সীমানা পেরিয়ে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সীমানা পেরিয়ে
ডিভিডি কভার
পরিচালকআলমগীর কবির
প্রযোজকএকেএম জাহাঙ্গীর খান
রচয়িতাআলমগীর কবির
শ্রেষ্ঠাংশেবুলবুল আহমেদ
জয়শ্রী কবির
মায়া হাজারিকা
কাফী খান
গোলাম মোস্তফা
তনুজা
সুরকারভুপেন হাজারিকা
চিত্রগ্রাহকএম এ মবিন
সম্পাদকবশির হোসেন
পরিবেশকআলমগীর পিকচার্স লিমিটেড
মুক্তি১৯৭৭
স্থিতিকাল১১৭ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয় ৪ লাখ[১]

সীমানা পেরিয়ে এটি ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[২] ছবিটি পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবির[২], ১৯৭০ সালে উপকূলীয় অঞ্চলে এক ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিচালক ছবিটি নির্মাণ করেছেন।[৩] ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদজয়শ্রী কবির[৪] এছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মায়া হাজারিকা, কাফী খান, গোলাম মোস্তফাতনুজা

চলচ্চিত্রটি ১৯৭৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেতাসহ মোট চারটি বিভাগে এবং দুইটি বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেছিল। এছাড়াও ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট-এর "বাংলাদেশের সেরা ১০ চলচ্চিত্র" তালিকায় স্থান পেয়েছে "সীমানা পেরিয়ে"

কাহিনী প্রবাহ[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালে উপকূলীয় অঞ্চলে এক ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে একজন তরুণ ও একজন তরুণী ভাসতে ভাসতে একটি অজানা দ্বীপে এসে পৌঁছে যায়। এক সময় ওরা জানতে পারে এই দ্বীপে কোন মানুষ বসবাস করে না। তখন মেয়েটির মনে ভয় সৃষ্টি হয়, কিন্তু এমন পরিস্থতিতেও কোনো প্রকার যৌন উত্তেজনাকর ঘটনা ছাড়াই ফুঁটিয়ে তোলা হয়েছে গল্পটি। তারপর শুরু হয় দুজনের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। মেয়েটি উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় এই দ্বীপের বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যেমন- SOS সংকেত পতাকা উড়িয়ে ও কাচের বোতলে বার্তা লিখে সমুদ্রের পানিতে ভাসিয়ে দেয়, কিন্তু এতে কোনো সুফল মেলেনা। এক সময় তারা বুঝতে পারে এই দ্বীপ থেকে জনবসতি অঞ্চলে যাওয়াটা কঠিন হবে, তখন শুধু বেঁচে থাকারই চেষ্টা চালিয়ে যায়। তাদের কাছে কিছু খাবার ছিল, যা স্বাভাবিক নিয়মে খেলে ১০-১৫ দিনের মধ্যে তা ফুরিয়ে যাবে। শুরু হুলো জঙ্গল থেকে খাদ্য সংগ্রহ ও বাসগৃহ তৈরির কাজ। এভাবেই দুজন তরুণ-তরুণীর বেঁচে থাকার সংগ্রামের ঘটনা নিয়েই গল্প এগিয়ে যায়।

কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

তিনা (জয়শ্রী কবির) ঢাকায় লেখাপড়া শেষ করেছে এবার উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন যাবে, প্রায় দু'মাসের মধ্যে। এই ফাঁকে বাবার (কাফী খান) অনুমতি নিয়ে মায়ের (মায়া হাজারিকা) সাথে গ্রামে (পৈতৃক জমিদার মহলে) আসে। তিনার বাবা-মায়ের দাম্পত্য জীবনে তেমন একটা মিল ছিল না, কারণ তার মা বিয়ের আগে রতনকে (গোলাম মোস্তফা) ভালবাসত। কিন্তু তাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয় তিনার বাবার সাথে। তিনা গ্রামে এসে মায়ের প্রাক্তন প্রেমিক রতন (মামার) সাথে পরিচিত হয়ে দুজনে ঘুরতে বের হয়। পথে দেখা হয় কালু'র (বুলবুল আহমেদ) সাথে। কালু খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে তিনার দিকে। পরে রতন মামার কাছ থেকে জানতে পারে তার দাদা (জমিদার) খাজনার দায়ে কালুর দাদা ও বাবাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তিনা চমকে উঠে। ভাবে এজন্যই ও তার দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিল। কালু চলে যায় গঞ্জে আর উনারা বাড়িতে।

