বিষয়বস্তুতে চলুন

সুমিতা ঘোষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুমিতা ঘোষ
জন্ম
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষামুম্বাই
দাম্পত্য সঙ্গীসঞ্জয় ঘোষ

সুমিতা ঘোষ, একজন ভারতীয় উদ্যোক্তা যিনি রঙসূত্র সমষ্টি শুরু করেছিলেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নারী শক্তি পুরস্কার জিতেছিলেন। শত শত কারিগর এই রঙসূত্রের সহ-মালিক। এই কোম্পানির মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করে এবং আইকিয়ার মতো বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে চাহিদার ব্যবধান পূরণ করে।

সুমিতা ঘোষের জন্ম কলকাতায়। তিনি মুম্বাই থেকে স্নাতক হন। এরপর তিনি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সঞ্জয় ঘোষকে বিবাহ করেছেন। তাঁরা রাজস্থানে স্বাস্থ্য শিক্ষার উন্নতির জন্য গ্রামীণ সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করেছিলেন। তাঁর স্বামীকে আসামে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম অপহরণ করে এবং তাঁকে আর ফিরে পাওয়া যায়নি।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

বহু বছর ধরে সুমিতা ভারতের গ্রামীণ এলাকায় সমাজ ও অর্থনীতির উন্নতির জন্য কাজ করেছেন।[] ২০০৭ সালে, তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে গ্রামীণ কারিগরদের আরও আর্থিক রোজগারের কাজে সহায়তা করার জন্য তিনি নিজে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করবেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল কিছু কার্যকরী মূলধন গড়ে তোলা। তাঁর কাছে ওই ধরণের টাকা ছিল না, এবং ঋণ নিশ্চিত করার জন্য তাঁর কাছে কোনও জামানত না থাকায় ব্যাংক থেকে কোন সাহায্য পাওয়া যায়নি। সুমিতা সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি কারিগরদের বিনিয়োগের জন্য রাজি করাবেন এবং বিনিময়ে তারা উদীয়মান কোম্পানিতে শেয়ারের মালিক হবে। এতে কাজ হলো, যদিও কিছু বিনিয়োগকারী এখন শেয়ার সার্টিফিকেটের মালিক হলো, তবে এটিই ছিল তাদের একমাত্র সম্পত্তি, কারণ তাদের জীবনের বাকি সবকিছু তাদের স্বামীদের ছিল। এই নতুন শুরু ব্যবসাটি হলো রঙসূত্র সমষ্টি।[]

২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সুমিতাকে নারী শক্তি পুরস্কার প্রদানের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল।[] নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এই পুরস্কার প্রদান করেন। সেদিন আরও চোদ্দজন নারী এবং সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করা হয়েছিল।[] সেই সময় রঙসূত্র সমষ্টিতে ২০০০ জন বিনিয়োগকারী কারিগর ছিলেন।[]

২০২০ সালে, থাইল্যান্ড, রোমানিয়া, জর্ডান এবং ভারতের সামাজিক উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় আইকিয়া (একটি বহুজাতিক সংগঠন) তাদের ডিজাইনারদের দ্বারা তৈরি বোটানিস্ক রেঞ্জ চালু করে। ভারতে তাদের সরবরাহকারীদের মধ্যে সুমিতার কোম্পানি রঙসূত্র, ইণ্ড্রাসট্রি এবং রমেশ ফ্লাওয়ার্স ছিল। রঙসূত্র উদ্ভিদবিদ্যার বিষয় বস্তুর সাথে মানানসই স্থায়ী উপকরণ দিয়ে তৈরি কুশন কভার সরবরাহ করছে। তারা এবং আইকিয়া হস্ত-চালিত তাঁতের তাঁতি এবং অন্যান্য গ্রামীণ কারিগরদের জন্য কাজের সুযোগ করে দিয়েছে।[]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

সুমিতা ঘোষকে অনুদান এবং ফেলোশিপও দেওয়া হয়েছে। তিনি ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম এবং অ্যাস্পেন ইনস্টিটিউটে ছিলেন।[] নতুন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি সুমিতাকে নারী শক্তি পুরস্কার প্রদান করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "जिद को जुनून बनाने से मिलती है जीत, रंगसूत्र : 50 देशों में करोड़ों का कारोबार"Dainik Bhaskar (হিন্দি ভাষায়)। ২০১৫-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১১ 
  2. "Sumita Ghose"The Resource Alliance (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১১ 
  3. "One Woman Is Changing Lives of 3,000 Artisans from Remote Indian Villages with Their Own Help"The Better India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১১ 
  4. Ministry of WCD [@MinistryWCD] (২০১৬-০৬-২৬)। "Ms. Sumita Ghose from Delhi won the prestigious #NariShakti Award for her work in rural India #TransformingIndia t.co/ypv5Z4O4rj" (টুইট) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২১টুইটার-এর মাধ্যমে। 
  5. "Give women freedom to exercise choices at home, workplace: President Pranab Mukherjee"The Economic Times। ২০১৬-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  6. "IKEA India unveils BOTANISK, a handcrafted series created in collaboration with six social entrepreneurs"Architectural Digest India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১১