সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব
সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব হচ্ছে প্রত্নতত্ত্বের একটি পূর্ণাঙ্গ শাখা যা বিশেষভাবে মানুষের সংগে সাগর,[১] হ্রদ এবং নদীর সম্পর্ক টিকে থাকা ধংসাবশেষ, জাহাজ, তীরবর্তী সুবিধা, বন্দর-সংশ্লিষ্ট কাঠামো, কার্গো, মানুষের দেহাবশেষ এবং নিমজ্জিত ভূমিরূপের উপর ভিত্তি করে অধ্যায়ন করে।[২] সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের মধ্যে একটি বিশেষত্ব বিশিষ্টতা নটিক্যাল প্রত্নতত্ত্ব, যা জাহাজ নির্মাণ এবং ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করে।[৩] পূর্ণাঙ্গ প্রত্নতত্ত্ব হিসেবে সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব ঐতিহাসিক, শিল্প, বা প্রাগৈতিহাসিক সময়কালের প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করে।[৪] একটি সহযোগী শাখা, যা প্রত্নতত্ত্বের মধ্যেই আছে, জলতলের প্রত্নতত্ত্ব, সমুদ্রে ডুবন্ত অবশেষের মাধ্যমে অতীত নিয়ে গবেষণা করে। প্রাগৈতিহাসিক যুগের কোন উদাহরণ নিমজ্জিত অবশেষ বা জল শুকিয়ে যাওয়া শুকনো ভূমির মধ্যে রয়ে গেছে। হ্রদ, নদী বা সমুদ্রের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা হচ্ছে ঐতিহাসিক, শিল্প বা আধুনিক যুগের উদাহরণ। অনেক বিশেষজ্ঞ সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র এবং জলতলের প্রত্নতত্ত্বের বিষয়শ্রেণীগুলোকে একত্রিত করেছেন।[৫]
জাহাজ ডুবি, কখনো সিসেমিক বিপর্যয়ের ফলে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট তৈরী হয় এবং বছরের পর বছর সঞ্চিত বস্তু একটি সময়কে তুলে ধরে যেখানে বিভিন্ন সময়ে বস্তু হারিয়ে গিয়েছিলো অথবা ফেলে দেওয়া হয়েছিলো। এই ঘটনার হাত ধরে প্রায়শই জাহাজডুবি মিডীয়া এবং জনপ্রিয় মাধ্যমে টাইম ক্যাপসুল হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
সমুদ্র বা ডুবো পরিবেশের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান স্থলজ প্রত্নতত্ত্ব থেকে ভিন্ন ফ্যাক্টরের সম্মুখীন হয়। টিকে থাকা প্রত্নস্থল আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদগণ অনুসন্ধান করে প্রকৃত বস্তুর তুলনায় খুবই খুদ্র ভগ্নাংশের সন্ধান পায়। । সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমস্ত উপাদান নষ্ট হয়ে গেলেও মাঝে মাঝে সেখানে বিরল কিছু বেঁচে থাকা উল্লেখযোগ্য উদাহরণ খুঁজে পাওযা যায় যা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শেখা যায়। সাইটে ঢোকার জন্য প্রায়শই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
প্রত্নতত্ত্ব সম্প্রদায়ে এমন অনেকেই আছে যারা সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বকে একটি পৃথক শাখা হিসেবে বিবেচনা করে এবং জাহাজডুবিকে নিজস্ব বিষয় বিবেচনা করে ও জলতলের প্রত্নতত্ত্ববিদ হতে বিশেষায়িত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। অন্যেরা সমন্বিত পদ্ধতির উপর জোর দেয়, নৌ কার্যক্রমের সংগে স্থল সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক যোগাযোগ আছে এবং প্রত্নতত্ত্ব হচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব, এটা কোন ব্যাপার না যে কোথায় গবেষণা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রয়োজ়ন যে পরিবেশে কাজ হচ্ছে তার উপর দক্ষ নিয়ন্ত্রণ।