সেদিন উপকূলীয় অঞ্চলে ছিল তিন নম্বর বিপদ সংকেত। সন্ধ্যার পর থেকে আকাশ ভারী হয়ে আসে। রাতে শুরু হয় প্রচন্ড জলোচ্ছ্বাস। তছনছ হয়ে যায় সবকিছু, ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষ-সহ পশু-পাখি, গাছপালা ও ঘরবাড়ি। প্রকৃতির এই তান্ডবে প্রাণ হারায় প্রায় বিশ লাখ মানুষ, নিখোঁজ হয় অনেকে। কালু জ্ঞান ফিরে পেয়ে দেখে তার সাম্পান (নৌকা) একটি দ্বীপের শুকনো বালিতে আটকে আছে। তার সাথের ছেলেটা জীবিত নেই। তার সারা শরীর নোনা পানিতে ভিজে তা শুকিয়ে বিমর্ষ লাগছে। তাই ঝরনার পানিতে গোসল সেরে এক কলসি পানি নিয়ে যাওয়ার পথে দেখতে পায় একটি মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। কাছে এসে চিনতে পারে সে জমিদার বাড়ির মেয়ে তিনা। চোখে-মুখে পানি ছিটিয়ে দিলে জ্ঞান ফিরে পায় তিনা এবং কালুকে দেখে ভয়ে আঁতকে ওঠে। জানতে চায় সে এখানে কেন? পরে মনে পড়ে জলোচ্ছ্বাসের কথা। কালুকে সে ভয় পায় এই ভেবে- কালুর বাবা-দাদার হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে একা পেয়ে যদি ক্ষতি করে।

এক সময় ওরা জানতে পারে এই দ্বীপে কোনো মানুষ বাস করে না। এতে তিনা আরো আতঙ্কিত হয়। কালু তিনাকে সাথে যেতে বললে তিনা রাজি হয়না। কিন্তু তার ভয়ও করছে। তাই সাথে না গিয়ে উপায় না দেখে রাজি হয়। কালু তিনাকে সাথে নিয়ে তার সাম্পানের কাছে যায়। এবং কালু একাই তার সাথের মৃত ছেলেটাকে কবর দেয়। সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ দেখে কালু তিনাকে তার সাথে সাম্পানটা টেনে কিনারে আনতে সাহায্য করতে বললে তিনা ওসব করে অভ্যস্ত নয় বলে জানায়। তিনা কালুর কাছ থেকে দাঁ চেয়ে নিয়ে কালুকে বলে দেয় রাতে কাছে আসার চেষ্টা করলে..? তারপর ওরা গুড়-মুড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে উঠে দেখে সাম্পান ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়েছে। দ্বীপ থেকে যাওয়ার শেষ আশাটুকুও শেষ। তিনা উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় সাহস না হারিয়ে সে SOS সংকেত পতাকা বানিয়ে কালুকে দেয় নৌকা বা জাহাজ এলে পাহাড়ের চুড়ায় দাঁড়িয়ে নাড়ার জন্য। আর রবিনসন ক্রুসো উপন্যাস-এর কথা বলতে বলতে নিজে কলার পাতায় নাম না'জানা দ্বীপের বার্তা লিখে কাচের শিশিতে পুরে তা ভাসিয়ে দেয় সাগরের পানিতে।

