সিডনি ক্যালাওয়ে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিডনি ক্যালাওয়ে
১৮৯৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে সিডনি ক্যালাওয়ে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসিডনি টমাস ক্যালাওয়ে
জন্ম(১৮৬৮-০২-০৬)৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৮
রেডফার্ন, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২৫ নভেম্বর ১৯২৩(1923-11-25) (বয়স ৫৫)
ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্করিচার্ড ক্যালাওয়ে (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬০)
১ জানুয়ারি ১৮৯২ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১১ জানুয়ারি ১৮৯৫ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৮৮/৮৯ - ১৮৯৫/৯৬নিউ সাউথ ওয়েলস
১৯০০/০১ - ১৯০৬/০৭ক্যান্টারবারি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬২
রানের সংখ্যা ৮৭ ১৭৪৭
ব্যাটিং গড় ১৭.৩৯ ১৬.৭৯
১০০/৫০ ০/০ ০/১০
সর্বোচ্চ রান ৪১ ৮৬
বল করেছে ৪৭১ ১৫৯০৬
উইকেট ৩২০
বোলিং গড় ২৩.৬৬ ১৭.০৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৩
ম্যাচে ১০ উইকেট ১২
সেরা বোলিং ৫/৩৭ ৮/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ৪৮/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

সিডনি টমাস ক্যালাওয়ে (ইংরেজি: Sydney Callaway; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৮ - মৃত্যু: ২৫ নভেম্বর, ১৯২৩) নিউ সাউথ ওয়েলসের রেডফার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯২ থেকে ১৮৯৫ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করতেন সিডনি ক্যালাওয়ে

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৮৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ১৯০৬-০৭ মৌসুম পর্যন্ত সিডনি ক্যালাওয়ে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৬২টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়ে উইকেট প্রতি ১৭-এর অল্প বেশি গড়ে ৩২০ উইকেট তুলে নেন।

অস্ট্রেলিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষেও বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে দুইটি খেলা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু ঐ সময়ে নিউজিল্যান্ড দলের টেস্ট মর্যাদা ছিল না।

১৯০৩-০৪ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডে অবস্থানকালে পাঁচ খেলায় মাত্র ৮.৭৭ গড়ে ৫৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান।[১] তন্মধ্যে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৮/৩৩ ও ৭/২৭। হকস বে’র বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় তিনি অপরিবর্তিত অবস্থায় একাধারে বোলিং কর্ম চালিয়ে যান।[২] পাশাপাশি, ওয়েলিংটনের বিপক্ষে ৫/৯৬ ও ৬/৪ পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েলিংটন দল মাত্র ২২ রানে গুটিয়ে যায়।[৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন সিডনি ক্যালাওয়ে। ১ জানুয়ারি, ১৮৯২ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ জানুয়ারি, ১৮৯৫ তারিখে অ্যাডিলেডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। অংশগ্রহণকৃত তিন টেস্টের সবকটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন।

১৮৯১-৯২ মৌসুমে সিডনি ও মেলবোর্নে এবং ১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে অ্যাডিলেডে সফরকারী ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। তন্মধ্যে, অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫/৩৭ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিডনি টেস্টে জনি ব্রিগসের হ্যাট্রিকের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। এ পর্যায়ে ক্যান্টারবারি ফ্রোজেন মিট কোম্পানিতে কেরানি হিসেবে কাজ করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। মেরি নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির এ পুত্র ছিল।[৪] ২৫ নভেম্বর, ১৯২৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে ৫৫ বছর বয়সে সিডনি ক্যালাওয়ে’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sydney Callaway bowling by season
  2. Hawke's Bay v Canterbury 1903-04
  3. Wellington v Canterbury 1903-04
  4. "Obituary: Mr S. T. Callaway"Press: 11। ২৬ নভেম্বর ১৯২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৮ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]