সুনিতা উইলিয়ামস
![]() | এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৬ মাস আগে Waraka Saki (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
সুনিতা উইলিয়ামস | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
অবস্থা | সক্রিয় |
জাতীয়তা | American |
পেশা | পরীক্ষক পাইলট |
মহাকাশযাত্রা | |
নাসা নভোচারী | |
ক্রম | কমান্ডার, USN |
মহাকাশে অবস্থানকাল | ১৯৪ দিন ১৮ ঘন্টা ২ মিনিট |
মনোনয়ক | 1998 NASA Group |
অভিযান | STS-116, Expedition 14, Expedition 15, STS-117 |
অভিযানের প্রতীক | ![]() ![]() ![]() ![]() |
সুনিতা উইলিয়ামস (জন্ম ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫) হচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন মহাকাশচারী।[১] তাকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অভিযান এক্সপিডিশন ১৪ এর একজন সদস্য হিসেবে কার্যভার প্রদান করা হয়েছিল এবং তারপর তিনি এক্সপিডিশন ১৫ এ যোগদান করেন। তিনি মহিলা মহাকাশচারীদের মধ্য সর্বাপেক্ষা দীর্ঘসময় (১৯৫ দিন) মহাকাশ উড়ার রেকর্ড অর্জন করেছেন।[২] নাসার সর্বসাধারনের জন্য একজন প্রাতিষ্ঠানিক মুখপাত্র হিসেবে কলবার্ট রিপোর্টে উপস্থিত হয়ে আইএসএস এর নোড ৩ এর নাম ঘোষণা করার জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
সুনিতা ওহাইও-এর ইউক্লিডে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা দিপক পান্ডে, একজন ভারতীয়-আমেরিকান স্নায়ুতন্ত্রবিদ। এবং মাতা উরসুলিন বনি পান্ডে। তারা বর্তমানে ম্যাসাচুসেটসের ফ্যালমাউথে বসবাস করেন। উইলিয়ামসের পিতৃপক্ষ জন্মসূত্রের উৎপত্তি ভারতের গুজরাত থেকে এবং তিনি তার পিতার পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য ভারতে আসেন। মাতৃসূত্রে তিনি শ্লোভেন বংশদ্ভুত।[৪]
উইলিয়ামস মাইকেল উইলিয়ামস কে বিবাহ করেন। তারা দু'জন ১৬ বছরের অধিক সময় ধরে বিবাহিত রয়েছেন এবং তাদের পেশাজীবনের প্রথমে দু'জনেই হেলিকপ্টার-চালক ছিলেন। তার অবসর বিনোদনে উৎসাহদায়ক খেলাগুলি হল, দৌড়, সাঁতার, বাইকিং প্রভৃতি খেলাগুলো খেলে থাকেন। তিনি বোস্টন রেড সক্সের একজন অতি উৎসাহী সমর্থক। তার গর্বি নামে একটি পোষ্য জ্যাক রাসেল টেরিয়ার কুকুর আছে।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফোরাম এবং প্রচুর শেয়ার হওয়া ইমেইল অথবা গনমেসেজে দাবী করা হয় যে, সুনিতা উইলিয়ামস চাঁদ থেকে ফেরার পর হিন্দুধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। তবে সত্য হলো তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
সুনিতা উইলিয়ামস ম্যাসাচুসেটসের নিডহ্যামের নিডহ্যাম হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে ১৯৮৩ সালে স্নাতক হন। তিনি ১৯৮৭ সালে ইউ এস নেভাল অ্যাকাডেমি থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী এবং ১৯৯৫ সালে ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে প্রকৌশল-ব্যবস্থাপনার উপর ডিগ্রী লাভ করেন।[১]
সামরিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]
১৯৮৭ এর মে মাসে উইলিয়ামস যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল অ্যাকাডেমি থেকে উত্তীর্ন হয়ে ইউ এস নেভি তে একজন অ্যাসাইন হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি নৌ-বায়ু সেনার পদ লাভ করেন এবং ১৯৯৩ এ নেভাল টেস্ট পাইলট স্কুল থেকে স্নাতক হন।[১]
নাসা কর্মজীবন[সম্পাদনা]