কয়েকটি জাহাজ আসে কিন্তু ওদের সিগন্যালে কেউই সাড়া দেয়না। কালু ক্লান্ত হয়ে পড়ে পতাকা ওড়াতে ওড়াতে। তিনারও শুরু হয় প্রচন্ড জ্বর। কালু দুই দিন, দুই রাত তিনাকে সেবা করে সুস্থ করে তোলে। সকালে তিনা কথাটি শুনে চমকে উঠে জানতে চায় সে তাকে ছুঁয়েছে কিনা। কালু জানায় না ছুঁয়ে জলপট্টি কি করে দেব। তিনা বিষয়টি অন্যভাবে জিজ্ঞাসা করে সে তাকে কিছু করেছে কি'না, সে জানায় আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু বেঈমান না। তবুও তিনা কালুকে মনে মনে ভয় পায়, এই দ্বীপে তার মত একটি সুন্দরী যুবতী মেয়েকে পেয়ে কি ও কোনো কিছু করার লোভ সামলাতে পারবে? এখান থেকে যাওয়ার কোনো উপায় নেই যতদিন কোনো সাহায্য না আসে। এই ভেবে কালুকে ডেকে পাহাড়ের চূড়ায় দুজনের জন্য দুটি ঘর বানাতে বলে। এবং তিনা একটি তালিকা করে জেনে নেয় কালুর কাছে কি কি আছে। যা কিছু খাবার আছে তা স্বাভাবিক নিয়মে খেলে ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। তিনা কালুর কাছ থেকে জানতে পারল এই পাহাড়ি জঙ্গলে আম-কাঁঠালসহ কয়েক প্রকারের খাবার পাওয়া যায়। তাই তারা ঠিক করলো জঙ্গল থেকেই বেশির ভাগ খাদ্য প্রয়োজন মিটাবে।

অনেক কষ্টে কালু তিনাকে পাহাড়ের চুড়ায় উঠায়। ঘর তৈরির জন্য কালুর বেছে নেয়া জায়গাটা তিনার খুব পছন্দ হয়। ঘর তৈরি শেষে তিনা কালুকে বলে SOS সংকেত পতাকাটি সমুদ্রের দিকে টাঙ্গিয়ে রাখে। দুই ঘরের মাঝখানে কালু একটি সীমানা এঁকে দেয় এবং তিনাকে এই 'সীমানা পেরিয়ে' আসতে নিষেধ করে। একদিন তিনা দিনের বেলা ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে জেগে দেখে কালু নিজের ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। তিনা জিজ্ঞাসা করে কাছে আসতে গেলে, কালু তিনাকে থামায়; দাগের এইপাশে আইসেন না (যদি কামড়ে দেই, যদি ছুঁয়ে দেই) বলে চলে গেল। তিনা কিছু একটা ভেবে কালুকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল। কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক নিয়মে নয় শুধু মাত্র মালা বদল করে বিয়ে হলো। তাদের কাজ বলতে জঙ্গল ও সমুদ্র থেকে খাদ্য সংগ্রহ। দুজনের বাকি সময় কাটানোর জন্য একজন একদিন করে ক্রমাগতভাবে তাদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে লাগলো। কালুর জীবনের একটি ঘটনা তিনার মনে দাগ কাটল এবং সে ভাবলো আমাদের এই বিয়ের কথা সমাজ বা পরিবার কিছুতেই মেনে নেবে না। তাই সে SOS সংকেত পতাকা ছুড়ে ফেলে দিলো।

এভাবে প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হয়, সন্তান সম্ভবা হয়ে যায় তিনা। একদিন ওরা দুজন দ্বীপের তীরে বসে গল্প করছিল। সেই সময় নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ থেকে ওদেরকে দেখে ফেলে। জাহাজ ওদের দিকে আসতে দেখে ওরা পালাতে চাইলেও পারে না। নৌ বাহিনীর লোক তাদেরকে নিজ এলাকায় পৌঁছে দেয়। তিনা তার বাবাকে টেলিগ্রাফ করে। সে চলে আসে তিনার বান্ধবী লিলি'কে (তনুজা) সাথে নিয়ে। তিনা জানতে পারে ওর মা মারা যাওয়ার পর ওর বাবা লিলিকে বিয়ে করেছে। তিনার বাবা তিনার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার কথা বললে তিনাকে চুপ থাকতে দেখে, কালু মন খারাপ করে চলে যায়। তিনা এদিকে তার বাবার কথার প্রতিবাদ করে, এবং তার স্বামীর ভাঙ্গা ঘরে চলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে আসে। কিন্তু কালু নেই? একজনের কাছে জানতে পারে - সে সমুদ্রের দিকে গেছে। কালু সাম্পানের কাছে ছিল, তিনা এসে বলল; কি সাম্পানওয়ালা তোমার সাম্পানে আমাকে নেবে না। কালু ভেবেছিল তিনা হয়ত সবকিছু ভুলে বাবার সাথেই চলে যাবে।

