সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ
ধরন | রাজ্য সরকার পোষিত |
---|---|
স্থাপিত | ১৮৮২ |
অধিভুক্তি | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | ড. মহম্মদ তারান্নুম |
ঠিকানা | ২৪/২ মহাত্মা গান্ধী রোড, কলকাতা - ৯ , , , |
ক্রীড়া | আন্তঃ কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা |
ওয়েবসাইট | www.snlawcollege.ac.in |
সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ (অতীতের রিপন কলেজ) বাংলার প্রাচীনতম ও ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন আইন মহাবিদ্যালয়। কলকাতায় এই কলেজটির প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় নেতা, শিক্ষাবিদ রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
কলেজটি প্রথমে প্রেসিডেন্সি স্কুল (১৮৮২) হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৮৮৪ সাল থেকে এখানে আইন পড়ানো শুরু হয় এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে আইনে স্নাতক শিক্ষার ডিগ্রী প্রদান করা হতে থাকে। স্যার সুরেন্দ্রনাথ এর কিছু পরে তদানীন্তন ভাইসরয় লর্ড রিপনের নামে কলেজটির নামকরণ করেন। পাশাপাশি একটি সাধারণ ডিগ্রী কলেজ হিসেবে রিপন কলেজ চালু হয় হয় যার বর্তমান পোষাকি নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। এই কলেজের মহিলা শাখা 'সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ফর উইমেন' প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৩১ সাল নাগাদ। ১৯৪৯ সালের পর রিপন কলেজে আইন সহ সবকটি শাখার নতুন নামকরণ হয় প্রতিষ্ঠাতা সুরেন্দ্রনাথের নামে।[২]
রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনে[সম্পাদনা]
সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ বাংলার রাজনীতিতে ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানের বহু ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকেরা অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪২ এর ভারত ভারত ছাড়ো আন্দোলনে একাধিক ছাত্র যোগদান করেন, কারাবরণ করেন। কলেজের ছাত্রাবাস রিপন হোস্টেল ছিল সশস্ত্র বিপ্লববাদীদের অন্যতম আখড়া।
শিকাগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ তার সুবিখ্যাত বক্তৃতা প্রদান করে ভারতে ফিরে এই কলেজের বেদীতেই তার প্রথম বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। সেই স্মৃতিতে কলেজের সামনে একটি স্মারকস্তম্ভ বিদ্যমান।
পরবর্তীতে স্বাধীন ভারতে বামপন্থী আন্দোলন, নকশাল আন্দোলন সহ অন্যান্য সামাজিক, বৈপ্লবিক আন্দোলনে সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা সামনের সারিতে ছিল।[২]
প্রাক্তন ছাত্র[সম্পাদনা]
- ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ - ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি
- স্যার বিজন কুমার মুখার্জী - সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বাঙালী প্রধান বিচারপতি
- হরেন্দ্র কুমার মুখার্জী - স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রাজ্যপাল
- বীরেন্দ্রনাথ শাসমল - জাতীয়তাবাদী আইনবিদ ও রাজনীতিজ্ঞ
- ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত - স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের শহীদ
- শহীদুল্লা কায়সার - বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী ও শহীদ
- নূরেজ্জামান ভুঁইয়া - রাজনীতিবিদ ও শিক্ষক
- গোলাম রহমান - খ্যাতনামা সাংবাদিক ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের শহীদ
- মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায় - বাঙালি বিচারপতি ও আইনবিদ
- মশিউর রহমান (মুক্তিযোদ্ধা) - মুক্তিযোদ্ধা
- মোশাররফ হোসেন (যশোরের রাজনীতিবিদ) - বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য, জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি।
- নিবারণ চন্দ্র নন্দী - জুরি পদ্ধতিতে বিচারকদের সদস্য, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্্যন্ত দুই মেয়াদে নারায়নহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট ( বর্তমান নাম চেয়ারম্যান) ছিলেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ড. সোমনাথ মিত্র, পিয়াস (২০০২)। ফ্রম দি প্রিন্সিপ্যাল ডেস্ক। কলকাতা: সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ ছাত্র সংসদ। পৃষ্ঠা ১৩।
- ↑ ক খ এবাউট আস। "সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজ"। www.snlawcollege.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।