একীভূত স্থল এবং সমুদ্র
[সম্পাদনা]শিল্পযুগের আগে স্থলের তুলনায় জলপথে ভ্রমণ অধিকতর সহজ ছিলো। ফলস্বরূপ সামুদ্রিক চ্যানেল, নাব্য নদী ও সাগর ঐতিহাসিক এবং প্রাচীন সভ্যতার বাণিজ্য পথ হিসেবে গড়ে ওঠে। উদাহরণস্বরূপ, ভূমধ্য সাগর রোমানদের কাছে মধ্য সাগর হিসেবে পরিচিত ছিল, কারণ এর উপকূলের চারপাশে রোমান সাম্রাজ্য বিস্তৃতিলাভ করে। ঐতিহাসিক নথিতে লিপিবদ্ধ বন্দর, জাহাজ ও কার্গো এর মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ তুলে ধরে। পরবর্তী শক্তিশালী সামুদ্রিক সংস্কৃতি সম্পন্ন জাতি যেমন যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, পর্তুগাল এবং স্পেন অন্যান্য মহাদেশে উপনিবেশ স্থাপন করতে সক্ষম হয়। গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে সাগরে লড়াই হতো। সমুদ্রতলে থেকে যাওয়া অবশেষ সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ববিদ আবিষ্কৃত হচ্ছে। সাবেক বাণিজ্যপথ ও ঐতিহাসিক নথির সমন্বয় এবং পাওয়া সাংস্কৃতিক অবশেষ থেকে অতীতের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করা হয়। ইদানীং সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ববিদগণ চীন, ভারত, কোরিয়া এবং অন্যান্য এশিয় দেশের ডুবন্ত সাংস্কৃতিক অবশেষ পরীক্ষা করছেন।
ডুবো বস্তু সংরক্ষণ
[সম্পাদনা]প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান টিকে থাকা বিভিন্ন শর্তের উপর নির্ভর করে যেমন স্থানটি আর্দ্র না শুষ্ক প্রকৃতির, রাসায়নিক পরিবেশের উপর, জৈবিক প্রাণী এবং গতিশীল বলের উপস্থিতি ইত্যাদি। সুতরাং, পাথুরে উপকূল, বিশেষ করে অগভীর জলে, অবশেষ সাধারণত স্রোত এবং ঢেউয়ের কারণে ছড়িয়ে পড়ে, ভেঙে যায় অথবা মাটির সাথে মিশে যায়। সম্ভবত (কিন্তু সবসময় নয়) ভগ্ন অবশেষের রেখা টিকে থাকে কিন্তু খুবই সামান্য।
লবণাক্ত পানি লৌহ নির্মিত প্রত্ন যেমন ধাতব ডুবন্ত জাহাজের জন্য খুবই বিরূপভাবাপন্ন এবং সমুদ্রের প্রাণী কাঠের ডুবন্ত জাহাজ জাতীয় জৈব উপাদান সহজেই গ্রাস করে। অন্যদিকে হাজার হাজার সম্ভাব্য প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট এই ধরনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধ্বংস বা পুরোপুরিভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অনেকসময় প্রত্নবস্তু সংবলিত সাইট ব্যতিক্রমী সংরক্ষণের জন্য টিকে থাকে। এই ধরনের সংগ্রহের একটি উদাহরণ হচ্ছে মেরি রোজ। এর টিকে থাকার সম্ভাবনা বিশাল ছিলো কারণ অবশেষ পললে সমাধিস্থ ছিলো।
সমুদ্র শয্যা অনেকসময় নিমজ্জিত ঐতিহাসিক নিদর্শনের জন্য অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশ তৈরী করে এরকম অনেক উদাহরণ আছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আরএমএস টাইটানিক, গভীর জলে তুলনামূলকভাবে কম ডুবন্তকাল, তাই ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়নি। শক্তিশালী এবং তুলনামূলকভাবে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে, তবে ইতোমধ্যে এর ইস্পাত ও লৌহনির্মিত কাঠামোয় যথাযোগ্য অপরিবর্তনীয় অবনতি দেখা দিয়েছে। এরূপ অবনতি অবশ্যম্ভাবীরূপে চলতে থাকলে তথ্য চিরতরে হারিয়ে যাবে, বস্তুর চিহ্ন ধ্বংস হয়ে যাবে এবং ভাঙা কাঠামো শতাব্দীর পরে আটলান্টিক মহাসাগর