সৈয়দ রিজা
সৈয়দ রিজা | |
|---|---|
| জন্ম | ১৮৬৩ |
| মৃত্যু | নভেম্বর ১৯৩৭ (বয়স ৭৪) এলাজিগ, তুরস্ক |
| মৃত্যুর কারণ | ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর |
| জাতীয়তা | কুর্দি |
| পেশা | উপজাতি নেতা |
| পরিচিতির কারণ | ডারসিম বিদ্রোহের অন্যতম নেতা হওয়ার জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। |
সৈয়দ রিজা (ইংরেজি: Seyid Riza), (১৮৬৩- ১৫ নভেম্বর ১৯৩৭)[১][২] ছিলেন একজন কুর্দি আলেভি রাজনৈতিক নেতা।[৩][৪] তিনি একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং দারসিম বিদ্রোহের নেতা ছিলেন।[৫][৬]
জীবনী
[সম্পাদনা]সৈয়দ রিজার জন্ম টুনচেলি/দারসিম প্রদেশের ওভাসিক জেলার লিরটিক গ্রামে। তিনি তার চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তার পিতা সৈয়দ ইব্রাহিম হেসেনান উপজাতির নেতা ছিলেন। ইব্রাহিমের মৃত্যুর পর তার ইচ্ছানুযায়ী সৈয়দ রিজা তার বাবার উত্তরসূরী হিসেবে নেতা হন।[৭] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পক্ষে উপজাতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জানা যায়, তিনি উসমানীয়দের দ্বারা তার উপর আরোপিত আদেশ সর্বদা মেনে চলতেন না। উদাহরণস্বরূপ, তিনি আর্মেনীয় গণহত্যার সময় তার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের আর্মেনীয়দের নির্বাসনের জন্য হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।[৭] তিনি কোচগিরি বিদ্রোহের নেতাদেরও সুরক্ষা দিয়েছিলেন।
১৯২৩ সালে তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর সৈয়দ রিজা তুর্কি সরকারের জন্য একটি নিয়মিত উদ্বেগের কারণ ছিলেন। কারণ তিনি মূলত স্বায়ত্তশাসিত ছিলেন এবং দারসিম অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।[৭]
১৯৩৪ সালে পুনর্বাসন আইন এবং ১৯৩৫ সালে টুনচেলি আইন[৮] পাস হওয়ার পর সৈয়দ রিজা তুর্কি কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা শুরু করেন। টুনচেলি আইনে বলা হয়েছিল যে, দারসিম অঞ্চল টুনচেলি প্রদেশে পরিণত হবে এবং এটিকে চতুর্থ ইন্সপেক্টরেট জেনারেলের সামরিক নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।[৯] ১৯৩৭ সালের মার্চ মাসের নওরোজ উৎসবের সময় সৈয়দ রিজা তুর্কি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে তুর্কি সামরিক বাহিনী বিদ্রোহ দমন করে।[৭] ১৯৩৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তুর্কি সরকারের সাথে আলোচনায় যাওয়ার পথে সৈয়দ রিজাসহ আরও বাহাত্তর জন বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তার করা হয়।[১০]
বিচার ও মৃত্যুদণ্ড
[সম্পাদনা]
সৈয়দ রিজার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁয়ের করে দুই সপ্তাহ ধরে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তিনটি শুনানির পর বিচার এবং সাজা ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত রায় শনিবার দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে শনিবার আদালতের কার্যক্রম সচারচর বন্ধ থাকতো। তাই বন্ধের দিনে আদালত পরিচালনা করে রায় ঘোষণা করা অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে মনে করা হয়। এই অস্বাভাবিক ঘটনার কারণ ছিল মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের আসন্ন এই অঞ্চলে সফর এবং স্থানীয় সরকারের আশঙ্কা ছিল যে তুর্কি রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ রিজাকে সাধারণ ক্ষমা প্রদানের জন্য আবেদন করবেন।[১১] আদালতের প্রধান বিচারক প্রথমে শনিবার তার চূড়ান্ত রায় দিতে অস্বীকৃতি জানান, রাতে বিদ্যুতের অভাব এবং জল্লাদের অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আদালত কক্ষকে গাড়ির হেডলাইট দিয়ে আলোকিত করার ব্যবস্থা করে এবং একজন জল্লাদকে খুঁজে বের করে। ফলে সাজা ঘোষণার জন্য সবকিছু প্রস্তুত করা হয়। সৈয়দ রিজা, তার ছেলে উসেন সৈয়দ, আলিয়ে মির্জে সিলি, সিভ্রাইল আগা, হেসেন আগা, ফিন্দিক আগা, রেসিক হুসেইন এবং হেসেন ইভ্রাইম কিজিসহ এগারো জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে চারজনের মৃত্যুদণ্ডকে ৩০ বছরের কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়।[১২]
