সেবা প্রকাশনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সেবা প্রকাশনী
সেবা প্রকাশনী'র লোগো
প্রতিষ্ঠাকালমে ১৯৬৩
প্রতিষ্ঠাতাকাজী আনোয়ার হোসেন
দেশবাংলাদেশ
সদরদপ্তরঢাকা
ওয়েবসাইটsebaprokashoni.com

সেবা প্রকাশনী বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত, সুপ্রাচীন এবং স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা। এটির প্রতিষ্ঠাতা বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ রহস্য-ঔপন্যাসিক কাজী আনোয়ার হোসেন। সেবা প্রকাশনী প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালের মে মাসে। পেপারব্যাক সাহিত্যের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ সৃষ্টির ব্যাপারে সেবা প্রকাশনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।[১][২] স্বয়ং বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুুরুষ হুমায়ূন আহমেদও এই প্রকাশনীতে লিখেছেন। তাঁর রচিত উপন্যাসের মধ্যে অমানুষ অন্যতম। শুধু পাঠকই নয় সেবা প্রকাশনী বাংলাদেশে লেখক তৈরীতেও অসামান্য অবদান রেখেছে।[৩]

নামকরণ[সম্পাদনা]

একুশে বই মেলায় সেবা প্রকাশনীর দোকান, ২০১০

সেবা প্রকাশনীর মূল অফিস ছিল ঢাকার তৎকালীন সেগুনবাগান এলাকায়। দুজন কর্মচারী নিয়ে সেগুনবাগান প্রেসের যাত্রা শুরু হয়, যা পরবর্তীকালে নাম পাল্টে হয় সেবা প্রকাশনী। এই সেগুন বাগান নামটির দুই অংশের প্রথম অক্ষরগুলো নিয়ে সেবার নামকরণ করা হয়। বর্তমানে এলাকাটির নাম সেগুনবাগিচা।

প্রকাশিত গ্রন্থমালা[সম্পাদনা]

কুয়াশা সিরিজ[সম্পাদনা]

এটি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত প্রথম সিরিজ। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে কুয়াশা সিরিজের প্রকাশনা শুরু হয়। জনপ্রিয় এই সিরিজটির প্রধান লেখক ছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন।[৩] তবে শেখ আবদুল হাকিমও কয়েকটি বই লিখেছেন। এই সিরিজের প্রথম বই 'কুয়াশা-১' নামে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে । পরবর্তীতে মোট ২৫টি ভলিউমে সকল বই পুনঃপ্রকাশ করা হয়। ভলিউমের বাইরে কিলার, হলুদ মৃত্যু, হাঙ্গর অন্যতম বই। এই সিরিজ বর্তমানে বন্ধ। তবে মাসুদ রানা সিরিজের বই ‘সেই কুয়াশা’ এবং ‘বাউন্টি হান্টার’ এ কুয়াশার উপস্থিতি রয়েছে।

চরিত্র পরিচিতি[সম্পাদনা][সম্পাদনা]

বাঙালি তরুণ বিজ্ঞানী কুয়াশা (ছদ্মনাম) এই সিরিজের প্রধান চরিত্র। উল্লেখযোগ্য আরও কিছু চরিত্র হলো শখের গোয়েন্দা শহীদ, তার সহকারী কামাল, সরকারী গোয়েন্দা অফিসার মিস্টার সিম্পসন, কুয়াশার বোন মহুয়া, কুয়াশার সহকারী ডি কস্টা, শহীদের ছোট বোন লিনা এবং শহীদের অনুচর গফুর।

মাসুদ রানা সিরিজ[সম্পাদনা]

এটি একটি জনপ্রিয় স্পাই কিংবা গুপ্তচর কাহিনী সিরিজ। সিরিজটির বেশিরভাগ কাহিনীই কাজী আনোয়ার হোসেনের রচিত। সিরিজের প্রথম প্রকাশ ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে। বর্তমানে অনেক বেনামী লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের নামে সিরিজের বইগুলো লিখে থাকেন। এটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য রচিত একটি সিরিজ। কিছু বইয়ের কিশোর সংস্করণ অঙ্গ সংস্থা প্রজাপতি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থমালায় প্রথম প্রকাশিত বই ধ্বংস পাহাড়[২] অদ্যাবধি (২০২১) এই গ্রন্থমালা অব্যাহত। এই সিরিজের প্রথমদিকের কিছু বই মৌলিক এবং অধিকাংশই বিদেশি কাহিনির ছায়া অবলম্বনে।[৩]

