সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া
ভারতীয় প্রতিভূতি ও বিনিময় বোর্ড
भारतीय प्रतिभूति और विनिमय बोर्ड

সেবি ভবন, মুম্বইর মুখ্য কার্যালয়
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত১২ এপ্রিল, ১৯৯২[১]
যার এখতিয়ারভুক্তভারত সরকার
সদর দপ্তরমুম্বাই, মহারাস্ট্র
কর্মী৬৪৩ (২০১২)[২]
সংস্থা নির্বাহী
  • ইউ. কে. সিনহা, অধ্যক্ষ
ওয়েবসাইটwww.sebi.gov.in

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সংক্ষেপে: সেবি) বা ভারতীয় প্রতিভূতি ও বিনিময় বোর্ড হল ভারতের সিকিউরিটি অর্থাৎ ঋণপত্রের বাজারটির নিয়ন্ত্রণকারী এক প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা সেবির হাতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া আইন ১৯৯২-র অধীনে ১৯৯২ সালের ১২ এপ্রিলে আইনি ক্ষমতাসমূহ প্রদান করা হয়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮৮ সালে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বোর্ডটির প্রতিষ্ঠা করে যদিও ১৯৯২ সালের ১২ এপ্রিল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া আইন ১৯৯২ সংসদে গৃহীত করার পরেই উক্ত আইনটির অধীনে একে আইনি ক্ষমতাসমূহ প্রদান করা হয়। সেবির মুখ্য কার্যালয় মুম্বাইর ওয়ান্দ্রা কার্লা কমপ্লেক্সে অবস্থিত। এর উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের ক্ষেত্রীয় কার্যালয়সমূহ যথাক্রমে নতুন দিল্লী, কলকাতা, চেন্নাইআহমদাবাদএ অবস্থিত।

সেবি প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগে কেপিটেল ইস্যুস আইন ১৯৪৭-র অধীনে কন্ত্ট্রোলার অফ কেপিটেল ইস্যুস নামের সংস্থাটি সিকিউরিটি বাজারের নিয়ন্ত্রণকারী ভূমিকায় ছিল।

প্রথমাবস্থায় সেবি আইনি ক্ষমতা থাকা এক অ-আইনি সংস্থা ছিল। ১৯৯৫ সালে সেবি আইনের সংশোধনীর সাথে ভারত সরকার প্রতিষ্ঠানটিকে অতিরিক্ত আইনি ক্ষমতা প্রদান করে।

সেবি মোট নয় জন সদস্য দ্বারা গঠিত।

  1. ভারত সরকার দ্বারা নির্বাচিত একজন অধ্যক্ষ।
  2. বিত্ত মন্ত্রণালয়ের দুজন আধিকারিক।
  3. ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-এর একজন সদস্য।
  4. কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচিত করা ৫ জন সদস্য। এছাড়াও ৩ জন সদস্য পূর্ণকালীন।

ক্ষেত্রীয় কার্যালয়সমূহ ছাড়াও জয়পুর ও বাংগালোরে সেবির স্থানীয় কার্যালয় আছে।

দায়িত্ব ও কার্যাবলী[সম্পাদনা]

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার ভূমিকা শীর্ষক অনুচ্ছেদে কার্যাবলীর বিষয়ে বলা হয়েছে যে "...ঋণপত্রে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থর সুরক্ষা ও সিকিউরিটি বাজার তথা এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়সমূহের উন্নতি ও নিয়ন্ত্রণ"

সেবি নিম্নলিখিত সিকিউরিটি বা ঋণপত্রের বাজারটির তিনটি মূল উপাদানের প্রতি দায়িত্বশীল:

  • ঋণপত্রের বিতারক
  • বিনিয়োগকারী
  • মধ্যভোগী

সেবি মূলতঃ তিনটি দিকে কার্যসমূহ চালায়: প্রতিষ্ঠানটি -

  1. নীতি-নিয়মসমূহ প্রণয়ন করে।
  2. অনুসন্ধান চলায় ও নীতিসমূহ কার্যকরী করে।
  3. অধিসূচনা তথা নির্দেশনা জারী করে।

অর্থাৎ সেবি একই সময়ে আইনকর্তা, বিচারকর্তা ও কার্যকর্তা। সেবির তিনজন সদস্যে গঠিত এক বিচারালয় (Securities Appellate Tribunal) আছে এবং এর বর্তমানের মূরব্বী বোম্বে উচ্চ ন্যায়ালয়ের প্রাক্তন ন্যায়াধীশ জে পি দেওধর।[৩]

ক্ষমতাসমূহ[সম্পাদনা]

সেবির হাতে নিম্নলিখিত ক্ষমতাসমূহ প্রদান করা হয়েছে:

  1. স্টক এক্সচেঞ্জসমূহর উপর আইনসমূহকে বৈধতা প্রদান,
  2. স্টক এক্সচেঞ্জসমূহর উপর আইনসমূহের পরিবর্তন,
  3. প্রতিষ্ঠিত স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের হিসাবের বই ও পিরিয়ডিকেল রিটার্নের পরীক্ষণ,
  4. বিত্তীয়মধ্যভোগীসমূহের হিসাবের বইয়ের পরীক্ষণ,
  5. নির্দিস্ট কিছু কোম্পানীকে তাদের অংশপত্রসমূহ এক বা ততোধিক স্টক এক্সচেঞ্জে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করা,
  6. দালালসমূহের ভূক্তিকরণ।

বিভিন্ন কমিটিসমূহ[সম্পাদনা]

  1. টেকনিকাল এডভাইজরি কমিটি
  2. কমিটি ফর রিভিউ অফ স্ট্রাকচার অফ মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনস্টিটিউশনস্

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "About SEBI"। SEBI। ৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  2. http://www.sebi.gov.in/acts/EmployeeDetails.html
  3. Govt appoints JP Devadhar as new Presiding Officer of Securities Appellate Tribunal - Economic Times. Articles.economictimes.indiatimes.com (2013-07-15). Retrieved on 2013-12-06.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]