সাজা ঘোষণার সময় সৈয়দ রিজার বয়স ছিল ৭৪ বছর, ফলে আইনত তাকে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব ছিল না। তবে আদালত মেনে নিয়েছিলো যে, তার বয়স ৭৪ নয়, ৫৪ বছর। ফাঁসির মঞ্চ না দেখা পর্যন্ত রিজা তার ফাঁসির বিষয় বুঝতে পারেনি। তার শেষ মুহূর্তগুলো প্রত্যক্ষ করেছিলেন ইহসান সাবরি চাগলায়াঙ্গিল:
'ফাঁসির মঞ্চ দেখার সাথে সাথেই সৈয়দ রিজা পরিস্থিতি বুঝতে পারেন। "তুমি আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে," সে বলল। তারপর সে আমার দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করল: "তুমি কি আঙ্কারা থেকে আমাকে ফাঁসি দিতে এসেছো?" আমরা দৃষ্টি বিনিময় করলাম। প্রথমবারের মতো আমি এমন একজন ব্যক্তির মুখোমুখি হলাম যার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁসি হতে চলেছে। সে আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিল। প্রসিকিউটর জিজ্ঞাসা করলেন তিনি কি প্রার্থনা করতে চান? তিনি প্রার্থনা করেননি। আমরা তার শেষ কথাগুলো জিজ্ঞাসা করলাম। "আমার কাছে চল্লিশ লিরা এবং একটি ঘড়ি আছে। তুমি এগুলো আমার ছেলেকে দেবে।" সে বলল। আমরা তাকে চত্বরে নিয়ে এলাম। স্থানটি ঠান্ডা এবং নির্জন ছিল। যাইহোক, সৈয়দ রিজা নীরবতা এবং শূন্যতাকে এমনভাবে সম্বোধন করলেন যেন চত্বরটি মানুষে পরিপূর্ণ। "আমরা কারবালার সন্তান। আমরা নির্দোষ। এটা লজ্জাজনক। এটা নিষ্ঠুর। এটা হত্যা!" সে বলল। আমার গা শিউরে উঠল। বৃদ্ধ লোকটি দ্রুত হেঁটে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেল এবং জল্লাদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল। সে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে চেয়ারে লাথি মারে, নিজেই নিজের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। তবে এমন একজন ব্যক্তির জন্য দুঃখ বোধ করা কঠিন যে তার নিজের ছেলের মতো ছোট একটি ছেলেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। যখন সৈয়দ রিজাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, তখন পাশ থেকে তার ছেলের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছিল: "আমি তোমার দাস হব! আমি তোমার ভাববাদী হব! আমার যৌবনের জন্য কিছু করুণা করো, আমাকে হত্যা করো না!"[১৩]'
পরিণতি
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্থনি এডেনকে লেখা দারসিম বিদ্রোহের কারণ ব্যাখ্যা করে একটি চিঠিতে সৈয়দ রিজা নিচের লেখাটি লিখেছিলেন বলে জানা যায়:[১৪]
"সরকার বছরের পর বছর ধরে কুর্দি জনগণকে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছে, তাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, কুর্দি ভাষায় প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে, কুর্দি ভাষাভাষীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, কুর্দিস্তানের উর্বর অঞ্চল থেকে জোরপূর্বক আনাতোলিয়ার অনাবাদী অঞ্চলে মানুষকে নির্বাসিত করেছে যেখানে অনেকেই মারা গেছে। কারাগারগুলি অ-যোদ্ধাদের দ্বারা পরিপূর্ণ, বুদ্ধিজীবীদের গুলি করা হয়েছে, ফাঁসি দেওয়া হয়েছে অথবা প্রত্যন্ত স্থানে নির্বাসিত করা হয়েছে। ত্রিশ লক্ষ কুর্দি তাদের নিজস্ব দেশে স্বাধীনতা এবং শান্তিতে বসবাসের দাবি করছে।"
১৯৩৭ সালের ১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রু কায়ার স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রপতি ভবনে জমা দেওয়া একটি নথিতে বলা হয়েছে যে, এই চিঠিটি আসলে সিরিয়ার ইউসুফ নামে একজন ব্যক্তির লেখা এবং স্বাক্ষরিত।[১৫]
এটা খুবই সম্ভব যে, এই চিঠিটি সৈয়দ রিজার নয় বরং সিরিয়ায় আশ্রয় নেওয়া দেরসিমের একজন কুর্দি জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী নুরি দারসিমি পাঠিয়েছিলেন। বলা হয় এই চিঠিটি ছিল পশ্চিমা শক্তিগুলোর কাছ থেকে কুর্দি জাতীয়তাবাদী পক্ষে সমর্থন আদায়ের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টায়। তুর্কি কর্তৃপক্ষ চিঠিটি প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করেছিল যে, সৈয়দ রিজা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন কিন্তু কখনও প্রমাণ করতে পারেনি যে চিঠিটি আসলে তার লেখা। ইংরেজি আর্কাইভ থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে চিঠিটি নুরি দারসিমি কর্তৃক স্বাক্ষরিত।[১৬]
কবর
