সেভকো ওমেরবাশিচ
এফেনদি শেভকো ওমেরবাসিচ | |
|---|---|
| উপাধি | মুফতি |
| ব্যক্তিগত তথ্য | |
| জন্ম | ৯ জুন ১৯৪৫ |
| মৃত্যু | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ (বয়স ৭৯) |
| ধর্ম | ইসলাম |
| জাতীয়তা | বসনিয়াক |
| আদি নিবাস | জাগরেব, ক্রোয়েশিয়া |
| আখ্যা | সুন্নি ইসলাম |
| শিক্ষালয় | হানাফি |
| মুসলিম নেতা | |
| ভিত্তিক | জাগরেব, ক্রোয়েশিয়া |
| উত্তরসূরী | আজিজ হাসানোভিচ |
| সাহিত্যকর্ম | ক্রোয়েশিয়ায় ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাস ইসলাম ও মুসলমানদের বর্তমান ও ঐতিহাসিক পর্যালোচনা নবী ও তার জাতি তাফসির কুরআন আকাইদ শিয়া শিয়াদের ধর্মতত্ত্ব |
| পূর্ববর্তী পদ | ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়ার ইসলামিক কমিউনিটির সভাপতি |
সেভকো ওমেরবাশিচ (৯ জুন ১৯৪৫ - ৩১ অক্টোবর ২০২৪) ছিলেন একজন ক্রোয়েশিয়ান ইমাম। তিনি ক্রোয়েশিয়া এবং স্লোভেনিয়ার ইসলামি সম্প্রদায়ের সভাপতি ছিলেন। ২০০২ সালে তাকে স্টজেপান রাদিচ পদক দেওয়া হয়। ক্রোয়েশিয়ার জনগণের সাথে অন্য দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং ক্রোয়েশিয়া-বসনিয়া সম্পর্ক উন্নত করার জন্য এ পুরস্কার দেয়া হয়। তিনি জাগরেবে ইসলামিক সেন্টার ও মসজিদ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]ওমেরবাশিচ বর্তমানে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায়, যুগোস্লাভিয়ার ফোকা শহরের কাছে উস্তিকোলিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার জন্মস্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করেন। পরে তিনি সারায়েভো যান। সেখানে তিনি গাজী হুসরেভ বে'র মাদ্রাসা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখানে তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি রুডোতে ইমাম হিসেবে কাজ করেন। তারপর তিনি ইমাম হিসেবে উস্তিকোলিনায় ফিরে আসেন।
যুগোস্লাভ সেনাবাহিনীতে যোগদানের পরপরই তিনি লিবিয়ায় ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য যান। সেখানে তিনি ইসলাম এবং আরবি ভাষা শিখেন। ১৯৭৫ সালে তিনি যুগোস্লাভিয়ায় ফিরে আসেন এবং জাগরেবের ইমাম নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি ক্রোয়েশিয়া এবং স্লোভেনিয়ার ইসলামিক সম্প্রদায়ের প্রধান মুফতি হন। ১৯৯০ সালে যখন ক্রোয়েশিয়া এবং স্লোভেনিয়ার ইসলামি সম্প্রদায়ের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ওমেরবাশিচকে এর সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয় এবং এইভাবে তিনি "মুফতি" উপাধি পান।
তিনি জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসুইট দর্শন অনুষদে পাঁচ বছর শিক্ষকতা করেন। দশ বছর ধরে তিনি জাগরেবের ডক্টর আহমেদ স্মাজলোভিচ মাদ্রাসায় ইসলামের ইতিহাস, কুরআনের ব্যাখ্যা, আরবি ভাষা এবং ইসলামিক অধ্যয়নের উপর শিক্ষকতা করেন। ওমেরবাশিচ জাগরেবের ক্যাথলিক ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ক্যাটেচেটিক্যাল ইনস্টিটিউটে দুই বছরের জন্য ধর্মীয় শিক্ষাদানে অংশগ্রহণ করেন।
২০১৭ সালের জাগরেব স্থানীয় নির্বাচনে তিনি মিলান বান্দিচের দলের প্রার্থী হিসেবে জাগরেব সিটি অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।[১]
ওমেরবাশিচ ৩০ অক্টোবর ২০২৪ সালে ৭৯ বছর বয়সে মারা যান।[২]
দর্শন
[সম্পাদনা]ওমেরবাশিচ আন্তঃধর্মীয় সহিষ্ণুতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি যখন শিক্ষকতা করছিলেন, তখন তিনি তার ছাত্রদের ক্যাথলিক প্রার্থনায় পাঠানোর রীতি চালু করেছিলেন।[৩] তিনি ইসলামী চরমপন্থীদের দ্বারা সংঘটিত সন্ত্রাসবাদেরও বিরোধী ছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এই ধরনের ঘটনা কুরআনের ভুল ব্যাখ্যার কারণে ঘটে।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "U ZG skupštinu ulaze poznata glazbenica, bivše ministrice, proslavljeni filmski producent..."। dnevnik.hr (Croatian ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৭।
- ↑ Preminuo bivši zagrebački muftija Ševko Omerbašić (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)
- ↑ "Međureligijski dijalog i ubijanje prodavača leda" (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)। Politika। ২০ নভেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Mumić, Sanel (৬ নভেম্বর ২০১১)। "Ševko ef. Omerbašić, muftija zagrebački: Treba ispitati ko je doveo vehabije u BiH"। Dnevni Avaz (বসনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১১।