সিস্টার্স দ্বীপের মেরিন উদ্যান

স্থানাঙ্ক: ১°১২′৫৪″ উত্তর ১০৩°৫০′০০″ পূর্ব / ১.২১৫০০° উত্তর ১০৩.৮৩৩৩৩° পূর্ব / 1.21500; 103.83333
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিস্টার্স দ্বীপ মেরিন উদ্যান
সিস্টার্স দ্বীপের মেরিন উদ্যান সিঙ্গাপুর-এ অবস্থিত
সিস্টার্স দ্বীপের মেরিন উদ্যান
সিস্টার্স দ্বীপের মেরিন উদ্যান
ধরনমেরিন উদ্যান
অবস্থানসিস্টার্স দ্বীপ, সিঙ্গাপুর
স্থানাঙ্ক১°১২′৫৪″ উত্তর ১০৩°৫০′০০″ পূর্ব / ১.২১৫০০° উত্তর ১০৩.৮৩৩৩৩° পূর্ব / 1.21500; 103.83333
আয়তন১,৬০,০০০ মি (৪০ একর)
খোলা হয়আগস্ট ২০১৪ (গাইডেড ওয়াকস)[১]
২০১৫ (ডাইভ ট্রেইলস এবং পাবলিক গ্যালারী)
পরিচালিতজাতীয় উদ্যান বোর্ড
অবস্থাপরিচালনারত
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

সিস্টার্স দ্বীপের মেরিন উদ্যান, ১,৬০,০০০ মি (৪০ একর) জায়গাজুড়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থিত একটি মেরিন উদ্যান। এই উদ্যানটি সিস্টার্স দ্বীপের চারপাশের জমি এবং পানির মধ্যে রয়েছে এবং সেন্ট জনস দ্বীপ এবং পুলাউ টেকুকোর উভয় অঞ্চলের পশ্চিম উপকূলকেও ঢেকে রেখেছে।[২]

উদ্যানটি সিঙ্গাপুরের প্রথম সামুদ্রিক উদ্যান[৩] এবং এটি উদ্যানের দর্শকদের এই অঞ্চলজুড়ে সমুদ্রের জীবনযাত্রা, নির্দেশিত পদচারণার মাধ্যমে, মেরিন উদ্যান পাবলিক গ্যালারী যেখানে সিঙ্গাপুরের জলজ জীববৈচিত্র্য এবং ডুব ভ্রমনগুলো প্রদর্শন করে, সেখানকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে দেয়, যাতে দর্শনার্থীরা এলাকার সামুদ্রিক জীবন পর্যবেক্ষণ করতে পারে।[৪]

সংক্ষিপ্ত বিবরণ[সম্পাদনা]

জুলাই ২০১৪ সালে, জাতীয় উদ্যান বোর্ড একটি নতুন সামুদ্রিক উদ্যানের জন্য তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। উদ্যানটি সিঙ্গাপুরের আদি সামুদ্রিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত, প্রচার, শিক্ষা, সংরক্ষণ এবং গবেষণা কার্যক্রমের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।[২] এটি সিঙ্গাপুরের প্রবাল প্রাচীরগুলো রক্ষার জন্য একটি সামুদ্রিক রিজার্ভ হিসাবেও কাজ করবে, যা বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির সমুদ্র ঘোড়া, ঝিনুক, স্পঞ্জ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক জীবনযাপনের বাস্তুসংস্থানকে সমর্থন করে।

জীববৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

উদ্যানটি যে অঞ্চলে রয়েছে সেখানে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জীবন রয়েছে, যার মধ্যে শক্ত এবং নরম প্রবাল এবং সমুদ্রিক বনফুল আছে। আইকনিক সামুদ্রিক জীবের নার্সারিসহ পুনরুদ্ধার কার্যক্রমও উদ্যানে করা বর্ধন প্রচেষ্টার অংশ।

পুলাউ সেমাকাউ থেকে উদ্যানে প্রবাল এবং স্পঞ্জগুলোর উপনিবেশগুলো স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। [৫] স্থানান্তরিত স্পঞ্জগুলোর মধ্যে নেপচুন কাপ স্পঞ্জের (ক্লিওনা পাটেরা) মতো বিরল প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা সিঙ্গাপুর উপকূল বরাবর ২০১১ সাল নাগাদ আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত এটাকে সেই ১৯০৮ সাল থেকে বিলুপ্ত বলে মনে করা হত।[৬]

ক্রিয়াকলাপ[সম্পাদনা]

নির্দেশিত পদচারনা[সম্পাদনা]

