সালের মহান মসজিদ
সালের মহান মসজিদ | |
---|---|
المسجد الأعظم | |
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | সালে, মরক্কো |
স্থানাঙ্ক | ৩৪°০২′২৪″ উত্তর ০৬°৪৯′৩৯″ পশ্চিম / ৩৪.০৪০০০° উত্তর ৬.৮২৭৫০° পশ্চিম |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | আনুমানিক ১১৩০ খ্রি. |
সম্পূর্ণ হয় | ১১৯৬ (পুনর্নির্মাণ)
১৮শ শতাব্দী (বড় পরিবর্তন) |
সালের মহান মসজিদ (আরবি: الجامع الأعظم , মসজিদ আল-তা'লা নামেও পরিচিত),[১][২] হলো মরক্কোর সালেতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি পুরাতন শহরের প্রধান মসজিদ। ৫,০৭০ বর্গমিটার (৫৪,৬০০ বর্গফুট) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মসজিদ হলো মরক্কোর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ।[৩]
এই স্থানে প্রথম মসজিদটি ১০২৮ থেকে ১০৩০ সালের মধ্যে নির্মিত হতে পারে।[৪][৫] বর্তমান মসজিদটি ১১৯৬ সালে আলমোহাদ শাসক ইয়াকুব আল-মনসুরের পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের ফলাফল। ১৮ শতকে আরও সংস্কারের ফলে ভবনটি বর্তমানের চেহারা লাভ করে।[১] ১৮৫১ সালের সালের বোমা হামলায় এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মরক্কোতে ফরাসি আশ্রিত রাজ্যের সময় এটি কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]শহরের ইতিহাসের শুরু থেকে মসজিদটি বহুবার ধ্বংস এবং পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।[৬] ৪২০ হিজরিতে (আনু. ১০৩০ খ্রি.) বনু ইফরান গোত্রের নেতা তেমিম ইবনে জিরির নির্দেশে মসজিদটি প্রথম নির্মিত হতে পারে।[৫][যাচাই প্রয়োজন][ যাচাইকরণ প্রয়োজন ]
পুরাতন মসজিদের ছাদ ধসে পড়ার পর ১১৯৬ সালে আবু ইউসুফ ইয়াকুব আল-মনসুরের নির্দেশে একটি নতুন ও বৃহত্তর মসজিদ নির্মিত হয়।[১] আলমোহাদ ভবনের স্থপতি আল-ঘরনাতি নামে পরিচিত ছিলেন। এই নামটি থেকেই বোঝা যায় যে তিনি আল-আন্দালুসের গ্রানাডা থেকে এসেছিলেন।[৭] ঐতিহ্য অনুসারে আল-মনসুরের নির্দেশে ৭০০ জন ফরাসি দাস পুনর্গঠনে জড়িত ছিল।[৭]

১২৬০ সালে ক্যাস্তিলিয়ান বাহিনী সালেকে উচ্ছেদ করে দখল করে নেয়।[১] এই সময় শহরের ৩০০০ নারী, শিশু এবং বয়স্ক বাসিন্দাকে মসজিদে জড়ো করা হয় এবং সেভিলে দাস হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়।[৬] এর পরেই মারিনিদ সুলতান আবু ইউসুফ ইয়াকুব শহরটি পুনরুদ্ধার করেন। ১৩৪২ সালে আরেক মারিনিদ সুলতান আবু আল-হাসান মসজিদের পাশে আবু আল-হাসানের মাদ্রাসা নির্মাণ করেন, যা শহরের ধর্মীয় ও বৌদ্ধিক কেন্দ্র হিসেবে এর উন্নয়নে অবদান রাখে।[১]
সময়ের সাথে সাথে মসজিদটি মূলত পুনর্নির্মাণ এবং পরিবর্তিত হয়। এর বর্তমান চেহারা ১৮ শতকের,[১] যা আলাউই রাজবংশের অধীনে নির্মাণ করা হয়। মসজিদের বর্তমান মিনারটিও আলাউই আমলের। ১৮৫১ সালে ফরাসি বাহিনী সালেতে বোমাবর্ষণ করে এবং ছয়টি কামানের গোলা আঘাতের পর মসজিদটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৮]
১৯৩০-এর দশকে মরক্কোতে ফরাসি আশ্রিত রাজ্যের সময় মসজিদটি জাতীয়তাবাদী সমাবেশের জন্য ব্যবহৃত হত, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাইদ হাজ্জি, আহমেদ মানিনো, বুবকার এল-কাদিরি এবং আবু বকর জিনাইবারের মতো ব্যক্তিরা।[৯] পরবর্তীতে ফরাসি আশ্রিত রাজ্য জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত করার স্থান হিসেবে মসজিদটি ব্যবহার রোধ করার জন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, কিন্তু পরে পুনরায় চালু করা হয়।[৯]
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
মসজিদের মিনার
-
মসজিদের প্রধান উঠোন (সাহন)
-
উঠোনের চারপাশের গ্যালারি
-
মসজিদের নামাজ কক্ষের ভেতরে
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Mouline, Saïd (২০০৮)। "Rabat. Salé – Holy Cities of the Two Banks"। The City in the Islamic World। Brill। পৃষ্ঠা 643–662। আইএসবিএন 9789004171688। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে ":1" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ টেমপ্লেট:Encyclopaedia of Islam, Second Edition
- ↑ "Great Mosque of Salé"। Wassila। ২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ Mrini, Driss; Alaoui, Ismaïl (১৯৯৭)। Salé: cité millenaire (ফরাসি ভাষায়)। Rabat: Editions Eclat। পৃষ্ঠা 45–46। আইএসবিএন 9789981999503। ২০২৩-১১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০২।
- ↑ ক খ Hassar-Benslimane, Joudia (১৯৯২)। Le passé de la ville de Salé dans tous ses états: histoire, archéologie, archives (ফরাসি ভাষায়)। Editions Maisonneuve et Larose। পৃষ্ঠা 73। আইএসবিএন 978-2-7068-1039-8।
- ↑ ক খ Mrini, Driss; Alaoui, Ismaïl (১৯৯৭)। Salé: cité millenaire (ফরাসি ভাষায়)। Editions Eclat। পৃষ্ঠা 45–46। আইএসবিএন 9789981999503। ২০২৩-১১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০২। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে ":0" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ ক খ Janet L. Abu-Lughod (১৯৮০)। Rabat: Urban Apartheid in Morocco। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 57। আইএসবিএন 978-1-4008-5303-8।
- ↑ Muḥammad bin 'Alī Dukkālī (১৯৮৬)। Al-Ithaf Al Wajiz, Tarikh Al-Adwatayn (আরবি ভাষায়)। Salā, al-Maghrib: al-Khizānah al-ʻIlmīyah al-Ṣabīḥīyah। পৃষ্ঠা 337। ওসিএলসি 427353826।
- ↑ ক খ ʻAbd al-Raʼūf ibn ʻAbd al-Raḥmān Ḥajjī (২০০৭)। Saïd Hajji : naissance de la presse nationale Marocaine। Lebonfon Inc.। আইএসবিএন 9780973223613। ওসিএলসি 183181000।