সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য
জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য কুমিল্লা-১১
কাজের মেয়াদ
১০ অক্টোবর, ২০০১ – ২৯ অক্টোবর, ২০০৬
পূর্বসূরীমুজিবুল হক
উত্তরসূরীমুজিবুল হক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৫৮
চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা, পূর্ব বাংলা, পাকিস্তান
(বর্তমানে বাংলাদেশ)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
দাম্পত্য সঙ্গীডাঃ হাবিবা আক্তার চৌধুরী
সন্তান৩ কন্যা, ১পুত্র সন্তান
পিতামাওলানা সৈয়দ মাজহারুল হক হায়দরি
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা মেডিকেল কলেজ
চট্টগ্রাম কলেজ
পেশারাজনীতি, চিকিৎসা সেবা
ধর্মইসলাম

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের (জন্ম: ১৯৫৮) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ এবং কুমিল্লা-১১ (পূর্ববর্তী কুমিল্লা-১২) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১] তিনি অষ্টম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন এবং প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য[২] ও নায়েবে আমীর।[৩]

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের কুমিল্লাচৌদ্দগ্রাম উপজেলার সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা সৈয়দ মাজহারুল হক হায়দারি ছিলেন একজন ইসলামী ধর্মীয় প্রচারক, বক্তা ও পণ্ডিত। তার বক্তৃতাগত দক্ষতার জন্য তিনি বাংলার সরকার কর্তৃক 'হায়দারি'  উপাধিতে ভূষিত হন। তার মা, আকসির-ই-জাহান চৌধুরানী, চট্টগ্রামের 'কাশগর' মুসলিম জমিদার পরিবারের সদস্য। ডাঃ তাহেরের পাঁচ ভাই ও তিন বোন। তিনি পঞ্চম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে সরকারী বৃত্তি লাভ করেন। বৃহত্তর কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ হাবিবা আক্তার চৌধুরী, এমবিবিএস, এম-ফিলের সাথে বিয়ে করেন, যিনি ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমাজিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ফুলসুতি, ফরিদপুর থেকে একজন প্রভাবশালী পরিবার থেকে এসেছেন। দম্পতির তিন মেয়ে এবং একটি ছেলে আছে।

ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা[সম্পাদনা]

তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তিনি সংগঠনে যোগদানের দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের 'সদস্য' হন। তিনি ঢাকা মেডিকেল  কলেজ শাখা সভাপতি ও ঢাকা শহর শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অধ্যয়নের সময় তাহের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের (ঢামেকসু) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি কুমিল্লা এসোসিয়েশন ফর মেডিকেল স্টুডেন্টস এর সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন এবং অবশেষে ১৯৮৫-৮৬ এবং ১৯৮৬-৮৭ সেশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।[৪][৫]

আন্তর্জাতিক সংগঠনে সম্পৃক্ততা[সম্পাদনা]

ডাঃ তাহের ১৯৮৮-৯২ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ফেডারেশন অফ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন (আইআইএফএসও) এর এশিয়ার ডিরেক্টর নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯২-১৯৯৫ পর্যন্ত আইআইএফএসও এর নির্বাচিত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইআইএফএসও'র মহাসচিবের পাশাপাশি তিনি একই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার ওয়ামী (বিশ্বব্যাপী মুসলমান যুব পরিষদ) -এর পরিচালক ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bangladesh election results for Comilla-12 constituency, 2001"। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  2. "Dr. Syed Abdullah Taher visits ailed Kazi Zafar"। ২০১৪-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৮ 
  3. "Major parties express mixed reactions over al-Qaeda statement | Dhaka Tribune" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৮ 
  4. "Bangladesh Islami Chhatrashibir" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৮ 
  5. "Welcome to Bangladesh Islami Chhatrashibir"। ২০১৪-০৮-১৯। Archived from the original on ২০১৪-০৮-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৮