সুলতানা কামাল
সুলতানা কামাল | |
|---|---|
| জন্ম | ১৯৫০ সাল ঢাকা, পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) |
| ছদ্মনাম | লুলু |
| পেশা | মানবাধিকারকর্মী ও রাজনীতিবিদ |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
| শিক্ষা | এমএ |
| শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
| বিষয় | নারী অধিকার |
| সাহিত্য আন্দোলন | মুক্তিযুদ্ধ |
| উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | জন হামফ্রে ফ্রিডম পুরস্কার, অনন্যা সেরা দশ পুরস্কার (১৯৯৫) |
| দাম্পত্যসঙ্গী | সুপ্রিয় চক্রবর্তী |
| সন্তান | দিয়া সুদেষ্ণা চক্রবর্তী |
| আত্মীয় | কামালউদ্দিন আহমেদ (পিতা) সুফিয়া কামাল (মাতা) |
| ওয়েবসাইট | |
| http://www.askbd.org/ask/ | |
সুলতানা কামাল একজন বাংলাদেশী মানবাধিকারকর্মী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতির ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সাথে দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে ধারাবাহিক মতবিরোধের কারণে পদত্যাগকৃত তিনজন উপদেষ্টার মধ্যে তিনি একজন।[১]
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]সুলতানা কামাল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫০ সালে। তার পিতা কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় কবি সুফিয়া কামাল। সুলতানা কামাল লীলা নাগের নারীশিক্ষা মন্দিরে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার আজিমপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার স্বামীর নাম শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী। সুলতানা কামালের পারিবারিক ডাকনাম 'লুলু'।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সঙ্গীত কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন সুলতানা কামাল। তিনি বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং বাংলাদেশ টোব্যাকো কোম্পানীতে নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি সিলেটের খাদিমনগরে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। তিনি নেদারল্যান্ড থেকে ওমেন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি হংকংয়ে ভিয়েতনামী ভাসমান লোকজনের উপর জাতিসংঘের আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০১৬ সাল পর্যন্ত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।[২]
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালের মহান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সুলতানা কামাল কাজ করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশ হাসপাতালে। আহত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করবার জন্য স্থাপিত হাসপাতালটি গড়ে তুলবার সময় থেকে শুরু করে যুদ্ধ শেষ হবার সময় পর্যন্ত সুলতানা কামাল (লুলু), তার ছোটবোন সাঈদা কামাল (টুলু), বেশ কয়েকজন নারী-যুবকসহ লন্ডন প্রবাসী দুজন ডাক্তার (ডা. মবিন এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। সুলতানা কামালের তেমন কোনো নার্সিং প্রশিক্ষণ ছিল না। তবে ছিল অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর অপার সাহস। সেবা আর ভালোবাসা দিয়ে তারা সুস্থ করে তুলেছেন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের। দেশ স্বাধীন হবার পর তারা নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।[৩][৪][৫]
পুরস্কার
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "No scope for work"। দ্য ডেইলি স্টার। ১২ ডিসেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১১।
- ↑ "আসক থেকে ইস্তফা দিলেন সুলতানা কামাল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ একাত্তরের দিনগুলি। বাংলাদেশ: সন্ধানী প্রকাশনী। ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬। আইএসবিএন ৯৮৪-৪৮০-০০০-৫।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বছর (লিঙ্ক) - ↑ একাত্তরের ডায়েরী। বাংলাবাজার, ঢাকা, বাংলাদেশ: হাওলাদার প্রকাশনী। ১৯৮৯। আইএসবিএন ৯৭৪-৯৮৪-৮৯৬৪-০৩-৩।
{{বই উদ্ধৃতি}}:|আইএসবিন=মান: অবৈধ উপসর্গ পরীক্ষা করুন (সাহায্য) - ↑ আমিই খালেদ মোশাররফ, সম্পাদনাঃ এম আর আখতার মুকুল। ঢাকা, বাংলাদেশ: অনন্যা। ১৯৯০। পৃ. ৪২। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৪৩২-৩৯২-৬।
- ওয়েবসাইট প্যারামিটার খালি ইউআরএল ব্যবহারকারী জীবনী টেমপ্লেট
- ১৯৫০-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ঢাকার রাজনীতিবিদ
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাংলাদেশী মানবাধিকার কর্মী
- বাংলাদেশী সমাজকর্মী
- বাংলাদেশী নারীবাদী
- বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
- বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো
- বাংলাদেশী নারী অধিকার কর্মী
- মুক্তিবাহিনীর কর্মকর্তা
- ইসলামি নারীবাদী
- হলি ক্রস কলেজ, ঢাকার প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মন্ত্রিসভার সদস্য
- অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার বিজয়ী
- নারী মানবাধিকার কর্মী
- স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী