বিষয়বস্তুতে চলুন

সুমিত্রা (অভিনেত্রী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুমিত্রা
জন্ম
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৭২–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীডি. রাজেন্দ্র বাবু (বি. ১৯৮০; মৃ. ২০১৩)[]
সন্তানউমাশঙ্করী
নক্ষত্রা[]

সুমিত্রা একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি তামিল, মালায়ালাম, কন্নড় এবং তেলুগু ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে চলচ্চিত্রে প্রধান নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে তিনি চলচ্চিত্রে মূলত মায়ের চরিত্রে অভিনয় সুপরিচিত হয়ে ওঠেন।

জীবনের প্রথমার্ধ

[সম্পাদনা]

সুমিত্রা কেরালার ত্রিশুরে রাঘবন নায়ার এবং জানকীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। [] তার তিন ভাই আছে। তার বাবা একটি তেল পরিশোধন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। স্কুলে পড়আর সময় থেকেই তিনি তখন সে মুরুগাপ্পান মাস্টারের কাছ থেকে নৃত্য শিক্ষা গ্রহন করছিলেন। মুরুগাপ্পান মাস্টার সেই সময়ে অভিনেত্রী কেআর বিজয়ার উপদেষ্টা ছিলেন। সুমিত্রা একজন ভালো ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী।

১৯ বছর বয়সী সুমিত্রা মালায়ালাম ছবি নৃত্যশালা (১৯৭২) -তে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয় করে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পরিচালক এবি রাজ প্রথম সুমিত্রার প্রতিভা লক্ষ্য করেছিলেন। এক বছর পর সুমিত্রা মালায়ালাম ছবি নির্মলায়ম -এ নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি তামিল, মালায়ালাম, কন্নড় এবং তেলুগু ভাষার ২০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তামিল ভাষায়, আভালাম পেন থানে (১৯৭৪) ছিল তার প্রথম চলচ্চিত্র। কন্নড় ভাষায়, তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল মুগিয়াদা কাথে ( ১৯৭৫) । তিনি কন্নড় অভিনেতা বিষ্ণুবর্ধন এবং রাজেশ, তামিল অভিনেতাশিবাজি গণেসান, জয়শঙ্কর, শিবকুমার, রজনীকান্ত এবং কমল হাসান ইত্যাদি শীর্ষস্থানীয় নায়কের সাথে অভিনয় করেছেন।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

সুমিত্রা একজন প্রতিভাবান দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি তামিল, মালয়ালম, কন্নড় এবং তেলুগু চলচ্চিত্রে অসংখ্য স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর চলচ্চিত্র জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে, এবং তিনি কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছিলেন।

তামিল চলচ্চিত্রে সুমিত্রার অভিনয় জীবন ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অভালুম পেন থানে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর ওরু কুডুম্বাথিন কাধাই (১৯৭৫), ললিতা (১৯৭৬), ভুবনা ওরু কেলভি কুরি (১৯৭৭), নিঝাল নিজামাগিরাধু (১৯৭৮), কাদাভুল আমাইথা মেডাই (১৯৭৯), পাক্কু ভেথালাই (১৯৮১) সহ অসংখ্য সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলো সাধারণত ছিল সংবেদনশীল ও আবেগপ্রবণ, যা দর্শকদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকেও তিনি অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন, যার মধ্যে সাঙ্গিলি (১৯৮২), অন্নেই অন্নেই (১৯৮৩), কন্নি রাসি (১৯৮৫), মহাসক্তি মারিয়াম্মান (১৯৮৬), অগ্নি নক্ষত্রাম (১৯৮৮), চিন্না থাম্বি (১৯৯১), সিঙ্গারাভেলান (১৯৯২) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০০০-এর দশকেও তাঁর অভিনয় দক্ষতা বজায় থাকে, যখন তিনি সামি (২০০৩), সিংগাম (২০১০), ভীরম (২০১৪) এবং ভালিমাই (২০২২)-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন।

সুমিত্রার অভিনয় দক্ষতা শুধু নায়িকার ভূমিকাতেই নয়, বরং পার্শ্বচরিত্র ও মাতৃরূপে অভিনয়েও ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তাঁর সাবলীল সংলাপ ও শক্তিশালী অভিব্যক্তি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেত। দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এই গুণী অভিনেত্রীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

তিনি বিখ্যাত কন্নড় চলচ্চিত্র পরিচালক ডি. রাজেন্দ্র বাবুর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন (১৯৮০ সাল থেকে) এবং তাদের দুই কন্যা উমাশঙ্করী (জন্ম ১৯৮২) এবং নক্ষত্রা (জন্ম ১৯৯০)। উমাশঙ্করী কন্নড় মুভি উপ্পি দাদা এমবিবিএস -এর প্রধান নায়িকা ছিলেন।

চলচ্চিত্র তালিকা

[সম্পাদনা]

তামিল

[সম্পাদনা]

মালায়ালাম

[সম্পাদনা]

কন্নড়

[সম্পাদনা]

তেলুগু

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Kannada film director Rajendra Babu dead"The Hindu। ৩ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. "Sumitra's younger daughter Nakshatra debuts"southdreamz.com। Archived from the original on ২১ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  3. "ഇതൊരു അപൂര്‍വ്വ സൗഭാഗ്യം"mangalam.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  4. "শ্রাবণ সন্ধ্যা (১৯৮৬)"Indiancine.ma। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৯