মেঝেতে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নিদর্শনসমূহের মধ্যে তুলনা করে দেখা গেছে সমস্ত লোহা ও ইস্পাত নির্মিত জাহাজ অত্যন্ত অক্সিজেনসমৃদ্ধ পরিবেশে ক্ষয় হতে থাকে এবং তাদের ইঞ্জিন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি সাগরের মাটির উপরে থাকা পর্যন্ত এটা চলতে থাকে। যেখানে সময়ের পরে এটা টিকে থাকে সেখানে লৌহ বা ইস্পাত কাঠামো ভংগুর দশায় থাকে। ক্ষয়িত পণ্যে আর কোন ধাতু অবশিষ্ট থাকেনা। ১৯৭০ সালে USS Monitor এ পাওয়া যায়। সিটু সংরক্ষিত অঞ্চল থেকে উত্তোলনের প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু কাঠামোটির ক্ষয় এত দ্রুত হচ্ছিলো যে শুধুমাত্র তার চুড়াটি নেওয়া যায়। বাকি সব ধ্বংস হয়ে যায়।
কিছু ডুবো জাহাজ, প্রাকৃতিক বাঁধার কারণে হারিয়ে যায়, একই স্থানে আরো বিদ্ধস্ত জাহাজ ডুবে গেলে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে জাহাজ ধংস করে ডুবিয়ে দিলে। এমনকি গভীর জলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম যেমন পাইপ-লেইং অপারেশন এবং গভীর সমুদ্র অনুসন্ধান একটি বিদ্ধস্ত জাহাজকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এরকম একটি রেক হচ্ছে মার্দি গ্রাস শিপরেক যা মেক্সিকো উপসাগরের ৪০০০ ফুট (১২২০মিটার) জলের নিচে নিমজ্জিত আছে। ২০০২ সালে ওকেয়ানোস গ্যাস গ্যাদারিং কোম্পানী (OGGC) এর কিছু কর্মী তেলক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে ডুবন্ত জাহাজের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায়। বড় পাইলাইন সাইটটিকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে। অনুসন্ধানকারীগণ তাদের যন্ত্রপাতি টানাজাল দিয়ে প্রত্ন থেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করে।
বিদ্ধস্ত জাহাজ এবং অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সাধারণত টিকে থাকে কারণ সমুদ্র তলের গতিশীল প্রকৃতি দ্রুত পললের মধ্যে সমাধিস্থ হতে সাহায্য করে। এই পলল একটি অবায়বীয় পরিবেশ তৈরী করে যা আরো অবনতি থেকে রক্ষা করে। স্থলের গর্ত এবং কূয়া অথবা জলতলের ভেজা পরিবেশ জৈব বস্তু যেম্ন কাঠ, চামড়া, ফেব্রিক এবং হর্ণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতল এবং অন্ধকার প্রত্নের টিকে থাকার জন্য সাহায্য করে কারণ আলোর স্বল্পতা জৈব কার্যক্রম বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য পর্যাপ্ত শক্তির সরবরাহ করতে পারে না। লবণ পানি স্বাদুপানির তুলনায় অধিক জৈব কার্যক্রমে সহায়তা করে। জাহাজকীট, টেররেডো নাভালিস শুধুমাত্র লবণ জলে বাস করতে পারে। তাই পললে সংরক্ষিত এরকম বেশ কিছু উদাহরণ পাওয়া গেছে উত্তর আমেরিকার গ্রেট লেকস (লবণাক্ততা কম) এবং বাল্টিক সাগর (যেখানে ভাসা সংরক্ষিত ছিলো)।
স্থল্ভাগ মানুষের দ্বারা বারবার ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিন্তু ২০ শতকে সাবমেরিন, স্কুবা সরঞ্জাম এবং দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবো বাহন আবিষ্কারের পূর্বে সমুদ্রতল অব্যবহৃত ছিলো। উদ্ধারকারীরা বহুদিন থেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো কিন্তু অধিকাংশ জিনিস নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছিলো। ১৬ শতকে এবং তার পরেও মেরি রোজকে উদ্ধার অভিযান চালানো হয় কিন্তু বিশাল পরিমাণের বস্তু পললে সমাধিস্থ থেকে যায় যা ২০ শতকের সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ববিদ খুঁজে পেয়েছে।