-অবশেষে কালু ও তিনা একসাথে নিজেদের আপন ঠিকানার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]

নির্মাণ ইতিহাস[সম্পাদনা]

ছবিটি সম্পর্কে পরিচালক আলমগীর কবিরের বক্তব্য, ১৯৭০-এর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ধ্বংসলীলায় প্রায় তিন মাস পর এক জোড়া মানব-মানবিকে বরিশালের দক্ষিণের একটি সামুদ্রিক চরে আদিম পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ঢাকার তৎকালীন সংবাদপত্রে ঘটনাটির বিবরণ আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে ছবিটির treatment ইচ্ছাকৃতভাবে contrived । যৌন আকর্ষণ বা ভায়োলেন্স ছাড়াও সমাজের ওপর এবং নিচতলার দুটি মানুষের মধ্যে, শ্রেণীগত পর্যায়ে নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো আন্তরিক সম্পর্ক সম্ভব কিনা এটা পর্যালোচনা করাই এই কার্যত fantasy চলচ্চিত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমার মতে এই সম্পর্ক সম্ভব, তবে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী শ্রেণীটি তা সহ্য করতে চাইবে। ব্যবসায়ী পুঁজির চাপে ছবিটির বক্তব্য এবং গতি কিঞ্চিৎ ছিন্নভিন্ন।[৫]

ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে গভীররাতে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবলীলায় মানুষ ও জীব-জন্তু ভেসে যায় সমুদ্রের পানিতে। এই দুর্যোগের খবরটি সেসময়কার সংবাদপত্র গুলোতে প্রকাশিত হয়। তিন মাস পরে নতুন খবর হিসেবে আসে; বরিশাল জেলার দক্ষিণে একটি সামুদ্রিক চরে কোনরকমভাবে বেঁচে থাকতে দেখা যায় একজোড়া মানব-মানবিকে। ঘটনাটি একেক জন একেক দৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু তিন মাস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি সামুদ্রিক চরে একজোড়া নারী-পুরুষের বেঁচে থাকা ও বসবাসের বিষয়টি পরিচালক আলমগীর কবিরের দৃষ্টিতে সবার থেকে আলাদা মনে হয়। সেই থেকে তিনি এই ঘটনাটি নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার কথা ভাবেন। এবং ১৯৭৫ সালে তিনি এটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন।[৬] ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে তাকে নিতে হয়েছে অধিনায়ক নুরুল হক বি. এন. চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ওয়াটার এন্ড ইনল্যান্ড ট্রান্সপর্টেসন অথোরিটি (BIWTA), ঢাকা এর সহযোগিতা। এছাড়াও পরিচালক ছবিটি নির্মাণ করতে গিযে যে সব সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেয়েছেন এর মধ্যে- বাংলাদেশ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ঢাকা, ফিল্ম অস্ট্রেলিয়া এবং শাহ আলম চৌধুরী, জমিদার শ্রী ফালতালি, ঢাকা

কলা-কুশলীবৃন্দ[সম্পাদনা]

  • প্রযোজক - আলমগীর কবির
  • প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান - আলমগীর পিকচার্স লিমিটেড
  • পরিচালক - আলমগীর কবির
  • চিত্রনাট্য - আলমগীর কবির
  • সংলাপ - আলমগীর কবির
  • কাহিনী - আলমগীর কবির
  • তত্বাবধানে - কাজী হায়াৎ
  • প্রচার ও শিল্প কর্ম - সুভাষ দত্ত (ইউনিভার্সাল এ্যাডভার্টাইজিং)
  • সঙ্গীত পরিচালক - ভুপেন হাজারিকা
  • সুরসৃষ্টি - ভুপেন হাজারিকা
  • গীত রচনা - ভুপেন হাজারিকা
  • সংগ্রহিত গান (ভাষান্তর) - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
  • যন্ত্র সঙ্গীত - আলাউদ্দিন লিটন অর্কেষ্ট্রা
  • সহযোগিতায় - সত্য সাহা
  • কণ্ঠশিল্পী - ভুপেন হাজারিকা ও আবিদা সুলতানা
  • চিত্রগ্রাহক - এম এ মবিন
  • সম্পাদক - বশির হোসেন
  • সহযোগী সম্পাদক - আবু তালেব
  • কালার উপদেষ্টা - খালেক সালাউদ্দিন আহমেদ
  • স্পেশাল এফেক্ট - হাসান
  • পরিবেশক - আলমগীর পিকচার্স লিমিটেড

