সিনান পাশা মসজিদ (প্রিজরেন)

স্থানাঙ্ক: ৪২°১২′৩১″ উত্তর ২০°৪৪′২৯″ পূর্ব / ৪২.২০৮৬১° উত্তর ২০.৭৪১৩৯° পূর্ব / 42.20861; 20.74139
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিনান পাশা মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিIslam
অবস্থারক্ষিত
অবস্থান
অবস্থানপ্রিজরেন, কসোভোটেমপ্লেট:রেফ লেবেল
সিনান পাশা মসজিদ (প্রিজরেন) কসোভো-এ অবস্থিত
সিনান পাশা মসজিদ (প্রিজরেন)
কসোভোতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৪২°১২′৩১″ উত্তর ২০°৪৪′২৯″ পূর্ব / ৪২.২০৮৬১° উত্তর ২০.৭৪১৩৯° পূর্ব / 42.20861; 20.74139
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীঅটোমান
ভূমি খনন১৬০০ অথবা ১৬০৮
সম্পূর্ণ হয়১৬১৫
বিনির্দেশ
দৈর্ঘ্য১৪ মি (৪৬ ফু)
প্রস্থ১৪ মি (৪৬ ফু)
মিনার
মিনারের উচ্চতা৪৩.৫ মি (১৪৩ ফু)
উপাদানসমূহপাথর

সিনান পাশা মসজিদ ( আলবেনীয়: Xhamia e Sinan Pashës  ; বসনীয়: Sinan-pašina džamija ; সার্বীয়: Синан Пашина Џамија  ; তুর্কি: Sinan Paşa Camii কসোভোর প্রিজরেন শহরের একটি অটোমান মসজিদ[a] এটি ১৬১৫ সালে বুদিমের বাইরের সোফি সিনান পাশা নির্মাণ করেছিল।[১] মসজিদটি প্রিজরেনের প্রধান রাস্তার পাশে অবস্থিত। এটি শহরের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য।[২]

সার্বিয়া প্রজাতন্ত্র কর্তৃক ১৯৯০ সালে সিনান পাশা মসজিদকে ব্যতিক্রমী গুরুত্বের সংস্কৃতির স্মৃতিস্তম্ভ ঘোষণা করে।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সোফি সিনান পাশা[২][৪] ১৬০৮ সালে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। সোফি সিনান পাশা একজন আলবেনিয়ান, বসনিয় ছিলেন। তিনি প্রাচীন বেলারব ও কায়কামকের গ্র্যান্ড উজিয়ার সিনান পাশার অধীন ছিলেন। যিনি নিকটবর্তী শহর কাকানিকের সিনান পাশা মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।[৪]

মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহৃত পাথরগুলি সেন্ট আর্কাঞ্জেলস মনাস্ট্রি থেকে নেওয়া হয়েছিল। যেমনটি সার্বিয়ান সম্রাট স্টেফান ডুসান ‘সার্বিয়ান অর্থোডক্স মঠ’ তৈরী করেছিল।[৪][৫] মসজিদে সাবেক মঠের কিছু অংশ এখনও দেখা যায়।[২] ১৬শতকে অটোমানদের আগমনের পর পরিত্যক্ত মঠটি ১৭ শতকের মধ্যে ধ্বংস হয়। আলবেনিয়ান ইতিহাসবিদ হাসান কালেশি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে সোফি সিনান পাশা সম্ভবত কোনও মঠ ধ্বংসের নির্দেশ প্রদান করেননি। বরং তিনি অতিরিক্ত পাথরগুলিকে আরও ভাল কাজের জন্য ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।[৪]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

মসজিদটি আকারে বর্গাকার অর্থাৎ দৈর্ঘ ও প্রস্থ ১৪ মি (৪৬ ফু) ১৪ মি (৪৬ ফু)। এটির একটি বড় গম্বুজ এবং আরেকটি ছোট অর্ধগম্বুজ রয়েছে, যা মিহরাবকে ঢেকে রাখে। এতে আঁকা একটি স্ট্যালাক্টাইট হুড রয়েছে। মসজিদের দেয়াল ১.৬৫ মি (৫.৪ ফু) পুরু এবং এর মিনার সীসা দ্বারা আবৃত একটি কাঠামো আছে। এর উচ্চতা ৪৩.৫ মি (১৪৩ ফু)।[২]

সিনান পাশা মসজিদের ভিতরের দেয়াল ও গম্বুজ ১৯ শতকে নকশা করা হয়েছিল। এতে বেশিরভাগ যায়গায় ফুলের চিত্র ও কোরআনের আয়াত খোঁদাই করা আছে। মিম্বরটি ফুলের মোটিভ দিয়ে আঁকা। মসজিদের বড় গম্বুজ ও অর্ধগম্বুজ উভয়ই সীসা দ্বারা আবৃত। মসজিদে মেঝেতে পাথর আছে।[২]

সংরক্ষণ উদ্বেগ[সম্পাদনা]

সময়ের সাথে সাথে ছাদের গর্তের মাধ্যমে মসজিদে বৃষ্টি প্রবেশ করে এবং দেয়ালের কিছু মূল চিত্র নষ্ট হয়েছে। দেয়ালের প্লাস্টারও নষ্ট হয়েছে। সম্মুখভাগের পাথরগুলো বিরূপ আবহাওয়ায় নষ্ট হয়েছে।[২]

আবদুল্লাহ গারগুরি ১৯৭০ সালে ম্যুরালগুলির মেরামতের কাজ করেছিলেন।

২০০০ সালের প্রথম দিকে ভবনটি পুনর্বাসনের জন্য ইউনেস্কোর দ্বারা নির্ধারণ করা হয় এতে খরচ হয় €500,000 ।[২]

পাণ্ডুলিপি ও বিল্ডিং ব্যবহার বিতর্ক[সম্পাদনা]

প্রিজরেন মিউনিসিপ্যালিটি মসজিদে প্রাপ্ত আসল অটোমান পাণ্ডুলিপিগুলিই নয়, সমগ্র কসোভোতে পাওয়া যায় এমন অন্যান্য মূল্যবান পাণ্ডুলিপিগুলিকে সংরক্ষণ করার জন্য মসজিদের মধ্যে একটি লাইব্রেরি তৈরি করার ইচ্ছা করে। ‘ইসলামিক ইউনিয়ন অফ কসোভো’ প্রিজরেন পৌরসভার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে যাতে মসজিদটিকে একটি জাদুঘর না হয়। বরং এটিকে একটি ধর্মীয় ভবন হিসাবে চালিয়ে যেতে দেওয়া হয়।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Elsie, Robert (২০০৪)। Historical dictionary of Kosova। Rowman & Littlefield Publishers, Inc.। পৃষ্ঠা 145। আইএসবিএন 0-8108-5309-4 
  2. "Cultural Heritage in Kosovo" (পিডিএফ)। UNESCO। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৬, ২০১০ 
  3. Споменици културе у Србији - Sinan-pašina džamija
  4. Kaleshi, Hasan (১৯৭২)। Najstariji vakufski dokumenti u Jugoslaviji na arapskom jeziku (সার্বো-ক্রোয়েশিয় and আলবেনীয় ভাষায়)। Rilindja। পৃষ্ঠা 257–264। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-১৪ 
  5. M. Maksimović (২২ জানুয়ারি ২০০২)। "Zadužbina cara Dušana" (সার্বীয় ভাষায়)। Politika। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১০