যখন সাইট সংরক্ষণ নিশ্চিত করা না যায় তখন জলতলের বস্তু স্থলে উত্তোলন করে নিয়ে আসা হয় এবং উচ্চ বিশেষায়িত সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হয়। মেরি রোজ এবং অন্যান্য প্রত্নের কাঠের কাঠামো উদ্ধারের পর থেকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, হলান্ড ১ এমন একটি উদাহরণ প্রদর্শন করেছে যেখানে ধাতব জাহাজ কাঠামো সংরক্ষণের জন্য ব্যাপক সংরক্ষণ প্রয়োজন। কাঠামোটি অক্ষত থাকলেও তার যন্ত্রপাতির অবশেষ অকেজো হয়ে গেছে। ১৯৮৫ সালে এক শতাব্দী পরে লবণাক্ত পরিবেশ থেকে উদ্ধারকৃত এসএস জ্যান্থো দুই দশকের পরিচর্যার পরে হাত দেওয়ার মত অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদ ইন-সিটু সংরক্ষণ একটা চ্যালেঞ্জ অথবা উদ্ধার করে স্থলে এনে সংরক্ষণ করা একটা বাঞ্ছনীয় বিকল্প; অথবা প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড সম্ভবপর না হলে যে কোন দশায় সংরক্ষণ। আবিষ্কৃত একটি প্রত্নস্থল বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে যা এর টিকে থাকাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় প্রত্নের উপর জমা হওয়া আস্তরণ ঝড় ঝঞ্জা বা মানুষের দ্বারা অপসারিত হতে পারে। সক্রিয় পর্যবেক্ষণ এবং স্বতঃপ্রণোদিত সুরক্ষা ইন-সিটু সংরক্ষণে দ্রুত ক্ষয় প্রতিরোধের একটি বিকল্প, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তবে অধিকাংশ সাইট ইন সিটু সংরক্ষণ বা উদ্ধারের মাধ্যমে সন্তোষজনক সংরক্ষণ খুবই ব্যয় বহুল। এমনকি সঠিক ও পূর্ণ প্রত্নতত্ত্বীয় অনুসন্ধানের খরচ এত বেশি হয় যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই অবশ্যম্ভাবীরূপে তথ্য হারিয়ে যাওয়ার আগেই প্রত্নতত্ত্বীয় রেকর্ড রাখা হয়।
নিমজ্জিত সাইট
[সম্পাদনা]প্রাক-ঐতিহাসিক ল্যান্ডস্কেপ
[সম্পাদনা]সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব প্রাক-ইতিহাস এবং সাইট নিয়ে গবেষণা করে যা জলবায়ু এবং ভূতত্ত্ব এর কারণে বর্তমানে পানির নিচে অবস্থান করছে।
স্বাদু ও লোনাপানির জলাধার মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উৎস হিসেবে কাজ করছে। তাই প্রাচীন গ্রামগুলো যে জলের ধারে গড়ে উঠতো এটা কোন বিস্ময় নয়। শেষ বরফ যুগের পর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৪০০ ফুট (~১২০ মিটার)। তাই বরফ যুগের পরে মানুষের কার্যকলাপের বড় অংশ এখন পানির নিচে পাওয়া যায়।
কালো সাগর নামে পরিচিত অঞ্চল (একটি ভুমি সেতু, যেখানে বর্তমানে বসফরাস অবস্থিত, ভূমধ্য সাগরের পানি বৃদ্ধির চাপে ভেঙে যায়) যেখানে স্বাদু পানির হ্রদকে ঘিরে একদা বিশাল সংখ্যক মানুষের পাদচারণা ছিলো তা সবই জলতলে নিমজ্জিত হয়।
পশ্চিম ইউরোপের উপকূলবর্তী উল্লেখযোগ্য গুহাচিত্র যেমন গ্রোত্তো কস্কুয়ের দেখতে হলে শুধুমাত্র ডাইভিংয়ের দ্বারা সেখানে যাওয়া যায়। কারণ গুহার প্রবেশপথ গুলো জলের নিচে তলিয়ে গেছে কিন্তু উপরের অংশ নিমজ্জিত হয়নি।
ঐতিহাসিক সাইট