প্রযুক্তির খুঁটিনাটি[সম্পাদনা]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার[সম্পাদনা]

সীমানা পেরিয়ে ছবিটি ১৯৭৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ চারটি বিভাগে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করে।

বাচসাস পুরস্কার[সম্পাদনা]

সীমানা পেরিয়ে ১৯৭৮ সালে দুইটি বিভাগে বাচসাস পুরস্কার জয় করে।[১]

  • বিজয়ী শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার - আলমগীর কবির
  • বিশেষ পুরস্কার - ভুপেন হাজারিকা

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

সীমানা পেরিয়ে ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ভারতের স্বনামধন্য সঙ্গীত পরিচালক ভুপেন হাজারিকা[৩] কণ্ঠশিল্পী ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক ভুপেন হাজারিকা ও আবিদা সুলতানা। ১৯৭৫ সালে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু করেন আলমগীর কবির এসময় সঙ্গীত পরিচালক ভূপেন হাজারিকা ছবিটির ‘বিমূর্ত এই রাত্রি আমার’ গানটির জন্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আবিদা সুলতানাকে বেছে নেন। ভূপেন হাজারিকার সুরে! গান করার বিষয়টা আবিদা সুলতানার কাছে কিছুটা ভয় ভয় করছিল। তিনি আবিদা সুলতানাকে আগে গানটির অর্থ বুঝে নেয়ার জন্য উপদেশ দিয়েছিলেন। এরপর স্টুডিওতে দুবার ও মাইক্রোফোনে একবার প্র্যাকটিস করার পর দুবারেই গানটি ঠিকভাবে রেকর্ডিং সম্পন্ন হয় কলকাতার টেকনিশিয়ানস স্টুডিওতে।[৬]

গানের তালিকা[সম্পাদনা]

ট্র্যাক গান কণ্ঠশিল্পী গীতিকার সুরকার পর্দায় নোট
বিমূর্ত এই রাত্রি আমার আবিদা সুলতানা নয়ীম গহর ভুপেন হাজারিকা জয়শ্রী কবির
মেঘ থম থম করে ভুপেন হাজারিকা কবি ফজল শাহাবুদ্দিন ভুপেন হাজারিকা ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস
আজ জোৎস্না রাতে আবিদা সুলতানা ভুপেন হাজারিকা ভুপেন হাজারিকা জয়শ্রী কবির

-এছাড়াও ছবিতে আদিবাসীদের ভাষায় একটি গান রয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সীমানা পেরিয়ে"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২৮ 
  2. Harun ur Rashid (১৮ মার্চ ২০০৫)। "" I sort of gambled with my life" --- Bulbul Ahmed"The Daily Star। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  3. Shameem Alam Dipen (04 February 2006)। "The red and green silver screen"The Daily Star। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ 11 September 2011  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. Arts & Entertainment (09 November 2010)। "Out of sight, not out of mind"The Daily Star। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ 11 September 2011  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. ওয়াহিদ সুজন (১৮ জানুয়ারি ২০১২)। "চলচ্চিত্রের মুশকিল আসানে [[আলমগীর কবির]]"দৈনিক আমারদেশ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৭ জুলাই ২০১২  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  6. অনুলিখন: মনজুর কাদের (১৭ নভেম্বর ২০১১)। "ভূপেনদা ফুলের মালা উপহার দিয়েছিলেন - আবিদা সুলতানা"দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ০৭ জুলাই ২০১২  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. Kajalie Shehreen Islam (২৩ জুলাই ২০১০)। "The Man Behind the Hero"The Daily Star। Dhaka, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]