সিস্টার্স দ্বীপের মেরিন উদ্যানের অন্তর্বর্তী অঞ্চলটি মাত্র ০.৪ মিটার নিচু জোয়ারের সময় গঠিত হয়, যখন এই অঞ্চলের সামুদ্রিক জীবন দেখা যায়, অন্য সময় সাধারণত পানির তলে ডুবে থাকে। মেরিনউদ্যানের আশ্চর্যজনক জীববৈচিত্র্য অনুভব করতে আপনাকে সফরে আসতে হবে এবং প্রকৃতি গাইড আপনার হাত থাকবে। এই নির্দেশিত পদচারনা নিখরচায় পরিচালিত হয় এবং প্রতিটি নির্দেশিত পদচারনায় সেশনে সর্বাধিক একসঙ্গে ৪৫ জনের জন্য উন্মুক্ত। হাঁটাচলা বর্তমানে সিস্টার্স দ্বীপের উপকূল দিয়েই সীমাবদ্ধ।

ডাইভ সাঁতার[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে উন্মোচন করা এই উদ্যানটিতে সামুদ্রিক ঐতিহ্য এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং উন্নত করতে মেরিন সংরক্ষণ অ্যাকশন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ২টি ডুব সাঁতারের ব্যবস্থা রয়েছে।[৭] বিভিন্ন গভীরতায় দুটি বৃত্তাকার ডুব সাঁতার রয়েছে, অগভীর ডুব সাঁতার যেখানে ডুবুরীরা বিশাল আকারের ঝিনুকগুলো দেখতে পারে, সমুদ্রিক বনফুলগুলো এবং ভাঁড় মাছ প্রবাল প্রাচীর এবং বেলে আবাসস্থলের চারপাশে প্রায় ৪ থেকে ৬ মিটার পানির গভীরে পাওয়া যায়, গভীর ডুব সাঁতারে প্রবাল ধ্বংসস্তূপ দেখা যায় প্রায় ১০ থেকে ১৬ মিটার গভীরের পাথুরে এবং পলিল আবাসস্থলে, যেখানে ডুবুরিরা সী ফ্যানস, সী স্টার এবং নেপচুন কাপ স্পঞ্জ পর্যবেক্ষণ করতে পারে।[৮] ডুব সাঁতারে পানির নিচে বিভিন্ন জায়গায় অনেক সাইনবোর্ড রয়েছে, যেগুলো এই অঞ্চলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের তথ্য সরবরাহ করে।

বিগ সিস্টার দ্বীপের বড় উপত্যকায় এমন ডুব সাঁতারের সুবিধা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।[৯]

সিস্টার্স দ্বীপপুঞ্জের মেরিন উদ্যান পাবলিক গ্যালারী[সম্পাদনা]

প্রায় ৩০ মি (৩২০ ফু) আয়তনের গ্যালারীটি ১৫ জুলাই ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতি টনি ট্যান কেন ইয়াম কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এটি সিঙ্গাপুরের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং এর ডুব সাঁতারের ৩ডি ডায়োরামাসহ সিস্টার্স দ্বীপপুঞ্জের মেরিন উদ্যানের একটি সংক্ষিপ্তসার সরবরাহ করে। গ্যালারীটির অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি সেমিনার কক্ষ এবং পাঠদান ল্যাব, যেখানে আলোচনা, সেমিনার এবং বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম করা যায়।[১০]

সামুদ্রিক জীব এবং একটি ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম প্রদর্শনের জন্য দেখার পুলগুলো অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, এটি এমন একটি অঞ্চল যেখানে গবেষণার প্রকল্পগুলোর জন্য পরীক্ষার সুবিধার্থে নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে ম্যানগ্রোভ রোপণ করার প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শেষ হতে পারে।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "5 things about the Sisters' Islands, Singapore's first marine park"The Straits Times। জুলাই ১৫, ২০১৪। ২০১৪-০৮-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৫, ২০১৫ 
  2. "Singapore to have its first marine park on Sisters' Islands"। Eco-Business। জুলাই ১৪, ২০১৪। ২০১৫-০৪-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৪, ২০১৫ 
  3. "Singapore to get first marine park"। The Straits Times। জুলাই ১৩, ২০১৪। ২০১৪-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৫, ২০১৫ 
  4. "5 things about the Sisters' Islands, Singapore's first marine park"। The Straits Times। জুলাই ১৫, ২০১৫। ২০১৫-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫ 
  5. "Corals successfully relocated from Semakau to Sisters' Islands Marine Park"। Channel News Asia। জানুয়ারি ২০, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৫, ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "'Extinct' giant sponges, once used as bath tubs, are rediscovered"। Mother Nature Network। নভেম্বর ২২, ২০১১। ২০১৫-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৫, ২০১৫ 
  7. "See Singapore's latest nature parks - under the sea"। The Straits Times। জুন ২৮, ২০১৫। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫ 
  8. "New dive trails 'could be overwhelming for amateurs'"। Channel News Asia। আগস্ট ১, ২০১৫। ২০১৫-০৯-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫ 
  9. "Three marine, coastal sites to be enhanced for recreation"। Channel News Asia। জানুয়ারি ৯, ২০১৫। ২০১৫-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৫, ২০১৫ 
  10. "President Tony Tan opens the Sisters' Islands Marine Park Public Gallery"। National Parks Board। জুলাই ১৫, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫ 
  11. "Marine Park reaches out"National University of Singapore। জুলাই ২০, ২০১৫। ২০১৫-১০-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]