[সম্পাদনা]ইতিহাসজুড়ে সিসমিক ঘটনার কারণে মানুষের বসতি নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পৃথিবী জুড়েই এরকম বিপর্যয়ের অবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা প্রান্তে। আলেকজান্দ্রিয়া এবং পোর্ট রয়্যাল এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হয়ে উঠেছে। জাহাজডুবির স্থানে প্রত্নতত্ত্বীয় অনুসন্ধান একাধিক থিমে পরিচালনা করা হয় তার মধ্যে আছে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের নিদর্শন, বিপর্যয়ের পূর্বের গঠন ও ভূমিরূপ এবং এর সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অংশ। সিসেমিক ঘটনায় জাহাজডুবির মত শহর ধ্বংস অত দ্রুত হয় না, কয়েক বছর ধরে হয় এবং ক্ষতির কয়েকটি দশা থাকে। অনেকসময় এরই মধ্যে পুনর্নির্মাণ সংঘটিত হয়।
উপকূলীয় ও জোয়ারভাটার তীর
[সম্পাদনা]সকল সামুদ্রিক স্থান পানির নিচে নয়। এমন অনেক কাঠামো আছে যা জল ও স্থলের সীমানায় অবস্থিত যা অতীতের মানব সমাজের নিদর্শন সরবরাহ করে। সেতু, চলার পথ এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয়েছিলো। অনেক কাঠামো উৎসের সংগে রয়ে গেছে যেমন বাঁধ ও মাছ ধরার ফাঁদ। প্রথম দিকের পোতাশ্রয় এবং জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত স্থানে নটিক্যাল অবশেষ পাওয়া যায়। জাহাজগুলোকে তাদের জীবনকাল শেষে তীরে তুলে রাখা হতো। দামী এবং খোলা কাঠ সহজে হারিয়ে যেত, শুধুমাত্র কাঠামো এবং নিচের তক্তা টিকে থাকতো।
আজকের দিনে জোয়ারভাটা চরে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায় যা সম্ভবত একসময় শুকনো ভূমি ছিলো। এরকম।একটি সাইট হচ্ছে সিহেঞ্জ, বোঞ্জ যুগের কাঠের চক্র।
জাহাজ এবং জাহাজডুবি
[সম্পাদনা]জাহাজডুবি প্রত্নতত্ত্ব কে তিনস্তরের অনুক্রমে বিভক্ত করা যেতে পারে, ১ম স্ত্রর রেকিং প্রক্রিয়া বিবেচনা করে: কেন জাহাজ ভেঙে যায়, কীভাবে একটি জাহাজ তলিয়ে যায় নিচে এবং কীভাবে জাহাজ, কার্গোর অবশেষ এবং পার্শ্ববর্তী পরিবেশ সময়ের সাথে টিকে থাকে। দ্বিতাইয় স্তর জাহাজের মেশিন, এর নিজস্ব এবং সামরিক বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করে। তৃতীয় স্তর সামুদ্রিক সংস্কৃতি নিয়ে গঠিত যার মধ্যে নটিক্যাল প্রযুক্তি, নৌ যুদ্ধ, বাণিজ্য এবং পোতোপরি সমাজ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা হয়। অনেকে এটাকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্তর হিসেবে বিবেচনা করে। জাহাজ এবং নৌকা প্রয়োজনে ডুবে যায় না: কিছু ইচ্ছাকৃতভাবে পরিত্যাগ করা হয় এবং তীরে তুলে রাখা হয়। এরকম।অনেক পরিত্যক্ত জাহাজ উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্রোঞ্জ যুগ
[সম্পাদনা]প্রথম দিকের আবিষ্কৃত নৌকা গুলো ব্রোঞ্জ যুগের যা কাঠের খোল দিয়ে বা তক্তা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো। পানির নিচের জমা হওয়া পললে অথবা জলঘেঁষা ভূমিতে খোল আবিষ্কৃত হয়েছে যেমন সেন্ট বটল্ফসের নিকট আবিষ্কৃত ক্যানু বা ডিঙি নৌকা। তক্তাজোড়া নৌকা যেমন নর্থ ফেরিবাই এবং ডোভারের ব্রোঞ্জ যুগের নৌকা যা বর্তমানে ডোভার মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে। ধারণা করা হয় এটা নৌকার কোন অভিযোজন কিন্তু সম্ভবত লুকানো নৌকাই টিকতে সক্ষম হয়েছে।
