সুনির্মল বসু
সুনির্মল বসু | |
---|---|
জন্ম | নির্মলচন্দ্র ২০ জুলাই ১৯০২ গিরিডি, বিহার, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে ঝাড়খণ্ডভারত) |
মৃত্যু | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ | (বয়স ৫৪)
পেশা | কবি |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
ধরন | কবিতা, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ভুবনেশ্বরী পদক |
সন্তান | অভীক বসু |
সুনির্মল বসু (২০ জুলাই ১৯০২ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭) একজন বাঙালি কবি ও শিশুসাহিত্যিক।
জন্ম
[সম্পাদনা]সুনির্মল বসু ১৯০২ সালের ২০ জুলাই (১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৪ শ্রাবণ) ভারতের বিহারের অধুনা ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে পিতার কর্মস্থলে তথা মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সেদিন ছিল শ্রাবণের পূর্ণিমা। তাই তার নাম রাখা হয়েছিল নির্মলচন্দ্র। পরে সুনির্মল রাখা হয়।[১] তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের মালখানগর। পিতার পশুপতি বসু।[২] সাংবাদিক ও সাহিত্যিক গিরিশচন্দ্র বসু ছিলেন তার পিতামহ এবং বিপ্লবী ও সাহিত্যিক মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা ছিলেন তার মাতামহ।[৩] ছোটবেলা সাঁওতাল পরগণার মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে তার মনে কবিতা রচনার অনুপ্রেরণা জাগায়। তাঁর প্রথম কবিতা 'প্রবাসী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রধানত সরস শিশু সাহিত্য রচনাকেই সাহিত্যের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। কবিতা রচনা ছাড়াও কিশোর বয়স থেকে চিত্রাঙ্কনেও দক্ষ ছিলেন।[২]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]পিতার কর্মস্থল পাটনার গিরিডি স্কুল থেকে ১৯২০ সালে সুনির্মল বসু ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতার সেন্ট পলস কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু ১৯২১ সালে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কলেজ ত্যাগ করেন। এরপর অবনীন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠিত আর্ট কলেজে ভর্তি হন।[২]
সাহিত্যসৃষ্টি
[সম্পাদনা]ছড়া, কবিতা, গল্প, কাহিনি, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি,রূপকথা, কৌতুকনাট্য প্রভৃতি শিশু ও কিশোরদের উপযোগী বিভিন্ন বিষয়ক রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। আর তার জনপ্রিয়তার মূলে ছিল ছন্দের চমৎকারিত্ব ও মিলপ্রয়োগের কুশলতা।[২][৪]
গ্রন্থতালিকা
[সম্পাদনা]- হাওয়ার দোলা (১৯২৭)
- ছানাবড়া
- বেড়ে মজা
- হৈ চৈ
- হুলুস্থূল
- কথাশেখা
- পাততাড়ি, ছন্দের টুংটাং (১৯৩০)
- আনন্দ নাড়ু
- শহুরে মামা
- কিপটে ঠাকুরদা (১৯৩৩)
- টুনটুনির গান
- গুজবের জন্ম
- বীর শিকারী
- লালন ফকিরের ভিটে
- পাতাবাহার
- ইন্তিবিন্তির আসর (১৯৫০)
- পাহাড়ে জঙ্গলে
এছাড়া তিনি আত্মজীবনী লিখেছিলেন "জীবনখাতার কয়েক পাতা"। এটি লিখেছিলেন ১৯৫৫ সালে।
পুরস্কার
[সম্পাদনা]১৯৫৬ সালে তিনি ভুবনেশ্বরী পদক লাভ করেন।[৩][৫]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৫৭ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরদিনই আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় কলমে প্রমথনাথ বিশী লিখলেন -
স্বর্গের নন্দনকাননে বসে এক শিশু মুড়ি খাচ্ছে, আরেক শিশু এইমাত্র সেখানে গিয়ে হাজির হল মুড়িমুড়কির ভাগ বসাতে।
প্রসঙ্গত প্রথম শিশুটি ছিলেন বিভূতিভূষণ। [১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "আমার বাবা কবি সুনির্মল বসু"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৭৯৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ক খ "স্মরণে সুনির্মল বসু"। নিউজনেক্সটবিডি ডটকম। ২০ জুলাই ২০১৬। ২২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ শিশিরকুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ২৩০। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)। - ↑ "SUNIRMAL BASU"। readbengalibooks.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২৫।