সিপাহসালার মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৫°৪১′১৯.৫″ উত্তর ৫১°২৫′৫৮.৩৭″ পূর্ব / ৩৫.৬৮৮৭৫০° উত্তর ৫১.৪৩২৮৮০৬° পূর্ব / 35.688750; 51.4328806
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিপাহসালার মসজিদ
مسجد سپهسالار
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
প্রদেশতেহরান
পবিত্রীকৃত বছর১৮৭৯ হতে ১৮৮৪
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
সিপাহসালার মসজিদ তেহরান-এ অবস্থিত
সিপাহসালার মসজিদ
তেহরানে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩৫°৪১′১৯.৫″ উত্তর ৫১°২৫′৫৮.৩৭″ পূর্ব / ৩৫.৬৮৮৭৫০° উত্তর ৫১.৪৩২৮৮০৬° পূর্ব / 35.688750; 51.4328806
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীকাজার
মিনার৮ টি

সিপাহসালার মসজিদ (পারস্য: مسجد سپهسالار - মাসজিদ-এ-সিপাহসালার) হলো ইরানের তেহরানে অবস্থিত একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক মসজিদ। ১৮৭৯ সালে পারস্যের বাদশাহ নাসের আল-দিন শাহ কাজার এর প্রধানমন্ত্রী মির্জা হোসেন সিপাহসালার নির্দেশে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদটির প্রথম পর্বের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হতে পাঁচ বছর সময় লাগে। ১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের পর মসজিদটি নাম পরিবর্তন করে শহিদ মুতাহহারি (مسجد شهید مطهری) করা হলেও সিপাহসালার মসজিদ নামেই পরিচিত।

সিপাহসালার মসজিদ তেহরানের সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। [১] কাজার রাজবংশপাহলভি রাজবংশের শেষের দিকে সিপাহসালার মসজিদ আটটি মিনারের কারণে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন স্থাপনা হিসেবে পরিচিত ছিল, যা পারস্য স্থাপত্যের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। [১]

মসজিদটি ইরানের পূর্বতন জাতীয় সংসদের নিকটে, বাহেরস্তান স্কোয়ারের দক্ষিন-পূর্ব পাশে অবস্থিত।

স্থাপত্যকলা[সম্পাদনা]

সিপাহসালার মসজিদ তেহরানের প্রথম মসজিদ যেটি পারস্য স্থাপত্যকলা ও ইস্তাম্বুলের মসজিদসমূহের স্থাপত্যরীতির মেলবন্ধনে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদ ভবনটি ইসফাহানের জামে মসজিদ, চাহারবাগ মাদ্রাসা এবং সুলতান আহমদ মসজিদের অনুপ্রেরণায় বানানো হয়েছে। এটিতে একটি বিশেষ গম্বুজ এবং আটটি মিনার আছে।

মসজিদের মূল প্রবেশদ্বার ও সম্মুখভাগ কাজার ধাচে তৈরি। প্রবেশদ্বারের দুইপাশে অবস্থিত দুইটি বিশালাকার মিনার আছে। প্রবেশদ্বারের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করলে একটি উঠোন দেখা যায়, যেটি ৬০টি শ্রেণীকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবনে ঘেরা। [২]

সুসজ্জিত কাজার ধাচে পূর্ণ প্রস্ফুটিত ফুলের নকশায় তৈরি টাইলস দিয়ে উঠোনটি বানানো হয়েছে। এখানে কিছু টাইলসে মসজিদটি নির্মাণের বিস্তারিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ আছে। ৪৪টি কলামের উপর স্থাপন করা মূল গম্বুজটি ৩৭মিটার উঁচু। [২]

ঘটনা[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সালের নভেম্বর মাসে ফাদাইয়ান-এ ইসলামের একজন সদস্য কর্তৃক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও রাজ পরিষদের মন্ত্রী আবদোলহোসেন হাজির গুপ্তহত্যার শিকার হন। [৩]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Photos: Sepahsalar Mosque and school in Tehran"www.payvand.com। ২০২৩-০৩-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-৩১ 
  2. "Motahari Mosque (Masjed-e Sepahsalar)"SURFIRAN (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-৩১ 
  3. Arjomand, Said Amir (১৯৮৪)। From Nationalism to Revolutionary Islam। [Place of publication not identified]: Palgrave Macmillan, a division of Macmillan Publishers Limited। পৃষ্ঠা ১৬৩। আইএসবিএন 978-1-349-06849-4ওসিএলসি 1004382277