সাগরে বিদ্ধস্ত হওয়া জাহাজ সম্ভবত টিকতে পারেনি, যদিও কার্গোর অবশেষ পাওয়া গেছে, যেমন স্যালকোম্ব বি সাইট। সমুদ্রতলে পাওয়া কিছু প্রত্ন থেকে ধারণা করা হয় এগুলো কোন জাহাজে ছিলো যদিও সত্যিকারের কোন জাহাজের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বোঞ্জ যুগের শেষভাগের জাহাজ যেমন উলুবুরান জাহাজডুবির ঘটনা ভূমধ্যসাগরে আবিষ্কৃত হয়েছে যেখানে তক্তাগুলো পাশাপাশি জোড়া ছিলো। ক্লাসিকাল সময় পর্যন্ত এই জাহাজ নির্মাণ প্রযুক্তি অব্যাহত ছিলো।
অঞ্চল অনুযায়ী সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব
[সম্পাদনা]ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা
[সম্পাদনা]ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে, সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বেশ কিছু প্রাচীন সংস্কৃতি তদন্ত করেছেন। প্রাক লৌহ যুগের দুটি ফিনিশিয়া জাহাজ যা আনুমানিক ৭৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নির্মিত যা মদ ভর্তি কার্গো নিয়ে গাজায় যাওয়ার পথে আমফোরাসে ডুবে যায়। ১৯৯৭ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর গভীর নিমজ্জিত অনুসন্ধানকারী এনআর-১ সাইটটি আবিষ্কার করে। ১৯৯৯ সালে রবার্ট ব্যালার্ডের নেতৃত্বে একটি দল এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক লরেন্স স্ট্যাগার রেকটি তদন্ত করেন।
ভূমধ্যসাগর এবং তুরস্কের এজিয়ান উপকূলে ব্যাপক গবেষণা চালানো হয়। শাস্ত্রীয়, হেলেনীয়, বাইজেন্টাইন, এবং উসমানীয় সময়সীমার কিছু ডুবন্ত জাহাজে সম্পূর্ণ উৎখনন করা হয়।
ইতালির সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় এত্রুস্কান, গ্রীক উপনিবেশ এবং রোমীয়দের নৌ ও সামুদ্রিক কার্যক্রম উঠে এসেছে। ২য় খ্রিস্টপূর্বাব্দের পরে রোমান নৌবহর ভূমধ্যসাগর শাসন করে এবং সক্রিয়ভাবে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্যাক্স রোমানা তে সমুদ্রবাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। যদিও প্রাচীনকালে পালতোলা জাহাজ ছিল সবচেয়ে নিরাপদ, দ্রুততম এবং সবচেয়ে কার্যকর পরিবহন পদ্ধতি, কিন্তু সামান্য কিছু যাত্রা জাহাজ ডুবির মাধ্যমে শেষ হতো। রোমান যুগে সাগরে চলাচল বৃদ্ধির সাথে সাথে জাহাজডুবিও বৃদ্ধি পায়। এই ডুবন্ত জাহাজ এবং তাদের কার্গো প্রাচীন বিশ্বের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতির এক ঝলক প্রকাশ করে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা আমফোরাসে গবেষণা করে দেখেছেন ১৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত জাহাজে কন্টেইনার হিসেবে সিরামিক নির্মিত পাত্র ব্যবহার করতো।
সমুদ্রে অসংখ্য আবিষ্কারের পাশাপাশি হ্রদেও কিছু ডুবে যাওয়া জাহাজ পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইতালির লেক নেমিতে ডুবে যাওয়া ক্যালিগুলার 'প্লেজার বার্জ' (প্রমোদ তরী)। নেমি জাহাজ এবংং অন্যান্য জাহাজডুবি স্থানে প্রাপ্ত বস্তুর অনন্য শৈল্পিক মান আছে। এন্টিকাইথেরা ভগ্ন জাহাজ থেকে এন্টিকাইথেরা যুবাসহ অসংখ্য মার্বেল এবং ব্রোঞ্জ মূর্তির সংগ্রহ পাওয়া গেছে। ১৯০০ সালে আবিষ্কৃত জাহাজটি সম্ভবত ১ম খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে ডুবে যায় এবং সম্ভবত রোমান সেনাধ্যক্ষ সুল্লা জাহাজটিকে রোমে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্পঞ্জ ডাইভারগণ ভগ্নজাহাজ থেকে বিখ্যাত এন্টিকাইথেরা মেকানিজম উদ্ধার করে। বিশ্বাস করা হয় এটা একটি জ্যোতির্বিদ্যা ক্যালকুলেটর। ইতালির