সিরিল সিকদার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সিরিল সিকদার নেপালে বাংলাদেশের রাষ্টদূত ছিলেন। ২০০১ সালে তাকে এই দায়িত্ব আসিন করেছিলেন। তিনি একজন কাথলিক খ্রীস্টান। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম কোন ব্যক্তি যিনি একজন রাষ্টদূত এর মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন।[১]

তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক দিন।[২] তিনি অসুস্থ্য থাকা অবস্থায় ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে ৭৮ বছর বয়সে ঢাকায় নিজ বাসায় মারা যান।

ব্যক্তি জীবন[সম্পাদনা]

১৯৩৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বরিশালের বাবুগঞ্জের উত্তর দেহেরগতি গ্রামে সিকদার পরিবারে তার জন্ম হয়। তার পিতা ললিত ফ্রান্সিস সিকদার স্থানীয় সেন্ট আলফ্রেড উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। মাতা তেরেজা সুধীরাবালা সিকদার। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্য তিনি ছিলেন তৃতীয়।তার স্ত্রীর নাম মাগারেট সিকদার। তাদের ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে।

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

বরিশালের সেন্ট আলফ্রেড উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় উচ্চ মাধ্যমিক ও এলএলবি পাস করে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।১৯৭২ সাল থেকে তিনি আইন পেশার সাথে জড়িত হন।

পেশাজীবন[সম্পাদনা]

এডভোকেট সিরিল সিকদার ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সংগঠনের ৬ জন আহ্বায়কের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হয়েও বৃহত্তর মুসলিম সমাজে ব্যপক সুপরিচিত ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোট এর আইনজীবী ছিলেন।এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টাও ছিলেন। তিনি খ্রীস্টানদের ধমীয় প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামশ দিতেন। তিনি সব চেয়ে বেশি সুপরিচিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের হয়ে সংখ্যালঘুদের পক্ষে কাজ করে। রাজনীতি করার জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে মাসাধিককাল কারান্তরালেও কাটিয়েছেন। ৯০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বাসস"। ২০১৫-০৭-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-১৭ 
  2. "অবসার্ভার"। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৫ 
  3. মানবজমীন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]