[সম্পাদনা]সৈয়দ রিজাকে গোপনে সমাহিত করা হয়েছিল এবং তার কবরের অবস্থান জানা যায়নি। সমাধিস্থল খুঁজে বের করার জন্য একটি অভিযান এখন চলমান আছে।[১৭]
টুনচেলি সফরের সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ গুলকে সৈয়দ রিজা এবং তার সঙ্গীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর যেখানে সমাহিত করা হয়েছিল সেই কবরের অবস্থান প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। হুসেইন আয়গুন, যিনি বিরোধী দল সিএইচপির হয়ে তুর্কি সংসদে দারসিম/টুনচেলি প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন, বলেছেন "এটি কোনও কঠিন বিষয় নয়, এটি রাষ্ট্রীয় সংরক্ষণাগারে রয়েছে।"[১৮]
স্মৃতিস্তম্ভ
[সম্পাদনা]২০১০ সালে দারসিম/টুনচেলির প্রবেশপথের একটিতে সৈয়দ রিজার একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা[১৯] এবং তার নামানুসারে ভাস্কর্যের চারপাশের পার্কটির নামকরণ করা হয়।[২০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Partiyeke Tirkiyê dixwaze peykerê Seyîd Riza yê li Dêrsimê were rakirin!"। Peyama Kurd (কুর্দিশ ভাষায়)। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "بۆچی لە ڕۆژی لەسێدارەدانیدا ئەتاتورک چاوی بە سەید ڕەزای دەرسیم کەوت؟" (কুর্দিশ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Donmez-Colin, Gonul (১৯ জুলাই ২০১৯)। Women in the Cinemas of Iran and Turkey: As Images and as Image-Makers (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩৫১-০৫০২৯-৬।
- ↑ Meiselas, Susan; Bruinessen, Martin van; Whitley, A. (১৯৯৭)। Kurdistan: In the Shadow of History (ইংরেজি ভাষায়)। Random House। পৃ. ১৫০। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৭৯-৪২৩৮৯-৮।
- ↑ Altan Tan, Kürt sorunu, Timas Basim Ticaret San As, 2009, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৫-২৬৩-৮৮৪-৬, p. 28.
- ↑ Celal Sayan, La construction de l'état national turc et le mouvement national kurde, 1918–1938, Volume 1, 2002, Presses universitaires du septentrion, p. 680.
- 1 2 3 4 "Who's who in Politics in Turkey" (পিডিএফ)। Heinrich Böll Stiftung। পৃ. ২৩৫–২৩৬। ১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Törne, Annika (৫ নভেম্বর ২০১৯)। Dersim – Geographie der Erinnerungen: Eine Untersuchung von Narrativen über Verfolgung und Gewalt (জার্মান ভাষায়)। Walter de Gruyter GmbH & Co KG। পৃ. ৭৮। আইএসবিএন ৯৭৮-৩-১১-০৬২৭৭১-৮।
- ↑ Kieser, Hans-Lukas (১৯ জানুয়ারি ২০১৬)। "Dersim Massacre, 1937-1938 | Sciences Po Mass Violence and Resistance - Research Network"। dersim-massacre-1937-1938.html (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Seyit Rıza Teslim oldu"। Kurun (তুর্কি ভাষায়)। ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭। পৃ. ১।
- ↑ "HÜSEYİN AKAR » 05- Seyit Rıza"। ১৭ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "Seyit Rıza'nın kabul edilmeyen son isteği; "Beni oğlumdan önce asın! » Cafrande Kültür Sanat"। ৪ মে ২০১৮।
- ↑ "Dersim'i Çağlayangil ve Batur'dan Dinliyoruz - bianet"।
- ↑ McDowall, David. A Modern History of the Kurds, page 208. I.B. Tauris, 2004.
- ↑ "Seyit Rıza'nın 75 yıl sonra ortaya çıkan mektupları VİDEO-GALERİ"। www.haberturk.com (তুর্কি ভাষায়)। ১০ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ The Upper Echelons of the State in Dersim, by Abdullah Kiliç and Ayça Örer, published (in Turkish) in Radikal paper, 20–24 November 2011. An English translation: http://www.timdrayton.com/a55.html
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১১।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি (লিঙ্ক) - ↑ "President Gül Faces Demands from Tunceli - Erol Önderoğlu - english"।
- ↑ Hirsch, Helga (১৯ নভেম্বর ২০১১)। "Ein (fast) vergessenes Massaker"। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Victims of Dersim genocide remembered"। ANF News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৯।