জুন ১৯৯৮ এ নাসা কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে উইলিয়ামস অগাস্ট ১৯৯৮ এ তার প্রশিক্ষণ শুরু করেন।[১] তার মহাকাশচারী প্রার্থির প্রশিক্ষণের অন্তর্গত ছিল, পারিপার্শ্বিকের উপর উপদেশাবলী ও ভ্রমণ এবং অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উপদেশাবলী, শাটেল (অল্প সময়ের ব্যবধানে চলাচলকারী যান) ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের নিয়মাবলীর উপর গভীর নির্দেশিকা, শারীরবৃত্তিয় প্রশিক্ষণ ও গ্রাউন্ড স্কুলে টি-৩৮ উড়ানোর প্রশিক্ষণ এবং জল ও নিঃসঙ্গ স্থানে জীবন-রক্ষার উপায়ের প্রশিক্ষণ প্রভৃতি। তিনি ক্যাথরিন থর্নটনকে, (যিনি পূর্বে তিনবার মহাকাশে পদচারনা করেছেন এবং সর্বাপেক্ষা অধিক মহাকাশ পদচারনাকারী মহিলা) টপকে যান। পরে পেগী হুইটসন তাকে অধিক মহাকাশ পদচারনায় পেছনে ফেলে দেন। প্রশিক্ষণ ও মাননির্ধারণ কালে উইলিয়ামস আইএসএস-এ রাশিয়ার সহযোগ-স্বরূপ মস্কোর রাশিয়ান স্পেস এজেন্সী তে আইএসএস-এ প্রেরিত প্রথম এক্সপিডিশন এর কুশলীদের সঙ্গে কাজ করেন। এক্সপিডিশন-১ প্রত্যবর্তনের পর উইলিয়ামস রোবোটিক্স শাখায় আইএসএস রোবোটিক্স আর্ম এবং তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্পেশাল পার্পাস ডেক্সটারাস ম্যানিপুলেটরের উপর কাজ করেন। তিনি এনইইমো ২ অভিযানের একজন কুশলী সদস্য ছিলেন এবং জলতলে জলজ প্রানির বাসস্থানে ২০০২ সালের মে মাসে ন'দিন কাটান।[১][৫]
মহাকাশ উড়ানের অভিজ্ঞতা[সম্পাদনা]
এসটিএস-১১৬[সম্পাদনা]
এক্সপিডিশন-১৪ এর কুশলীদের সঙ্গে মিলিত হবার জন্য ৯ই ডিসেম্বর, ২০০৬ তে উইলিয়ামসকে শাটেল (ফেরি) ডিস্কভারী করে এসটিএস-১১৬-এর সাহায্যে ইন্টারন্যাশনল স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করা হয়। এপ্রিল ২০০৭ এ এক্সপিডিশন-১৫ এ পরিবর্তনের জন্য রুশ কুশলী সদস্যদের ফিরিয়ে আনা হয়।
অভিযান (এক্সপিডিশন) ১৪ এবং ১৫[সম্পাদনা]
"ডিস্কভারি", তে উৎক্ষেপনের পর উইলিয়ামস তার পনি টেল টি লক্স অফ লাভ-এর উদ্দেশ্যে দান করেন। চুল কাটার কাজটি সহ-নভোশ্চর জোয়ান হিগগিনবোথামের দ্বারা সংঘোটিত হয় এবং পনিটেল টি এসটিএস-১১৬ এর সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়।[৬]
এসটিএস-১১৬ অভিযানের অষ্টম দিনে উইলিয়ামস তাঁর প্রথম যানের বাইরের কাজটি করেন। তিনি ৩১ জানুয়ারি, ৪ ফেব্রুয়ারি এবং ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ এ মাইকেল লোপেজ, অ্যালেগ্রিয়ার সঙ্গে আইএসএস থেকে তিনবার মহাকাশে পদচারনা সম্পূর্ণ করেন। এই হাটাচলার ঘটানাগুলোর কোন একটিতে একটা ক্যামেরা খুলে গিয়ে মহাকাশে ভেসে যায়। এর কারণ সম্ভবত ক্যামেরাটা যে যন্ত্রের দ্বারা আটকানো হয়, সেটা খারাপ হয়ে যায়। উইলিয়ামস কিছু বুঝে উঠতে পারার পূর্বেই, এই ঘটনাটি ঘটে।[৭]
তৃতীয় মহাকাশ পদচারনা কালে উইলিয়ামস মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে ৬ ঘন্টা ৪০ মিনিট কাটান এবং ন'দিনে তিন বার মহাকাশে পদচারনা সম্পূর্ণ করেন। তার চারবার মহাকাশ পদচারনা করতে ২৯ ঘন্টা ১৭ মিনিট সময় লাগে। এরফলে তিনি দীর্ঘতম মহাকাশ পদচারনায় ক্যাথরিন সি. থর্টনটনের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যান।[১][২] ১৮ই ডিসেম্বর, ২০০৭ এ এক্সপিডিশন ১৬ থেকে চতুর্থ মহাকাশ পদচারনাকালীন পেগী হুইটসন সর্বমোট ইভিএ টাইম ৩২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট স্থায়ী হয়ে করে উইলিয়ামস কে টপকে যান।[৮][৯] ১৬ই এপ্রিল, ২০০৭ এ একজন মহাকাশচারী হিসেবে তিনি প্রথম কক্ষপথে ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেন।[১০] উইলিয়ামস ২০০৭ বস্টন ম্যারাথন দৌড়টি চার ঘন্টা ২৪ মিনিটে সম্পূর্ণ করেন।[১১][১২][১৩]