তিন গোয়েন্দা সিরিজ[সম্পাদনা]

এটি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয় কিশোর, মুসা, রবিনকে নিয়ে এই জনপ্রিয় সিরিজ। প্রথম দিকে রকিব হাসানের রচনায় প্রকাশিত হলেও ২০০৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে এটি শামসুদ্দীন নওয়াব লিখছেন। এটি একটি বিদেশী কাহিনী অবলম্বনে রচিত কিশোর সিরিজ। প্রথম বই "তিন গোয়েন্দা"। এই বইটি কিশোর থ্রিলার হিসেবে প্রকাশিত হয়। সেবার একটি বিরাট মাইলফলক এই সিরিজটি। প্রথম দিক বিখ্যাত ইংরেজি গোয়েন্দা সিরিজ দ্য থ্রি ইনভেস্টিগেটর অবলম্বনে রচিত হলেও পরে অন্যান্য বই থেকেও নেয়া হয়।

অয়ন-জিমি সিরিজ[সম্পাদনা]

ইসমাইল আরমান রচিত এই সিরিজের প্রথম গল্প কালকুক্ষি ১৯৯২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। তখন তিনি ক্লাস টেনে পড়তেন। এই সিরিজের সর্বশেষ বই রহস্যবাড়ি ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়। অয়ন-জিমি সিরিজের বই গুলো হল: কালকুক্ষি, সাবাস অয়ন সাবাস জিমি, কালো মেঘ, হারানো শুশুক, মাঞ্চুরিয়ান মুখোশ, কিংবদন্তি, প্রাসাদ বাড়ির রহস্য, বিপদের ছয়টি আঙুল, পাথরপিশাচ, ভিক্টোরিয়ার হীরে, রেলগাড়ি ঝমাঝম, হ্যারাভিলের রহস্য, বানরের হাত, কালো জাদু, রাত নিশুতি, এমিলির চোখ, নিষিদ্ধ দ্বীপ, জল টলমল, রহস্যবাড়ি, পাইন রিজের ভ্যাম্পায়ার, নিশিপতঙ্গ। তাছাড়া এই সিরিজের বেশ কয়েকটা গল্প মৌলিক কাহিনীর।

কিশোর হরর সিরিজ[সম্পাদনা]

এটিও কিশোরদের একটি জনপ্রিয় সিরিজ। টিপু কিবরিয়া কর্তৃক রচিত। এটিও বেশ জনপ্রিয় হয়। কিন্তু কালক্রমে এর জনপ্রিয়তা কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসে।

পরিচিতি[সম্পাদনা]

“পাঠক, সাবধান! ভয়ের জগতে প্রবেশ করছ তুমি !!”

মূলত আর. এল. স্টিন এর গুজবাম্পস সিরিজ অবলম্বনে লেখা হত কিশোর হরর এর বইগুলো। ১৯৯৭ এর আগস্ট মাস ১ম বই প্রকাশিত হওয়ার পর টানা ২ বছর প্রতি মাসে এই সিরিজের শিরোনামে একটি করে বই বের হতে থাকে। প্রথম দিকে বইগুলোতে নির্দিষ্ট কোন চরিত্র ছিল না। কোন বইয়ে তিয়ানা, কোন বইয়ে উপম, আবার হয়ত কোন বই এর নায়ক সৌধ বা আতিক। এভাবে কিশোর হরর সিরিজের ১৩টা বই বের হওয়ার পর ১৪তম বই সাগর বিভীষিকাতে ৭জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় হরর ক্লাব। এর থেকে প্রতিটি গল্পে হরর ক্লাবের সদস্যরাই নায়ক। কখনো, হরর ক্লাবের ১জন, কখনো ৩ জন, কখনো বা সবাই থাকে বইগুলোতে। হরর ক্লাবের বই গুলো যেভাবে সদস্যদের পরিচয় দেয়া হত, তাহলো-

