সি. এডমান্ড বসওয়ার্থ
ক্লিফোর্ড এডমন্ড বসওয়ার্থ | |
---|---|
![]() ২০১১ সালে বসওয়ার্থ | |
জন্ম | ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৮ শেফিল্ড, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইওভিল, সামারসেট, ইংল্যান্ড | (বয়স ৮৬)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি | |
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | ভ্লাদিমির মিনোর্সকি |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম | |
প্রতিষ্ঠান | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রধান আগ্রহ | ইরান বিষয়ক অধ্যয়ন, ইসলাম বিষয়ক অধ্যয়ন, আরবি অধ্যয়ন, তুর্কি অধ্যয়ন |
ক্লিফোর্ড এডমন্ড বসওয়ার্থ (Clifford Edmund Bosworth) এফবিএ (২৯ ডিসেম্বর ১৯২৮ – ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) ছিলেন একজন ইংরেজ ইতিহাসবিদ ও প্রাচ্যতত্ত্ববিদ, যিনি আরবি এবং ইরানি অধ্যয়নে বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
জীবন
[সম্পাদনা]বসওয়ার্থ ১৯২৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট রাইডিং অব ইয়র্কশায়ারের শেফিল্ডে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমানে এটি সাউথ ইয়র্কশায়ার)। তাঁর বাবা ক্লিফোর্ড বসওয়ার্থ একসময় বোর্ড অব গার্ডিয়ানে কেরানির কাজ করতেন এবং পরবর্তীতে পেনশন ও জাতীয় বীমা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তাঁর মা ছিলেন গ্ল্যাডিস কনস্ট্যান্স গ্রেগরি। তিনি সেন্ট জনস কলেজ, অক্সফোর্ড থেকে আধুনিক ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এরপর এডিনবরার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়নে এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[১][২]
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরুর আগে তিনি স্কটল্যান্ডের কৃষি বিভাগে চাকরি করতেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে আনেট এলেন টডের পরিচয় হয় এবং তাঁরা ১৯৫৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এডিনবরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের সংসারে তিন কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে।[১]
তিনি সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিকবিদ্যা কেন্দ্রে স্থায়ীভাবে শিক্ষকতা করেছেন। এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ২০০৪ সাল থেকে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের ইওভিলে তাঁর মৃত্যু হয়।[১]
কর্ম
[সম্পাদনা]বসওয়ার্থ অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেন যা বৈজ্ঞানিক সাময়িকী ও সম্মিলিত গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামের বিশ্বকোষে প্রায় ২০০টি এবং ইরানিকা বিশ্বকোষে প্রায় ১০০টি প্রবন্ধ লেখেন। এছাড়া তিনি ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ ও আমেরিকানা বিশ্বকোষে-তেও প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি ইসলামের বিশ্বকোষের প্রধান সম্পাদক ছিলেন এবং ইরানিকা বিশ্বকোষের পরামর্শ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।[৩]
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- The Ghaznavids, ১৯৬৩ (দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৭৩, পুনর্মুদ্রণ ১৯৯২)
- The Islamic Dynasties, ১৯৬৭ (পরিমার্জিত সংস্করণ ১৯৮০)
- Sistan under the Arabs, ১৯৬৮
- The Book of Curious and Entertaining Information, ১৯৬৮
- সম্পাদক: Iran and Islam, ১৯৭১
- সহসম্পাদক: The Legacy of Islam, ১৯৭৪
- The Mediaeval Islamic Underworld, ১৯৭৬
- The Medieval History of Iran, Afghanistan and Central Asia, ১৯৭৭
- The Later Ghaznavids, ১৯৭৭
- Al-Maqrizi's Book of Contention and Strife, ১৯৮১
- Medieval Arabic Culture and Administration, ১৯৮২
- সহসম্পাদক: Qajar Iran, ১৯৮৪
- The History of al-Tabari, বিভিন্ন খণ্ড, ১৯৮৭–১৯৯৯
- Baha' al-Din al-Amili and his Literary Anthologies, ১৯৮৯
- সহসম্পাদক: A Commentary on the Qur'an, ১৯৯১
- The History of the Saffarids of Sistan, ১৯৯৪
- The Arabs, Byzantium and Iran, ১৯৯৬
- The New Islamic Dynasties, ১৯৯৬
- সহসম্পাদক: The UNESCO History of Civilizations of Central Asia, ১৯৯৮ ও ২০০০
- A Century of British Orientalists, ২০০১
- Abu 'l-Fadl Bayhaqi's Tarkh-i Mas'udi (প্রকাশিতব্য)
- An Intrepid Scot: William Lithgow's Travels, ২০০৬
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ইউনেস্কো আবু আলি সিনা রৌপ্যপদক, ১৯৯৮
- ড. মাহমুদ আফশার ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ২০০১
- ইরানি ইতিহাস গবেষণায় অবদানের জন্য তেহরান সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রণালয়ের পুরস্কার, ২০০৩
- ত্রৈবার্ষিক পুরস্কার, ২০০৩
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Netton, Ian Richard (১০ জানুয়ারি ২০১৯)। "Bosworth, (Clifford) Edmund(1928–2015)"। Oxford Dictionary of National Biography। আইএসবিএন 978-0-19-861412-8। ডিওআই:10.1093/odnb/9780198614128.013.111800। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০।
- ↑ Bosworth, Clifford Edmund (১৯৬১)। "The transition from Ghaznavid to Seljuq rule in the Islamic East"।
- ↑ "Notice: Clifford Edmund Bosworth, 1928–2015"। British Institute of Persian Studies। ১১ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৫।