সামিয়া রহমান
সামিয়া রহমান | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
বাসস্থান | ঢাকা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() |
শিক্ষা | গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে বিএ (অনার্স) ও এমএ. |
যেখানের শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
নিয়োগকারী | প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা |
প্রতিষ্ঠান | নিউজ টুয়েন্টি ফোর |
প্রতিনিধি | বসুন্ধরা গ্রুপ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ |
পরিচিতির কারণ | টেলিভিশন উপস্থাপক |
আদি নিবাস | যশোর |
দাম্পত্য সঙ্গী | হুসাইন বিন খালেক |
সন্তান | তীর্থ ও আয়ূষ্মান |
পিতা-মাতা | নাট্যকার কাজী মাহমুদুর রহমান (পিতা) সঙ্গীত শিল্পী দিলরুবা রহমান (মাতা) [১] |
সামিয়া রহমান (২৩ জুন ১৯৭৩ সাল) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক ও টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিকতার শিক্ষক। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপিকা, প্রতিবেদক এবং টক শো উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ করেন।
পরিচ্ছেদসমূহ
পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]
সামিয়া রহমান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবার বাড়ি যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজী পাড়ায়। বাবা কাজী মাহমুদুর রহমান একজন নাট্যকার, লেখক, অভিনেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বেতারের প্রোগ্রাম পরিচালক হিসেবে চাকরি করেছেন। মা চট্টগ্রামের মেয়ে দিলরুবা রহমান একজন সঙ্গীতশিল্পী ও নাট্য অভিনেত্রী ছিলেন। চার বোনের মধ্যে সামিয়া রহমান তৃতীয়। সামিয়া রহমানের স্বামী হুসাইন বিন খালেক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও তুরাগ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক।[১]
শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে বিএ (সম্মান) ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। উভয় শ্রেণীতেই তিনি প্রথম স্থান অর্জন করে স্বর্ণপদক পান। [২]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
পরিবেশ বিষয়ে এনজিওতে চাকরি জীবন শুরু করলেও ২০০০ সালে একুশে টিভিতে রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ পান। এখান থেকেই তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়। তিনি একুশে টিভিতে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি এ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।[৩] ২০০১ সালে তৎকালীন সরকার কর্তৃক একুশে টিভি বন্ধ করে দিলে তিনি এনটিভি সংবাদ পাঠিকা হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে এনটিভির চাকরি ছেড়ে আবার দেশ টিভিতে এক বছর কাজ করেন। মাঝে কয়েক বছর টেলিভিশন মিডিয়া থেকে দূরে থাকার পর ২০১২ একাত্তর টিভি কারেন্ট এপিয়ার্স এন্ড প্রোগ্রাম এডিটর হিসেবে কাজ করেন (২০১২-২০১৬)।[১] ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভিতে একই পদে যোগদান করেন। [৪]
প্রকাশিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]
সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামিয়া রহমান একজন গবেষক ও লেখক। তার একাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তার দুটি বই অ্যামাজোনে প্রকাশ পেয়েছে। [৫][৬] তার একক লেখা প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫টি। যৌথ লেখা রয়েছে ২টি।
একক[সম্পাদনা]
- একুশ শতকের টেলিভিশন সাংবাদিকতা
- গণমাধ্যমের চাণক্য কৌশল
- কুতর্ক বিতর্কে গণমাধ্যম
- আধাখিঁচড়ে গল্প।
- ছোটদের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক
যৌথ লেখা[সম্পাদনা]
- স্বপ্ন বাণিজ্যে লহ্মীপুষ্প - সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক
- জেন্ডার যোগাযোগ-১ - রোবায়েত ফেরদৌস ও সামিয়া রহমান [৭]
সমালোচনা[সম্পাদনা]
সামিয়া রহমানে বিরুদ্ধে মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধ থেকে ৫ পৃষ্ঠা লেখা হুবহু চুরির অভিযোগ করে শিকাগো প্রেস। সামিয়া রহমানের যৌথ একটি গবেষণা নিবন্ধ ‘আ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোস্যাল সায়েন্স রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত হয়। এই নিবন্ধে ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধ থেকে পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। ১৯৮২ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’র ৪নং ভলিউমে ফুকোর ওই নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই নিবন্ধের প্রকাশক ছিলো শিকাগো প্রেস। [৮]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "ব্যক্তিত্বে ফ্যাশনে সামিয়া রহমান"। দেশবিদেশ ডট কম। ২০ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।
- ↑ একুশ শতকের টেলিভিশন সাংবাদিকতা। মুক্তধারা। ২০১৫। পৃষ্ঠা ১৮৪। আইএসবিএন 9789848858233।
- ↑ "সামিয়া রহমানের প্রোফাইল"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।
- ↑ "সামিয়া রহমান যোগ দিলেন নিউজ টুয়েন্টিফোরে"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।
- ↑ "Samia Rahman"। আমাজন.কম-এর ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "মৃত্যুর পথে চলা (নিবন্ধ) : সামিয়া রহমান"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৮ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।
- ↑ "সামিয়া রহমান এর বই সমূহ"। রকমারি। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।
- ↑ "ফুকোর নিবন্ধ থেকে ৫ পৃষ্ঠা লেখা চুরির অভিযোগ, সামিয়ার অস্বীকার"। বাংলা ট্রিবিউন। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।