“আমার নাম জ্যোতি। হ্যাঁ, “জীবন্ত মমি” আর “পিরামিডের আতঙ্কের” জ্যোতি। সেই যে মিশরের গ্রেট পিরামিড চেম্বার – না থাক, সে কাহিনী তো তোমরা জানো। তোমাদের জন্যে একটা সুখবর আছে, দারুণ খবর! আমরা একটা ক্লাব খুলেছি। নাম কি জানো ? হরর ক্লাব। আমি জানি, আমাদের ক্লাবের অন্য সদস্যদের নাম শুনলে তোমরা আরও খুশি হয়ে উঠবে। কারণ ওরা তোমাদের অত্যন্ত পরিচিত – “অতৃপ্ত প্রেতাত্মার” তিয়ানা, “বৃক্ষমানবের” ঊর্মি, “জাদুর ঘড়ির” রাজা, “নেকড়ে মানবের” উপম, “অদৃশ্য বন্ধুর” ইমরান আর “পাশের বাড়ির ভুতের” সৌরভ। আমাদের উদ্দেশ্য কি জানো ? অলৌকিক, অবিশ্বাস্য, রোমহর্ষক আর ভীতিকর সব ঘটনার সন্ধান করা। অদ্ভুদ হলেও সত্যি, এমন ঘটনাগুলোই এসে হাজির হয় আমাদের সামনে। ভয় পেতে যে ভালবাস, চলো আমাদের সাথে, হরর ক্লাবে তোমাকে সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছি।”

কিশোর হরর/ হরর ক্লাবের গল্পগুলো সরাসরি পিশাচ কাহিনীর মত ভৌতিক না হলেও, ঘটনাগুলো ছিল অদ্ভুতুড়ে। একধারে অবাস্তব ঘটনার পাশাপাশি থাকত যথেষ্ট পরিমাণ হাসি ঠাট্টা। যেমন, রাজার সারাক্ষণ চুইংগাম চাবানো, উপমের কথায় কথায় “ঘটনার প্যাচ খেয়ে গেছে” বলা, বা তিয়ানার ম্যারাথন হাঁচি গল্পগুলোকে করে তুলত মজাদার। তবে অনেকের কাছে সিরিজটি ন্যাকামিতে ভরপুর, তুচ্ছ কাহিনী দিয়ে বৃথা ভয় দেখানোর চেষ্টা।

হরর ক্লাব গঠন হওয়ার পর ১৫টি বই বের হয়ে আবার পরিবর্তন আসে সিরিজটায়। “অদৃশ্য আততায়ী” বই থেকে সিরিজটিতে হরর গল্পের পাশাপাশি যোগ হয় রহস্য গল্পও, যেখানে প্রথম দিকে গল্পগুলো ভুতুড়ে মনে হলেও শেষের দিকে দেখা যায় যৌক্তিক কোন ব্যাখ্যা। তবে রহস্য যোগ হলেও ভৌতিক গল্প কিন্তু বন্ধ হয় নি। কোন বই দেখা যেত রহস্য গল্প, আবার কোনটি ভৌতিক। এতে একটা রহস্য তৈরি হত পাঠক মনে, সত্যিই কি গল্পের শেষে কোন বাস্তব ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে, নাকি কোন অলৌকিক ঘটনার হবে গল্পটি? এভাবে ৩৪টি বই বের হওয়ার পর ২০০২ এর এপ্রিল মাসে থেকে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় সিরিজটি। ৩ বছর বন্ধ থাকার পর ২০০৫ এ নতুন করে সিরিজটি শুরু হলেও ৪ বই বের হওয়ার পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এই সিরিজের কিছু বই (আকাশ প্রেত, রত্নগড়ের রহস্য) তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করে ভলিউমে যোগ করা হয়।

প্রধান চরিত্রসমূহ[সম্পাদনা]

  • জ্যোতি
  • তিয়ানা
  • ঊর্মি
  • রাজা
  • উপম
  • ইমরান
  • সৌরভ

তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর[সম্পাদনা]

তিন গোয়েন্দায় ভাল মানের কাহিনির অভাবে এবং রকিব হাসান তিন গোয়েন্দা লেখা ছেড়ে দেওয়ায় সেবা প্রকাশনীর অন্যান্য অনেক সিরিজের মত কিশোর হররের অনেক বই তিন গোয়েন্দায় রূপান্তর করা হয় এবং তিন গোয়েন্দা ভলিউমে যোগ করা হয়।

গোয়েন্দা রাজু সিরিজ[সম্পাদনা]

শিশুদের জন্য রচিত গোয়েন্দা সিরিজ। লেখক আবু সাঈদ। প্রথম বই "মামার মন খারাপ"। বর্তমানে বন্ধ। তবে এই সিরিজ বেশ জনপ্রিয় হয়। উল্লেখ্য যে, লেখক আবু সাঈদ, রকিব হাসানেরই ছদ্মনাম।

