওলজিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর দি এডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স, বাংলাদেশ সোসাইটি অব জিও ইনফরমেটিকস, ইনকর্পোরেটেড রিসার্চ ইনস্টিটিউশনস ফর সিসমোলজিসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে সংযুক্ত।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হুমায়ুন আখতার"জাগোনিউজ২৪.কম। ৩০ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১ 
  2. "Syed Humayun Akhter" [সৈয়দ হুমায়ুন আখতার]। ORCiD (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১ 
  3. "বাউবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার"কালের কণ্ঠ। ১ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১ 
  4. "বাউবি'র নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার" (পিডিএফ)বাউবি। ৩০ জুন ২০২১। ১ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১ 
  5. "বাউবি'র নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার"দৈনিক জনকন্ঠ। ১ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১ 
  6. "বাউবি'র নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২১