রিয়াসি'র (ক্যালাবারিয়া) সমুদ্রতল থেকে দুটি ব্রঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে যা অসাধারণ শিল্পকর্ম। তবে এন্টিকাইথেরা এবং রিয়াসির ক্ষেত্রে সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ববিদদের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াই উদ্ধারকাজ চালানো হয়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে সারনো নদী (পম্পেইর কাছে) প্রাচীন জীবনাচারের আকর্ষণীয় উপাদান প্রদর্শন করে। সারনো প্রকল্প মত প্রকাশ করে যে টিরেনিয়ান তীরে প্যালাফিতি যুক্ত ক্ষুদ্র শহর ছিলো যা প্রাচীন ভেনিসের অনুরূপ। একই এলাকায় নিমজ্জিত শহর পুতেওলি'তে (পুজ্জোলি, নেপলসের কাছে) "পোরটাস জুলিয়াস" আছে যা ৩৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ভিপসানিয়াস আগ্রিপ্পা তৈরি করেছিলেন।
ভূমধ্যসাগরের তলদেশে অগুনিত প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট আছে। ইস্রায়েলের সিজারিয়ার ম্যারিটিমাত হেরোদ দ্য গ্রেট পোর্ট ব্যাপকভাবে গবেষণার সম্মুখীন হয়েছে। খুঁজে পাওয়া বস্তুর সাথে বাইবেলের সামঞ্জস্য খোঁজা হয় (যেমন তথাকথিত যিশুর নৌকা যা ১ম শতাব্দীতে ব্যবহৃত হতো)।
অস্ট্রেলিয়ার পানির নিচে এবং সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব
[সম্পাদনা]অস্ট্রেলিয়ায় নিমজ্জিত সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের ব্যাপারটি উঠে আসে ১৯৭০ সালে যখন জেরেমি গ্রিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পশ্চিম উপকূলে নিখোঁজ ডাচ ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া জাহাজ ধংসের ব্যাপারে শিক্ষাবিদ এবং রাজনীতিবিদগণ শংকা প্রকাশ করে আসছিলেন। ১৯৭৬ সালে কমনওয়েলথ আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ শুরু করে এবং দেশটি নিজেদের আইনের উপবিভাগ প্রণয়ন করে যা অস্ট্রেলিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়া এবং কমনওয়েলথ তাদের জাহাজডুবি আইন বাস্তবায়ন করতে যৌথভাবে কাজ করে। জলতলের প্রত্নতত্ত্ব অধ্যায়নে এখন নিমজ্জিত আদিবাসী সাইটের গবেষণাও যুক্ত করা হচ্ছে। নৌ প্রত্নতত্ত্ব (নৌকা ও জাহাজ নির্মাণের বিশেষায়িত গবেষণা) এই অঞ্চলে চর্চিত হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে সাইট এবং রেলিক পড়ানো হয় যা বাকিবিশ্বের আর কোথাও হয় না। বিমান প্রত্নতত্ত্ব এর উপশাখা হিসেবে পরিচিত ঐতিহাসিক ভাবে নিমজ্জিত বিমানের প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা করা হয় এই অঞ্চলে। কয়েকটি রাজ্যে সামুদ্রিক এবং ডুবো প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের অধীনে এবং কোথাও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিটের অধীনে অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি (AIMA) এর পৃষ্ঠপোষকতায় চর্চিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Maritime History, Archaeology and Travel Research Project"। ২৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "MARITIME ARCHAEOLOGY"। Encyclopedia of Archaeology। Oxford: Elsevier Science & Technology, 2008। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানু ২০১৩।
- ↑ Muckelroy, K., "Maritime archaeology."