রোমহর্ষক সিরিজ[সম্পাদনা]

এটি একটি কিশোর সিরিজ। জাফর চৌধুরী রচিত। বর্তমানে বন্ধ। উল্লেখ্য যে, লেখক জাফর চৌধুরীও, রকিব হাসানেরই ছদ্মনাম।

অ্যাডভেঞ্চার সিরিজ[সম্পাদনা]

এটি একটি কিশোর সিরিজ। জাফর চৌধুরী রচিত। বর্তমানে বন্ধ। মজার ব্যপার হচ্ছে যে, লেখক জাফর চৌধুরীও, রকিব হাসানেরই ছদ্মনাম।

অনুবাদ সিরিজ[সম্পাদনা]

বিদেশী ভাষায় রচিত বইগুলোর অনুবাদ প্রকাশিত হয় এ সিরিজে। অনুবাদকদের মধ্যে কাজী আনোয়ার হোসেন, রকিব হাসান, শামসুদ্দীন নওয়াব, শেখ আব্দুল হাকিম, খসরু চৌধুরী, নিয়াজ মোর্শেদ উল্লেখযোগ্য।

কিশোর ক্লাসিক সিরিজ[সম্পাদনা]

কিশোরদের উপযোগী বিদেশী বইয়ের অনুবাদ প্রকাশিত হয় এ সিরিজে। বিদেশী ভাষায় রচিত বইগুলোর অনুবাদ প্রকাশিত হয় এ সিরিজে। অনুবাদকদের মধ্যে রকিব হাসান, কাজী আনোয়ার হোসেন, শেখ আব্দুল হাকিম, খসরু চৌধুরী, নিয়াজ মোর্শেদ উল্ল্যেখযৌগ্য।

সেবা রোমান্টিক সিরিজ[সম্পাদনা]

১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রেম ও রোমান্স নির্ভর কাহিনী নিয়ে এ সিরিজের বইগুলো। লেখক রোকসানা নাজনীন, খন্দকার মজহারুল করিম, শেখ আব্দুল হাকিম, শাহেদ ইকবাল।

সেবা ওয়েস্টার্ন সিরিজ[সম্পাদনা]

সিরিজের যাত্রা শুরু ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে। লেখক কাজী মাহবুব হোসেন, রওশন জামিল, শওকত হোসেন। কাহিনী বিষয়বস্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের সময়ের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের বা আউটল'দের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের লড়াই। কাউবয়দের ওপর নির্মিত এই উপন্যাসগুলি বিদেশী কাহিনী নির্ভর।

আত্মউন্নয়ন সিরিজ[সম্পাদনা]

১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশ। আত্নউন্নয়নের সহায়ক বই। লেখক বিদ্যুৎ মিত্র, বিশু চৌধুরী, মহাজাতক, ডাঃ রেজা আহমেদ

প্রকাশিত পত্রিকা[সম্পাদনা]

সেবা প্রকাশনী থেকে বর্তমানে প্রকাশিত পত্রিকা মাসিক রহস্যপত্রিকা। রহস্যপত্রিকা এখনও সমান তালে প্রকাশিত হচ্ছে প্রতি মাসের এক তারিখে। ৫০/= মূল্যমানের এই পত্রিকাটি এখনও জিইয়ে রাখার প্রধান কাজটা পাঠকরাই করেন। সেবার জন্মলগ্ন থেকেই এই পত্রিকার প্রকাশনা চললেও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু দিনের জন্য বন্ধ থাকার পর পুনরায় ১৯৭৪ সাল হতে শুরু হয় এর প্রকাশনা। তাই ১৯৭৪ সালকেই ধরা হয় এর জন্মলগ্ন। এতে বর্তমানের অনেক খ্যাতনামা লেখকই লিখেছেন। এছাড়াও কিশোর পত্রিকা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হত যা বর্তমানে বন্ধ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Sheba and those Early Reading Years"দ্য ডেইলি স্টার। মার্চ ২০, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৮, ২০১৩ 
  2. বইয়ের জগতে ষাট দশকের এক কিশোর
  3. "কাজী আনোয়ার হোসেনের ভুবনে"দৈনিক প্রথম আলো। ৯ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৯ 
  • সেবা প্রকাশনী মূল্যতালিকা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