শোনা যায় তার দৌড়ের সময় অন্য কুশলী সদস্যরা তাকে উৎসাহ যোগান এবং কমলালেবু উপহার দেন। উইলিয়ামসের বোন, ডায়না পান্ডে ও সহ-নভোচর কারেন এল. নাইবার্গ সেই সময় পৃথিবীতে ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন এবং অভিযান নিয়ন্ত্রন কক্ষের মাধ্যমে উইলিয়ামস তাঁদের গতিবিধির খবরাখবর নিচ্ছিলেন। ২০০৮ সালে উইলিয়ামস আবার বস্টন ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন।
সংস্থাসমূহ[সম্পাদনা]
- সোসাইটি অফ এক্সপেরিমেন্টাল টেস্ট পাইলটস
- সোসাইটি অফ ফ্লাইট টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার্স
- অ্যামেরিকান হেলিকপ্টার অ্যাসোসিয়েশন
পুরস্কার এবং সন্মানসমূহ[সম্পাদনা]
- নৌ-সেনার প্রশংসামূলক পদক (দু'বার)
- নৌ-সেনা ও সমুদ্র বিভাগীয় বিষয়ে বিশেষ কীর্তির পদক
- মানবতাবাদি সেবার পদক এবং আরোও অন্যান্য পুরস্কার
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ NASA (২০০৭)। "Sunita L. Williams (Commander, USN)"। National Aeronautics and Space Administration। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭।
- ↑ ক খ Tariq Malik (২০০৭)। "Orbital Champ: ISS Astronaut Sets New U.S. Spacewalk Record"। Space.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭।
- ↑ http://www.cnn.com/2009/SHOWBIZ/TV/04/14/colbert.নাসা /index.html
- ↑ Jenny May (২০০৬-১২-০৬)। "Woman takes leap to moon with part of Euclid"। news-herald.com। ২০০৮-০৬-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮।
- ↑ মহাকাশচারী বায়ো: সুনিতা উইলিয়ামস (৫/২০০৮)
- ↑ CollectSpace.com (২০০৬-১২-২০)। "Astronaut cuts her hair in space for charity"। Collect space.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮।
- ↑ "Astronaut's Camera is Lost In Space"। Adoama.com। ২০০৬-১২-২২। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮।
- ↑ CollectSpace (২০০৭)। "Astronauts make 100th station spacewalk"। CollectSpace। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭।
- ↑ NASA (২০০৭)। "Spacewalkers Find No Solar Wing Smoking Gun"। NASA। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০০৭।
- ↑ Eldora Valentine (২০০৭-০৪-০৬)। "Race From Space Coincides with Race on Earth"। NASA। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮।
- ↑ Zee News Limited (২০০৭-০৪-১৭)। "Sunita Williams Runs Marathon in Space"। zeenews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮।
- ↑ Jimmy Golen for The Associated Press (২০০৭)। "Astronaut to run Boston Marathon — in space"। MSNBC। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭।
- ↑ NASA (২০০৭)। "NASA Astronaut to Run Boston Marathon in Space"। NASA। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০০৭।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- সুনিতা উইলিয়ামসের নাসার জীবনি ফেব্রুয়ারি ২০০৮
- সুনিতা উইলিয়ামসের মহাকাশযানের জীবনি ১১ই অগাস্ট, ২০০৭
- নিরালী পত্রিকা: কর্মরতা মহিলা: সুনিতা উইলিয়ামস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ নভেম্বর ২০১০ তারিখে নভেম্বর ২০০৪।