- ↑ Renfrew, C., & Bahn, P., 1991, Archaeology, theories, methods and practice.
- ↑ Delgado, J. P., (ed.). 1997.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইংল্যান্ডের ৪,০০,০০০ প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট এবং স্থাপত্যের রেকর্ড, সর্বসময়ের সামুদ্রিক সাইট সহ, ইংল্যান্ডের জলসীমায় মধ্যে জানা জাহাজডুবিসহ (ইংরেজি)
- রহস্যময় মারদি গ্রাসের জাহাজডুবির সংক্ষিপ্ত (ইংরেজি)
- আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের জলসীমায় জাহাজডুবির সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং বিস্তারিত (ইংরেজি)
সাধারণ
[সম্পাদনা]- Maritime Archaeological Field School in a Roman City. Menorca. Spain (ইংরেজি)
- Program in Maritime Studies, East Carolina University (ইংরেজি)
- টেক্সাস এ এন্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে নটিক্যাল প্রত্নতত্ত্ব (ইংরেজি)
- Center for Maritime Archaeology and Conservation, Texas A&M University (ইংরেজি)
- ইংরেজ ঐতিহ্যবাহী স্থানের সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্ব (ইংরেজি)
- জলতলের প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর (MUA) (ইংরেজি)
- Lighthouse Archaeological Maritime Program (LAMP), St. Augustine, Florida (ইংরেজি)
- Centre for Maritime Archaeology University of Southampton (ইংরেজি)
- Maritime Archaeology Programme University of Southern Denmark (ইংরেজি)
- Centre for Maritime Archaeology, University of Ulster, Coleraine (ইংরেজি)
- ইনস্টিটিউট অফ নটিকাল আর্কিওলোজি (ইংরেজি)
- নরডিক জলতলের প্রত্নতত্ত্ব (ইংরেজি)
- ঐতিহাসিক এবং সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের জন্য কেন্দ্র, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি)
- Flinders University Maritime Archaeology Program (ইংরেজি)
- A Code of Ethics for Maritime Archaeologists by Australian AIMA (ইংরেজি)
- Maritime Archaeology Program, University of Western Australia/Western Australian Museum ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে (ইংরেজি)
- Department of Maritime Archaeology, Western Australian Museum (ইংরেজি)
- Submerged Landscapes Archaeological Network (ইংরেজি)
- "Shipwrecks" in Stillwell, Richard, William L. MacDonald, Marian Holland McAllister, eds. Princeton Encyclopedia of Classical Sites, 1976, Includes alphabetized list of known wreck sites from Classical Antiquity.[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (ইংরেজি)
- Introduction to Marine Archaeology in Israel (ইংরেজি)
- Bournemouth University Centre for Maritime and Coastal Archaeology (ইংরেজি)
জাহাজ ও নৌকা
[সম্পাদনা]- ডোভের ব্রোঞ্জ যুগের নৌকো (নিবন্ধ), ডোভের জাদুঘর - বিশ্বের প্রাচীনতম জ্ঞাত সমুদ্রগামী নৌকা (ইংরেজি)
- সেইন্ট বোটলফের কাছাকাছি ব্রোঞ্জ যুগের ডিঙি নৌকো - খ্রিষ্টপূর্ব ১৫ শতাব্দি (ইংরেজি)
- এইচএমএস পানডোরা ১৭৯১ (ইংরেজি)